পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম পুরাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের সিদ্ধান্ত এই যে,খুষ্ট জন্মের এক শতাব্দী পূর্কে কিম্বা তাছার পরে মূৰ্ত্তিপূজার প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। কিন্তু তাহার পুৰ্ব্ব হইতেই যে মূৰ্ত্তিপূজা প্রচলিত ছিল, আলেক্‌ সান্দারের সময়ে ওiাক লিখিত কাহিনী হইতেও তাহা জানা যায়। তবে সম্রাট, কণিষ্কের সময় হইতেই এই প্রথা সমুদ্রয় ভারতবর্ষে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল । ধৰ্ম্মপিপাসু চীনপরিব্রাজকগণ তাহাদের ভ্রমণ বৃত্তাস্তে শত শত বার বুদ্ধদেবের মুপ্তির উল্লেখ করিয়াছেন। ফা-হিয়ান খৃষ্টীয় ৫ম শতাদে সাঙ্কাপ্ত নামক স্থানে বুদ্ধ দেবের দশহস্ত পরিমিত দণ্ডায়মান মূৰ্ত্তি দেখিয়াছিলেন এবং হিউনেসিয়াং৪ খৃষ্টীয় ৭ম শতাদে ঐ মূৰ্ত্তি দেখিয়া যান। ইনি পেশোয়ারে দ্বাদশহস্ত পরিমিত শ্বেত্তপ্রস্তরনিৰ্ম্মিত বুদ্ধমূৰ্ত্তির দর্শন লাভ ও পূজা করিয়া যান। এই মূৰ্ত্তি কনিষ্কণ্ড,পের অতি পরিহিত ছিল এবং রাত্রিকালে ইহা স্তপের চতুর্দিকে ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইত । নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্তির সময়ে যুদ্ধ দেবের উপবিষ্ট প্রতিমৃষ্টির উল্লেখ বহুবার দেখিতে পাওয়া যায়। বামিয়ান নামক স্থানে এই অবস্থার একটি মূৰ্ত্তির কথা শুনিতে পাওয়া যায়, তাই না কি প্রায় এক সহস্ৰ ফুট পরিমাণে ছিল। হিউএনসিয়াং বলেন যে, তিনি কুশীনগরের শালবনের মধ্যে নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্তির অবস্থাপরিচায়ক আর একটী বুদ্ধমূৰ্ত্তি দেখিয়াছিলেন। বুদ্ধদেবের চিত্রিত প্রতিকৃতির সংখ্যাও মধ্য যুগে নিতান্ত কম ছিল না । কিন্তু এ বিষয়ের উল্লেথ ততটা দেখা যায় না। হিউএন্‌ সিয়াং পেশোয়ারে এক খানি প্রতিকৃতি দেগিসুছিলেন। তাহার শিল্পচাতুর্য্যে ৪ সৌন্দর্য্যে তিনি বিমোহিত হইয়াছিলেন । ইহারই নিকটে তিনি বুদ্ধ দেবের দুইটি মূৰ্ত্তিও দেখিয়াছিলেন, একটার দৈর্ঘ্য ছয় এবং আর একটির দৈর্ঘ্য চারিফুট । বৌদ্ধ ভক্তগণ কেবল শাক্যমুনিকে ভক্তি প্রদর্শন করিয়াই বিরত হয়েন নাই ; তাহারা পূৰ্ব্ব-বুদ্ধগণের মূৰ্ত্তিও পূজা করিয়া থাকেন। অনেক স্থলে শাক্যবুদ্ধেরমূৰ্ত্তির সহিত তিন হইতে ছয় জন গতবুদ্ধের মূৰ্ত্তি দেখা যায়। "ভবিষ্যদ্রবুদ্ধ মৈত্রেয়ের প্রতি তাহাদের ভক্তি আরও বেশী। ইনি বৰ্ত্তমানে বোধিসত্ত্ব অবস্থায় বত্তমান। ইহার অনেক মূৰ্ত্তি দেখা যায়। সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রসিদ্ধ মূৰ্ত্তি উদ্ধানের রাজধানীর সন্নিহিত উপত্যকায় ছিল । ইহা ৯০ হাত উচ্চ এবং স্বর্ণবর্ণ কাষ্টদ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বৌদ্ধগ্রন্থে দেখা বায়, বোধিসত্ত্ব এখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েন নাই ; সুতরাং ষে শিল্পী এই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহাকে