পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লালবেগী একরার দেয়, তাহাতে বিবাহিত পত্নীকে ভালবাসিবার ও লালনপালন করিবার এবং পুনরায় বিবাহ করিয়া দ্বিতীয়পত্নী ঘরে না আনিবার অঙ্গীকার থাকে। বিবাহের পূৰ্ব্বদিন ইহার “থলুরী” উৎসব ও মুসলমান সম্প্রদায়ের আচরিত অন্তান্ত কৰ্ম্ম সম্পন্ন করে, কিন্তু ঐ সময়ে ইহারা আচাৰ্য্য ব্রাহ্মণ ডাকে না। বরের গৃহে কন্যাকে আনি৷ বিবাহ দেওয়া হইলে পঞ্চায়তকে ১০ সিকা এবং কন্যার গৃহে হইলে / আনা সেলামী দিতে হয় । কোন কোন লালবেগী রমজান পর্বে উপবাস করে, কিন্তু অধিকাংশ লোকেই তাহ পালন করে না । ইহারা মসজিদে প্রবেশপূৰ্ব্বক উপাসনা করিতে পায় না। ইহাদের অন্ত্যেষ্টিপ্রথা স্বতন্ত্র। মুসলমানের নির্দিষ্ট সমাধিক্ষেত্রে ইহার মৃতদেহ গোর দিতে পারে না। জঙ্গলের মধ্যে অথবা জনমানবপরিশূন্ত কোন অনুৰ্ব্বর ভূখণ্ডে ইহার শব লইয়া গিয়া প্রোথিত করে। মৃতদেহ সমাধিস্থ করিবার পূৰ্ব্বে ইহারা পাঁচখানি বস্ত্রে সেই দেহ আবৃত করে, দুই বাহুর নীচে দুইখানি রুমাল বাধে, মস্তকে একখানি কসবা বা গামছা জড়াইয়া দেয় এবং তাহার পর একখানি “থিরক” (জাম বিশেষ ) পরাইয়া গহবর মধ্যে স্থাপন করে। পরে ঐ কবর মৃত্তিক দ্বারা পূর্ণ কবির তৎপরে একখানি চাদর বিস্তার করিয়া দেয়, উতাকে “ফুল কা চাদর” বলে । ঐ বস্ত্রের চরি কোণে চারিখনি অগুরু কাষ্ঠ পুতিয়া আগুন লাগাইয়া ভস্মসাৎ করে। ইহার পর মুসলমানদিগের আচরিত যাবতীয় সংকারপ্রথারই অনুষ্ঠান করে। মৃত্যুর পর চার দিন পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির গৃহে কোনরূপ আলোক বা অগ্নি প্রজলিত করা হয় না। ঐ চার দিন তাহারা প্রতিবেশী বা কোন আয়ায়ের গুহে ভোজনাদি কপিয়া থাকে। পঞ্চম দিনে ইহারা মৃতের গৃহ সম্মুখে এক থালা সুপারী বাথিয়৷ তদুপৰি ফুল দিয়া ঢাকা দেয় এবং সেই দিনে স্বজাতীয় ব্যক্তিগণকে আহবান করিয়া ভোজ দিয়া থাকে। ইহারা হিন্দুর অনেক পৰ্ব্বই পালন করিয়া থাকে এবং অনেক বিষয়ে হিন্দুর আচারপদ্ধতি অনুসরণ করিয়া কাৰ্য্য করে । দিবালী ও চোলী পর্বে ইহারা বিশেষ সমারোহ করিয়া থাকে। ঐ সময়ে ইহারা আপনাদের আদিপুরুষ লালবেগের উদ্দেশে মৃত্তিকা দ্বারা পঞ্চ গুম্বেজযুক্ত একটা মসজিদ বা সমাধিমন্দির স্থাপন করিয়া তাহার সম্মুথে মুরগী বলি এবং তাহার নামে পোলাও, সববং ও মিষ্টীয় প্রভৃতি উৎসর্গ করিয়া পুজা দেয়। ঐতিহাসিক ইলিয়ট বলেন, ইহাদের উপাস্ত আদিপুরুষ বা কুলদেবতা লালবেগ সম্ভবতঃ উত্তরপশ্চিম ভারতীয় লালগুরু (রাক্ষস আরণ্য কিরাত) হইবেন। কিন্তু বারাণসীবাসী লালবেগীরা ! [ २8० J লালসাহবাজ পীর জহরকেই (চিস্তিয়া সাধু সৈয়দ শাহ জুহুর) লালবেগ বলিয়া অমুমান করেন, পঞ্জাবের কামারগণ যেমন হজরত দাউদ ও রঙ্করগণ যেমন পীর আলী রঙরেজের পূজা করে, সেইরূপ তথাকার মেথরের লালপীর বা বাবা ফকিরের উপাসনা করিয়া থাকে। [ লালগুরু দেখ। ] লালবেগীরা ইস্লামধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার পরই কোন মুসলমান সাধুকে আপনাদের বংশপ্রবর্তৃক বলিয়া গণ্য করিয়া আসি তেছে। উত্তর-ভারত হইতে ইহারা বাঙ্গালায় কৰ্ম্মান্বেষণে আসিয়া বাস করিয়াছে। লালবেগী, বাঙ্গালার ত্রিহুত জেলায় প্রবাহিত একটা নদী। লালবেড়েলা (দেশজ ) রক্তবেড়েল। লালবেহারী দে, ( রেভারেও), ইংরাজী শিক্ষিত এক জন বঙ্গ সস্তান। তিনি খৃষ্টধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া রেভারেও উপাধি লাভ করেন। ইংরাজ-গবমেন্টের স্থাপিত হুগলী কলেজের ইংরাজী অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত থাকিয়া তিনি স্বীয় জীবন অতিবাহিত করেন । গোবিন্দসামস্ত ও বাঙ্গালার গল্প offorth (Govinda Samanta, a Bengal Peasant life s Folktales of Bengal) নামক গ্রন্থদ্বয় তাহার ইংরাজী জ্ঞান ও রচনাশক্তির চরম নিদর্শন। এতদ্ভিয় তাহার সঙ্কলিত আরও কএকখানি স্কুলপাঠ্য ইংরাজী গ্রন্থ আছে। ১৮৯৪ খৃষ্টাৰে তাহার মৃত্যু হয়। লালশর্করাকদ ( দেশজ ) শকরকন আলু। লালশাক ( দেশজ ) রক্তশাক । লালশেলেঞ্চি ( দেশজ ) খাদ্যোপযোগী শাকবিশেষ। লালশ্বাম ( দেশজ ) লালবর্ণের শুামাঘাস । লালস (পুং ) লালসা । লালসৰ্ব্বজয় ( দেশজ ) পুষ্পভেদ। (Cama Indica) লালসা (স্ত্রী) লস টু, তত: (অঃ প্রত্যয়ং পা ৩৩১-২) ইতি অ, টাপ ১ মহাভিলাষ । ( অমর ) ২ ঔৎসুক্য। ৩ যাচ এণ । ( মেদিনী ) ৪ দোহদ। ‘দোহদং দৌহৃদং শ্রদ্ধা লালসা স্থতি মাসিতু । ( হেম ) ৫ লোল। (ত্রি ) ও লোলুপ। "তস্মিন মুহুর্তে পুরসুন্দরীণামীশানসম্প্রদর্শনলালসানাম্।।” ( কুমার৭৫৬ ) লালসাত, রাজপুতনার জয়পুর রাজ্যের বোঁধা জেলার অন্তর্গত একটি নগর । এখানে প্রায় ৯ হাজার লোকের বাস আছে । লালসাবনী ( g-g ) gtsn (Trianthema obcordata) লালসাহবাজ, এক জন মুসলমান মহাপুরুষ। সেহবানে তাহার সমাধিমন্দির বিদ্যমান আছে। মুসলমানগণ প্রায়ই এই পবিত্র তীর্থ সন্দর্শনে আসিয়া থাকে। ১৩৫৬ খৃষ্টাব্দে উক্ত