পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণলিপি প্রভৃতি স্থকল প্রাতিশাখেই রেফের নিয়োগ ও রেফের পর ব্যঞ্জনের দ্বিস্তুবিধান বর্ণিত আছে। ( ঋকৃপ্রাতি” ১৫, বাজসনেয়প্রা’ ১১ • ৪, অথৰ্ব্বগ্রা” ১le৮ ) পুপঞ্চষি-প্রণীত সামপ্রাতিশাখাতেও এইরূপ লোপ, রেফ ও অবগুহের কথা পাইতেছি। বেদ যদি কেবল শ্রুতিতে পৰ্য্যবসিত থাকিত, তাহ হইলে বেদে রেফ, অবগ্রহের প্রয়োগ ও লোপ কোথায় হইবে এবং দ্বিত্ব কোথায় হইবে; এরূপ নিয়ম বিহিত হইবার কোন কারণ ছিল না। তৈত্তিরীয়সংহিতায় দেখিতে পাই যে, সেই অতি পূৰ্ব্বকালে ব্যাকরণ রচিত হইয়াছিল এবং ইন্দ্ৰই সৰ্ব্বাদিম শাদিক। যথা— “বাৰু বৈ পরাচী অব্যাকৃত অবদৎ। তে দেবী অক্ৰবন ইমাঃ নো বাচং ব্যাকুরু। সোহব্ৰবীৎ বরং বৃশৈমহং চৈষ বায়াব চ সহ গৃহত ইতি। তস্মাদৈক্সবায়ব সস্থাত ! তামিক্সো মধ্যতোহবক্রম্য ব্যাকরোৎ । তস্মাদিয়ং ব্যাকৃত বা গুপ্ততে তদেতদ্ব্যাকরণস্ত ব্যাকরণত্বম্ ॥”* ভাবার্থ এইরূপ —পুরাতনী বাক্ অর্থাৎ বেদরূপ বাক্য প্রথমে মেঘগর্জনের ন্যায় অখণ্ডাকারে আবিভূতি ছিল। তন্মধ্যে কতটা বাক্য, কতটা পদ তাহ কেহ বুঝিত না। তখন দেবগণ প্রার্থনা করেন যে, বাক্য প্রকাশ করুন। ইন্দ্ৰ বেদৰূপ বাক্যকে মধ্যে মধ্যে বিচ্ছিন্ন করিয়া বাক্য, পদ, প্রত্যেক পদের প্রকৃতি স্পষ্ট করিয়াছিলেন । বাক্য, পদ ও পদের অন্তর্গত প্রকৃতিপ্রত্যয়নিম্পন্ন শব্দ বিশেষরূপে ব্যক্ত করাই ব্যাকরণের কার্য্য। ব্যাকরণ যখন ছিল, তখন বর্ণলিপি থাকিবারই কথা । বেদ হইতে আরও দুই একটা প্রমাণ উদ্ধৃত করিয়া দেখাইতেছি। বাজসনেয়-সংহিতায় ( ১৭২ ) আছে — “এক চ দশ চ দশ চ শতঞ্চ শতঞ্চ সহস্রঞ্চ সহস্রং চাযুতঞ্চ চাযুতং চ নিযুতঞ্চ নিযুতঞ্চ প্রযুত চাৰ্বাঞ্চ ন্তৰ্বদং চ সমুদ্রশ মধ্যঞ্চ অন্তশ্চ পর্যন্ধঃ ” পরাদ্ধ সংখ্যা বুঝাইতে কেবল শ্রুতির সাহায্য লইলে চলিবে না, অঙ্কপাত করিয়া বুঝাইতে হইবে। ঋক্সংহিতায় ( ৪০৯) দেখুন—

  • ষং বৈ সুর্য্যং স্বর্ডামুস্তমসাবিধাদামুরঃ । অত্রয়স্তমন্ত্ৰবিন্দন নহন্তে অশকুবন ॥” ভাবার্থ এই—অমুর রাহু নিজ ছায়ার দ্বারা স্বৰ্য্যকে যে বিদ্ধ করে, সে বেধ অত্ৰিগণই জানিতেন, অন্ত ঋষিরা তাহ জানিতে সমর্থ হন নাই। -

