পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লৌহরসায়ন [ ७8२ ] লৌহশোধন মুরস কাথ, অথবা বাসক পাতার রস অনুপানে সেবন করিলে শ্বাস কাস প্রভৃতি বিনষ্ট হয় । তেঁতুল, তৈল, বেগুণ, কুয়াও, কলা, মাংসযুষ ও কফজনক দ্রব্য ভক্ষণ এবং স্ত্রীসম্ভোগ নিষিদ্ধ। এই ঔষধে লৌহের পরিবর্তে তাম দিয়া পাক করিলে তাম্রপপটী প্রস্তুত হইয়া থাকে। [ তাম্রপপট দেখ। ] লৌহবন্ধ (পুং ক্লী) লৌহস্ত বন্ধমিব বন্ধনং যত্র। লোহার শৃঙ্খল। শিক্লী। লোহভাণ্ড (পুং ) লৌহস্ত ভাওমিবাকৃতির্যত্র । অশ্বভাল। ( শব্দচ০ ) চলিত কথায় হামানদিস্তা বলে। (ক্লী) লৌহনিৰ্ম্মিত পাত্র বা ভtণ্ড । লোহভূ (স্ত্রী) লোহন্ত ছবি। ১ কটনী নামক গোঁহপত্র বিশেষ, চলিত কথায় কটাহ । ‘লোঁহাত্মা চাযুগ লৌহ লোহভূঃ কটনীত্যপি (শব্দচ০) লোহভেকীবীজ (ক্লী) রসজারণ বীজভেদ। ( রস" চিন্তাও ৩ অ: ) লৌহময় (ত্রি ) ১ লৌহমণ্ডিত। ২ লৌহবিনিৰ্ম্মিত । লৌহমল ( ক্লী) লৌহস্ত মলম্। লোহকিট্ট, মগুর। ইহার বিষয় ভৈষজ্য-ধন্বন্তরিতে এইরূপ বর্ণিত আছে— “সষ্ঠে লৌহমলাজমোক্ষিকসিতাভাগা: সমমানতঃ পাত্রে তামময়ে দিনান্তমথিতং সংস্থাপয়েদাতপে । পশ্চাত্তদৃঘনতাং প্রণীয় রজনীমেকং বহিঃ স্থাপয়েৎ পাত্রে তাম্ময়ে বিধেয়মথবা পাত্রে হবিৰ্ভাবিতে ॥ পশ্চাত্মাষচতুষ্টয়ং প্রতিদিনং জং, জল শীতলম্ পেয়ং ভোজনপূর্বমধ্যবিরতোহস্বচ্ছন্দভোঙ্গ্যৈন রৈঃ। জেতুং শূলহুতাশমান্দ্যকসনশ্বাসায়পিত্তজরোন্মাদাপন্থতিমেহসৰ্ব্বজঠরাজীর্ণাদিসৰ্ব্বারুজ: ॥”(ভৈষজ্যধন্বন্তরি) লৌহমৃত্যুঞ্জয়রদ, প্লীহারোগনিবারক ঔষধ বিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী :–পারদ, গন্ধক, লৌহ, অভ্র, তাম্র, মনঃশিলা, বিষমুষ্টি, কড়ি, তুতে, শখ,রসাঞ্জন, জায়ফল, কটকী, সাচিক্ষার, যবক্ষার, জয়পাল, শুঠ, পিপুল, মরিচ, হিঙ্গু ও সৈন্ধব লবণ প্রত্যেকে সমভাগ স্থৰ্য্যবৰ্ত্ত রসে ও বেলপাতার রসে সাত সাত বার ভাবনা দিয়া পরে পুনরায় স্বৰ্য্যাবৰ্ত্তরসে উত্তমরূপে মৰ্দ্দন করিবে। তদনন্তর দুই রতি পরিমাণ বট প্রস্তুত করিয়া রোগীকে সেবন করাইবে । ইহাতে প্লাহ, যকৃৎ, গুল্ম, অষ্ঠীলা, অগ্রমাস, শোথ, উদরী, বাতর ক্র ও বিদ্রবিরোগের শাস্তি হইয়া থাকে। লৌহয়ন্ত্র (পুং ) লোঁহেন নিৰ্ম্মিতঃ যন্ত্র ইব। ১ লোহার কল (ইঞ্জিন প্রভৃতি। ২ রসায়নোক্ত ভাণ্ড বিশেষ। ইহাতে ঔষধাদি পাক করিতে হয়। লোহরসায়ন, ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-প্লথ পোট্টলী বন্ধ গুগগুল, তালমুলী, ত্রিফল, খদিরকাষ্ঠ, বাসকছাল, ডেউষ্ট্ৰী, ভূকদম্ব, নিসিন্দ, চিতামূল, সিজমুল