পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ (সূরবংশ ) [ 883 ] বঙ্গদেশ (সুরবংশ ) হইতে পারিল না ; সুতরাং অন্তপথে গমনের আশাও রহিল না । তপন সম্রাট বাধ্য হইয়া সন্ধির প্রস্তাবসহ পাঠানশিবিরে দূত পাঠাইলেন । শের থার ধৰ্ম্মগুরু পবিত্র ধাৰ্ম্মিক দরবেশ খলিল মধ্যস্থ হইলেন। সন্ধিপত্রে স্থির হইল, সম্রাট, শের খাকে বাঙ্গালা ও বিহার ছাড়িয়া দিবেন। পক্ষান্তরে শের খাও কথম সম্রাটের গতিরোধ বা তাহার শক্রকে সাহায্য করিতে পরিবেন না । সন্ধির পর উভয় শিবিরে আনন্দস্রোত প্রবাহিত হইল। মোগলগণ বাঙ্গালায় আসিয়া নানা কষ্টের পর আজ আহ্লাদ-সাগরে ভাসমান হইয়া সমস্ত বিপদের আশঙ্কাই ভুলিয়া গিয়াছিল ; কিন্তু বিশ্বাসঘাতক শের প। শক্রর প্রতিজিঘাংসা দুলেন নাই। যে দিন সম্রাট সমক্ষে সে কোরাণস্পর্শে শপথ করিল, সেই দিনে রজনীর গাঢ় অন্ধকারে অতর্কিতভাবে সেই আফগানদস্য মোগল শিবির আক্রমণ করিলেন । মোগল সৈন্ত দলে দলে আহত, নিহত ও পলায়নপর হইল। সম্রাট প্রাণ লইয়া অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণপূৰ্ব্বক গঙ্গা পার হইলেন, কিন্তু তাহার অধীনস্থ আট সহস্ৰ মোগল সৈন্ত নদীস্রোতে ভাসিয়া গেল ( ) రిసి : ఇ: )|| - হুমায়ুনের পরাজয়ে বাঙ্গালীয় স্বরবংশীয় আফগানগণের প্রতিষ্ঠা হইল। তাহার অভু্যদয়ে তৎকালে সমগ্র উত্তর ভারত প্রকম্পিত হইয়াছিল। কোন স্বত্রে শের খ বেহার-রাজসরকারে নিযুক্ত হইয়া কিরূপ প্রতিভাবলে বঙ্গ ও বেহারের অধীশ্বর হইয়াছিলেন, তাহ পূৰ্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে। তিনি রোহ বাসী স্বরবংশীয় আফগান। তাহার পিতার ' নাম হুসেন । তিনি স্বীয় পুত্রের নাম ফরিদ রাখেন । এই কারণে শের র্থ রাজাসনে আসীন হইয় ফরিদউদ্দীন শের শাহ নাম ধারণ করিয়াছিলেন। সুলতান বহলোল লোদীর রাজ্যকালে তাহার পিতামহ ইব্রাহিম জন্মভূমি পরিত্যাগপূৰ্ব্বক দিল্লী বাজধানীতে উপনীত হন এবং সামরিক বিভাগে কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া স্বীয় সৌভাগ্যান্বেষণে প্রয়াস পান । বহলোল-পুত্র সিকদর লোদীর শাসন কালে জৌনপুরের শাসনকৰ্ত্ত সর্দার জয়মল্ল ইব্রাহিম-পুত্র হুসেনকে সঙ্গে আনেন । হসেনের রণপাণ্ডিত্য ও সদ্‌গুণাদি লক্ষ্য করিয়া জয়মল্ল তাহাকৈ সাসেরাম ও তাড়া জেলা জায়গীরস্বরূপ দান করেন । তাহার আয় হইতে ৫ শত অশ্বারোহী সেনাদল রক্ষা করিয়া হুসেন বাজার অধীন সামন্তুরূপে পরিগণিত হন । হুমায়ুনের পাঠান জাতীয় পত্নীর গর্ডে ফরিদ ও নিজামের জন্ম হয়। পিতা পুত্রের বিদ্যা শিক্ষা বিষয়ে বিশেষ যত্ন লইতেন मा दलिग्रां रुद्रिल ¢रष्झां७थए*ांक्षिष्ठ ट्रॅग्न अग्रमटझद्र क्षईौन সৈনিকবৃত্ত্বি