পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিচ্ছবিরাজবংশ [ २४० l লিচ্ছবিরাজবংশ 三ーエニ - - - - - - - 言 “নরকো.মহাত্মনোহস্তান্বয়ে ভগদত্ত-ব্ৰজদত্ত-পুষ্পদত্তপ্রভৃতি্যু বহুযু মরুমহিতেযু মহৎস্থ মহীপালেষু প্রপৌত্রে মহারাজ ভূতিবৰ্ম্মণ: পৌত্রশচন্দ্রমুখবর্মণ: পুত্রে দেবন্ত কৈলাসস্থিতেঃ স্থলবৰ্ম্মণ: সুরবধূ নাম মহারাজাধিরাজ জজ্ঞে.তস্ত চ সুগৃহীতনামে দেবন্ত মহাদেব্যাং শ্রামাদেব্যাং ভাস্কর্যুতির্ভাস্করবর্দ্ধাপরনাম শস্তনোস্তনয়ো ভীষ্ম ইব কুমার: সমভবৎ ।” ( ঐহর্ষচরিত ৭ম উল্লাস ) নরক মহাত্মার বংশে ভগদত্ত, বজ্ৰদত্ত, পুষ্পদন্ত প্রভৃতি বহু মহীপাল রাজত্ব করিবার পর ( ঐ বংশে ) মহারাজ ভূতিবৰ্ম্মার প্রপৌত্র, চন্দমুখ বৰ্ম্মার পৌত্র এবং কৈলাসবাসী দেব শ্ৰীস্থলবম্মার পুত্র সুরবর্মী নামে মহারাজাধিরাজ জন্ম গ্রহণ করেন । এই স্বরবর্ক্সের ঔরসে মহাদেবী শুমাদেবীর গর্ভে শাস্তমুর পুত্র ভীষ্মসদৃশ ভাস্করের ন্যায় তেজস্ব ভাস্করবর্ম কুমার জন্ম গ্রহণ করেন। চীনপরিব্রাজক হিউএন সিয়ং এই ভাস্করবম্মাকে ব্রাহ্মণবংশীয় লিথিয়া ভ্রমে পতিত হইয়াছেন। আশ্চর্য্যের বিষয় পাশ্চাত্য অনেক পুরবিদ ও চীনপরিব্রাজকের অনুসরণ করিয়াছেন। মহাভারতে ভগদত্ত ক্ষত্রিয় ধীব বলিয়া পরিচিত। বৰ্ম্ম উপাধি ও ক্ষত্ৰিয়-নির্দেশক । এরূপ স্থলে বাণভট্টের অনুবন্ত ইয়া আমরা নিঃসন্দেহে প্রাগজ্যোতিয-রাজবংশকে ক্ষত্রিয় বলিয়াই গ্রহণ করিলাম । - ভাস্করব। একজন অতি পরাক্রান্ত ও ধাৰ্ম্মিক নরপতি ছিলেন। সম্রাই হৰ্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যুর পর তাহার বন্ধুপুত্র আদিত্যসেন মগধে মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করিলে সেই সুযোগে ভাস্কর বৰ্ম্মীর বংশধর ও গৌড়, ওড়, কলিঙ্গ ও দক্ষিণ কোশল অধিকার করিয়া একজন রাজচক্রবর্তী হইয়া ছিলেন । এই সময়ই ভগদত্তবংশীয় কামরূপপতিগণ“গোঁড়াদু কলিঙ্গকৌশলপতি” বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করিয়া থাকিবেন । লিচ্ছবিপতি ২য় জয়দেবের শ্বশুর ভগদত্তবংশীয় হর্যদেব উক্ত ভাস্কৰবৰ্ম্মার পুত্র অথবা পৌত্র ছিলেন । তৎকর্তৃক গৌড়োড় কলিঙ্গবিজয় কিছু অসম্ভব নহে। আসামের তেজপুর হইতে আবিষ্কৃত ভগদত্তবংশীয় বনমালবৰ্ম্মদেবের তামশাসনে উক্ত শ্রীহর্ষদেব “শ্রীহরিষ” নামে প্রসিদ্ধ শুষ্টয়াছেন । ২য় জয়দেবের সহিত শ্রীহর্যদেব কিরূপে সম্বন্ধ সুত্রে আবদ্ধ হইলেন ? ২য় জয়দেবের শিলালিপিতে লিখিত আছে— "অঙ্গশিয়া পরিগতো জিতকামরূপঃ কাঞ্চী গুণাঢ্যবনিতাভিরুপাস্তমানঃ। কুৰ্ব্ব স্বরাষ্ট্রপরিপালনকাৰ্যচিন্তাং য: সৰ্ব্বভৌমচরিতং প্রকট করোতি ॥”

  • Journal of the Asiatic Society of Bengal,

