লালের-ফোর্ট Tअनर সেনাপতিগণ র্তাহার ব্যবহারে বিশেষরূপে উত্ত্যক্ত হইয়াছিলেন। তাহারা ঘৃণার সহিত র্তাহার আদেশ উপেক্ষা করিয়া মাদ্রাজ আক্রমণে বিরত হইলেন। তিনি প্রত্যেক সেনাকর্তৃক সুণিত ও লাঞ্ছিত হইলেন এবং তাহার উপর বিদ্রোহী সেনাদলও স্বীয় নৌবাহিনীকর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়া আপনাকে বিশেষরূপে অবমানিত বোধ করিতে লাগিলেন। উপস্থিত বিপদ হইতে উদ্ধারলাভের আশায় তিনি বাধ্য হইয়া বুশিকে যুদ্ধের অধিনায়কপদে বরণ করিয়া যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইতে আদেশ দিলেন। বনিবাস রণক্ষেত্রে কর্ণেল কুটের নিকটে তিনি সদলে পরাজিত হইয়াছিলেন। অতঃপর বিদ্রোহী সেনাবৃন্দ ও অত্যাচারী প্রজাবর্গের মধ্যে থাকিয়া তিনি পুদিচেরী রক্ষায় দৃঢ়সঙ্কল্প হয়েন। ক্রমশ: শ্বাস্থাভাবে যখন দুর্গবাসীর জীবনকাল ফুরাইতে লাগিল, (১৬ই জানুয়ারী ১৭৬১ খৃ: ) তখন তিনি আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হষ্টয়াছিলেন । এই অবরোধকালে ফরাসি-সৈন্ত ও নগরবাসিগণ হস্তী, অশ্ব, উঃ প্রভৃতি নিহত করিয়া তাহাদের মাংস দ্বারা উদর পূৰ্ত্তি করিত। এমন কি, তৎকালে ২৪ টাকা মূল্যে একটী দেশী কুকুর ফরাসীদিগের থান্ত সামগ্রীরূপে বিক্রীত হইয়াছিল। . তিনি ফ্রান্স রাজ্যে প্রত্যাবৃত্ত হইলে, র্তাহার ভারতীয় কাৰ্য্যাবলির তত্ত্বানুসন্ধান ও বিচার আরম্ভ হয় । তাহাতে তিনি রাজদ্রোহী ও সেনাপতিবৃন্দের উপর অযথা অত্যাচারী বলিঙ্গা প্রতিপন্ন হন । তজ্জন্ত র্তাহাকে ময়লার গাড়ীতে বসাইয়া প্রকাশু রাজপথে লইয়া বধ্যভূমিতে আনয়ন করা হইয়াছিল। তথায় তিনি তারস্বরে চিৎকার করিয়া বলিয়াছিলেন, “জগদীশ্বর বিচারকদিগকে ক্ষমা করিবার জন্য তাহাকে যথেষ্ট অনুগ্রহ দান করিয়াছেন। যদি তাহাদিগের সহিত পুনরায় সাক্ষাৎ আমার সম্ভব হইত, তাহা হইলে আমি কখনই সে কার্য্য করিতাম না।” এই কথা বলিবার পর জহলাদ আসিয়া তাহার শেষ কাৰ্য্য করিয়া গেল। লালী (দেশজ) ঈষৎ লালবর্ণমুক্ত। যাহাতে লালের আমেজ আছে। ললিীনদী, আসামে প্রবাহিত একটা নদী। দিপুঙ্গের সহিত মিলিত হইয়াছে। অক্ষা, ২৮ উঃ এবং দ্রাঘি ৯৬১ পূৰ্ব্বে আবরজাতির বাসভূমি জঙ্গলাবৃত পৰ্ব্বতথও হইতে উদ্ভূত। লালীল (পুং ) অগ্নি। (তৈত্তিরীয় আর ১০।