অহং মধ্যাস্তিকের অনুগ্রহ লাভ করিয়৷ তুষিত স্বর্গে যাইতে হইয়াছিল। সেখানে তিনি বোধিসত্ত্বের শারীরিক পরিমাণ এবং বর্ণ ইত্যাদি দৰ্শন +iাধ। পৃথিবীতে প্রত্যাবৰ্ত্তন এবং এই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন। [ ૬ડર ] বৌদ্ধধৰ্ম্ম উত্তর প্রদেশীয় বৌদ্ধগণ কেবল বোধিসত্ত্বমৈত্ত্বেরের মূৰ্ত্তিপূজা করিয়া পরিতৃপ্ত হইতে পারেন নাই । ইহার অবলোকিতেশ্বর এবং মজুত্র বোধিসত্বের ও মুক্তি পূজা করিয়া থাকেন। ফা-হিস্থান বলেন, তিনি মথুরার মহাযান সম্প্রদায়কে প্রজ্ঞাপাধুমিতা, মঞ্চত্র এবং অবলোকিতেশ্বরের পুজা করিতে দেখিয়াছেন। দুই শতাব্দী পরে হিউয়েনসিয়াং পরিভ্রমণ কালে অবলোকিতেশ্বরের অসংখ্য মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়াছেন। কপিশ, উত্থান, কাশ্মীর, কনৌজ, গয়া এবং মহারাষ্ট্রের কপোত-সঙ্ঘারামে এই বোধিসত্বের মুক্তি পুঞ্জার কথা তাহার লিখিত বিবরণে পাওয়া যায়। কিন্তু চীনপরিব্রাঞ্জকেরা কোন স্থলেই অবলোকিতেশ্বরের বহুমুখের কথা উল্লেখ করেন নাই। বোধ হয় শেষে তাহার নাম সমস্তমুখ করা হইয়াছে এবং নামের সার্থকতার জন্য বহুমুখ সংলগ্ন করা झट्रेग्न छ् । মথুরায় মধুত্রর খুব সম্মান ছিল। সেখানে এক স্থণে তাছার স্মৃতিচিহ্ন পরিরক্ষিত ছিল, কিন্তু কোন মূৰ্ত্তির বিবরণ পাওয়া যায় না । এখন মঞ্জুত্র চতুভূজ রূপে দৃষ্ট হইয়া থাকেন, কিন্তু যবদ্বীপে ১২৬৫ আদিত্যবস্থা যখন তাহার মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন, তথন দুই হাত বই ছিল না । ধ্যানীবুদ্ধগণের মূৰ্ত্তি প্রচলিত হওয়া অবধি উত্তর প্রদেশের বৌদ্ধগণ তাই দিগকে পূজা করিয়া আসিতেছেন। মূৰ্ত্তি এবং চিত্রিত প্রতিকৃতি দ্বারা ধ্যানীবুদ্ধগণ, তাহার শক্তি বা তারাগণ এবং সস্তানগণ মানবসমাজে প্রচারিত ও অর্চিত হইতেছেন। নেপাল, তিব্বত এবং মঙ্গোলিয়াতে উক্ত বুদ্ধ, ৰোধিসত্ত্ব ও শক্তিগণের অর্চনা অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হইয়া থাকে,এই বুদ্ধগণের মুখ এবং অবয়ব বুদ্ধাকৃতির ষ্ঠায় ; আসন–পদ্মাসন, কিন্তু বাহনের পার্থক্য আছে। বৈরোচনের বাহন সিংহ, অক্ষাভোর বাহন হস্তী, রত্নসম্ভবের বাহন ঘোটক, অমিতাভের বাহন হংস এবং অমোঘসিদ্ধির বাহন গরুড় । ইহাম্বের পাঁচ জন বিভিন্ন প্রকার মুদ্র দ্বারা পরিচিত। চিত্রিত করার সমরে ইহাদিগকে বিভিন্ন বর্ণে চিত্রিত করা হয়। যে বুদ্ধের যে তারা বা শক্তি এবং যে বোধিসত্ত্ব, তাহার সেইরূপ বর্ণে চিত্রিত হইয়া থাকেন। তার এবং বোধিসত্ত্বগণের দণ্ডায়মান ও উপবিষ্ট উভয় অবস্থার মূৰ্ত্তিই Cप्त थीं शृ!ग्न । - পবিত্র বোধিবৃক্ষকে পরিভোগ চৈত্য বলিয়া নির্দেশ করা হইয়া থাকে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ইহাকে উদ্দেশক বলা কৰ্ত্তব্য । অতি প্রাচীন কাল হইতে বৌদ্ধগণ এই পবিত্র বৃক্ষের পূজা ও ভক্তি করিয়া আসিতেছেন। যখন মূৰ্ত্তিপূজা আরম্ভ হয় নাই, তখম বোধিবৃক্ষ পূজিত হইত। ছয় জন বিগত বুদ্ধের বোধিবৃক্ষের চিত্র আমরা দেপিণ্ডে ৰোধিক্রম