পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরণ [ હ૭(t ] বরুণ প্রভৃতি পুরাণে দ্বাদশ আদিত্যের নাম পাওয়া যায়। শতপথ- “পাশহস্তে বিপাশন্তু রণে বরুণ এব চ। ব্রাহ্মণের ১১৬৩৮ মন্ত্রে দ্বাদশ মাসের স্বৰ্য্যকে দ্বাদশ আদিত্য ভগ্নঃ প্রয়াতঃ সহসা ময়া সীতে হপাংপতিঃ ।” বলা হইয়াছে। ঋক্সংহিতার ২২৭১ মন্ত্রে দক্ষ অদিতির ( রামায়ণ ৩৫৪৯ ) পুত্ররূপে উল্লিখিত হইয়াছেন। নিরক্তে (৯২৩) যাঙ্ক লিখিয়াছেন,—“আদিতো ক্ষে অজায়ত দক্ষাছু অদিতিঃ পরি* অর্থাৎ मत्र *श्ड्रेष्ठहे अलिंडिग्न ठे९*खि । । श्रांबांद्र शंकू ४॥९०॥२ भएक সূৰ্য্যকে দক্ষ হইতে সস্থত বলা হইতেছে। সুতরাং এরূপ স্থলে কোন মীমাংসা করা যায় না । তবে উক্ত স্থক্তের ১ম মন্ত্রে লিখিত আছে, “হে দেবগণ ! আমি সুখের নিমিত্ত স্তোত্র সহকারে অদিতি, বরুণ, মিত্র, অগ্নি, আর্য্যম, ভগ ও সমুদায় রক্ষাকারী দেবগণকে আহ্বান করিতেছি। এই সকল আলোচনা করিলে বরুণকে আদিত্যগণের একতম বলিয়াই মনে হয় । মনুসংহিতায় বরুণ অদ্বিতীয় তেজঃসম্পন্ন ৪ এবং পাশহস্ত বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। তাহার পাশবন্ধ ব্যক্তি পাপপ্রশমনার্থ বারুণ ব্ৰতাচরণ ॥ করিলে মুক্তি পাইয়া থাকেন। বরুণ মন্ত্রের দ্বারা সলিল বিকারে বরুণের পূজা এবং তাহার দ্বারা নাভিজলে দাড়াইয়। জপ ও হোম করিতে হয়। “সলিলবিকারে কুর্থাৎ পূজাং বরুণন্ত বারুণময়ৈ: " ( বৃহৎস’ ৪৬৫১ ) হরিবংশের ৪৫ অধ্যায়ে বরুণদেবের রূপবর্ণনা এইরূপ লিখিত আছে :– “চতুৰ্ভি সাগরৈগুপ্তো লেলিহপ্তিশ্চ পল্লগৈ । শখমুক্তাঙ্গদ্বধরে বিভ্রত্তোয়ময়ং বপুঃ। কালপশন্তু সংগৃহ হয়েঃ শশিকরোপমৈঃ । বান্ধীরিতজলোদগাৱৈঃ কুৰ্ব্বন লীলা সহস্রশঃ ॥ পাণ্ডুরোক্তবসন প্রবালরুচিরাধর। মণিপ্তামোত্তমবপুর্বারোত্তমবিভূষিতঃ ॥ বরুণঃ পাশভূন্মধ্যে দেবানীকস্ত তস্থিবান। যুদ্ধবেলামভিলষন ভিন্ন বেল ইবার্ণব ॥” (হরিবংশ ৪৫।১২।১৪) তিনি হংসারূঢ় এবং পাশতৃৎ । ( বৃহৎস° ৪৮৫৭) তাহার এই পাশাস্ত্র কাল বা বরুণপাশ নামে খ্যাত। রোমায়ণ ১।