১৭ ) লালুক (স্ত্রী) কণ্ঠহারভেদ। লালুনন্দলাল, একজন কবিওয়ালা। ইহার রচিত অনেক 'কবি' গান পাওয়া যায় । লালের-ফোর্ট (লালনের দুগ%), যুক্ত প্রদেশের বুলনাসহর জেলার অস্তগত একটি গওগ্রাম। অক্ষা ২৮১৩ উঃ এবং [ २8७ ] লাবণ্যশৰ্ম্মন প্রাঘি• ৭৮° পূ: থালগল্প হইতে মীরাট খাইবার পথে অবস্থিত। এখানে একটা ভগ্ন দুগ ছিল। লাল্য (ত্রি ) লল-ণিচণ্যৎ। লালনীয়, লালনার্থ। r লাব (পুং স্ত্রী) পক্ষিবিশেষ, লাওয়া। ইহার মাংসগুণ—লবু, কটু, মলবদ্ধকারক, স্বাদু, শীতল, ও ত্রিদোষনাশক । ( রাজব”) ভাব প্রকাশমতে গুণ-অগ্নিকর, স্নিগ্ধ, শ্লেষ্মবৰ্দ্ধক, উষ্ণবীৰ্য্য, \বায়ুনাশক, লঘু, ত্রিদোষজিৎ, শীতল, হৃদরোগ ও রক্তপিত্ত্ব রোগনাশক । ( ভাবপ্র” ) লাবক (পুং) লাব এব স্বার্থে কন। ১ লাবপক্ষী। পৰ্যায় লঘুজাঙ্গল। (ত্রিকা) লুনাতীত লু"। ২ ছেদক। “যথা প্রাগ ব্যাপক: ক্ষেত্ৰী পালকো লাবকস্তথা।"মার্ক"পু•৪৬১৬) লাবণ (ত্রি) লবণ-অণ, লবণ দ্বারা সংস্কৃত, যে বস্তুর লবণ দ্বারা সংস্কার করা হয় । e ‘সাপিষ্কং দাধিকং সপিৰ্দধিভ্যাং সংস্কৃতং ক্ৰমাৎ । লবণোদকাভ্যামুদকং লাবণিকমুখিতি । * উদতিমেদখিংকং লবণে স্তাত্ত লাবণম্ (হেম) (ত্রি ) ২ লবণ সম্বন্ধী। “স মাং পরিভবন্ধেব স্বাং বেলাং সমুপাক্রমন। ক্লেদয়ামাস চপলৈলাবণৈরস্তু বিত্রবৈ: ॥” (হরিবংশ ৫৩২• ) ( কী ) ৩ নস্ত । ( রত্নমালা ) লাবণিক (ত্রি ) লবণ-ঠঞ, । লবণ দ্বারা সংস্কৃত, লবণোদক দ্বারা সংস্কৃত । ( হেম ) ২ লবণ সম্বন্ধী। ( পুং ) ৩ লবণবিক্রেতা । “লীলয়ৈব সুতনোস্তলয়িত্ব গৌরবাঢ্যমপি লাবণিকেন।"(মাঘ১০।৩৮) ( ক্লী ) ৪ লবণপাত্র । লাবণ্য (কী ) লবণ-যাঞ্চ। ১ লবণত্ব, লবণের ভাব বা ধৰ্ম্ম। লবণ ত্বিট, বিস্তুতে যন্তেতি লবণ: অৰ্শ আদিত্বাদচ তস্ত ভাব: দৃঢ়াদিত্বাং স্বার্থে ব্যঞ, সৌন্দর্যাবিশেষ, শরীরের কান্তি, চাক্চিক্য । ইহার লক্ষণ— “মুক্তাফলেষু ছায়ায়াস্তরলভূমিবান্তরা । প্রতিভাতি যদঙ্গেযু তল্লাবণ্যমিহোচ্যতে ॥” (উজ্জ্বলনীলমণি) মুক্তাফলের মধ্যে ছায়ার তরলতার ন্যায় অঙ্গে যাহা প্রতিভাত হয়, তাহাকে লাবণ্য কহে। শরীরাবয়বের যে প্রকৃষ্ট সৌন্দর্য্য, তাহাকেই লাবণ্য বলে । “নীতিভূমিভুজাং নতিগুৰ্ণবতাং স্ত্রীরঙ্গনানাং ধৃতিঃ দম্পত্যে; শিশবে গৃহস্ত কবিতা বুদ্ধেঃ প্রসাদে গিরাং । লাবণ্যং বপুষ: স্মৃতিস্থ মনসা শান্তিদ্বিজন্ত ক্ষম শক্তস্ত দ্রবিণং গৃহাশ্রমবতাং স্বাস্থ্যং সত্যং মগুনম্।।” (অমরসিংহ) ৩ শলনৈপুণ্যাদি। লাবণ্যশৰ্ম্মন, লাবণ্যপর্বতন্ত্র ও শকুনপ্রদীপপ্রণেতা।
