পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিঙ্গ [ ૨૯ના 1 ' fन* লিঙ্গপূজাপ্রবর্তন ও লিঙ্গোৎপত্তি বিষয় বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্নরূপ বর্ণিত হইয়াছে। বামনপুরাণের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে লিঙ্গোৎপত্তিপ্রকরণে লিখিত হইয়াছে, ব্ৰহ্মা শিবলিঙ্গমুৰ্ত্তি ধারণ করিয়া স্বীয় উপাসনা প্রচার জন্য শৈব, পাশুপত, কালবদন ও কপালী নামে চারিট শৈবসম্প্রদায় প্রবর্হিত করেন। বশিষ্ঠপুত্র শক্তি ও র্তাহর শিষ্য গোপায়ন প্রথম শৈব, তপস্বী ভারদ্বাজ ও র্তাহার শিষ্ণু সেমেকাধিপতি রাজা ঋষভ পাশুপত, আপস্তম্ব ও বক ক্রাথেশ্বর নামক বৈং কালবদন, ধনদ ও তাহার শূদ্রবংশীয় শিন্য কন্দোদর কপালী হইয়াছিলেন, ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যায়, লিঙ্গোপাসনাপ্রসঙ্গে কালে শৈবসম্প্রদায়ে চারিটী শাখাবিভাগ ঘটিয়াছিল এবং চারিজন প্রধান যোগী ঐ বিভিন্ন মত প্রচার করেন । স্কনপুরাণে লিঙ্গশব্দের ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে লিখিত আছে ; “আকাশং লিঙ্গমিত্যাহু: পৃথিবী তস্ত পীঠিকা । আলয়ঃ সৰ্ব্বদেবানাং লয়নাল্লিঙ্গমুচ্যতে ॥” ( স্কন্দপু ) :গেহে লিঙ্গদ্বয়ং নার্চ্যং শালগ্ৰামম্বয়ং তথা । দ্বে চক্রে দ্বারকায়াস্তু নাচর্চাং স্বৰ্য্যদ্বয়ং তথা ॥ অভক্ষাং শিবনিৰ্ম্মাল্যং পত্রং পুষ্পং ফলং জলম্। শালগ্রমশিলাযোগাং পাবনং তদুভবেৎ সদা ।” আকাশ শব্দে লিঙ্গ এবং পৃথিবী তাহার পীঠিকা। ইহা সকল দেবতার আলয় । ইহাতে সমস্ত লয় প্রাপ্ত হয় বলিয়া ইহাকে লিঙ্গ কহে ৷ একগৃহে লিঙ্গদ্বয় পূজা করিতে নাই, এইরূপ শালগ্রাৰ শিলাদ্বয়েরও পূজা নিবিদ্ধ। শিবের নিম্মাল্য গ্রহণ করিবে না, কিন্তু শালগ্রাম শিলার যোগে নিৰ্ম্মাল্য গ্রহণীয়। লিঙ্গশব্দে সাধারণতঃ শিবলিঙ্গই বুঝায়। দেবাদিদেব মহাদেব হিন্দুজগতে কি কারণে লিঙ্গরূপে প্রকটিত হইয়াছিলেন এবং কেনই বা হিন্দু প্রধান ভারতভূমে তাহার প্রতিষ্ঠা ও পুজা প্রচারিত হইয়াছিল, লিঙ্গপুরাণ, শিবপুরাণ ও পাদোত্তরখণ্ডে তাহার যথাযথ বিবরণ লিপিবদ্ধ রহিয়াছে । হিমালয় ৷ হইতে সিংহল পর্য্যন্ত সুবিস্তীর্ণ ভাবত-সাম্রাজ্যে আড়াই হাজার বর্ষের পূৰ্ব্ব হইতে এই লিঙ্গমুক্তির উপাসনা প্রচলিত দেখা যায়। মনুসংহিতায় শিবশক্তি ভদ্রকালী এবং বিষ্ণুশক্তি শ্রীর উল্লেখ আছে (মনু ৬৮৯ ) । উক্ত গ্রন্থের ৩১৫১-১৫২ শ্লোকে বহু যাজক ও দেবলদিগের নিন্দাবাদ এবং দেব-প্রতিমার ( ময়ু ৯২৮৫ ) প্রসঙ্গ থাকায় মনে হয়, উহ্য রচিত হইবার পূৰ্ব্বে প্রতিমাপূজা প্রবর্ধিত হইয়াছিল। রামায়ণ ও মহাভারতের প্রসঙ্গাপীনা আখ্যায়িকা ঐতরেয় (৮২১-২৩) ও শতপথব্রাহ্মণে ( ১৩৫৷৪১ ) থাকায় এবং মনুতে রাম ও কৃষ্ণের নামোল্লেখ না দেখিয়া অনুমান