পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ ( মোগলশাসন ) [ 848 | বঙ্গদেশ ( মোগলশাসন ) ১৭১৯ খৃ: অব্দে বেহারের শাসনকৰ্ত্ত ফখর উদ্দৌলা পদচ্যুত হইলে স্বজ তথাকার স্ববাদার হন। তিনি আলিবর্দি থাকে বেহারের শাসনভার দেন। আলিবর্দি বেতিয়া চকবাড়ী, ফুলবাড়ী ও ভোজপুরের বিদ্রোহী জমিদারদিগকে পরাজিত ও শাসিত করিয়া বেহারে শাস্তিস্থাপন করেন। ১৭৩২ অব্দে ঢাকার দেওয়ান মীর হবিব, ত্রিপুরা জয় করিয়া তাহার রোশেনবাদ নাম রাখেন। অনস্তর সরফরাজ খাঁ ঢাকার শাসনকর্তৃপদে নিয়োজিত হন ; কিন্তু তিনি মুরশিদাবাদেই বাস করিতেন। তাহার দেওয়ান যশোবন্ত রায় সুচারুরূপে রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়া সকলের প্রতিভাজন হন । তাহার আমলেও সায়েস্তা খাঁর সময়ের ন্তায় পুনৰ্ব্বার টাকায় ৮ মণ চাউল বিক্রয় হইয়াছিল (১৭৩৫ খৃ: ) । ইহাব দুই বৎসর পরে রঙ্গপুরের ফৌজদার । হাজি আহ্মদের মধ্যমপুত্র সৈয়দ আহ্মদ দিনাজপুর ও কোচবেহার আক্রমণ করিয়া তন্ত্রত্য রাজাদিগের বহুকাল সঞ্চিত ধনরাশি হস্তগত করেন । তাহার শাসনকালে ১৭২৪ খৃষ্টাব্দে অষ্ট্রেও ইষ্ট ইণ্ডিয়া | কোম্পানী বাঙ্গালার বাণিজ্যাৰ্থ আগমন করেন । বঁকি-বাজারে তাহাদের কুটী স্থাপিত ছিল। এই জৰ্ম্মণ-বণিকসম্প্রদায়ের বাণিজ্য বুদ্ধিতে ঈর্ষান্বিত হইয়া ইংরাজ ও ওলন্দাজ বণিকৃগণ র্তাঙ্গাদের বিরুদ্ধাচারী হইলেন। র্তাহীদের প্ররোচনায় নবাব সুজা উদ্দীন ১৭৩৩ খৃষ্টাব্দে জৰ্ম্মণদিগের কুটা অবরোধ করিলেন। অবশেষে নবাব সেনাপতি মীর জাফর বাকিবাজার হস্তগত করিয়া ঐ কুট ধবংস করেন + ১৭৩৯ খৃঃ অব্দে স্বজা উদ্দীন মানবলীলা সংবরণ করেন । মৃত্যুকালে তিনি হাজি আহ্মদ, জগৎশেঠ ও আলমৰ্চাদ এই কয়েকজনের পরামর্শ লইয়া স্বীয় পুত্র আলা উদ্দৌলা সরফরাজকে বাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে আদেশ করিয়া যান। কিন্তু সরফরাজ সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই হাজি আহ্মদ ও জগৎশেঠকে অবমানিত করিলেন। তাহাতে তাহারা ক্রুদ্ধ হইয়া দিল্লী হইতে আলিবর্দী খাঁর নিমিত্ত বাঙ্গাল, বেহার ও উড়িষ্যার সুবাদারী পদের নিয়োগপত্র সংগ্রহের ষড়যন্ত্র করিতে ছিলেন । এই

  • মুসলমান ঐতিহাসিকগণ জৰ্ম্মণ বণিকসম্প্রদায়ের বাঙ্গালার অবস্থিতি সম্বন্ধে একমত নহেন। কেহ কেহ বলেন, স্ববাদাম মুরশিদ কুলীর শাসনকালেই জৰ্ম্মণ বণিকদিগের প্রভাব বিলুপ্ত হয়। ঐতিহাসক অৰ্শ্বি বলেন, ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দে উহার এ স্থান হইতে তড়িত হইয়াছিলেন। কিন্তু অষ্ট্রেও কোম্পাनौग्न निषङ्ग१:ठ धक[* १ द९मद्र ८भग्नlन अरख २१७• ५ हे“का *ईjरु कम*: উহাদের বাণিজ্যপ্রভাব খর্ব হইতে থাকে এবং ১৭৩৩ খৃষ্টাব্দের যুদ্ধে উiহাদের শেষ ধণিজ্য পেতথানি বাঙ্গাল হইতে খিতাড়িত হয় । ১৭৮৪ খৃষ্টাব্দে উত্ত *का”१भी ५१५७ ६३॥ ५:ए 4द९४१०० ५४॥(अ म्श दक इश्क शत्र ।