২৭৯) এই অস্ত্র ধারণ করিয়া তিনি দেবাক্ষরসংগ্রামে দেবপক্ষীয় দিকপতিরূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে (১২৪) তাহা প্রসঙ্গক্রমে বর্ণিত আছে। রামায়ণেও বরণের যুদ্ধকুশলতার পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে । tمه «s 3 لاءه ه as # XVII ঋগ্বেদে বিষ্ণু ও বক্ষণের সখিত্ব বা অভেদত্বের যে আভাস প্রদত্ত হইয়াছে, গীতায় তাহ পূর্ণরূপে পরিব্যক্ত দেখা যায়। স্বয়ং ভগবানই বলিতেছেন – “অনন্তশ্চাস্মি নাগনাং বরুণে যাদসামহম্। পিতৃণমধ্যম চাৰ্ম্মি যম: সংযমতামহ ।” ( গীত। ১৯২৯ ) আবার মহাভারতে কৃষ্ণ ও বরুণের বিরোধের কথা আছে । শ্ৰীকৃষ্ণ জলজন্তুসমাকীর্ণ সমুদ্রগর্ভে প্রবেশ করিয়া সলিলান্তর্গত বরুণকে পরাজয় করিয়াছিলেন । “প্রবিশু মকরাবাসং যাদোভিরভিসস্থতম্। জিগায় বরুণং সংখ্যে সলিলান্তর্গতং পুরা ।” ( ভারত দ্ৰোণপৰ্ব্ব ১১ অঃ ) ভাগবতে এই কৃষ্ণবরুণবিদ্বেষের আভাস উপাখ্যানরূপে বিবৃত হইয়াছে। একদা নন্দ একাদশীতে নিরাহারী থাকিয়া জনাৰ্দ্দ. নের অভ্যর্চনা করেন এবং স্বাদশী তিথিতে আসুরী বেলায় স্নানার্থ কালিন্দীসলিলে অবগাহন করিলে জলমগ্ন হইয়া বরুণভূত্য কর্তৃক বরুণালয়ে নীত হন। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বরুণকর্তৃক পিতাকে অপহৃত শুনিয়া বরুণসমীপে গমনপূৰ্ব্বক পিতাকে উদ্ধার করেন। বরুণ তখন শ্রীকৃষ্ণের পদবন্দনা করিয়াছিলেন— “অদ্য মে নিভৃতে দেহোহদৈাবার্থোইধিগতঃ প্রভোঃ । ত্বৎপাদভাজোভগবন্নবাপুঃ পারমধ্বন: ॥” (ভাগবত ১০,২৮৫) স্বলপুরাণের সন্থাদ্রিখণ্ডান্তর্গত বরুণপুরী মাহায্যে লিখিত আছে, - একদা শৌনক সুতকে বরুণাপুরের মাহাত্মা-বিবৃত্তি জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন যে,নানা রত্বরাজিবিরাজিত মনোরম বরুণের একটী পুরী ছিল। সেই ক্ষেত্রের জনপদবাসী লোক সকল ধৰ্ম্মপরায়ণ ও বেদার্থতত্ত্বজ্ঞ। তত্রস্থ লোকসমূহ জ্যোতিষ্টোম বিধি দ্বারা রামকে আরাধনা করিয়াছিলেন । এই যজ্ঞে দেবতা ও পিতৃগণ সাতিশয় পরিতোষ লাভ করেন। পরে রাম তথায় উপস্থিত হইয়া বরুণকে বলিয়াছিলেন, হে জলাধিপ বরুণ ! তুমি তোমার ভবন সদৃশ আমার একটা ভবন নিৰ্ম্মাণ কর, এই ভবন নানারহ্মবিভূষিত ও সদা মুনিগণ সেবনীয় হইবে। কনবে পরশুরামের এই কথা শুনিয়া স্বীয় ভবন নিৰ্মাণ করল ঐ পুর পরশুরামকে নিবেদন করেন। তখন পরশুরাম ঐ নানারাদি খচিত সুরমা ভবন দেখিয়া বলিয়াছিলেন যে, এই ভবন অদ্যাবধি বরুণাপুর নামে খ্যাত হইবে এবং পরশুকন এই পুরের অধিপতি থাকিবেন। একদা মধুমাসে শুক্রবার