পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লামা মণ্ডলের সর্বশ্রেষ্ঠ গুরুপদে অভিষিক্ত করিয়া তাহাকে চীনরাজপৌরোহিত্যের পুরস্কার স্বরূপ তিফতরাজ্যের শাসনरुर्द्धश् लॉन करब्रन । डप्रमखद्र »२७» शूटेॉएक ऊँांझांग्नई शङ्ग উক্ত পণ্ডিতের ভ্রাতু-পুত্র মতিধ্বজ ( ভোটনাম লোদোই গাল২ষন ) ফাগ্ৰস-প উপাধি সহ শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মাচার্য্যের পদে প্রতিষ্ঠিত ছন। ইনি রাজামুগ্ৰহে রোমক পোপের স্তায় শক্তিসম্পন্ন হষ্টয়াছিলেন । সম্রাটু খুবিলাই খ লামাধৰ্ম্মের উন্নতিসাধনাৰ্থ বহু পরিশ্রমে ও অর্থব্যয়ে মোঙ্গলীয়ার নানাস্থানে এবং পেকিন নগরে সর্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ একটমাত্র সঙ্ঘারাম প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। তঁহারই উৎসাহে শাক্য-পণ্ডিত মতিধ্বজ পণ্ডিতমগুলে সমাবৃত হইয়া লামাপৰ্ম্মের প্রসিদ্ধ কর-গুর গ্রন্থ মোঙ্গলীয় ভাষায় অনুবাদ করেন । পরবর্তী মোগলসম্রাট গণের অধীনে শাক্য-পুরোহিতগণের রাজকীয় প্রাধান্ত ক্রমশঃই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং তাহারা প্রতিদ্বন্দ্বী লামাসম্প্রদায়ের বিরুদ্ধাচারী হইয়া উহাদের উপর অত্যাচার করিতে আরম্ভ করেন। ১৩২০ খৃষ্টাব্দে তাহার দিকুঙ্গের সুপ্রসিদ্ধ কর-গু্য-প সজারাম ভক্ষ্মীভূত করিয়া ফেলেন। ১৩৬৮ খৃষ্টাব্দে মিঙ্গরাজবংশ চীনসাম্রাজ্য-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। উক্ত বংশীয় সম্রাটগণ শাক্য-পণ্ডিতদিগের ক্ষমতা খৰ্ব্ব করিবার উদ্দেশে কর-গু্য-প দিকুঙ্গ ও ক-দম-প-২ষল সভারামের আচাৰ্য্যত্রয়কে তদনুরূপ শ্রেষ্ঠ পৌরোহিত্য শক্তি দান করিয়াছিলেন । খৃষ্টীয় ১৫শ শতাদের প্রারস্তে লাম। তসোঙ-থ-প অতীশপ্রবর্তিত সংস্কৃত-লামাধৰ্ম্মের পুনঃসংস্কার সাধন কীিয়া উহাকে গেলুগ-প নামে পরিচিত করেন। এই সম্প্রদায় উত্তরোত্তর শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিয়া তিব্বতে প্রচলিত অস্তান্ত সম্প্রদায়কে ইনতেজ করে এবং পাচ পুরুষের মধ্যে এই সম্প্রদায়ের প্রধান ধৰ্ম্মযাজক তিব্বতের পুরোহিতরাজ বলিয়া বিখ্যাত হন। উক্ত সাম্প্রদায়িক প্রধান ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য আজিও সেই সন্মানে ভূষিত আছেন। লামা এসোঙ-খ-প'র ভ্রাতুপুত্ৰ গেদেন-ডুব উক্ত সম্প্রদায়ের প্রধান ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য ( Grand Lama ) হন । তিনি সাধারণের নিকট অবতাররূপে গৃহীত হইয়াছিলেন। পরে তাহার পঞ্চম পুরুষ অধস্তন শ্রেষ্ঠ লামা বোধিসত্ত্ব অবলোকিতের বিমলজ্যোতি প্রাপ্ত বলিয়া বিঘোষিত হয়েন । ১৬৪০ খৃষ্টাব্দে মোগলরাজ গুস্রি খাঁ তিব্বত জয় করিয়া পঞ্চম লামাচাৰ্য্য গুগ-বঙ-লোঁ-জঙ্গকে