পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধঙ্গদেশ (মুসলমান-প্রভাব ) अप्ठाॉफ्रांङ्गङcई, ब्रांजांष्ट्रयश्णांtछद्र जांलॉग्न, अर्थष ८कांन क्लश्रृं দায়ে পড়ির অনেক হিন্দু ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষাগ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। জাবার কোন কোন হিন্দুসন্তান মুসলমানের সহবাসে জালিয়াই অথবা মুসলমান যুবতীর প্রেমপাশে আবদ্ধ হইয়া হিন্দুধৰ্ম্মজ্যোতিঃ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক রাজধর্শ্বের বিমল স্বৰ্গীয় ইসলাম-আলোকে আপনার অন্ধ বিশ্বাসরূপ রুদ্ধবৃষ্টি উন্মেলিত করিয়াছিলেন । তাজ-উল-মুয়াশীর, তবকাৎ-ই-নাসিরী, তারিখ-ই-আলফি, তারিখ-ই-ফিরিস্তা, আকবর-নাম, জবেদৎ-মল-তারিখ, জাহাঙ্গীর-নাম, শাহজাহান-নাম, জবেদৎ-আলমগীর-নাম, মুদ্রাণীর-আলমগীর, তারিখ-খাফি খাঁ, মুয়াশার-আল-ওমর, রিয়াজ-উস-সলাতিন প্রভৃতি বিবিধ মুসলমান ইতিহাস পাঠ করিলে, বাঙ্গালায় মুসলমান সমাগম ও তাহাদের প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট আভাস পাওয়া যায়। তবকাৎ-ই-নাসিরীতে মধ্য-এসিরাবাসী মুসলমানজাতির প্রভাব বর্ণনপ্রসঙ্গে সবক্তগীনের অভু্যদ্বর ও ভারতীক্রমণ বিবৃত হইয়াছে। সবক্তগীনের মৃত্যুর পর, তাহার পুত্র মুলতান মাঙ্কদ গজনী রাজধানী হইতে সদলে বহির্গত হইয়া পশ্চিম ভারতের নানাস্থান আক্রমণ ও লুণ্ঠন করেন । মাহ্ম, মধ্যভারতের বৃন্দেলখণ্ড পৰ্য্যন্ত বিজয়ার্থ অগ্রসর হইয়াছিলেন। কিংবদন্তী আছে যে, ঐ সময় হইতে মুলতান মাহ্মদের বিখ্যাত সেনাপতি সৈয়দ সালর মসাউদ গাজী উত্তর-ভারত আলোড়িত করিয়া সুপ্রসিদ্ধ ভর জাতিকে বিধ্বস্ত করেন। তাহারই প্রভাবে নানা স্থানে মুসলমান উপনিবেশ ও মসজিদ প্রভৃতির প্রতিষ্ঠা হয়। সবক্তগীন, মাঙ্গদ ও সালর মসাউদ দেখ। ] মাহ্মদের মৃত্যুর পর, ১০৩ খৃষ্টাব্দে মহম্মদ মসউদ ১ম স্বাঞ্জা হন। মসাউদ-পুত্র মোহূদকে হীনবল দেখিয়া দিল্লীপতি আফগানদিগের নিকট হইতে নাগরকোট কাড়িয়া লন। ১০৪৯ খৃষ্টাব্দে মোদের মৃত্যু ঘটলে যথাক্রমে ২য় মসাউদ, আলী, রশিদ ও ফেরোখজাদ গজনীসিংহাসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহারা ভারতে অধিকারবিস্তারে বিশেষ মনোযোগী হন নাই। ১• ৮ খৃষ্টাব্দে ফেরোথের ভ্রাতা সুলতান ইব্রাহিম রাজপদে অভিষিক্ত হইয়। ১৯৭৯-৮০ খৃষ্টাব্দে হিন্দুস্থান আক্রমণ করেন। তাছার মৃত্যুর পর তৎপুত্র আর্সির রাজা হন। মার্সিয়ার অত্যাচারে প্রজাবৰ্গ প্রপীড়িত হইয় উঠে। তাহার খুল্লতাত বহরাম শাহ সেই সময়ে প্রাণের মায়ায় পলাইয়া খোরাসানপতির সাহায্য লাভ করেন। পরে তাহারই সহায়তায় বহরাম স্বীয় ভ্রাতুপুত্র আর্দিয়াকে নিহত করিয়া স্বয়ং গজনী ও লাহোরের অধিপতি হন। এই সময়ে ঘোর-রাজবংশের অভু্যদয় হইতে [ 8२१ ] বঙ্গদেশ (মুসলমান-প্রস্তাব } } থাকে। বহরামের