পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বজ্রপাণি বজ্ৰদাম, কচ্ছপঘাতবংশীয় একজন রাজা, লক্ষ্মণের পুত্র। ইনি গাধিনগরপতিকে পরাজিত করিয়া গোপাদ্রি অধিকার করিয়াছিলেন । বজু দৃঢ়নেত্র (পুং) যক্ষরাজভেদ। বজ দেশ (পুং ) জনপদভেদ । বজ্ৰ দেহ (ত্রি) ১ বঞ্জসদৃশ কঠিন দেহ। ২ বলরাম। বঞ্জ দে (পুং ) বজ্রবারকে ক্রঃ। ই বৃক্ষ । ( অমর ) বজ দ্রুম (পুং ) বজ্রবারকে ক্রমঃ। হাক্ষ, সীজগাছ। ) সেইও সিংহকুও; স্তাবজী বক্রমোহপি চ। (ভাবপ্র‘ لمی، বজু দ্রুমকেসরধ্বজ (পুং ) গন্ধৰ্ব্বাঙ্গভেদ। বজ্র ধর (পুং ) ধরতীতি ধু-অৰ্চ, বজ্ৰস্ত ধর । ১ ইন্দ্র। ছেলাযুদ্ধ) ২ বৌদ্ধধতিবিশেষ। (ত্রিকা ) ৩ বল্লালপুরাধিপতি রাজবিশেষ । ( রাজতরঙ্গিণী ৮৫৪• ) বহু ধর, বৌদ্ধত বর্ণিত আদিতেন। তিব্বতীয় বৌদ্ধতন্ত্র মতে ইনি প্রধান বুদ্ধ, প্রধান জিন, গুহপতি, সকল তথাগতের প্রধান মন্ত্রী, অনাদি, অনন্ত ও বঞ্জসত্ত্ব। অপদেবতাগণ র্তাহার নিকট পরাজিত হইয়া শপথ করে যে বুদ্ধধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে কখন তাহারা হস্তক্ষেপ করিবেন । কোন কোন বৌদ্ধতন্ত্রমতে বজ্ৰধর ও বঞ্জসব দুই জন ভিন্ন। বজ্ৰধরই আদিদেব, তিনি সম্যক সমাধিতে নিয়ত অবস্থিত, বঙ্গুসন্তু দ্বারাই তিনি মানবের কল্যাণ বিধান করিয়া থাকেন। ধ্যানী বুদ্ধের সহিত মানুষী বুদ্ধের যে সম্পর্ক, বজ্ৰধরের সহিত বঙ্গুসত্ত্বের সেইরূপ সম্পর্ক। বজধাত্রী (স্ত্রী) বিরোচনের পত্নীভেদ। বজনখ (ত্রি ) নৃসিংহ । ( তৈত্তিরীয় আ• ১০১৬ ) বজনগর (ী) দানবশ্রেষ্ঠ বজ্রনাভপ্রতিষ্ঠিত নগরভেদ । (হরিব”) বড়লাভ (ত্রি ) ১ স্কন্দালুচর মাতৃভেদ। ২ দানবরাজভেদ। ৩ রাজা উক্থের পুত্র । ৪ উল্লাভের পুত্র। ৫ স্থলের পুত্র। ৬ কুঞ্চের জ্যোতিঃ । বজনীৰ্ত্তীয় ( ত্রি) বঞ্জনাভ নামক দানবসম্বন্ধীয় । বড়নারাচ (ক্ল ) অস্ত্রবিশেষ। “এতত্ত্ব, বঞ্জনারাচং পট্রোজিত মিদং জগুঃ ” ( লোক প্র” ৪-১ ) বজ নির্দোষ (পুং) বজন্ত নিৰ্ঘোষ: বজ্রজনিত শব্দ । (হলায়ুধ) বজনিম্পেন্ন (পুং ) বজাণাং নিষ্পেষঃ সংঘর্ষধ্বনিঃ। বজ্ৰনিৰ্ঘোষ। মেঘসংঘর্ষজনিত ধ্বনি । বন্ধনিৰ্ঘোৰ। পৰ্যায়—"। বজ্ৰপঞ্জর (পুং ) ১ টুর্গাস্তোত্রভেদ। ২ সহাদ্রিবর্ণিত একজন রাজা ! ( সহা° ৩১১৯ ) ৩ দানবভেদ । zrgoifazoi ( ? ) often (Asperagus Racemosa) বজ্রপাণি পুং বস্তুং পাণে যন্ত। ১ ইস্ত্র । ত্রিকা-) ২ গ্রাহ্মণ। .