পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরাম রায় ०ब्रिगाम kनषिद्र ब्रांभद्रांभ cरून, 4 cमcभन्न श्ररनरु जभिप्रॉब्रहे উীত হইয়াছিলেন। তিনি ঢাকা হইতেই তীয় ভ্রাতা রামজীবন বা রঘুনন্দনের দেওয়ানী কাৰ্য্যগ্রহণের বিষয় শ্রবণ করিয়া ক্রোধে ও ক্ষোভে ম্ৰিয়মাণ হইয়া ভ্রাতার মুখাবলোকন করিবেন । না বলিয়া পত্র লেখেন। বলরাম ভ্রাতার প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া কিছু দিন বাটতে আগমন করেন নাই। তিনি অতি মাতৃভক্ত ছিলেন। কনিষ্ঠের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া বাটতে আগমন না করায় মাতৃবিয়োগের সময় জননীর চরণ দর্শন করিতে না পারিয়া দুঃখিত হইয়াছিলেন। মাতুশ্রাদ্ধ অতি সমারোহের সহিত করিতে হইবে এবং সেই কাৰ্য্যের ব্যয় সংসার হইতে বা ভ্রাতা কর্তৃক সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ হওয়া অসম্ভব মনে করিয়া তাহাকে পত্র লেখেন যে, তুমি সামান্ত জমিদারের কৰ্ম্ম কর, একটা বৃহৎ দানসাগর শ্রান্ধের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করা তোমার সাধ্য হইবে না । অতএব সামান্ত মত একটী শ্রান্ধের আয়োজন করিবে । আমি বাটীতে উপস্থিত হইয়া যথাকালে দানসাগরের আয়োজন করিব । রাজ রামজীবন এই পত্রের বিষয় অবগত হইয়াছিলেন । তাহার দেওয়ান মাতৃশ্ৰাদ্ধে দানসাগরের আয়োজনে অসমর্থ এ কথা তাহার হৃদয়ে শেলের স্তায় বিদ্ধ হয়। দেওয়ানের কার্য্যদক্ষতায় জমিদারী ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হইতেছে জানিয়ু রামজীবন র্তাহার উপর যথেষ্ট প্রত ছিলেন । এখন তিনি আদেশ প্রচার করিলেন যে, নিরূপিত দিবসে দেওয়ানের মাতৃশ্ৰান্ধে দানসাগরব্যাপারের আয়োজন করিতে হইবে । রাজার অমাত্যগণ শ্রান্ধের আয়োজনে প্রবৃত্ত হইলেন। অত্যয় কাল মধ্যেই বিবিধ সামগ্রীতে তাড়াশ-ভবন পূর্ণ হইয়াছিল। বলরাম মাতৃশ্ৰাদ্ধের জন্ত এক লক্ষ টাকা ব্যয় করার সংকল্প করিয়াছিলেন। তিনি একটা নীল বৃষ মাত্র ও নগদ অর্থ সঙ্গে করিয়া শ্রান্ধের কয়েক দিবস পূৰ্ব্বে বাটতে উপনীত হয়েন। তৎকালে রাজা রামজীবনের জমিদারীর প্রত্যেক গ্রাম হইতে দ্রব্যাদিসহ বহুতর নৌক তাড়াশে আসিয়াছিল এবং সমস্ত দ্রব্য রাখিবার স্থান সংকুলান না হওয়ায় অধিকাংশ দ্রব্য নৌকাতেই ছিল। বলরাম রায় দানসাগর শ্রাদ্ধের প্রচুর আয়োজন দেখিয়া ভ্রাতাকে বুলিয়াছিলেন “দানসাগরের বিপুল আয়োজন হইয়াছে। এ সমস্তই তোমার কৰ্ম্ম । অভাবের মধ্যে একটা নীলক্ষ দেখিতেছি। মাতৃশ্ৰাদ্ধে