পরবর্তী খুক্র নামক রাজস্বয় প্রতিপত্তিশালী ঘোররাজবংশের সমকক্ষ হইতে না পারিয়া রাজ্যের পশ্চিমাংশ পুত্যিাগপূৰ্বৰ পূৰ্ব্বাংশস্ব লাহোর জনপদে আসিয়া রাজপাট স্থাপন করেন। ১১৮৯ খৃষ্টাব্দে মহম্মদ ঘোর সুলতান ২য় খুক্ষকে যুদ্ধে বন্দী করিয়া ফিরোজ-কে নামক স্থানে আনয়ন পূৰ্ব্বক তথায় তাহার হত্যাকাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। তদবধি লাহোর জনপদ ঘোর-বংশের অধিকারভুক্ত হয়। দীর্ঘকাল মুসলমান জাতির সহিত বাস করিয়া হিন্দুগণও অনেক বিষয়ে মুসলমান-সংস্কারাপন্ন হইয়াছিলেন। বিধৰ্ম্মী হইলেও হিন্দুসমাজে তাছাদের সংসর্গ তৎকালে ততদূর নিন্দনীয় ছিল না। কেন না গান্ধারাদি প্রাচীনতম রাজ্যের সহিত বহুকাল হইতে ভারতবাসীর সংস্রব চলিয়া আসিতেছিল। তখনও পাঠানজাতির ইসলামধৰ্ম্মদীক্ষা বেশী পুরাতন হয় নাই । তাহাদের মধ্যেও তখন পূৰ্ব্বতন ভারতীয় ধৰ্ম্মসংস্কারের অনেক নিদর্শন বিদ্যমান ছিল। তখনও হিন্দু-মুসলমানের প্রকৃত বিদ্বেষভাব সমুদিত হয় নাই ; সম্ভবতঃ সেই কারণেই বোধ হয়, কনোজপতি জয়চন্দ্র স্বজাতির প্রতি ঈর্ষ্যাপরতন্ত্র হইয়া বিদেশীকে সাদরে আমস্ত্ৰণ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই । [ মহম্মদ ঘোরী ও জয়চন্দ্র দেখ । ] ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে তিরোর রণক্ষেত্রে দিল্লীপতি পৃথ্বীরাঙ্গকে পরাভূত করিয়া মহম্মদ ঘোর দিল্লী প্রান্ত পৰ্য্যন্ত মুসলমানরাজ্যসীমা বিস্তার করেন। মহম্মদ তাহার বিশ্বস্ত ক্রীতদাস এবং সেনাপতি কুতব, উদ্দীন আইবক্কে বিজিত প্রদেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়া যান। এই রাজপ্রতিনিধির আদেশেই মহম্মদ-ই বখতিয়ার বাঙ্গালা-বিজয়ে আগমন করেন। [ কুতবউদ্দীন ও মহম্মদ ই-বখতিয়ার দেখ ] কুতবউদ্দীনের প্রেরিত বিজয়বাহিনী হইতেই পূৰ্ব্বাঞ্চলে ক্রমশঃ মুসলমানের বসতি বিস্তৃত হয় ; কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালী মুসলমানের মধ্যে পাশ্চাত্য মুসলমান ঔপনিবেশিকের সংখ্যা অতি অল্প । সুদীর্ঘকাল মুসলমান শাসনে প্রপাড়িত এবং রাজকৰ্ম্মচারিবৃন্দ কর্তৃক নিগৃহীত হইয়া, অথবা মুসলমান সাধুগণের বুদরুকীর প্রভাবে বিমুগ্ধ হইয়া এদেশীয় হিন্দুগণ অনেকে তৎকালে ইসলামধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। সেট প্রাচীন সময়ে স্থদুর মুন্দরবন বিভাগেও ইসলামধৰ্ম্মপ্রচারাথ লোকের চিত্তরঞ্জনকর মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। খৃষ্ঠায় ১২.৩ অন্ধ হইতে প্রকৃতপক্ষে বাঙ্গালায় মুসলমানশাসন আরম্ভ ; তদবধিই তাহার এ দেশে বসতি করিয়া আসিতেছেন। সেই সময় হইতে আরম্ভ করিয়া ইংরাজকর্তৃক বাঙ্গালার দেওয়ানী” গ্রহণের সময় পৰ্যন্ত প্রায় ৫৬২ বৎসর মুসলমানগণ এ দেশে রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন।