سد . سیسی سیستم است-سعهی বৌদ্ধধৰ্ম্ম - হস্তী ও তদুপরি দণ্ডায়মান বজ্রপাণিবোধিসত্ত্ব, রত্নসম্ভবস্থানে তাহার বাহন অশ্ব এবং তদুপরি দণ্ডায়মান রত্নপাণিবোধিসত্ত্ব, এই রূপ অমিতাভ স্থানে তাহার বাহন ময়ূরপক্ষী ও তৎপরি পদ্মপাণিলোধিসত্ত্ব এবং অমোঘলিন্ধেব স্থানে তাহার বাহন গরুড় ও তদুপরি বিশ্বপাণির মূৰ্ত্তি। উদ্ধে মধ্যভাগে বৈরোচন স্থানে একটা মুথাকৃতি রহিয়াছে। উক্ত চৈতাপশ্বে ত্রিরত্বের অন্যতম চতুভূজ ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তি বিরাজমান । নেপালে বহু চৈত্যে এইরূপ ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তি আছে । বড়সা গ্রামে উক্ত চতুভূজ ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তির নিকটই শীতলা বা তাৰীষ্টীর মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। পূৰ্ব্বেষ্ট লিখিয়াছি, নেপালের প্রত্যেক বৌদ্ধসৈত্যে বা মন্দিবের পাশ্বে শীতল বা হারীতীর মূৰ্ত্তি দেখা যায় { নেপালীবোম্বদিগের বৃহৎ স্বয়ম্ভুপুরাণেও এইরূপ ব{ীত হইয়াড়ে--- “ততশ্চ হরতীং দেবীং পঞ্চপুত্রশতৈৰুতাম্। শ্ৰীস্বরস্থপশ্চিমাগে দক্ষিণাস্তং সংস্থাপিতম্ ॥ যে চ যা বা মনুষ্যাশ্চ পঞ্চোপচারকৈরপি । ম, দারাদিভিঃ পুঃজ্য: মাংসে বলিভিমানকৈ: | ণেহৈ; পেসুৈঃ থানৈ পানৈঃ ভ গুপি গুtভ্যাং পূজিতম | তষ্ঠা পুণ্যপ্রসাদ চ ন জাতু ঈতুপদ্রবান । অ এক্সা অগুঞ্জ ..itকাঃ শৈবাপি বৌদ্ধসেবকা । হারাত্যামপি যক্ষণাং সদা মুদ। প্রপুজিস্তম্ ॥” ( ৭ম অ: ) এখন স্থি হহল যেখানে চৈত্য, সেথানেই ত্রিরত্ব, ও ধ্যানী- | বুদ্ধশোভিত আদশ চৈত্য, তাহাবই নিকট হারীতীর অধিষ্ঠান সম্ভাবনা । বঙুসাইগ্রামে এক?ানে উক্ত তিন মূৰ্ত্তি হইতে কি স্পষ্ট মনে হইতেছে না, যে একসময়ে এখানে একট বৃহৎ চৈত্য ছিল । এখানকার অধিলাসিগণ বলিয়া থাকে যে খড়সাই গ্রামের পাশ্ববৰ্ত্তী বোধিপুকুরের নিকটই পূৰ্ব্বে উক্ত মুক্ৰিয় বিদ্যমান ছিল, অল্পদিন হইল তথা হইতে গ্রাম মধ্যে আনয় প্রাথ ইষ্টয়াছে । বোধিপুকুরের চারিদিকে এখন বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্র, একসময়ে এই পুষ্করিণীর নিকটই যে বৌদ্ধচৈত্য ছিল এবং শুtছ। হইতেই ধে পুষ্করিণীর বোধিপুকুর নাম হইয়াসে, তাহ৩ে সনেই নাই। সেই প্রাচীন বৌদ্ধচৈত্যের এখন আর (৫৭৭ ivহ্ন নাই , অর্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বেও যে সামান্ত স্মৃতিপরিচায়কচছ ছল, কৃষকদেশের হলচালনায় সে সকল চিহ্নও স্থানান্তীঃ ত হইয়াছে, কেবল মধ্যে মধ্যে বড় বড় কাটা পাথর ক্ষীণ৷তৃ ५{१’1ं ग्र' ं;if९,१:ं ।
- Lr. t), ane, iʼs Nepal, 1 I. p. 139. + ст. І I, p. 160.
