বর্ণলিপি [ *వి ) বর্ণলিপি “লা গাথলেখলিখিতে গুণ অর্থযুক্ত বা কষ্ট ঈদৃশ ভবেনু মম তাং বরেখা।” (ললিতৰিন্তর১২অঃ) (শাক্যসিংহ বলেন) যে কন্যা গাথালেখ লিখিতে এবং গাথার অর্থগ্রহণে গুণবতী হইবেন, তাহাকে আমি বিবাহ করিব। উক্ত গাথা হইতে কি আমরা জানিতে পারিতেছি না যে, জাড়াই হাজার বর্ষ পূৰ্ব্বে এদেশে লিপিজ্ঞানকুশল সন্ধান্ত-মহিলারও অভাব ছিল না। আড়াই হাজার বর্ষ পূৰ্ব্বে যেখানে কন্যা লিপিকুশলা না হইলে রাজকুমারের পত্নী হইবার যোগ্য হইতেন না, সে দেশে বর্ণলিপির চর্চ কত প্রাচীন তাহ সহজেই অনুমেয় । ললিতবিস্তরের গাথাতেই লিপিশাল (১) ও লিপিশাস্ত্রের(২) উল্লেখ থাকায় স্পষ্ট জানা যাইতেছে যে, সেই পুরাতন কালেও লিপিশিক্ষা দিবার উপযোগী পাঠশালা এবং নানা দেশীয় লিপিজ্ঞানের উপযুক্ত লিপিশাস্ত্র (Palaeography aud Epigraphy) zi5fie fări ব্রাহ্মী প্রভৃতি লিপির উৎপত্তিকাল । যে প্রাচীন কালের কথা হইতেছে, সে সময়ে ভারতে কিরূপ অক্ষর প্রচলিত ছিল, তাহাই এখন আলোচ্য। উক্ত ললিতবিস্তরে ৬৪ প্রকার লিপির উল্লেখ দৃষ্ট হয় যথা— ব্রাহ্মী ১, থরোষ্ঠী ২, পুষ্করসারী ৩, অঙ্গলিপি ৪, বঙ্গলিপি ৫, মগধলিপি ৬, মাঙ্গল্যলিপি ৭, মনুষ্যলিপি ৮, অঙ্গুলীয়লিপি ৯, শকারিলিপি ১০, ব্ৰহ্মবল্লীলিপি ১১, দ্রাবিড়লিপি ১২, কিনারিলিপি ১৩, দক্ষিণলিপি ১৪, উগ্রলিপি ১৫, সংখ্যালিপি ১৬, অনুলোমলিপি ১৭, অৰ্দ্ধধমুর্লিপি ১৮, দরদলিপি ১৯, খাস্তলিপি ২•, চীনলিপি ২১, হৰ্ণলিপি ২২, মধ্যাক্ষরবিস্তরলিপি ২৩, পুষ্পলিপি ২৪, দেবলিপি ২৫, নাগলিপি ২৬, যক্ষলিপি ২৭, গন্ধৰ্ব্বলিপি ২৮, কিন্নরলিপি ২৯, মহেরগলিপি ৩০, অমুরলিপি ৩১, গরুড়লিপি ৩২, মৃগচক্রলিপি ৩৩, চক্রলিপি ৩৪, বায়ুমরুল্লিপি ৩৫, ভেীমদেবলিপি ৩৬, অস্তুরীক্ষদেবলিপি ৩৭, উত্তরকুকদ্বীপলিপি ৩৮, অপরগোঁড়াদিলিপি ৩৯, পূৰ্ব্ববিদেহলিপি ৪০, উৎক্ষেপলিপি ৪১, নিক্ষেপলিপি ৪২, বিক্ষেপলিপি ৪৩, প্রক্ষেপ ( ১ ) “শাস্ত্রাণি যানি প্রচয়ন্তি চ দেবলোকে সংখ্যা লিপিশ্চ গণনাইপি চ ধাতুতন্ত্ৰং । যে শিল্পযোগ পৃথু লৌকিক অপ্রমেয়ান্তেৰে, শিক্ষিতু পুরা বহুকল্পকেট । কিন্তু জনস্ত অমুকৰ্ত্তনতাং করেীতি লিপিশালমাগতুং কুশিক্ষিতশিক্ষণাৰ্থং।" ( ললিতবিস্তর - অ ) (২) "লোকোত্তরে চতুঃ সত্যপথে বিধিঞ্জেী হেতু প্রতীত্যকুশলে ঘথ সম্ভবতি । क्ष हानिरिब्र५क्रयू जाकूफूनीउिडादস্বাক্ষানবিক্সিঃ কিমধে লিপিশায়মাজে ।” ঐ লিপি ৪৪, সাগরলিপি ৪৫, বজ্ৰলিপি ৪৬, লেখপ্রতিলেখলিপি ৪৭, অনুক্রতলিপি ৪৮, শাস্ত্রাবৰ্ত্তলিপি ৪৯, গণনাবৰ্ত্তলিপি • •, উৎক্ষেপাবৰ্ত্তলিপি ৫১.