সহযোগিতা লাভ করিয়া আলিবর্দী সসৈন্তে সরফরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিলেন। মুরশিদাবাদ সন্নিহিত গড়িয়া নামক স্থানে সরফরাজ পরাজিত ও নিহত হইলে ( ১৭৪০ খৃঃ ) আলিবর্দী বাঙ্গালার সুবাদার পদে অধিষ্ঠিত হইলেন । আলিবন্দী সুবাদার হইয়া দিল্লীতে অনেক উপঢৌকন প্রেরণাস্তে রাজ্যশাসনের নূতন বন্দোবস্ত করেন। তাহার তিন কন্যার সহিত র্তাহার ভ্রাতা হাজি আহ্মদের তিন পুত্রের বিবাহ হইয়াছিল । ঐ জামাতৃত্ৰয় মধ্যে নিবাইস মহম্মদকে তিনি ঢাকার এবং কনিষ্ঠ জৈন উদ্দিনকে বেহারের শাসনভার প্রদান করিলেন। জৈন উদ্দিনের পুত্র সিরাজ উদ্দৌলাকে তিনি অত্যন্ত ভাল বাসিতেন । এই কারণ ঐ বালককে তিনি সৰ্ব্বদাই দত্তকপুত্রস্বরূপ পালন করিতেন ; অতঃপর সরফরাজ খাঁর ভগিনীপতি উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্ত মুরশিদ কুলিকে পরাজিত করিয়া তিনি স্বীয় মধ্যম জামাতা সৈয়দ আহ্মদকে সে প্রদেশের শাসনভার অর্পণ করেন । কিন্তু আহ্মদের অসদাচরণে শীঘ্রই উৎকলে বিদ্রোহ হয় ; এবং মুরশিদ কুলির দল প্রবল হইয়া আহ্মদকে কারাকদ্ধ করে। এই সংবাদ পাইয়া আলিবর্দী উড়িষ্যায় গমন পূর্বক জামাতার উদ্ধার সাধন করেন। এই সময়ে ১৭৪১ খৃঃ অব্দে চৌথের দাবী করিয়া মহারাষ্ট্রগণ বাঙ্গালা আক্রমণ করিয়া ভাগীরথীর পশ্চিমতীরবর্তী প্রদেশ অধিকার ও লুঠপাঠ করিয়া প্রজাদিগকে যৎপরোনাস্তি কষ্ট প্রদান করে। তাহাদিগের অত্যাচারভয়ে কলিকাতাবাসিগণ নগররক্ষার্থে ‘মারহাট্ট থাত কাটিতে আরম্ভ করেন । নবাব মুজ উল মুলক, হিসাম উদ্দৌলা মহম্মদ আলীবর্দী থ' মহব্বত জঙ্গ বাহাদুর এই সংবাদে উড়িষ্যা বিজয়ের আমোদপ্রমোদ ভুলিয়া মহারাষ্ট্র বীর্য্য খৰ্ব্ব করিবার জন্ত যুদ্ধের উদ্যোগে ব্যাপৃত রহিলেন । পর বৎসর তিনি তাহাদিগকে কাটোয়ার নিকটে পরাজিত করিয়া দেশ হইতে বহিষ্কৃত করেন(১৭৪২ খৃঃ) । অনন্তর তাহার বারংবার এতদ্দেশ আক্রমণ করিয়া সুবাদারকে ব্যতিব্যস্ত করে ; পবিশেষে আলিবর্দী তাহাদিগকে কটক প্রদেশ প্রদান করিয়া এবং বাঙ্গালীর চৌথস্বরূপ বৎসর বৎসর বার লক্ষ টাকা দিতে স্বীকৃত হইয়া সন্ধি করেন (১৭৫১)। এই মহারাষ্ট্র আক্রমণ বাঙ্গালীয় “বর্গির হাঙ্গামা" বলিয়া খ্যাত । বর্গির . হাঙ্গামার সময়ে এদেশে তিনবার বিদ্রোহ উপস্থিত হয়। প্রথম সেনাপতি মুস্তাফা খাঁ বিদ্রোহী হইয়া বেহারের শাসনকৰ্ত্ত জৈন উদ্দিন কর্তৃক নিহত হন। অনন্তর শামসের থা বিশ্বাসঘাতকত পুৰ্ব্বক জৈন উদ্দিন ও তাহার পিতা হাজি আহ্মদকে বিনষ্ট করে । কিন্তু আলিবর্দীর সহিত পাটনা যুদ্ধে তিনি বাঢ় নামক স্থানে পরাজিত ও নিহত হন ( ১৭৪৯ খৃ: )