পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दङ्गनविश्री [ ৫২১ ] বয়নবিদ্যা করিয়াছিল। ভাটিকানের ভার্জিল-পুথিতে মণ্টফসোন (Monttaugon) কর্তৃক মধ্যযুগীয় ষে তীতের চিত্র অঙ্কিত আছে, তাহা খুষ্টীয় ৪র্থ শতাদের বলিয়া উক্ত হইয়া থাকে। উহার সহিত ভারতীর তীতের যথেষ্ট গোঁসাপ্ত আছে, তবে দু এক স্থানুে সামান্ত পরিবর্তনও দৃষ্টিগোচর হয়। চীন জাতির রেশমী বস্ত্র-বুনা-ৰ্তাত সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং চীনজাতির স্বকপোলকল্পিত, ইহাতে যন্ত্রপরিপাট্য অনেক অধিক । সম্ভবতঃ এই তাতের অনুকরণে বর্তমান হাওলুম সকল গঠিত হইয়াছে। আরিষ্টটুলে রেশমের উল্লেখ দেখিয়া মনে হয় যে, গ্রীক ও রোমকদিগের মুখসমৃদ্ধির সময় তাহদের বিলাসবাসনা পূর্ণ করিতে চীন হইতে রেশম ও তাত যুরোপে নীত হইয়াছিল। আরিষ্টটুলের পূৰ্ব্বে যুরোপে রেশমের আর ঐতিহাসিক উল্লেপ দেখা যায় না। संघ्ननयूट्स ! বক্স বুনান শিখিতে হইলে শিক্ষার্থীর নিপুণতা, ধৈৰ্য্যশীলতা, হস্ত-সঞ্চালনাদির পটুতা শিক্ষা করা আবশ্বক। সহস্রাধিক সুঙ্গ সুত লইয়া তাহার প্রত্যেক সুতাট যথানিয়মে প্রস্তুত এবং পৃথক্ভাবে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করা আবশ্বক। কোন অংশ জোড়া তাড়া দিয়া তাড়াতাড়ি করা অসহিষ্ণুতার ফল ও অত্যধিক বিলম্বের কারণ । আমাদের দেশে হিন্দু তীতি এবং মুসলমান জোলা আছে, এখনও ইহার ৪ ইঞ্চি চওড়া এক ফুট লম্বা চুঙ্গির মধ্যে ধরে এরূপ সরু স্থতার প্রমাণ চাদর বুনিতে পারে। ম্যাঞ্চেপ্পরে বস্ত্রবয়ন-শিল্পের প্রতিষ্ঠা হেতু ধীরে ধীরে আমাদের দেশ হইতে এই শিল্পনিপুণত অপস্থত হইল—ম্যাঞ্চেষ্টারের শুভাগমনেই এই বয়নশিল্পের বিপৰ্য্যয় ঘটিল এবং অন্নাভাবে জোলা ও তাতির অন্ন ফুরাইল। স্থল-বুদ্ধি তাতির লাভের আশায় স্বল্প স্বতার আশ্ৰয় লইল এবং হুঙ্গ-বুদ্ধি তাতিরা মোটা স্বতার কাজ আরম্ভ করিল। ফলে “অতি লোভে র্তাতি নষ্ট,” আর “জেলার গায়ে গিম্টি তাতির পরনে নেংটি।” এই প্রবাদ বাক্য রচিত হইল । আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এই উভয় জাতির জাতীয় ব্যবসা এক হুইলেও কাপড় বুনানি সম্বন্ধে সকল বিষয়েই জোল ও হিন্দু তাতি পরম্পরে বিভিন্ন পন্থ অবলম্বন করিয়াছে। নিম্নে উভয় পক্ষের বয়নোপযোগী যন্ত্রের পরিচয় প্রদত্ত হইতেছে। ১ তাত ( Loom )-ৰ্তাত ভারতবর্ষে কতকাল হইতে যে প্রচলিত, তাহ নির্ণয় করা যায় না। তবে প্রাচীন শাস্ত্রীয় গ্রন্থাদিতে ইহার উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। যে তাত বহপূৰ্ব্ব হইতে এতদ্দেশে চলিয়া আসিতেছে ; তাঙ্গকে হাতের তাত বা বাঙ্গাল