পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢लौश्ऊिा [ ৩৪৩ ] লোঁহা (স্ত্রী) লোহভূ। ( শলচ' ) লৌহাচাৰ্য্য (পুং ) ১ ধাতুবিজ্ঞান-(Metalurgy)-শিক্ষাদাতা । ২ লৌহশিল্পজ্ঞ । লৌহয়। (স্ত্রী) লৌহ আত্মা বস্তা । লৌহস্তু। লোহামৃতলোঁহ, ঔষধভেদ। (চিকিৎসাসার ) লৌহায়ন (পুং ) লৌহের গোত্রাপত্য। ( পা ৪।১।৯৯ নড়াদিগণ ) লৌহায়স (ত্রি) ধাতুনিৰ্ম্মিত । লৌহাসব, জররোগনাশক ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত প্রণালী— লৌহচূর্ণ, ত্রিকটু, ত্রিফল, যমানী, বিড়ঙ্গ, মুতী, চিতামূল প্রত্যেক চূর্ণ ৪ পল, মধু, ৮ সের, গুড় ১২° সের ও জল ১২৮ সের এই সকল একত্র মিশ্রিত করিয়া ঘৃতকুম্ভে রাখিয়া তাহার মুখ আচ্ছাদিত করিয়া এক মাস রাথিবে। ইহাতে ঔষধ সমস্ত অস্তুরুৎসিক্ত হইয়া আসবরূপে পরিণত হয়। ইহা সেবন করিলে অগ্নিবৃদ্ধি এবং জীর্ণজর ও প্লীহা প্রভৃতি নানা রোগের শাস্তি হয় । ( ভৈষজ্যরত্নাবলী জরাধিকার ) (लोष्ट्रि (श्रृं) অষ্টকুের পুত্রভেদ । (হরিবংশ) লৌহিত (পুং ) লোহিত: ইতি লোহিতশব্দাং স্বার্থে ধ্ব (অণ,) প্রত্যয়েন নিষ্পন্নঃ । ১ শিবের ত্ৰিশূল । (ত্রি) লোহিতসম্বন্ধীয় । লৌহিতধ্বজ (পুং ) লোহিতধ্বজের মতাম্ববৰ্ত্তী সম্প্রদায় ভেদ । ( পা” ৫৩৷১১২ ) লৌহিতাশ্ব (পুং) লোহিতাশ্বের বংশধর। লেহি কে (ত্রি) লোহিত হব। লোহিত কর্কলোহিতাদীক । পী ৫।৩১১- ) ইতি ঈকক। ১ লোহিতবর্ণকুল্য। ই স্থা ক ! (क्लो िठा ( ; ) লোহিতস্ত ভাব: | লেঙি তত্ত্ব । ( মেদিনী ) (পুং ) লোহিত ইব । স্বার্থে ব্যঞ, ১ সাগরভেদ। (শদমালা ) সম্ভবতঃ ইহাই আরব ও আফ্রিকার মধ্যবর্তী লেড়িতোপসাগর ( Red sea )। ইহার জল ঘোর লোহিতবর্ণ এবং জলের আভ্যন্তরিক তাপও নিত্যস্ত কম নহে । সুয়েজখাল কাটা হইবার পর লোহিত-সাগরের সহিত ভূমধ্য সাগরের সংযোগ ঘটিয়াছে । [ সুয়েজ দেখ। ] ২ নদবিশেষ, ইহার অপব নাম ব্ৰহ্মপুত্র নদ । কালিকাপুরাণে ব্ৰহ্মপুত্র গোঁহিত্যের উৎপত্তি-বিবরণ এইরূপ লিখিত আছে-ইরিবর্ষে শাস্ত্যুমুনি বাস করিতেন, তিনি হিরণ্যগৰ্ভমুনিক অমোঘকে পত্নীত্বে বরণ করেন। শান্তনু স্বীয় প্রিয়তমা পত্নী লইয়া কথন কৈলাসে, কখন চন্দ্রভাগার উৎপাদক লোহিত-ষ্যঞ । বৃহৎ লৌহিত্য সরোবর তীরে কখন বা গন্ধমাদন পৰ্ব্বতে বাস করিতেন। একদিন তপস্বী শান্তমু ফল পুষ্প চয়নোদেশে বনাস্তরে গমন করিলে, অবসর পাইয়া লোকপিতামহ ব্ৰহ্মা শান্তমুভাৰ্য্যা অমোঘার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তিনি সেই