প্রত্যেক ১০ পল, পাকার্থ জল ৮০ সের, শেষ ২০ সের। এই কাথ বস্ত্রপূত করিয়া তাহার সহিত চিনি ১ সের ও উক্ত গুগগুলু ১° পল মিশ্রিতু করিয়া লইবে । অনস্তর কোন তাম্রপাত্রে পুরাতন ঘৃত ৪ সের ও লৌহচূর্ণ ১২ পল দিয়া তাহার সহিত চিনি ও গুগগুল মিশ্রিত কাৰ্থ জল দিয়া পাক করিবে। আসন্ন পাকে শিলাজতু ২ পল, এলাইচ ৪ তোলা, গুড়ত্বক্ ৪ তোলা, বিড়ঙ্গ ২ পল, মরিচ, রসায়ন, পিপুল, ত্রিফলা প্রত্যেক ২ পল, এই সমস্ত চূর্ণ প্রক্ষেপ দিবে। শীতল হইলে মধু ১ সের মিশ্রিত করিয়া শিলায় পেষণ করিয়া য়ুত পাত্রে রাথিবে । মাত্রা ৪ মাষ হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমে উপযুক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করবে। অনুপান দুগ্ধ ও ছাগাদি জাঙ্গল মাংসের য। ইহাতে মেদোরোগ প্রভৃতি বিবিধ পীড়ার উপশম হইয়া থাকে। কদলী, কন্দমূল, কঁাজি, করমচা, করীর ও করলা এই সমুদয় বর্জনীয়। ( ভৈষজ্যরত্না’ মেদোহধিকার ) লৌহবিশুদ্ধিদ ( જૂ: ) টঙ্কণক্ষার, সোহাগ l (রসেন্দ্রসার” ) লৌহশঙ্কু (পুং) লৌহস্ত শস্থ যত্র। ১ নরকবিশেষ, এখানে পাপীদিগকে সুচীদ্বারা বিদ্ধ করা হইয়া থাকে। ২ লৌহনিৰ্ম্মিত কীলক মাত্র । লৌহশাস্ত্র (কী) স্বর্ণাদি অষ্টধাতুর ব্যবহার ও উপযোগিতা নির্দেশক গ্রন্থ বিশেষ । লৌহশোধন (ক্লী) লৌহস্ত শোধনং। লৌহ নামক ধাতু বিশুদ্ধাবস্থায় আনয়ন করিবাব রাসায়নিক প্রক্রিয়াবিশেষ। লৌহকে অগ্নিযোগে লোহিতোত্তপ্ত করিয়া সাতবার কদলীমূলের রসে নিমজ্জিত করিলে, অথবা অষ্টগুণ জলে বিপক এবং চতুর্থ ভাগবিশিষ্ট ২ সের ত্রিফলার কাথে, সপ্তপত্রবিভক্ত ১০ সের লৌহ আগুনের উত্তাপে লাল করিয়া সাতবার নিক্ষেপ করিলে লৌহ বিশুদ্ধ হয় । কাস্তি আদি লৌহকে পাত করিয়া স্বর্ণমাক্ষিক, ত্রিফলাটুর্ণ ও শালিঞ্চ শাকের রস মাথাইয়া ক্রমশঃ অগ্নির উত্তাপে পোড়াইয়া লালবর্ণ করিবে। তদনন্তর তাহা জলে ডুবাইয়া হস্তিকৰ্ণ, পলাশ, ত্রিফল, বৃদ্ধদারক, মাণ, ওল, হাড়যোড়া, শুষ্ট, দশমূল, মুণ্ডিরী ও তালমুলী নামক দ্রব্য প্রত্যেকের কাথে বা রসে যত্বপূৰ্ব্বক পুট দিলে লৌহ বিশুদ্ধ হয়। গজপিপ্পলী, শ্বেতবেড়েলা, গুড়ী, অপামার্গ,ক্ষুদ্র ন’টে, পুনর্নব এই সকল পুরাতন মণ্ডরের উদ্ধ ও অধোদেশে বিস্তস্ত করিয়া গোমুত্র দ্বারা তিন দিন পাক করিয়া ঢাকা দিবে। ঐন্ধপে তিন দিন রাখিয়া দিলে অন্তর্বাম্পে উহ নিষিক্ত হইয়া ক্রমশঃ শুস্ক হইয়া আসিলে, উহাকে বাহির করিয়া ধুইয়া কেলিবে ও শুকাইয়া লইবে।