তাত বলে, উহা তাল কাষ্ঠে প্রস্তুত এবং সুদীর্ঘকালস্থার ; এমন কি, ৩৪ পুরুষ পর্যন্ত একই তাতে কাজ XVII vరి: চলিতেছে এরূপ শুনা যায়। ইহার মাকু এক হাতে চালাইয়া অপর হাতে ধরিতে হয় ; বেশী চওড়া কাপড় ইহাতে বুনান অসুবিধা, তবে এই তীতের স্বারা ইচ্ছামত মোট সরু সব রকম বুনানি করা যাইতে পারে ; ইহাতে স্বতা খুব কম ছিড়ে এবং যেরূপ সরু বুলানির কাজ হয়, হাও লুমের দ্বারা সেরূপ হওয়া কুকুহ, তবে বাঙ্গাল তাতের দ্বারা কাজ বেশী দ্রুত হয় না, একজন সুদক্ষ তাতি এই তাতে প্রতি মিনিটে ৩১।৩১ বার মাকু চালাইতে পারে। ইহার প্রধান দোষ এই যে, মাকু দাড়াইবাব জষ্ঠ ইহাতে কোন আশ্রয় স্থান নাই এবং চালাইতে সকল বার ঠিক সরলভাবে বা সমান জোরে চালান ঘটে না, তৰ্জ্জন্ত মাকু অনেক সময় পড়িয়া যাইবার সম্ভাবন । কলের তাত (Fly shuttle loom )—অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে জন কে নামক একজন সাহেব প্রথমে এই তাত প্রচলন করেন, ইহা সম্পূর্ণ বিদেশী নহে, কেবল বাঙ্গাল তাতের efsas noro (Improvement) R. es: Etztr সহিত ইহার সম্পূর্ণ সাপ্ত আছে। ভাল সেগুণ বা শাল কাষ্ঠ দিয়া উক্ত দুই প্রকার তােতই প্রস্তুত হইয়া থাকে ; কাঠটি বেশ মজবুদ ও শুষ্ক হওয়া আবশুক ; নতুবা কিছুদিন পরে উহা বাকিয় ব্যবহারের অযোগ্য হইবার সম্ভাবনা । ইহার অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে, কোন একটী অংশ বাকিয় গেলেষ্ট কার্য অচল হইয়া পড়ে । তাতের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলির বিবরণ নিম্নে দেওয়া হইল,— দক্তি ( Lay )—যাহার উপর দিয়া মাকু যাতায়াত করে সেই কাঠখানি ও তাহার উভয় পার্শ্বস্থ বাক্স দুইটি একত্র দক্তি নামে খ্যাত, বাঙ্গালা তাতে বাক্সবিহীন ঐ কাঠটা দক্তি নামে পরিচিত ছিল, বিলাতী তাতে তাঁহাই উন্নত ( Improved ) আকারে ঐ রূপ ধারণ করিয়াছে । ইহাতে ২ খানি কাষ্ঠ আছে, উপরের থানির সহিত নীচের খানি অতি সুন্দর ভাবে সংযোজিত। যখন মাকু অনবরত যাতায়াত করিতে করিতে কাঠের উপরিভাগটা ক্ষয়, পাতলা বা অসমতল ( uneven ) হইয়া আইসে, তখন সামান্ত ব্যয়ে কাঠথানি বদলাইয়া লইলে আবার সেই তাত ঠিক নূতনের স্তায় কাজ করে। সেগুণের অপেক্ষ ইহা পুরাতন পাকা শাল কাঠের হওয়াই ভাল। এই কাঠখনিকে "রেল” (Shuttle race ) বলে, উহার উপর দিয়া মাকুর চাকা চলে বলিয়াই উহার ঐরূপ নামকরণ হইয়াছে। এই দক্তিখানির নিৰ্ম্মাণচাতুৰ্য্যের উপরই অধিক পরিমাণে সমস্ত যন্ত্রের ভালমল নির্ভর করে। এই কাঠখানি ২ কি ৩ ইঞ্চি পরিসর, নিম্নভাগ সমতল, উপরিভাগ উপর হইতে নীচের দিকে ক্রমে ঢালু অর্থাৎ কারিকরের ঠিক কোলের