পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণলিপি আট অক্ষর যুক্ত করিলেন। তখন মাধ্যনিন সবনে মরুত্বতীয় | শঙ্গের যে দুই উত্তরবর্তী প্রতিপং আর যে অনুচর আছে, তাঙ্গ । গায়ত্রীকে দেওয়া হইল। ত্রিঃপও একাদশাক্ষর হইয়া মাধ্যদিন সবন নিৰ্ব্বাহ করিলেন । ঐতরেয় ব্রাহ্মণের অন্ত স্থলে ৪ ( ১১৫ ) দেখা যায়— "অম্বষ্টভে স্বৰ্গকামঃ কুৰ্ব্বত দ্বয়োবা অনুষ্টভোশ্চতুঃষষ্টিরক্ষরাণি।” নিনি স্বৰ্গকামনা করেন, তিনি ছুইটী অনুষ্টুভ, ব্যবহার করবেন। দুই অমুষ্টভে ও৪ অক্ষর আছে। । ঋক প্রাতিশাস্থ্যের মতেও অনুষ্টভে ৬৪ অক্ষর আছে,— "বিংশকেরাতুষ্টুপ, চারোষ্ট্ৰাক্ষরা সমঃ।” (খকপ্রা ১৬২৭) । অর্থাৎ প্রতিপাদে ৮ট অক্ষর করিয়া চারি পাদে ৩২টী অক্ষরে অম্বষ্টপ ছদ । ঐতরেয় ব্রাহ্মণের অন্তস্থানেও “তেভ্যোহভিতস্তেভ্যন্ত্রয়ো বর্ণ অজায়ন্ত অকার উ-কার: মকার ইতি তানেকধ । সমভবৎ তদেতৎ ওমিতি।” অর্থাৎ তাহার ভিতর তিনটী | বর্ণ হইয়া থাকে-আকব, উকার ও মকার ; এই তিনটী একত্র তই। তবে ওম হইয়া থাকে। এইরূপ উক্তি দ্বারা অক্ষর শব্দের স্পষ্টই বর্ণবাচকতা প্রতিপন্ন t弦可场出 এতদ্ব্যতীত ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ( ১৪৪ ) : “:গরিতোস্তৈরেবৈমং তং কামৈ: সমদ্ধয়তীতি নু পুৰ্ব্বং পটলং” * . ঋগ্বেদের আশ্বলায়ন শ্রেতক্ষত্রেও উদ্ধত প্রমাণটী পাওয়া যায় । ( আশ্বলায়ন শ্রেীত” ৪৬৩) এখানে পূৰ্ব্ব পটল গ্রন্থাংশবাটী, সুতরাং স্বীকার করিতে ১ষ্ট:ব যে, সেই অতীব প্রাচীন কালেও গ্রন্থবিভাগ ছিল এবং বৃক্ষ ত্বক প্রভৃতি কোন কিছুতে গ্রন্থ লিখিত হইত । ঋগ্বেদে ঐক্রপ স্পষ্ট প্রমাণ থাকিলে ৭ কেবল পাশ্চাত্য দুরোপীয় পণ্ডিত বলিয়া নহে, এদেশীয় ইংরাজী অভিজ্ঞ অনেক পণ্ডিতের বিশ্বাস যে, বেদ মুখে মুথেই চলিয়া আসিয়াছে, বৈদিক কালে লিখিবার প্রথা ছিল না । এ কারণ বেদে লিখিবার । উপকরণ বা লিপির কোন উল্লেখ নাই,-এমন কি কিছুতেই । *াতারা বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত হইবেন না যে, বৈদিক আৰ্য্যগণ লিপির ব্যসঙ্গীর জানিতেন। যাহারা সেই বস্থ সহস্রবর্ষ পূৰ্ব্বে । নান। বিসয়ে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন, শিক্ষা দীক্ষায় । *াeাদের সমকক্ষ সে সময়ে অপর কেহ ছিল কি না সন্দেহ, গঙ্গৰ পড়িতে জানিতেন, অথচ লিখিতে জানিতেন না,— treta fasora (unlettered) s লিপিজ্ঞানবৰ্জ্জিত + ছিলেন, এরূপ উল্কি কি প্রঙ্গাপবাক্য নহে? --- | 鞭 Voi, I. p, 2-3. [ سراسراج ] বর্ণলিপি আমরা পূৰ্ব্বেই দেখাইয়াছি, ঋগ্বেদের সময় অক্ষর ছিল, বর্ণ ছিল এবং