হুয় যে, মনুসংহিতাখানি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন। মনুসংহিতা-কালে দেবগণকে ঘৃতাহুতি দিবার বিধি ছিল, এখনকার স্থায় পুষ্পচন্দনলিপ্ত নৈবেদ্যাদি দানের ব্যবস্থা ছিল কি না বলা যায় না। যে বিষ্ণু ও শিব মনুসংহিতা-সঙ্কলনকালে পদ ও বলের অধিষ্ঠাতা বলিয়া পূজিত ছিলেন, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ও তন্ত্রাদি গ্রন্থে তাহাদের মহিমা পরিবর্দ্ধিত হইয়াছে ; তদবধি তাহারা পরাৎপর পরমেশ্বর রূপে পূজিত হন। রামায়ণ ( ৭।৩১।৪২) ও মহাভারতে সৌপ্তিক পর্বে ৭ম অঃ শিবলিঙ্গের পরিচয় আছে। রাজতরঙ্গিণী ( ১১৯৪ ও ২১২৯১৩০ ) পাঠে জানা যায় যে, জলেীক ( Seleukos ) রাজার অধিকারকালে বিজয়েশ্বর, নন্দীশ ও ক্ষেত্ৰজ্যেষ্টেশ নামক শিবলিঙ্গের পূজা প্রচলন ছিল । সুতরাং স্বীকার করিতে হইবে যে, বুদ্ধদেবের পূর্ব হইতেই ভারতবর্ষে লিঙ্গপূজা প্রচলিত ছিল। খৃষ্টপূৰ্ব্বে শককুষণ ও খারাষ্ট্র রাজগণের সময়েও লিঙ্গোপাসনার যথেষ্ট আদর হইয়াছিল। গুপ্তরাজগণের শিবভক্তি কাহারও অবিদিত নাই। তাহাদের মুদ্রায় অঙ্কিত বৃষ, ত্ৰিশূল ও শিবশক্তি সিংহবাহিনী প্রভৃতির প্রতিরূপই তাহার সাক্ষ্যদান করিতেছে । কেবল উত্তরভারত বলিয়া নহে, দক্ষিণভারতেও খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৫ম শতাব্দে লিঙ্গারাধনা প্রচারিত ছিল । ষ্ট্রাবোর বর্ণন হইতে জানা যায়, পাণ্ড্যরাজ রোমকসম্রাট, অগাষ্টাসের সভায় দূত প্রেরণ করেন, খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৩৫০ হইতে ২১৪ অন্ধ মধ্যে পাণ্ড্য ও চোলরাজ্য এক হইয়া যায়। উভয় রাজ্যের প্রথমকার ভূপতিগণ লিঙ্গস্থাপক ও শিবভক্ত ছিলেন । দাক্ষিণাত্য হইতে শৈব ধৰ্ম্মস্রোত খৃষ্টীয় ৫ম শতব্দে যবদ্বীপ ও বালিদ্বীপে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তথাকার প্রশ্বনন নামক স্থানে দুইশত অপেক্ষ অধিক দেবমন্দির এবং শিব, দুর্গা, গণেশ, স্বৰ্য্য প্রভৃতির পাষাণময় ও পিত্তলময় প্রতিমূৰ্ত্তি অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। [ যব ও বালি দেখ। ] গ্ৰীক ভৌগোলিক আরিয়ান কষ্ঠাকুমারীর বর্ণনাস্থলে লিখিয়াছেন, কুমারীনামী দেবীর নামে ঐ স্থানের নামকরণ হইয়াছে। শক্তিসংযোগমাত্ৰণ কৰ্ম্মকৰ্ত্ত সদাশিবা। অতএব মহেশানি পূজয়েচ্ছিবলিঙ্গক ।”

  • fàixīqtw Sounerat fäffitika,-“The lingan may be looked upon as the phallus or the figure representing the virile member of Atys, the well-beloved of Cybele, and the Bacchus, which they worshipped at Heiropolis. The Egyptians, Greeks and Romans had temples dedicated to Priapus, under the same form as that of the lingam. The Israelites worshipped the same figure, and erected statues to it.”

£ Vide Journal of t';0 Indian Archipelego, vol. iii.