পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব, বকার। ব্যঞ্জনবর্ণের অন্তর্গত উনত্রিংশবর্ণ, ইহা অস্তস্থবৰ্ণ বলিয়া প্রসিদ্ধ। অন্তস্থ য র ল বাঃ " ( কলাপব্যাকরণ) শ্ৰীমদ্ভাগবতে লিখিত আছে যে,— *ততোহঙ্করসমামায়মস্মজং ভগবানজঃ । অন্তস্তোন্মস্বরস্পর্শম্ভূক্ষ্মণীর্ঘদিলক্ষণম্।।” ( ভাগ• ১২,৬৪৩ ) ‘ততস্তেভ্যোহক্ষরাণাং সমামায়ং সমাহারং তমেবাহ-- অস্তস্থা যরলবাঃ । উন্মাণঃ শষসহা:, স্বরা অকারাদ্যাঃ স্পর্শঃ কাদয়ে মাবসানা । হ্রস্বদীর্ধাশ্চ, আশিক্ষাৎ জিহামূলীয়াদয়: । ত এক লক্ষণং স্বরূপং যন্ত তম্ । ( ঐধরস্বামিকৃত টীকা) কলাপমতে এই বকারের উচ্চারণস্থান দন্ত্য, কিন্তু অন্যত্র স্ত্যোক্ট বলিয়া সিদ্ধ হইয়াছে— “জিহামূলে তু কুং প্রোক্তে দন্ত্যোষ্টে বঃ তো বুধৈ: ॥” ( শিক্ষা ১৮) মুগ্ধবোধটীকায় দুর্গাদাস পবর্গীয় বকার ও অন্তস্থ ব’র উচ্চারণস্থান নির্দেশ করিয়া লিথিয়াছেন—“যবরলীয়বকারস্ত প ফ ব ভ ম বা ইতোকপদোক্ত উৎপত্তিস্থানমোঠমুক্ত দস্ত্যকাৰ্য্যাৰ্থং দস্ত্যমধ্যেহপি তথদধনলসা ব ইতি ভিন্নপদে পঠিতবান। যথা সংযুবৃতি ইত্যাদে বকারত ওষ্ঠাৎ উর দস্তাত্বাং অমুম্বারস্ত মকারো ন স্যাৎ । বৈদিকাস্তু অস্তোংপত্তিস্থানং জন্তু এবেত্যাহু: । অতএব তদ্বিষ্ণো; পরমং পদং ইত্যাদৌ তথৈবোচ্চারম্ভি।” বীজবর্ণাভিধানতন্ত্রে, রুদ্রযামলের মন্ত্রকোষে ও অন্তান্ত তন্ত্রশাস্ত্রে ‘ব’ বর্ণের যে কয়ট পৰ্য্যায় উল্লিখিত হইয়াছে, তাহ নিয়ে উদ্ধৃত হইল “বো বাণে বারুণী সুক্ষ্মা বরুণো দেবসংজ্ঞক: | তোয়ং লাস্তশ্চ বীমাংশ; ॥” ( বীজবর্ণাভিধান ) “বকারো বরুণে বাণঃ স্বেদঃ খঙ্গীশ্বরে জবঃ ” ( রুদ্রযামলে মন্ত্রকোষ ) “বো বাণে বারণী সূক্ষ্মা বরুণ দেবসংজ্ঞকঃ। খঙ্গীশে ভ্রালিনীবক্ষঃ কলসধবনিবাচকঃ ॥ উৎকারীশত্ব নাবীতে বজ স্কিক্ সাগর: শুচি: | ত্ৰিধাতু: শঙ্কর শ্রেষ্ঠে বিশেষো যমসানম্ "(নানা তত্ত্বশাস্ত্র) এই বর্ণ পঞ্চ প্রাণময়, ত্রিবিন্দু ও ত্ৰিশক্তি সমন্বিত, চতুৰ্ব্বৰ্গফলদাতা ও সৰ্ব্বসিদ্ধিপ্রদ। শিব আধ্যাশক্তিকে ইহার স্বরূপ নির্দেশ করিয়াছিলেন XVII [ 08& J ব ከሦማ