[ १¢ ० J বৌদ্ধধৰ্ম্ম 'হরিপুরের ৩ ক্রোশ দূরে উক্ত বোৰিপুখুর,—ৰোধিপুখুরের পাশ্বস্থ বড়সাই গ্রাম ভিন্ন হরিপুরের নিকটবর্তী আর কোমস্থানে ঐরূপ বৌদ্ধচৈত্যনিদর্শন পাওয়া যায় নাই । এই কারণই বড়সাইর নিকটস্থ বুদ্ধগুপ্তবর্ণিত হরিভঞ্জচৈত্যের অবস্থান স্বীকার করি । তথাগতনাথ এখানে বিস্তর গুহশাস্ত্র ও ধৰ্ম্মপণ্ডিতের জীবনী শুনিয়াছিলেন । বাস্তবিক এই বড়সাই গ্রাম হইতেই ’ প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধমতসমর্থক সিদ্ধান্তউড় ঘর, অনাকারসংহিতা, অমরপটল প্রভৃতি অপুৰ্ব্বগ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। বলিতে পারি না এই অঞ্চলে বিশেষ অনুসন্ধান করিলে ঐরুপ কত জিনিস মিলিতে পারে । ধৰ্ম্মপূজা প্ৰবৰ্ত্তক রামাইপত্তিতের শূন্তপুরাণের ও এখানকার সিদ্ধান্তউড়ম্বরগ্রন্থের মূলস্বত্র বা লক্ষ্য যে এক, তাহা পুৰ্ব্বেই লিখিয়াছি। বড়সাইর উক্ত ধৰ্ম্ম, চৈত্য ও হারীতীপূজায় এখনও ব্রাহ্মণেব অধিকার নাই, অতি নিম্নশ্রেণীর দেহুরী আসিয়া পুজা করিয়া যায় । পুৰ্ব্বে বাথুরিরাই কেবল পূজা করিত, এখনও সময়ে সময়ে তাহারা আসিয়া পূজা করিয়া যায়। যে দিন বৌদ্ধজগতের সৰ্ব্বত্র বুদ্ধদেবের জন্মোৎসব হইয়া থাকে, অস্থাপি সেই স্মরণীয় বৈশাপীপুর্ণিমার দিন উক্ত বড়সাই গ্রামে চন্দ্রসেন নামে পরিচিত উক্ত বৌদ্ধচৈত্যের পূজা ও মহোৎসব হইয়া থাকে। সাধারণেব বিশ্বাস, স্মরণাতীতকাল হইতে এখানে বৈশাখীপূর্ণিমার মহোৎসৰ চলিয়া আসিতেছে, ইহা “উড়াপর্ব” নামে পরিচিত। এই উৎসবে ২০২৫ হাজার নিম্নশ্রেণির লোক সমবেত হইয়া থাকে, তন্মধ্যে বাখুড়ির সংখ্যা কম নহে। তাহারা ভকত’বেশে আসিয়া চৈত্যপূজা, বাণফোড়া ও চড়কে ঘুরিয়া থাকে। এরূপ উৎসাহ ময়ূরভঞ্জের মধ্যে আর কোথাও দেখা যায় না । সময়ে সময়ে ২•• পৰ্য্যস্ত ভকত মানত করিয়া বাণফুড়িয়া ও সেই ফোড়ে কাপড় জড়াইয়া চড়ক গাছে ঘুরিয়া থাকে। এ সময়ে সাধারণে উক্ত ক্ষুদ্রচৈত্যের পূজা উপলক্ষে অসাধারণ ভয়ভক্তি প্রদর্শন করিয়া থাকে । এমন কি ব্রাহ্মণেরাও আসিয়া ঐ সময়ে উহার নিকট মন্তক অবনত করিয়া থাকেন। ঐ মূৰ্ত্তিাবষ্টি ক্ষুদ্র চৈতাটয় আজও এত সন্মান কেন ? বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের মূৰ্ত্তি থাকায় এটা বৌদ্ধসমাজে প্রধান পূজার জিনিস বলিয়াই গণ্য ছিল । নেপালে এখনও ঐরূপ মুক্তিবিশিষ্ট চৈত্যের সৰ্ব্বত মহাসমাদর ও পুঙ্গা প্রচলিত। R এক্ষণে বৈশাখী পূর্ণিমার উড়া পৰ্ব্ব ভিন্ন অপর কো দিন উক্ত ক্ষুদ্র চৈত্যের পূজা হয় না, কিন্তু হারাতী দেবীর পূজা অনেক সময়েই হইতেই দেখা যায় । কারণ বহুকাল হইতেই বৌদ্ধ ও হিন্দু জনসাধারণ হারাতী বা শীতলার পূজা করিয়৷ আসিতেছেন। আশ্চর্য্যের বিষয়, এখন এই মূৰ্ত্তিটা সাধারণের
