বচ, [ 8१० } বচগোত এখানকার বল্লভরায়-মন্দিরের গরুড়-স্তম্ভে ও অগস্ত্যেশ্বর স্বামীর মন্দিরগাত্রে দুইখানি শিলাফলক দৃষ্ট হয় । প্রথম থানি ১৪৮৭ শকে বিজয়নগররাজ সদাশিব রায়ের শাসনকালে উৎকীর্ণ। এই বৎসরে মুসলমানগণ বিজয়নগর ধ্বংস করিয়াছিল। শেষোক্ত খানি ১৪৭৮ শকে উক্ত রাজার শাসনসময়ে উৎকীর্ণ। উহাতে মূৰ্ত্ত-রাজ্যদেব চোড় মহারাজের দান-বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ আছে । লুট বক্তা। স্ট, বক্ষতি। লুঙ, অবেচিৎ ৷ সন বিক্ষতা বচ,চুরাদি পরহ্মৈ সক, সেট, লট বাচতি। লুঃ অধী বচৎ। বর্চ ভদি, পরীষ্মণ সক, অনিট, লট, বচন্তি। “ন বচত্যপ্রিয়ং বচঃ” (হলায়ুধ ) প্র+বচ= প্রকথন। প্রতি+ বচ= প্রতিবচন। বর্চ ধাতুর উত্তর অস্তি, অস্তু বিভক্তি হয় না। “বচেরন্ত্যত্ত্বশস্থঙভি প্রয়োগে নাভিধীয়তে। জয়তেনাস্তি পঞ্চমা উত্তম: পুরুষঃ কচিৎ ৷” (চুর্গাদাস ) বঙ্গিরি ( পুং ) রাজভেদ । ( ভাগবত ১২,১৩০ ) : বচ, (দেশজ) স্বনাম প্রসিদ্ধ বণিজ, দ্রবাবিশেষ। ইং টু বঙ্গীয় (লি) বঙ্গ-(গহাদিভ্যশ্চ । পা ৪২।১৩৮) ইতি ছ। বঙ্গদেশোদ্ভব, বঙ্গদেশ সম্বন্ধীয়। বঙ্গুলা ( স্ত্রী ) রাগিণীভেদ। [ রাগিণী দেখ। ] বঙ্গ দ ( পুং ) অসুরভেদ, ইন্দ্র এই অমুরকে হনন করেন । আস্বাদ এবং কাশী ছর্দির বিশেষ উপকারী। দেখিতে অনেকট। শুটের মত কিন্তু বর্ণ লাল। এই শুষ্ক মূল খও থও করিয়৷ মুখে রাখিলে কাসির বিশেষ উপকার দর্শে। বৈষ্ককোক্ত ঔষধাদিতে ইহার বহুল ব্যবহার আছে । [ বচা দেখ। ] “ত্বং শত বঙ্গ দস্তাভিনৎ" ( ঋক ১৫৩৮) বচ (পুং) বৰ্ত্তীতি বচ-অৰ্চ, ১ কীরপক্ষী। ২ টিয়াপাখী। (মেদিনী) বঙ্গ দস্ত এতৎসংজ্ঞকস্তাস্বরস্ত’ ( সায়ণ) ৩ স্বৰ্য্য। ৪ কারণ । BBB S BD BBBBBB BBB BBBBSS BBB SBS BB BB BBB BBS BB BBBS বাঙ্গালার রাজা । বচর, (পুং ) বন্ধীতি বচ, (স্বযুদ্ৰচিভ্যোহ্যজাগৃজকুছ । উ, বঙ্গেশ্বররস (পুং ) ঔষধবিশেষ। এই ঔষধ বঙ্গেশ্বর ও বৃহদ্বঙ্গেশ্বরভেদে দ্বিবিধ। প্রস্তুতপ্রণালী-পারাভস্ম ৮ তোলা, ৩৮১ ) ইতি অকুচ। ১ ব্রাহ্মণ। ২ বৃহদারণ্যক উপনিষদ্রবর্ণিত ব্যক্তিভেদ। (ত্ৰি ) ৩ বাবদুক । বঙ্গভন্ম ৮ তোলা, গন্ধক, তামভষ্ম, প্রত্যেকে ৩২ তোলা, বচগেতি, রাজপুত জাতির একটা কিংবদন্তী আছে—সাহাব, আকন্দ দুগ্ধের সহিত মর্দনপূর্বক মূষা বদ্ধ করিয়া ভূধর যন্ত্রে পাক করিবে । এই ঔষধের মাত্রা ২ রতি। এই ঔষধ ঘৃতের সহিত লেহন করিয়া পুননবার রস বা কৃথি অৰ্দ্ধ তোলা •ও গোমুত্র বা হরিদ্রার রসসহ পান করিবে । এই ঔষধসেবনে গুল্মোদর আশু প্রশমিত