পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বকৰ্ম্মন, ওঁ শিল্পাচাৰ্য্যায় দেবায় নমস্তে বিশ্বকৰ্ম্মণে স্বাহা’ ওঁ বিশ্বকৰ্ম্মণে নমঃ, এই ময়ে যথোপচারে পূজা ও জপাদি করিয়া প্ৰণাম করিবে । যথা—

  • ওঁ দেবশিরিন মহাভাগ! দেবানাং কাৰ্য্যসাধক।

বিশ্বকৰ্ম্মন্নমস্তুভ্যং সৰ্ব্বাভীষ্টফলপ্রদ ॥” এই মরে প্রণাম ও পুজাঙ্গ সমস্ত কাৰ্য্য শেষ করিয়া দক্ষিণাস্ত ও অচ্চিত্রাবধারণ করিতে হয় । বঙ্গের অনেকস্থানে ভাদ্রসংক্রান্তিতে বিশ্বকৰ্ম্মার পূজোপলক্ষে একটা উৎসব হইতে দেখা যায়। এ উৎসব নিয়শ্রেণীর লোকদিগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অধিকাংশস্থলে নমঃপূদ্রগণই এই উৎসবের নেতা। পূজার দিন সকলেই সকালৰেলা স্নান করে। নর নারী সকলেই ক্ষর্কিযুক্ত। আমীর বন্ধুবান্ধৰ সকলেই এই দিন সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ীতে নিমন্ত্রিত হয়। পূজার পর সকলেই এক সঙ্গে সসস্তোষে আহার করে। এই দিন তাহার স্বল্প ৰ্যয়ে এক প্রকার পিগুীকার পিষ্টক প্রস্তুত করিয়া লয়। এই পিষ্টকের নাম ভগ্নয়া । ভগ্নয়ার উপাদান শুদ্ধ চাউলেব গুড়ি, সাধারণ মিষ্ট সংযোগে এই ভয় পিষ্টক সে দিন তাহারা মহামুৰ্বির সহিত আকণ্ঠ আহার করে। তারপর বাইচপেলার ধূম। গ্রামের মাতব্বর মাতব্বর লোক এই বাইচ খেলার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করে । তাহারেই উৎসাহে ও নেতৃত্বে অপর সাধারণ উৎসবে মাতিয়া উঠে। স্বল্পপ্রস্থ দীর্ঘাকার বৃহৎ বৃহৎ নৌকা সুসজ্জিত হয়। নৌকাব দুই কাতারে সারি বাধিয়া বৈঠ। হাতে অসংখ্য লোক সোল্লাসে বসিয়া যায়। নৌকার অগ্র ও পশ্চাদ্ভাগ গাঢ় সিন্দূরে বিলিপ্ত ও নানা পুষ্পমাল্যে ভূষিত হয়। নৌকার যিনি মাতব্বর কৰ্ত্ত, তিনি নূতন কাপড় গরিয়া নৌকার মাঝখানে দাড়াইয় চালকদিগকে দ্রুত চালাইবার পক্ষে উৎসাহ দিতে থাকেন । এ উৎসবে কেবল নিয়শ্রেণীর হিন্দু নয়, নিম্নস্তরের মুসলমানগণ ও ভঙ্গুয়া খাইয়া সোল্লাসে যোগ দিয়া থাকে । বাইচ খেলাইবার জন্য ইহারাও সুসজ্জিত নৌকা লইয়া মাতবর নেতার অধীনে খেলায় জয়ী হইবার চেষ্টা করে। খেলা প্রধানত: নদী বা সুবিস্তীর্ণ খাল বিলাদি জলাশয়ে হয়। উৎসব দিনের পূৰ্ব্ব হইতেই খেলার স্থান ঘোষণা দ্বারা নির্ণীত হইয়া থাকে। যে নৌকা জোরে চালাইয়া সকল নৌকার অগ্রে যাইতে পারে, তাহারই জয়জয়কার পড়িয়া যায়। যখন সারি বাধিয়া পরম্পর প্রতিদ্বন্দ্বী দীর্ঘ দীর্ঘ নৌকাশ্রেণী নষ্ট্ৰীবক্ষ আলোড়িত করিয়া বিদ্যুদ্বেগে ছুটয় চলে, তখনকার দৃপ্ত বড়ই চমৎকার। এ খেলায় দশকও বিস্তর হয়। অনেক সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে হিন্দুতে হিন্দুতে, মুসলমানে মুসলমানে এবং হিন্দু মুসলমানে ভীষণ দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। খেলায় জয়ী দলকে কোন কোন [ ५७ ] বিশ্বকৃৎ মাতব্বর পুরস্কার বিতরণ করে। পরে বাড়ী গিয়া পুনরায় সকলে ভঙ্গুয়া খায়। এই সকল নৌকা বাছিবার জন্য নৌকাবিশেষে একশত হইতে তিনশত পৰ্য্যস্ত লোক হইয়া থাকে। বিজয়ার দিন প্রতিমাবিসর্জনের সময়ও পূর্ববঙ্গে এইরূপ cभंडीं झग्न ! - ৩ শিবের সহস্রনামান্তর্গত নামভেদ । ( লিঙ্গপু: ৬৫৷১১৮ ) ৪ চেত্তন ধাতু। চরকের বিমান স্থানে লিখিত আছে, জীবের চেতনাধাতুর নাম বিশ্বকৰ্ম্ম। চরকমুনি চেতন ধাতুকে কৰ্ত্তা, মন্ত, বেদিতা, ব্ৰহ্মা, বিশ্বকৰ্ম্ম প্রভৃতি নামে অভিহিত করিয়াছেন । “চেতন ধাতুঃ সত্ত্বকরণে গুণগ্ৰহণায় প্রবর্ততে । স হি হেতুঃ কারণং নিমিত্তমক্ষরং কৰ্ত্তা, মস্ত বেদিতা বোদ্ধ দ্রষ্টা ধাতা ব্ৰহ্মা বিশ্বকৰ্ম্ম বিশ্বরূপঃ” ( চরক বিমানস্থা” ৪ অ” ) ৫ সৰ্ব্বব্যাপারহেতু । “যেনেমা বিশ্ব ভূবনান্তর্ভূত বিশ্বকৰ্ম্মণা” ( ঋক্ ১•১৭•৪ ) বিশ্বকৰ্ম্মণা সৰ্ব্বব্যাপারহেতুনা’ ( সারণ ) ৬ ইলোরার অন্তর্গত স্বনামপ্রসিদ্ধ গুহামন্দির। [ইলোর দেখ] বিশ্বকৰ্ম্মন, বান্ধপ্রকাশ, বাস্তবিধি, ৰান্থশাস্ত্র, বাস্তুসমুচ্চয়, অপরাজিত বাস্তুশাস্ত্র, আয়তত্ত্ব, বিশ্বকৰ্ম্মীয় প্রভৃতি গ্রন্থপ্রণেতা । ২ মীমাংসাসার-রচয়িতা । ৩ সহাদ্রিবর্ণিত রাজভেদ । এই রাজবংশ পদ্মাবতীর ভক্ত ও সৌনলমুনিকুলে জাত। ( সহা” ৩১৩• ) বিশ্বকৰ্ম্মপুরাণ, উপপুরাণভেদ। বিশ্বকৰ্ম্মন শান্ত্রিন, সংপ্রক্রিয়া ব্যাকৃতিনামী প্রক্রিয়াকৌমুদী টীকা-রচয়িত । বিশ্বকৰ্ম্মেশ ( ক্লী) শিবলিঙ্গভেদ । বিশ্বকৰ্ম্মেশ্বরলিঙ্গ (প্লী ) লিঙ্গভেদ, বিশ্বকৰ্ম্মকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত লিঙ্গভেদ । ( স্কন্দপুরাণ ) বিশ্বক ( স্ত্রী ) গঙ্গাচিল্লী, চলিত গাং চিল । ‘গঙ্গাচিল্লীতু দেবটি বিশ্বকা জলকুকুট । ( হারাবলী ) বিশ্বকায় (ত্রি) বিষ্ণু, বিশ্বই যাহার কায় ( শরীর)। “স বিশ্বকায়ঃ পুরুহূত ঈশঃ সত্যঃ স্বয়ং জ্যোতিরজঃ পুরাণঃ।” ( ভাগবত ৮১১৩ ) "বিশ্বকায়ঃ বিশ্বং কাজে যন্ত (স্বামী ) ক্সিয়াং টাপ, বিশ্বকায়া-দীক্ষায়ণী, কুৰ্গ । বিশ্বকারক (পুং) বিশ্বস্ত কারকঃ বিশ্বের কর্তা, শিব। (শিবপু) বিশ্বকারু (পুং ) বিশ্বকৰ্ম্ম । বিশ্বকাৰ্য্য (পুং ) স্বর্ঘ্যের সপ্তপ্রধান জ্যোতিঃভেদ। বিশ্বকট, হিমালয়স্থ শৃঙ্গভেদ। (হিম খ’ ৮১-২) বিশ্বকৃৎ (পুং) বিখং করোতীতি ক্লক্ষিপ, তুক্‌চ। বিশ্বকৰ্ম্ম। "ত্ৰিষু লোকেষু যৎকিঞ্চিৎ ভূতং স্থাবরজঙ্গমম্। সমানস্থদর্শনীয়ং তত্ত্বদত্র স বিশ্বকৃৎ ।” (ভারত ১।১১২১৩)