কেবল এই সামগ্রী সংগ্রহ করাই আমার অদৃষ্ট ছিল।” दगङ्गाभ ब्रांछन्न भांडूधांझ उनैौद्र कनिर्छ ब्रांमब्रांभ कई* রাজা রামজীবনের সাহায্যে অতি সমারোহের সহিত সম্পন্ন হয়। XVII מאט ל لاوان ] ] বলরাম রায় বলরাম রায় মাতৃভক্তির নিদর্শন স্বরূপ জননীর স্বৰ্গসুখকামনায় দানসাগর শ্রান্ধে যে লক্ষ টাকা ব্যয় করা সংকর করিয়াছিলেন, ঐ টাকা মাতৃভক্তির স্মৃতিস্থাপনাৰ্থ ব্যয় করাই উচিত মনে করেন । এই অর্থের দ্বারা তিনি রসিকরায়বিগ্রহপ্রতিষ্ঠা ও পুরাতন কুঞ্জবন নামক দীর্ঘ খনন, পুষ্করিণী খনন, দোলমঞ্চ নামক মন্দির নিৰ্ম্মণ, কপিলেশ্বরের মন্দির সংস্করণ এবং কাশী, গয়া ও বৃন্দাবনধামে ছত্রস্থাপন করেন । কপিলেশ্বরের মন্দিরে পূৰ্ব্বোস্থত শ্লোকের নিয়ে এই শ্লোকটা বিদ্যমান আছে --- “কালান্বিতর্কেদূমিতে শকান্ধে বরং শিবদ্যালয়মিষ্টকাস্তৈঃ । জীর্ণ টঞ্চোন্ধরতে স্ম ভক্ত্য তস্মিন প্রবীণো বলরামদাসঃ ॥” কাল, অগ্নি, তর্ক, ইন্দু শৰ দ্বারা ১৬৩৬ শকান্স ( ১৭১৪ খৃঃ অঃ ) উপলদ্ধি হইতেছে। বলরাম রায় মাতৃবিয়োগেৰ পর নিজ ভবনে রসিক রায় নামক বিগ্রহ স্থাপন করেন । উক্ত বিগ্রহের পাদপদ্মে বলরাম রায়ের নাম লিখিত আছে । বলরাম উক্ত বিগ্রহের জন্য ত্রিতল দোলমঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করেন । তাহাতে নিম্নোক্ত শ্লোক আছে : “শাকেইন্দ্রবেদতর্কেদূমিতে প্রাসাদমুত্তমম্। শ্ৰীকৃষ্ণায় দদৌ শ্ৰীলবলরামে মহাত্মনে ।” ১৬৪০ শকাৰো শ্রীরসিক রায় বিগ্রহের শ্রীমন্দির রামরাম রায় কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হয়। শ্ৰীমন্দিরটা দ্বিতল গৃহ । তাহাতে,' এইরূপ লিখিত আছে : “রসবেদঋতুক্ষেীণীমিতশাকে মহাত্মনা। ঐকৃষ্ণায় দদেী শ্ৰীলবলরাম গৃহং শুভম্।” রস, বেদ, ঋতু, ক্ষেণীে, শব্দ দ্বারা ১৬৪৬ শকাব্দ (১৭২৪ খৃষ্টাব্দ ) হইতেছে। বলরাম রায় পরগণে বড়বাজু হুসেনশাহীর হিন্ম জমিদারী অর্জন করেন। মুর্শদকুলির পর মুজ খাঁ যে রাজস্ব বন্দোবস্ত করেন, তাহার কাগজ পর মধ্যে বলরামের পুত্র রঘুরাম ও র্তাহার ভ্রাতুপুত্র হরিদেব প্রভৃতির নাম দৃষ্ট হয়। ১৯৪১ সালের পূর্বেই বলরাম রায় ইহলোক পরিত্যাগ করেন । রামরাম রায় অতি পরোপকারী ছিলেন, তাহার যত্নে এই • প্রদেশের অনেক লোক ও কতিপয় আত্মীয় স্বজন নবাব সরকারে বিষয় কৰ্ম্ম লাভ করেন । দেবসেবা, অতিথিসেবা, প্রভৃতি পুণ্য কার্ঘ্যে তাহার অতিশয় আস্থা ছিল। এতদ্দেশে তৎকালে ঐ সকল কাৰ্য্যই একমাত্র সদনুষ্ঠান বলিয়া পরিগণিত হইত। বলরাম রায়ের পরলোকগমনের কিছু দিন পরও '