পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লুত [ २58 ] লুত DDS BBS BBS BBS BBS BBS BBS BBS BBB BB BBB BBBB BBBBBBS BBBBB BBS লোহতি। লুঙ অলুক্ষৎ। বর্ণবিশিষ্ট এই সকল লক্ষণ হয়। দ্বিতীয় দিনে সেই সকল লু, চ্ছেদ। ক্র্যাদি উভয় সক, অনিট লট, লুনাতি, লুনীতে। লুলুৰু । লট, লবিষ্যতিতে। লুঙ, অলাবৎ, অলাবিষ্ট। কৰ্ম্মবাচ্যে লট, লুয়তে। লুঙ, আলাবি। সন লুলুৰ্ষতি তে। ঘঙ, লোলুয়তে। যঙ লুক্‌ লোলোতি। শিচ, লাবয়তি। লুঙ, অলীলবৎ। নিচ-সম্লিলাবয়িষতি । লুক্ষ (ত্রি) রক্ষ, লন্ত রাং। রূক্ষ। লুত৷ (স্ত্রী) লুনাতীতি লু-বাহুলকাৎ তন, গুণভাবশ । ১কীট বিশেষু, চলিত মাকড়সা । পৰ্য্যায়--তত্ত্ববায়ু, উর্ণনাভ, মৰ্কটক, | মৰ্কট, লুতকা, উর্ণনাভ, শনক, তন্ত্রবায়। “লুতাতত্ত্বনিরুদ্ধদ্বারঃ শৃষ্ঠালয়ঃ পতৎপত্যা: | পথিকে তৰ্ম্মিাঞ্চলপিহিতমুখে রোদিতীব সখি ৷” (আৰ্য্যাসপ্তশতী ৫০৪ ) ২ রোগবিশেষ, ইহার পর্য্যায়--মৰ্ম্মব্রণ, বৃক্কা । ( রাজনি" ) লুতার দংশন জন্য বিষে এই রোগের উৎপত্তি হয় বলিয়া ইহা লুতারোগ নামে কথিত। এই রোগ বর্ণনা প্রসঙ্গে বৈস্থশাস্ত্ৰে | লুতার (মাকড়সা) উৎপত্তি, দংশন এবং ঔষধাদির | বিষয় নির্দিষ্ট হইয়াছে। একদা রাজা বিশ্বামিত্র বশিষ্ট । মুনির আশ্রমে গমন করেন, তথায় বশিষ্ঠের সহিত কথোপকথন সময়ে বশিষ্ট বিশ্বামিত্রের প্রতি অতিশয় কুপিত | হন । তখন বশিষ্ঠদেবের কপোলদেশ হইতে তীক্ষ তেজোবিশিষ্ট লিঙ, লুনীয়াং, লুণীত। লণ্ড, অণুণাৎ, অলুণীত। লিট-লুলাব, | ঘৰ্ম্মবিন্দু সকল পতিত হইতে লাগিল। গাভীর নিমিত্ত যে | ছিন্ন তৃণরাশি ছিল, সেই তৃণরাশিতে ঘৰ্ম্মবিন্দু পতিত হইয়া | বিবিধ প্রকার মহাবিষবিশিষ্ট ভয়ঙ্কর লুত উৎপন্ন হইল। মুনির স্বেদবিন্দু সকল তৃণরাশিতে পতিত হইয়া এই কীট জন্মিয়াছিল, এই জন্ত ইহাদিগের নাম লতা হইয়াছে। এই লুতার বিষ অতিশয় ভয়ানক। মন্দবুদ্ধি চিকিৎসক ইহার গতি সহসা বুঝিতে পারে না । বিষ আছে কি না এরূপ সংশয় উপস্থিত হইলে, এইরূপ ঔষধ সেবন করাইতে হইবে যে, যাহাতে অন্ত কোন দোষ না জন্মে। বিষাৰ্ত্ত রোগীর পক্ষেই ঔষধ প্রশস্ত । বিষহীন শরীরে সুথসেব্য ঔষধ প্রয়োগ করা অনুচিত। অতএব বিষ আছে কি না, অগ্ৰে নিশ্চয় রূপে জানা আবশুক । ইহা নিশ্চয় না জানিয়া ঔষধ প্রয়োগ করিলে রোগীর জীবননাশের সম্ভাবনা। যেরূপ অঙ্কুরমাত্র উৎপত্তি হইলে কোন জাতীয় বৃক্ষ, | তাহা জানা যায় না, সেইরূপ লুতাবিয শরীরে বিকীর্ণ হইবামাত্র কোন জাতীয় লুতার বিষ তাহা নির্ণয় করা যায় না। মণ্ডলাকারের মধ্যস্থল নিম্ন ও চতুর্দিকের অন্তর্ভাগ ফুলিয়া উঠে এবং যে রূপ ৰণ হয়, তাহ স্পষ্ট জানা যায়। তৃতীয় দিনে কোন জাতীয় লুতার বিষ তাহা জানা যায়। চতুর্থ দিনে বিষের প্রকোপ হয়। পঞ্চমদিন হইতে বিষের প্রকোপ জন্য বিকার সকল জন্মিতে থাকে। যষ্ঠদিনে বিষ সঞ্চারিত হইয়া সকল মৰ্ম্মস্থান আবৃত করে। সপ্তমদিনে বিষ অত্যন্ত বৃদ্ধি ও সৰ্ব্বশরীরে ব্যাপ্ত হইয়া প্রাণ নাশ করে। এইরূপ সপ্তরাত্রের মধ্যে প্রাণনাশ হওয়া কেবল লুতার তীক্ষ বিষেই ঘটিয়া থাকে। যে সকল লুতার বিষ মধ্যমবীৰ্য্যবিশিষ্ট, তাহাদিগের দংশনে সপ্তরাত্রের অধিককালে প্রাণনাশ হয়। যাহাদিগের মন্দবিষ, তাহাদের দংশনে একপক্ষ কাল মধ্যে মৃত্যু হয়। এই সকল কারণে দংশন অথবা শরীরে বিষ সংলগ্ন হওয়া অবধি যত্বপূৰ্ব্বক বিষনাশক ঔষধ প্রয়োগ করা আবশুক। লাল, নখ, মূত্র, দংষ্ট্র, রজঃ, পুরীষ ও শুক্র এই সপ্তপ্রকারে ল,তার বিষ নিঃস্থত হয়। এই বিষ তিন প্রকার বীর্য্যবিশিষ্ট, উগ্র, মধ্য ও মন । লুতার লাল দ্বারা এই সকল লক্ষণ হয়, ইহাতে কওঁ, এব: ঐ স্থান কঠিন, অল্প বেদনবিশিষ্ট ও অল্পমূল অর্থাৎ যাহার মূল অধিক ভিতরে প্রবেশ না করে এরূপ হয়। নখের দংশনে ফুলিয়া উঠে, কও, ও পুলালিকা ( ক্ষুদ্র দাড় ) জন্মে এবং ঐ স্থান হইতে অগ্নিশিখার স্তায় উত্তাপ উঠিতে থাকে। মূত্র কর্তৃক দষ্ট স্থানের মধ্যস্থল কৃষ্ণবর্ণ হয় এবং অন্তর্ভাগ রক্তবর্ণ ও বিদীর্ণ হইয়া থাকে। দংষ্ট্র দ্বারা দংশনে দঃস্থান কঠিন ও বিবর্ণ হয় এবং শরীরে মণ্ডল ( চাক চাকা দাগ ) জন্মে ও ঐ সকল মণ্ডল প্রসারিত হয় না। লতার সস পুরষ ও শুক্ৰেব সংস্রবে পঙ্ক পিলুফলের স্তায় স্ফোটক জন্মে। সাধারণতঃ লতার বিষ দুই প্রকার, কষ্টসাধ্য ও অসাধ্য। অসাধ্য লুতাবিষে কোনরূপ চিকিৎসা করিবে না, ইহাদিগের* দংশনে চিকিৎসায় কোনরূপ ফল হয় না, এই জন্ত উহা অসাধ্য। ত্রিমণ্ডল শ্বেতা, কপিল, পতিক, অলিবিষ, মূত্ৰবিষ, রক্ত ও কসন এই আট প্রকার লুতাবিষ কষ্টসাধ্য। ইহাদের দংশনে মস্তকের যাতনা, কও, ও দঃস্থানে বেদন হয় এবং বাতশ্লেষ্মজন্ত অদ্যান্ত রোগ জন্মে । সৌধর্ণিকা, লাজবর্ণ, জালিনী, এণীপদী, কৃষ্ণ, অগ্নিবর্ণ, কাকাও ও মালাগুণ এই অষ্ট প্রকার লুতাবিষ অসাধ্য। ইহাদিগের দংশনে দষ্টস্থান ক্ষত ও তাহা হইতে রক্তনিঃসরণ হয়। স্বেদ, দাহ, অতিসার ও সন্নিপাত জন্ত অন্তান্ত রোগ জন্মে,