স্বরস্থলৰী বেজনমনোলেত যুবতী অমোঘার অসামান্তু রূপসৌন্দর্য্য সনাশন করিয়া মদনপীড়ায় সাতিশয় ইক্রিয়বিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তখন কামশরে প্রপীড়িত হইয়া ব্ৰহ্মা সেই মহাসতী অমোঘকে বলপূৰ্ব্বক আক্রমণ করিতে ধাবমান হইলেন। সতী বলাৎকারের ভয়ে আশ্রম মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া স্বার রুদ্ধ করিলে আশ্রম মধ্যেই বিধাতার রেতখলন হইল, ব্ৰহ্মাও প্রস্থান করিলেন। শাস্তমু আশ্রমে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া হংসপদচিহ্ন ও ব্রহ্মবীৰ্য্য নিরীক্ষণপূর্বক তদ্বিবরণ জানিবার উদ্দেশে বিস্ময়বিহবল হৃদয়ে স্বীয় পত্নীকে প্রশ্ন করিলেন । অমোঘার মুখে ব্ৰহ্মার আগমনবার্তা জানিতে পারিয়া তিনি ধ্যানস্থ হইলেন এবং দিব্য জ্ঞানবলে জগতের হিতার্থে তীর্থোৎপাদন দেবগণের অভীষ্ট জানিয় তিনি স্বীয় পত্নীকে সেই ব্ৰহ্মবীৰ্য্য পান করিতে আদেশ করিলেন । পতি পত্নীতে অনেক বাদামুবাদের পর শান্তনু পত্নীর পরামর্শানুসারে সেই ব্ৰহ্মবীৰ্য্য পান করিয়া পরে স্বয়ং সেই তেজ অমোঘীগর্ভে নিক্ষেপ করিলে, অমোঘ গৰ্ভবতী হইলেন। কালে সেই গর্ভ হইতে জলরাশি ভূমিষ্ট হইল। সেই জলরাশি মধ্যে নীলাম্বরপরিহিত রত্নমালাবিভূষিত উজ্জ্বল কিরীটধারী চতুভূজ পদ্মবিদ্যাধজশক্তিধারী আরক্ত গৌরবর্ণ ও শিশুমার মস্তকারূঢ় এক পুত্র বিদ্যমান রহিয়াছেন। শাস্তনু সেই জলময় পুত্রকে কৈলাস (উত্তরে ), সম্বর্তকাদি (পূৰ্ব্বে ), গন্ধমাদন (দক্ষিণে) এবং জারুধি (পশ্চিমে) শৈল চতুষ্টয়ের মধ্যবৰ্ত্তী উপত্যকাগর্ভে স্থাপিত করিলেন। বহুকাল অতীত হইলে ব্ৰহ্মপুত্র জলরাশিরূপে পাচ যোজন বুদ্ধি পাইলেন। মাতৃহত্যা পাপমোচনার্থ জামদগ্ন্য পরশুরাম ঐ ব্ৰহ্মপুত্র মহাকুণ্ডে স্নানার্থ আগমন করেন। তিনি স্বয়ং পাপ মুক্ত হইবার পর, লোকহিতাভিলাষে পরশুসাহায্যে হেম শৃঙ্গগিরি বিভেদপুৰ্ব্বক উপযুক্ত পথ করিয়া লৌহিত্যকে অবতারিত করেন। ঐ নদ কামরূপ পীঠের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইল। লোহিত সরোবর হইতে নিঃস্থত বলিয়া উহার আর একটী নাম লৌহিত্য হইয়াছিল। কামরূপ পরিপ্লাবিত এবং সৰ্ব্বতীর্থ গোপন করিয়া লৌহিত্য দিব্য-যমুনা সঙ্গে দক্ষিণসাগরেব অভিমুখে চলিলেন। মধ্যে ব্রহ্মপুত্রকে পরিত্যাগপূৰ্ব্বক দ্বাদশ যোজন অতিক্রম করিয়া যমুনা পুনরায় ঐ লৌহিত্যনদে মিলিত হইলেন। যে ব্যক্তি জিতেন্দ্রিয় হইয়া চৈত্রমাসের শুক্লাষ্টমীতে লৌহিত্য জলে স্নান করিয়া