হয় । ( রসেন্দ্রসারসং উদবীরোগাধি” ) অন্তবিধ—রসসিন্দর ও বঙ্গ সমভাগ মৰ্দ্দন করিয়া দুই মাষ পরিমাণে মধুর সহিত সেবন করিলে প্রমেহ রোগনাশ হয় । বৃহদ্বঙ্গেশ্বর – প্রস্তুতপ্রণালী—বঙ্গ, পারদ, গন্ধক, রৌপ্য, কপূর, অদ,প্রত্যেকে ২ তোলা ; স্বর্ণ, মুক্ত প্রত্যেকে দুই মাধ, কেশুরের রসে ভাবনা দিয়া দুই রতি পরিমাণ বট প্রস্তুত করিবে । প্রমেহরোগাধিকারে ইহা একটী উৎকৃষ্ট ঔষধ । দোষের বলাবল অনুসারে ছাগীদুগ্ধ, গোদুগ্ধ বা দধি অনুপানে সেবন করিতে হয়। এই ঔষধসেবনে সাধ্যাসাপ্য বিংশতি প্রকার প্রমেহ, মূত্ৰকৃচ্ছ, পা ধু, ধাতুস্থ জর, হলীমক, বাত, গ্ৰহণী, আমদোষ, মন্দাগ্নি, অরুচি, বহুমূত্ৰ, মূত্রমেহ ও মূত্রাতিসার প্রভৃতি রোগ আশু প্রশমিত হয় এবং ইহাতে কান্তি, বল, বর্ণ, ওজ ও শুক্র বৃদ্ধি হয়। (রসেন্দ্রসারস” প্রমেহরোগাধি) বচ, বাক্য, সন্দেশ, পরিভাষণ, উক্তি। অাদি পরস্মৈ ৰিক’ অনিষ্ট। লক্ট্র বক্তি। বক্ষি, বছি। লিঙ, উচ্যাং। লণ্ড, অবক, ঔক্রাং, ঔচন । লিটু উবাচ, উচতুঃ, উবচিথ, উৰকৃথ। উদ্দীন ঘোরি কর্তৃক দিল্লীশ্বর পথ রায়ের পরাজয়ের পর তাহার ভ্রাতা চাহর দেবের বংশধর কংস রায় ও বরিয়ার সিংহের অধীনে কতকগুলি চৌহান শম্ভলগড় পরিত্যাগ করিয়া ১২৪৮ খৃষ্টাব্দে সুলতানপুর জেলার জম্বাবন নামক স্থানে আসিয়া বাস করেন। এখানে মুসলমানের ভয়ে তাহার চৌহান নামেব পরিবর্তে বৎস্তগোত্ৰী’ নাম গ্রহণ করেন। পরবৰ্ত্তিকালে বংগোত্রী হইতে অপভ্রংশে বিচ গোতি হইয়াছে। দ্বিতীয় উপাখ্যান হইতে জানা যায় যে, উপরোক্ত চাহর দেবের প্রপৌত্র রাণী সঙ্গত দেবের একবিংশতি পুত্র ছিল। তাহাদের মধ্যে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ পিতৃসম্পত্তির অধিকারী হন এবং অপর পুত্ৰগণ অদৃষ্ট পরীক্ষার জন্য বিভিন্নদেশে গমন করেন। তন্মধ্যে বরিয়ার সিংহ ও কংস রায় মৈনপুরীতে যাইয়া আলাউদ্দীন ঘোরীর অধীনে সৈনিক বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছিলেন। র্তাহার তথা হইতে ভরজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইয় অযোধ্যায় আসিয়া বাস করেন। বরিয়ার সিংহ জম্বাবনে আসিয়া বাসস্থাপনের পর প্রতাপগড়ের নিকটবৰ্ত্তী কোট বিলখার নামক স্থানের সামন্তরাজ ও বিলথারিয়া দীক্ষিতদিগের সর্দার রামদেবের অধীনে কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। ক্রমে তিনি উক্ত সামন্তরাজের প্রিয়পাত্র হইয়া তাহার কম্ভার পাণিগ্রহণপূর্বক রাজপুত্র দলপং শাহকে নিহত করিয়া তথাকার রাজা হন।