SDB ttB BBDD DD DDBBB BBBB BBBBDDDDDS 'कब्र अविज्रिणश्षकjथरख्रशङि दांव< । ठामिtaा भ५Itठ३िदयमा बिभिक्ष्द्र এওযদিদং স্বাক্যং বাক্যে চৈতালি পদালি পদেষু চৈতা: প্রকৃতয়; এতে চ मंडाङ्ग रेंtठावभक्यभ११ अ५७ब्र यांtsांविtछलन१ कूtङ्गठा'ि ( छांदा ) XVII $8? [ *సి ) বর্ণলিপি উক্ত ৰক্ত হইতে সহজেই মনে উদয় হইবে যে, আত্ৰেয়গণই গ্রহণগণনার আদি গুরু। গ্রহবেধ যে মুখে মুখে হইতে পারে, তাহা আমাদের বুদ্ধির জগম্য। উপরোক্ত প্রমাণ দ্বারা বৈদিক যুগে যদি বর্ণলিপির বিস্ত, মানত স্বীকার করা হয়, তাহা হইলে গুরুমুখে শুনিয়া মুখে মুখে বেদাভ্যাস করিবার নিয়ম রহিয়াছে কেন ? এমন কি, খৃষ্টীয় ৮ম শতাৰো চীনপণ্ডিত ইৎসিং ভারতে আসিয়া স্বচক্ষে দর্শন করিয়া ঐরূপ বেদাধ্যয়নের কথা লিপিবদ্ধ করিলেন কেন ? ধৰ্ম্মশাস্ত্র গুরুর মুখে শুনিয়া শিষ্য কণ্ঠস্থ করিযে, এইরূপই নিয়ম ছিল। কেবল বেদ বলিয়া নহে ;-ইৎসিংএর বিবরণ পাঠ করিলে জানিতে পারি যে, বৌদ্ধসমাজেও ঐরূপ ধৰ্ম্মগ্রন্থ গুরুমুখে শুনিয়া কণ্ঠস্থ কবিবার রীতি ছিল । অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার পদ্ধতি ঐরুপ থাকিলেও বেদ লিপিবন্ধ হইত, তাহারও প্রমাণ পাওয়া যায়। বেদের নিরুক্তকার স্বাস্ক লিখিয়াছেন,— “সাক্ষাৎকৃতধৰ্ম্মাণ ঋষয়ো বভূবুস্তেহুবরেভ্যোহসাক্ষাংস্কৃতধৰ্ম্মস্ত উপদেশেন মন্ত্রা সম্প্রাদুঃ । উপদেশায় মায়স্তোহবরে বিলু গ্রহণায়েমং গ্রন্থং সমান্নাসিমুর্বেদঞ্চ বেদাঙ্গানি চ ॥” (নিরুক্ত ১২০) যাহারা ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎকার বা দর্শন লাভ করিয়াছেন, সেই সকল ঋষি, যাহারা ধৰ্ম্মসাক্ষাৎকার লাভ করেন নাই অর্থাৎ শ্রতর্ষিদিগকে উপদেশ দ্বারা মন্ত্রসমূহ প্রদান করেন, সেই শ্রতর্ষিগণ আবার উপাধ্যায়রপে উপদেশ দ্বারা "গ্ৰন্থতঃ’ ও ‘অর্থত:’ মন্ত্রগুলি শিখাইয়াছিলেন । তাহার। আবার অর্থগ্রহণে অক্ষম শিষ্য দেখিয়া খেদযুক্ত হইয়া বুঝাইবার জন্ত এই গ্রন্থ ( নিঘন্ট, , বেদ ও বেদাঙ্গ সঙ্কলন করেন । কাহার দ্বারা সেই বেদ বেদাঙ্গ সঙ্কলিত হয় ? তদ্বিষয়ে নিরুক্তটীকাকার দুর্গাচাৰ্য্য লিথিয়াছেন,— “মুখগ্রহণায় ব্যাসেন সমান্নাতবস্তু: তে একবিংশতিধা বহু চাম্। একশতধা আধাৰ্য্যবং সহস্রধা সামবেদ । নবধা অথৰ্ব্বণং । বেদাঙ্গান্তপি। তদ যথা । ব্যাকরণমষ্টধা নিরুক্তং চতুৰ্দ্দশধ ইত্যেবমাদি। এবং সমান্নাসিয়ুৰ্ভেদেন গ্ৰহণাৰ্থং। কথং নাম ভিন্নান্তেতানি শাখাস্তরাণি লঘুন সুখং গৃষ্ট্রীযুরেতে শক্তিহীন অল্পায়ুষো মনুষ্য ইতোবমৰ্থং সমায়াসিমুরিতি।” সহজবোধ্য করিবার জন্য ব্যাসের দ্বারা তাহার বেদ সঙ্কলন করাইলেন। (তন্মধ্যে) বহুখক্‌যুক্ত ঋগ্বেদ ২১ট শাখায়, অধ্যযুর কার্য্য সম্বন্ধীয় যজুৰ্ব্বেদ ১•১ শাখায়, সামবেদ ১• • • শাখায়, অথৰ্ব্ববেদ ৯ট শাখায় বিভক্ত হয় । বেদাঙ্গও এইরূপে ভাগ করা হইয়াছিল, (যথা) ব্যাকরণ ৮ ভাগ, নিরুক্ত ১৪ ভাগ ।

  • Max Muller's India, what can it teach us 7 p. 311.