[ 8१७ ] বজ্রপাষাণ “বজ্রপাণিগ্রাহ্মণ: স্তাং ক্ষত্ৰং বস্তুরথং স্থতম্। বৈষ্ঠ বৈ দ্বানৰজ্ঞাশ্চ কৰ্ম্মবঙ্গা ঘৰীয়সঃ "(ভারত ১১৭১৫১) ৩ বৌদ্ধ মতে, দেবযোনিভেদ । ৪ ধ্যানী বোধিসত্বভেদ । নেপাল, ভোট, সিকিম ও ভোটানে এখনও বজ্ৰপাণির দ্বিভূজ-ভীষণমূৰ্ত্তি পূজিত হইয়া থাকে। ত্রিমেদ বেক্রেঙ্গ, নামক ভোটগ্রন্থে লিখিত আছে, এক সময়ে সকল বুদ্ধ মেরুশিখরে সমবেত হইলেন। কিরূপে সমুদ্রগর্ড হইতে অমৃত আন্ধত হইবে, তাহার উপায় নিৰ্দ্ধারণের জন্ত সকলে সম্মিলিত ! তৎকালে অসুরের মানবজাতির প্রতি হলাহল প্রয়োগ করিয়া সৰ্ব্বনাশ সাধনের চেষ্টা করিতেছিল ; এখন অমৃত বিতরণ করিয়া মানবসমাজ রক্ষা করিবার জন্ত সকলে উদ্‌গ্ৰীৰ। বুদ্ধগণ মেরু দ্বারা সমুদ্র মন্থন আরম্ভ করিলেন। তাহাতে অমৃত সমুদ্রোপরি তাসির উঠিল ! বজ্রপাণির উপর সেই অমৃতরক্ষাভার অপিত হইল। ঘটনাক্রমে রাহু বোধিসত্ত্বগণের গুপ্তকাও জানিতে পরিল এবং বজ্রপাণির অসাক্ষাতে কুম্ভ নি:শেষ করিয়া অমৃত পান করিয়া পলাইল। বজ্ৰপাণি পরে অমৃতাপহরণ জানিতে পারিয়া রাহকে ধরিবার জন্য ছুটলেন । প্রথমে স্বৰ্য্যলোকে গেলেন। স্বৰ্য্য রাহর ভয়ে প্রকৃত সংবাদ না দিয়া এক জনকে যাইতে দেখিয়াছেন, এই মাত্র বলিলেন। তথা হইতে বহু পাণি চন্দ্রলোকে আসিলেন । চন্দ্র সমস্ত বলিয়া দিলেন । অবিলম্বে বঙ্গ পাণি রাহকে আক্রমণ করিলেন। তাহার বঙ্গ ঘাতে রাহুর শরীর দ্বিখণ্ডিত হইল, তাহার মুখমাত্র অবশিষ্ট রহিল, নিম্নাংশ এককালে উড়িয়া গেল। কেবল অমৃতপ্রভাবে তাহার প্রাণ রহিল। তৎপরে বোধিসত্ত্বগণ সমবেত হইলেন। রাহুর প্রস্রাবে মহানর্থকর হলাহল উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহাতে সৃষ্টিনাশ হইবার উপক্রম হইল। বোধিসত্ত্বগণের পরামর্শে বত্ত্ব পাণি সেই মূত্ৰ পান করিয়া সৃষ্টিরক্ষা করিলেন। তখন বজ্ৰপাণির অনুপণ সুন্দরব্রুপ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হইল। চন্দ্র সুৰ্য্যের উপর রাহুর জাতক্রোধ থাকিল। কেবল বঙ্গ পাণির কৌশলে একবারে চন্দ্রসুর্য্যকে গ্রাস করিতে পারিতেছে না । বজ্ৰপাণি যখন রাহকে আক্রমণ করেন, তখন রাহুর ক্ষত হইতে অমৃত রক্ষিত হইতে থাকে। সেই রস পৃথিবীতে যে থানে যেখানে পড়িল, সেই খানে নানা ভেষজ উৎপন্ন হইল । ভোটদেশে যে সকল কৃষ্ণবর্ণ ভীষণ বস্তু পাণিমূৰ্ত্তি আছে, তাহাদের দক্ষিণ হস্তে বঙ্গ, বামহস্তে ঘণ্টা পাশ প্রভৃতি এবং কাঁটদেশে মুণ্ডমালা । বজ পাণিত্ব (রী ) বজ্রপাশের্তাবঃ স্ব। বন্ধুপাণির ভাব, বা ধৰ্ম্ম। বজ্রপাত (পুং) বাস্ত পাতঃ পতন। বজ্ৰপতন। বহু পাষাণ (*)ৰে পাচলিত লড়ি। (বৈকন)