বিক্ষেপাবৰ্ত্তলিপি ৫২, পাদলিখিতলিপি ৫৩, দ্বিরুত্তরপদসন্ধিলিপি e৪, দশোত্তরপদসন্ধিলিপি ৫৫, অধ্যাহারিণীলিপি ৫৬, সৰ্ব্বরুতসংগ্রহিণীলিপি ৫৭, বিদ্যামুলেমিলিপি ৫৮, বিমিশ্রিতলিপি e৯, ঋষিতপস্তপ্তলিপি ৬০, ধরণীপ্রেক্ষণলিপি-৬১, সৰ্ব্বৌষধিনিষ্যালিপি ৬২, সৰ্ব্বসারসংগ্রহণী ৬৩ ও সৰ্ব্বভূতরুতগ্রহণীলিপি ৬৪, এই ৬৪ প্রকার লিপি । ( ললিতবিস্তর ১০ অঃ ) যে ললিতবিস্তরে উক্ত লিপিমালার নাম উদ্ধত হইল, সেই গ্রন্থখানি চু-ফ ল কর্তৃক ৬৯ খৃষ্টাব্দে চীনভাষায় অনুবাদিত হয়। এরূপ স্থলে মূল গ্রন্থ সৰ্ব্বত্র প্রচারিত এবং তৎপবে চীনদেশে নীত হইতে অল্প সময় লাগে নাই। পাশ্চাত্য ও এ দেশীয় রাজেন্দ্রলাল মিত্রপ্রমুখ পণ্ডিতগণ ললিতবিস্তরকে খৃঃ পূৰ্ব্ব ২য় শতাব্দীর গ্রন্থ বলিয়া স্বীকার করেন। আমরা কিন্তু তদপেক্ষ প্রাচীন বলিয়াই মনে করি । সম্রাট অশোকেব যত্নে যেমন বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারার্থ পশ্চিমে গ্রীস, উত্তরে মোঙ্গলীয়, পূৰ্ব্বে কম্বোজ ও দক্ষিণে সিংহল পর্যন্ত ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ প্রেরিত হইয়াছিলেন, সেইরূপ সভ্যজগতের প্রায় সকল স্থান হইতে লোক আসিয়া অশোকের সাম্রাজ্য মধ্যে নানাকার্য্য উপলক্ষে বসতি আরম্ভ করিয়াছিলেন,—এসময়ে ভারতে নানা বিদেশীয় সংস্রবে যত প্রকার লিপি বা বর্ণমালা প্রচলিত হইয়াছিল, তৎপূৰ্ব্বে আর কোন সময়ে এমন হইয়াছিল বলিয়। আমবা মনে করি ন! If ভারতীয় বৌদ্ধগণের সেই সুবর্ণযুগে এখানে যতপ্রকার লিপি, প্রচলিত হইয়াছিল, সম্ভবতঃ ললিতবিস্তরকার সেই সমুদয় লিপিরই উল্লেখ করিয়াছেন । সিংহল, ব্ৰহ্ম ও খামদেশীয় প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থ মতে, ॥৪৩ খৃষ্টপুৰ্ব্বাদে বুদ্ধদেবের নিৰ্ব্বাণ এবং নিৰ্ব্বাণের ২১৮ বর্ষ পরে . অর্থাৎ ৩২৫ খৃঃপূৰ্ব্বাদে অশোকের সাম্রাজ্যাভিষেককার্য সম্পন্ন হয় । [ প্রিয়দর্শী শব্দে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য ] তৎপরে অশোকের রাজধানীতে ৬৪ প্রকার লিপি প্রচলিত থাকা কিছু বিচিত্র নহে। ঐ সময়ে গ্রীক নাবিক নিয়াথুসের (Nearchus ) বিবরণীতে প্রকাশ যে, ভারতবাসী কাপাসবঙ্গ অথবা কাগজে অক্ষরযোজনা করিত। তাহার কিছুকাল পরে
- Beal's Romantic Legend of Sakya Buddha, Introduction.
+ শকাধিপ কনিষ্কের অধিকার উত্তরে খেতন, পশ্চিমে পারস্ত এবং পূৰ্ব্বে পূৰল পৰ্যন্ত বিস্তুত হইয়াছিল বটে, কিন্তু তিনি খৃষ্ট ১ম শতকে বিদ্যমান शिलन ; उ९५:{ र शणि७विषम बष्ठि शा, उiश भूभेत्र •न गङाबीब्र शैन अश्रूषाक् श्ठरे वनां१ि७ ।।
