পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ ( সেনবংশ ) [ 8२8 ] রঙ্গদেশ ( সেনবংশ ) 喜エー কুলীন গুরুর শ্রেষ্ঠত প্রচার করেন। ক্রমে বল্লাল-পূজিত कूलौनश्रभहे cश्रोड़-बाबब बिष्ट्रङ नाख्नभांश्छद्र यज्ञसक्र श्हेब्र পড়িলেন । বল্লালসেন তাহাদের স্বাতন্ত্র্য ও পদমর্যাদা অক্ষুঃ রাখিবার জন্ত র্তাহাদের স্ব স্ব কৰ্ত্তব্য ও তাহাদের মধ্যে পরিবর্ত মৰ্য্যাদা প্রচলন করিলেন । কিন্তু বয়োবৃদ্ধি ও শাস্ত্রালোচনার সঙ্গে গোঁড়াধিপেরও বৈদিক ধর্শ্বের উপর আস্থা বর্ধিত হয়, তাহা তাহার মৃত্যুর কিছু পূৰ্ব্বে রচিত “দানসাগর” পাঠ করিলে কতকটা আভাস পাওয়া যায়। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি প্রিয় পুত্র লক্ষ্মণকে আহবান করিয়া তৎপ্রবর্তিত কুলবিধিপালন এবং সময়োপযোগী বৈদিকমিশ্রিত তান্ত্রিকমার্গ প্রচারের উপদেশ দিয়া বান। ১১৭ খৃষ্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণসেন পিতৃসিংহাসনে অধিরোহণ করেন। লক্ষ্মণসেনের পূর্ব হইতেই তান্ত্রিক ধৰ্ম্মে সেরূপ অনুরাগ ছিল না, তাহার পিতামহাদির মত তিনিও বৈদিক কৰ্ম্মানুষ্ঠানে তৎপর এবং বৈদিক বিপ্রে অমুরক্ত ছিলেন। প্তাহার প্রধান মন্ত্ৰী পশুপতি এবং তাহার প্রধান ধৰ্ম্মাধিকারী ( Chief justice ) হলাযুদ্ধ বৈদিক ব্রাহ্মণ। তাহার যে কয়খানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে, তাহা শ্রীতিশাস্ত্ৰবিং বৈদিকবি প্রগণের উদ্দেশ্রেই নিবন্ধ, রাষ্ট্ৰীয় বা বারেন্দ্রবিপ্রগণের উদ্দেশে প্রদত্ত র্তাহার কোন তাম্রশাসনই পাওয়া যায় নাই । সিংহাসনারোহণের কিছুকাল পরে লক্ষ্মণসেন পিতার আদেশ প্রতিপালন করিবার জন্তই পিতৃপূজিত কুলীনদিগকে সভায় আহবান করিয়া তাহদেল সমীকরণ করিলেন এবং হলায়ুধ ও পশুপতির সাহায্যে অতি প্রচ্ছন্নভাবে সমাজসংস্কারে অগ্রসর হইলেন । সে সময়ে সমস্ত গৌড়বঙ্গ তান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন। সাধারণে তন্ত্র ব্যতীত অপর কোন শাস্ত্র প্রমাণ্য বলিয়া মনে করিতেন না । সুতরাং লক্ষ্মণসেনকেও তন্ত্রের আশ্রয় লইতে হইল। র্তাহার প্রধান ধৰ্ম্মাধিকারী পরম পণ্ডিত হলায়ুধ শ্রীতি, স্মৃতি, পুরাণ ও তন্ত্রের সারসংগ্রহপূর্বক সেই সময়ের উপযোগী ‘মৎস্তস্থত্ত' নামে এক মহাতন্ত্র প্রচার করিলেন। হিন্দু সমাজের সদাচার রক্ষা হয়, অথচ সাধারণ তান্ত্রিকগণ বিরোধী না হয়, যেন এই মহদভিপ্রায়েই মৎস্তসুক্ত তন্ত্র রচিত হইয়াছে। প্রথমেই মৎস্তস্বত্ততন্ত্রে বীরাচারীদিগের অভিমত তারাকল্প, একজটা, উগ্রতার এবং ত্রিপুরা দেবীর পূজাক্রম ও মঙ্গোদ্ধার, তৎপরে বৌদ্ধতন্ত্রাঙ্গুমোদিত মহাচীনক্রম, তারার বীরসাধন ও নীলসারস্বতক্রম এবং মধ্যে মধ্যে বেদের প্রশংসা করিয়া যেন বৌদ্ধতন্ত্রাঙ্গুসারেই তারার স্তব করা হইয়াছে। প্রথমাংশ পাঠ করিলে মৎস্তসূক্ত যেন বীরাচারীর প্রিয় বস্তু বলিয়। মনে হুইবে । কিন্তু বীরাচার সমর্থন কর। মৎস্তস্বত্ত তন্ত্রকার হলায়ুধের উদ্দেগু নহে। শ্রতি, স্মৃতি ও পুরাণে বে সদাচারের বিধান আছে, পরবর্তী পটল হইতে গ্রন্থসমাপ্তি পৰ্য্যস্ত তাহারই তিনি সমর্থন করিয়া গিয়াছেন । বর্তমান বঙ্গীয় হিন্দুসমাজ বাহ সদাচার বলিয়া অস্তাবধি পালন করিতেছেন, বর্তমান শাক্ত, শৈব ও বৈষ্ণবগণের প্রধানতঃ অমুষ্ঠের আহ্নিক ও মাসকৃত্য, বারব্রত এবং দেবদেবীর পূজামন্ত্রাদিতে মৎস্তস্থক্তের অধিকাংশস্থল ভূষিত হইয়াছে। মৎস্তস্থক্তের ৩১পটল হইতে ৪১ পটল পৰ্য্যন্ত আলোচনা করিলে সহজেই মনে হইবে যে, মঘাদির প্রাচীন স্মৃতিতে শৌচাশৌচ, ভক্ষ্যাভক্ষ্য, চাতুৰ্বর্ণের অবগু কৰ্ত্তব্য ও প্রায়শ্চিত্তাদি যাহা নিরূপিত হইয়াছে, হলামুখ তাহারই যেন সারসংগ্ৰহ করিয়া মৎস্তস্থক্তে বিধিবদ্ধ করিয়াছেন। তিনি প্রথমে তার প্রভৃতি তান্ত্রিক দেবদেবীর পূজা ও মাহাত্মাপ্রচার করিয়া বীরাচারীদিগকে হাতে আনিয়াছেন, তৎপরে মদ্য মাংসাদির যথেষ্ট নিনা করিয়া তাহার অসাত্ত্বিকতা ও প্রায়শ্চিত্তাহঁত প্রতিপাদন করিয়াছেন। বৌদ্ধাদির যথেষ্ট নিন্দা করিতেও মৎস্তস্থত্তাকার পশ্চাৎপদ হন নাই । মহারাজ লক্ষ্মণসেন একদিকে যেমন মৎস্তস্বত্ততন্ত্র প্রচার করাষ্টয়া সাধারণ তান্ত্রিকগণের কদাচারবর্জনের উপায় করিলেন, অপরদিকে আবার বারেস্ট্র ব্রাহ্মণগণের জন্ত প্রধান মগ্নী পশুপতি দ্বারা “সংস্কারপদ্ধতি” এবং রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র বিপ্রসমাঞ্জেব ব্ৰাহ্মণত্ব রক্ষা করিবার জন্য “ব্রাহ্মণসৰ্ব্বস্ব” প্রচার করাইলেন । এই সময়েই হলাযুধের অপর ভ্রাতা পণ্ডিতবর ঈশান গৌড়বঙ্গীয় ব্রাহ্মণ-সমাজের জন্ত “আহিকপদ্ধতি” প্রচার করেন । মহারাজ লক্ষ্মণসেন কিরূপে বঙ্গের হিন্দু সমাজকে উন্নত করিবার জন্য যত্নবান হইয়াছিলেন, তাহ উক্ত চারিখানি গ্রন্থ পাঠ করিলে অনায়াসেই হৃদয়ঙ্গম হহবে। বিশেষতঃ মৎস্তস্থত্ত আলোচনা করিলে মনে হইবে যে, লক্ষ্মণসেন যে প্রণালী অবলম্বন করিয়াছিলেন, প্রায় সেই প্রণালীতেই বঙ্গীয় হিন্দুসমাজ আজও পরিচালিত হইতেছে। মহারাজ লক্ষ্মণসেন বৃদ্ধ বয়সে গোড়া বৈষ্ণব হইয়া পড়িয়াছিলেন। জয়দেবের কোমলকাস্তপদাবলির মধুর আস্বাদনেই তিনি অনেক সময় অতিবাহিত করিতে লাগিলেন। প্রথমে যে হলাযুদ্ধ "শৈবসৰ্ব্বস্ব” লিখিয়া গৌড়রাজের প্রতিভাজন হইয়াছিলেন, এখন তাহাকেই “বৈষ্ণবসৰ্ব্বস্ব” লিখিতে হইল। ভাগবতধৰ্ম্মের গুঢ় রহস্ত সাধারণের সহজবোধ্য নহে। সাধারণের পক্ষে তাহার বিপরীত ফল উৎপাদন করিয়াছিল। এই সময়ের রাজকৰি ধোয়ীর পবনদূত” পাঠ করিলে দেখা যায়, বৃদ্ধ লক্ষ্মণসেনের রাজধানীতে বিলাসিতার স্রোত প্রবাহিত হইতেছিল,—প্রকাশু রাজপথ বারবিলাসিনীগণের মঞ্জিরনিক্ষণে