Vol. IX, p. 768. উক্ত শ্লোকটর দ্ব্যর্থ থাকিলেও উহা হইতে ইহাও জানা যায় যে, ২য় জয়দেব অঙ্গ, কামরূপ, কাঞ্চী ও স্বরাষ্ট্রদেশের রাজগণকে জয় করিয়া রাজচক্ৰবৰ্ত্তী হইয়াছিলেন । কামরূপ জয়কালেই সম্ভবতঃ তিনি কামরূপপতি হর্ষদেবের কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়া ছিলেন। ২য় জয়দেবের পর লিচ্ছবিবংশীয় আর কোন রাজা নেপালের সিংহাসন অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন, তাহা জানিবার উপায় নাই। পাৰ্ব্বতীয় বংশাবলীতে কতকগুলি নাম থাকিলেও সাময়িক লিপির সহিত তাহার পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য রক্ষিত না হওয়ায় গৃহীত হইল না। অধিক সম্ভব, ২য় জয়দেবের পর লিচ্ছবিবংশধরগণের প্রভাব হ্রাস হষ্টয়া পড়ে এবং তাঁহাদের অধীন ঠাকুরবংশীয় সামন্তগণ শেষে নেপালের আধিপত্য লষ্টয়া বসেন । লিচ্ছবি-সাবৎ । নেপাল হইতে মহাসমান্ত অংশুবৰ্ম্মী, লিচ্ছবিপতি ২য় শিবদেব ও ২য় জয়দেবের যে সকল শিলালিপি পাওয়া গিয়াছে, তন্মধ্যে অংশুবৰ্ম্মার নামাঙ্কিত শিলাফলকে ৩৪, ৩৯, ৪৫ ও ৪৮ সংবৎ, ২য় শিবদেবের শিলাফলকে ১১৯, ১৪৩ ও ১৪৫ সংবৎ এবং ২য় জয়দেবের শিলাফলকে ১৫৩ সংবৎ উৎকীর্ণ আছে । পণ্ডিত ভগবান লাল ইন্দ্রজী, প্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ বুহ লয় ও ফ্লিট, সাহেব অঙ্কগুলি শ্ৰীহৰ্ষসংবৎ জ্ঞাপক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । কিন্তু আমরা এই মত সমীচীন বলিয়া মনে করি না। কারণ নেপালে সম্রাট, হর্ষদেবের প্রভাব কোন কালে যে গিয়া ছিল, তাহার সম্পূর্ণ প্রমাণাভাব। নেপালপতিগণের তাহার সহিত কোন কালে সম্বন্ধ ঘটে নাই । এরূপ স্থলে নেপালপতি হর্যসংবৎ ব্যবহার করিবেন, তাহা সম্ভবপর নহে। উত্তরভারতে শকাধিপত্য বিস্তারের সহিত সৰ্ব্বত্র শকসংবৎ প্রচলিত হইয়াছিল। এইরূপ গুপ্তসম্রাট, কর্তৃক নেপালবিজয় ও লিচ্ছবিরাজগণের সহিত সম্বন্ধহেতু তথায় গুপ্তসংবং প্রচাবিত হওয়া কিছু বিচিত্র নহে। কিন্তু কনোজপতি হর্ষদেবের প্রবর্তিত ংবৎ নেপালে প্রচলিত হইবার পক্ষে সেরূপ কোন সুবিধা ঘটে: নাই। ৬০৬ খৃষ্টাব্দে হৰ্ষসংবৎ আরম্ভ। এরূপস্থলে অংশুবৰ্ম্মার শিলালিপি ধরিলে ৬১৬+৪৮=৬৫৪ খৃষ্টাব্দে অংশুবৰ্ম্মার অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হয়। ৬৩৭ খৃষ্টাব্দে চীনপরিব্রাজক হিউএন পিয়ং নেপালে যাত্রা করেন। তাহার বর্ণনা হইতে জানা যায় যে তৎকালে অংশুবৰ্ম্মার রাজ্যাবসান ঘটিয়াছিল । * চীনপরিব্রাজকের উক্তি হইতেও আমরা অংশুবৰ্ম্ম প্রভৃতির অন্ধগুলি হর্যসংবংজ্ঞাপক বলিয়া গ্রহণ করিতে পারিলাম না। আমাদের معتمعاعی حسب تسر t Beal's Si-yu-ki, Vol. II. p, 18.