দান করেন। তদবধি গে-লুগ-প সম্প্রদায়ের লামাচাৰ্য্যগণ রাজশক্তিতে ভূষিত হন। ১৬৫০ খৃষ্টাৰো XVII ty [ ২৩৩ ] লামা ಕ್ಷ್ * - - - - চীনসম্রাট, তাহাকে তিব্বতের অধিরাজ বলিয়া স্বীকারপূৰ্ব্বঙ্ক মোক্ষঙ্গীয় দলই (সমুদ্র ) উপাধি দান করেন ; তদবধি যুরোপীয় পরিব্রাজকগণের নিকট তিনি এবং তাহার বংশধরগণ দলই-লামা বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন। তিব্বতীয় সমাজে তিনি গল করিণ-পোছে নামে অভিহিত। ১৬৪৩ খৃষ্টাব্দে তিনি লাসানগরের সন্নিকটে শৈলৈাপরি সুপ্রসিদ্ধ পোতল প্রাসাদ-মন্দির স্থাপন করেন। তিব্বতের অপরাপর লামা সাম্প্রদায়িকগণ র্তাহাকে ও তদ্বংশধরদিগকে অবলোকিতের অবতার বলিয়াই স্বীকার করিয়া থাকেন। কিন্তু রাজশক্তিপ্রাপ্ত লামা গুগ-বঙ শেষজীবন শান্তিতে অতিবাহিত করিতে পারেন নাই। প্রভুত্বস্থাপনে, উদাম আকাঙ্ক্ষা এবং মাঞ্চুজাতির বিদ্রোহে প্রপীড়িত হইয়া তিনি লীলাবসান করেন। ষষ্ঠলামা চীনসম্রাটের আদেশে নিহত হন। তদনন্তর তিনি স্বহস্তে তিব্বতের কর্তৃত্ব গ্রহণ করিয়া সমগ্র রাজ্যে ধৰ্ম্মনীতি ও রাজনীতির সামঞ্জস্ত বিধান করিয়া তথাকার মোহন্তনিয়োগের ব্যবস্থা দেন । কিন্তু গে-লুগপ সম্প্রদায় পঞ্চম লামার প্রণোদিত প্রথায় দিন দিন উন্নতি লাভ করিতে থাকে। এ সময়ে কএকজন মাত্র চীনরাজকৰ্ম্মচারী তিব্বতে উপস্থিত থাকিলেও এই সাম্প্রদায়ের লামাচাৰ্য্যগণ প্রকৃত পক্ষে রাজ্যের অধীশ্বর বলিয়া গণ্য ছিলেন এবং সকল সম্প্রদায়ভুক্ত লামাগণ র্তাহাকেই প্রধান বলিয়া গণ্য করিতেন । এই লামাধৰ্ম্ম ক্রমশ: তিব্বত অতিক্রম করিয়া দূরদেশে বিস্তৃত হয়। বর্তমান সময়ে উহা পশ্চিমে যুরোপীয় ককেসস্ হইতে পূৰ্ব্বে কামস্থাটক এবং উত্তরে বুরিয়াৎ সাইবেরিয়া হইতে দক্ষিণে সিকিম ও যুন-নান পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয়। এই সুবিস্তৃত ভূভাগে লামাধৰ্ম্ম বিস্তৃত হইলেও, তথাকার অধিবাসিসংখ্যা নিতান্তই কম; কিন্তু সকলেই লামাকে রাজা ও ধৰ্ম্মগুরু বলিয়া মান্ত করে। সমগ্র তিববতরাজ্যের লোকসংথ্যা ৪০ লক্ষের অধিক নহে । তাছাদের মধ্যে অনেকে লামাধৰ্ম্মোপাসক, পূৰ্ব্ব-ভোটবাসিগণ বোন ধৰ্ম্মসেবী এবং কতকাংশ উভয়ধৰ্ম্মই মান্ত করে। বোন ধৰ্ম্মাচারিগণ লামাধৰ্ম্মের পৃষ্ঠপোষকতা করিতে বিরত হন না । যুরোপে কালমা তাতার জাতির বাসভূমি ভলগা নদীতীর পৰ্য্যন্ত লামাধৰ্ম্মের শেষ সীমা । তোরগোৎ জাতির পলায়নের পরেও য়ুরোপের রুষরাজ্যে ডন ও ধৈক নদীর মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে ২০ হাজার ঘর কালমা তাতারের বাস ছিল । তাহাদের মধ্যে প্রায় লক্ষ লোক লামাধৰ্ম্মে বিশ্বস্ত রহিয়াছে। উক্ত পলায়নের পর হইতে তাহারা আর দেবরূপী পুরোহিত লামাকে শ্রেষ্ঠ-লামা বলিয়া সন্মান বা তাহার আদেশ পালন