অবলম্বন করেন। এই সামরিক শিক্ষাকালে তিনি রাজা জয়মল্পের অনুগ্রহে নানাবিস্কায় পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন । তিন চারি বৎসর পরে হুসেন জৌনপুরে আসিয়া পুত্রের বিদ্যাবত্তার পরিচয় পাইলেন। তিনি তখন উপযুক্ত পুত্র ছন্তে স্বীয় সম্পত্তির পরিচালন ভার সমর্পণ করিয়া নিশ্চিস্ত হন । ইহাতে র্তাহার বিমাতা ও বৈমাত্রের ভ্রাতা সুলেমানের ঈর্ষ। বুদ্ধি হয় । বিমাতার পীড়নে পিতার মানসিক বিপৰ্য্যয় লক্ষ্য করিয়া আগ্র অভিমুখে যাত্রা করেন। এখানে তিনি ইব্রাহিম বাদশাহের প্রসিদ্ধ ওমরাহ দৌলতের সাহায্যে সম্রাটের অনুগ্রহভাজন হন এবং স্বীয় পিতার মৃত্যুর পর পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন। ৯৩২ হিজিরায় সম্রাট ইব্রাহিমের পরাজয় সংবাদে, দিল্লীশ্বরের অধীনস্থ সামন্তবর্গ স্ব স্ব প্রাধান্ত স্থাপন করিতে উদ্যুক্ত হইলেন । শেরও সে সুযোগ ছাড়িলেন না । তিনি দরিয়া লোহানীর পুত্র পীর খণর সহিত যোগদান করিয়া বেহার অধিকার করিলেন। পার র্থ সুলতান মাহ্মদ লোহানী নাম গ্রহণ করিয়া রাজা হইলেন। এক দিন মাহ্মদের সহিত শের শীকারে বহির্গত হইয়া স্বহস্তে একটা বৃহদাকার ব্যাঘ্ৰ বধ করেন। সুলতান তাহতে প্রীত হইয় তাহাকে সের আখ্যা দিয়াছিলেন । পরে তিনি পাঠানবংশীয় চুনারপতি তাজিরের বিধবা পত্নীকে বিবাহ কৰিয়া চুনার দুর্গ হস্তগত করেন। শের মাহ্মদের নিকট বিলক্ষণ প্রতিপত্তিলাভ করিয়াছিলেন। এ জন্য মাহ্মদের মৃত্যু হইলে যুবরাজ জলাল অপ্রাপ্তবয়স্ক বলিয়। শেব বেহারের রাজপ্রতিনিধি হন। কিছুদিন পরে লোহানি সর্দারের শেরের বিনাশার্থ একটী ষড়যন্ত্র করে, এবং ইহা প্রকাশ হইয়া পড়িলে, জলাল স্বপক্ষ ওমরাহগণসহ বাঙ্গালায় ১৫৩৫-৬ খৃষ্টাব্দে পলাইয়া যান ও বঙ্গেশ্বর মাস্ক, শাহের সাহায্য প্রার্থনা করেন । এইরূপে শের ৰেহারের সর্বময় কর্তী হইয়া ॐन। बनखद्र उिनि माक्र,न भाश्रु ८औङ्ग श्हेड डाफ़ाईंद्र দেন,এবং ছলে ভুলাইয়া ও বিশ্বাসঘাতকতাপূৰ্ব্বক রাজা বরকেশের নিকট হইতে ফুর্ভেন্তু "রোহিতাস দুর্গ” অধিকার করিয়া সেখানে স্বীয় পরিবার ও ধনরাশি নিরাপদে রাথিবীর উপায় করেন। রাজ্যচ্যুত মাক্ষদ্ব শাহ দিল্লীশ্বর হুমায়ুনের শরণাপন্ন হইলে, হুমায়ুন বাঙ্গালা আক্রমণ ও গৌড় নগর অধিকার করেন। শের পশ্চিমাভিমুখে যাইয়া বারাণসী হস্তগত এবং বাঙ্গাল হইতে হুমায়ুনের প্রত্যাগমনের পথ রুদ্ধ করিলেন। যখন হুমায়ুন দিল্লীতে ফিরিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছেন, তখন গঙ্গা ও কৰ্ম্মনাশার সঙ্গমস্থলের নিকটে শেরের সৈন্তের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল। উভয় দলই শিবির সন্নিবেশ করিয়া