মন্ত্ৰমূৰ্ত্তিও অনেকের জানা ছিল। শুক্লযজুৰ্ব্বেদে ( ১৫৪ )–“অক্ষরপঙক্তিশ্বন্দঃ পদপঙক্তিশ্বন্দঃ বিষ্টারপঙক্তিশুনাঃ ক্ষুরোত্রজশ্বন্দঃ” এইরূপ মন্ত্র পাওয়া যায়। এখানে ভাষ্যকার মহীধর ক্ষুরোভ্রজশদের অর্থ করিয়াছেন, “ক্ষুর বিলিখনখননয়োঃ ক্ষুরতি বিলিখতি ব্যাপ্নোতি সৰ্ব্বমিতি’ ‘ভ্ৰজিতে দীপাত ইতি ভ্রজঃ’ অর্থাৎ ক্ষুর অর্থে বিলেখন ও খনন । বিলেখন হু খনন দ্বারা অক্ষরবদ্ধ যে ছন্দঃ ভ্রাজমান বা প্রকাশিত হয়, তাহাকে ক্ষুরভ্রজশম্ভুন্দ বলে । এই ক্ষুরভ্রজ শব্দ দ্বারা কি মনে হুইতেছে ন যে, এখন যেমন উড়িষ্যায় খন্তী নামক ক্ষুরশলাকা আছে, বৈদিককালে সেইরূপ খুদিয়া লিখিবার উপযুক্ত কোন প্রকার লেখনী ছিল এবং লেখনী দ্বার ছন্দঃ লেখা হইত। এই লেখন দ্বারা কি মনে হয় না যে, বৈদিক আৰ্য্যগণ কোন প্রকার বর্ণলিপির ব্যবহার জমিতেন । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বেদের নিরুক্ত ও প্রতিশীথ্যগুলিকে বুদ্ধদেবের পূর্ববর্তী অর্থাৎ খৃষ্টপূৰ্ব্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর পূৰ্ব্ব গ্রন্থ বলিয়। মনে করেন। আমরা পূৰ্ব্বে প্রমাণ করিয়া দেখাইয়াছি যে, নিরুক্তের পূৰ্ব্বে পাণিনি বিদ্যমান ছিলেন, কারণ নিরুদ্ধকাৰ যাঙ্ক পাণিনির মত উদ্ধত করিয়াছেন। পাণিনি দেখ। ] পাণিনি লিপি, লিবি, লিপিকর, গ্রন্থ, বর্ণ, অক্ষর প্রভৃতি যে বহুতর শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন, তন্দ্বারা তাহাব সময়ে যে বর্ণলিপি ছিল, তাহা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হইয়াছে । এমন কি, তাহার সময় “শিশুক্ৰন্দীয়” নামক বলবোধক পুস্তক প্রচলিত ছিল, সে কথাও পাণিনি উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। পাণিনির পূৰ্ব্বে বেদের প্রাতিশাখের রচনা। এরূপ স্থলে অন্ততঃ খৃষ্টপূৰ্ব্ব ১০ম শতাব্দীরও পূৰ্ব্বে প্রতিশাখেবে কাল ধরিতে হইবে । বেদের বিভিন্ন শাখার পঠন পাঠনে যে কিছু ব্যতিক্রমের সম্ভাবন হইতেছিল, সেই সকল দোষপরিহারের জন্য প্রতিশাথ্যের স্মৃষ্টি । পাণিনি সুত্র করিয়াছেন, “লোপোহদৰ্শনমূ” অর্থাৎ কোন বর্ণের আদর্শনকে লোপ বলা হয় । এই লোপ সম্বন্ধে সুপ্রাচীন প্রাতিশীথ্যগুলিতেও বন্ধ স্বত্র দৃষ্ট হয় যথা— “লোপ উদংস্থাস্তম্ভো: সকারপ্ত।” অথৰ্ব্বপ্রাতিশাখ্য ২১১)— (বাজসনেয়প্রাঃ ৪৯৫, তৈত্তিরীয়প্রাঃ ৫১s ) “অস্তস্থোয়স্ক লোপ:।” ( অথৰ্ব্বপ্রা ৩৩২,=ঋকৃপ্রাতি’ ৪৫, বাজসনেয় প্রাতি ৪।১, তৈত্তিরীয় প্রতি ১৩২ ) বেদ কেবল শ্রোতব্য হইলে, কখনই লোপের সার্থকতা থাকে না । তার পর রেফের প্রয়োগ । ঋক্, যজুঃ, অথৰ্ব্ব