  • ৰকারং চঞ্চলাপাঙ্গি কুগুলী মোক্ষমব্যয়ম্। পঞ্চপ্রাণময়ং বর্ণং ত্রিশক্তিসহিতং সদা ॥ ত্ৰিবিন্দুসহিতং বর্ণমাত্মাদিতৰসংযুতম্। পঞ্চদেবময়ং বর্ণং পীতবিদ্যাল্পতাহবয়ং ॥ চতুৰ্ব্বৰ্গপ্রদং বর্ণ সৰ্ব্বসিদ্ধিপ্রদায়কম্। ত্ৰিশক্তিসহিতং দেবি ত্ৰিবিন্দুসহিতং সঙ্গা ” (কামধেনু ভদ্র ) মহাশক্তিসম্পন্ন এই বর্ণের ধ্যানপ্রণালীও তন্ত্রশাস্ত্রে লিখিত আছে ; যথা—

“কুন্দপুষ্পপ্রভাং দেবীং দ্বিভুজাং পঙ্কজেক্ষণম্। শুক্লমাল্যাম্বরধরাং রত্নহারোজ্জলাং পরাম্ ॥ সাধকাভীষ্টাং সিদ্ধাং সিদ্ধিদাং সিদ্ধসেবিতাম্। এবং ধ্যা বকারং তু তন্ময়ং দশধা জপেৎ ॥” (বর্ণোদ্ধারত) বঙ্গীয় বর্ণমালায় লিখিত ‘ব’ অক্ষরের লিখন-প্রণালী--- “কোণত্রয়যুত রেখা ব্রহ্মবিষ্ণুশিবাত্মিক । মায়াশক্তি: পর নিত্য ধ্যানমস্ত প্রচক্ষতে ” (বর্ণোদ্ধারতন্ত্র) সাধারণতঃ যে প্রণালীতে বাঙ্গালা বর্ণমালায় ‘ব’ অক্ষর লিথিত হইয়া থাকে, তাহ সম্পূর্ণরূপে উক্ত তন্ত্রবর্ণেরই অমুস্থত। প্রথমে উৰ্দ্ধ হইতে বামভাগে কোণাকারে একটা রেখা টানিয়া পরে তাহাকে ক্রমশঃ দক্ষিণাভিমুখে নিম্নমার্গে নামাইয়া জানিতে হইবে। যখন নিম্নাভিমুখী এই দক্ষিণরেখা উৰ্দ্ধরেখার আরম্ভণ স্থান পৰ্য্যন্ত আসিয়া পোছিবে, তখন উহাকে পুনরায় লম্বভাবে উৰ্বদিকে তুলিয়া ঐ আরম্ভণবিন্দুতে সংযুক্ত করিবে। এইরূপে বামাগ্রচুড় একটা উদ্ধায়ত ত্রিভুজ অঙ্কিত হইলে তাহার উদ্ধকোণে সোজামুঞ্জি ভাবে একটী সরল রেখা টানিয়া লইবে । ব (অব্য) ইৰ অৰ্থবোধক। এইরূপ। “তালীনাং দলৈস্তত্র রচিতাপানভূময়ঃ। নারিকেলাসবং যোধা: শত্রবং ব যশঃ পপুঃ ” (রযুঃ ৪৪২) ব (ক্লী) বা ল গমনহিংসয়েঃ কঃ । ১ প্রচেত। ( মেদিনী) ২ বরুণবীজ। (তন্ত্র ) ব (পুং ) বানমিতি বা ভাবে ঘঃ । ১ সাক্ষন। বাতি গচ্ছতীতি বাল-গমনে কঃ । ২ বায়ু। ৩ বরুণ । ( মেদিনী ) ৪ বাহু । ও মন্ত্রণ। ও কল্যাণ। ৭ বলবান। ৮ বসতি। ১ বরুণালয় । ( শাচ, ) ১• শাৰ্দ্দল। ১১ বস্ত্র। ১২ শালুক। ১৩ বন্ধন। ব[ ] (ত্রি) মান ভাৰ মাক শার্ধ। দং