পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুয়া f --T প্রাচীর বা ছাদের গম্বুজ গাছের শিকড়ের প্রভাথে ভাঙ্গিয়৷ পড়িতেছে, ততদিন থামগুলিও ভাঙ্গিবে না। থামগুলির অর্ধেকের গাত্রে কার্যকাৰ্য্য আছে । অৰ্দ্ধেকগুলি সাদা ও ৬ ফুট উচ্চ সন্মুখের দেওয়ালের ইষ্টকগুলি সুন্দর কারুকাৰ্য্যবিশিষ্ট ; কিন্তু সেগুলি এত ক্ষুদ্র যে ২৩১ ফুট দীর্ঘ প্রাচীরগাত্রে দুর হইতে সে গুলি বুঝা যায় না, কাছে গিয়া দেখিলে ভালরূপ দেখা যায়। পার্শ্বে ও পশ্চাতের দেওয়ালে কোন কারুকার্য্য নাই। মসজিদের পশ্চিমদিকে একটা পুষ্করিণী আছে । পুৰ্ব্বাংশের দেওয়ালটির কারুকার্যাগুলি বৌদ্ধ ধরণের, উহার কিছুই নষ্ট হয় নাই। অভ্যস্তরের পশ্চিম দেওয়ালে বৌদ্ধ ধরণের কারুকার্য্যবিশিষ্ট ছোট ছোট কুলঙ্গী আছে। উত্তর পূৰ্ব্বকোণে মসজিদের ভিতরে একটু উচ্চ বেণীর উপর একটা ছোট ঘর অাছে, উহাকে চিল্লাখানা বলে, অর্থাৎ মুসলমান ফকীরেরা এই ঘরে চাল্লিসদিন পর্যন্ত নির্জনে উপসনাদি করেন। সমস্ত মসজিদটী যে বেদীর উপর নিৰ্ম্মিত, উহ কোন হিন্দুমন্দিরের বেদী বলিয়া অমুমিত হয়। এই মসজিদে কোন লিপি নাই । অস্তিান-পেঁড়োর মন্দির হইতে দক্ষিণদিকে একটী পথ গিয়াছে। এই পথ ধরিয়া গেলে শাহ্-সফাউদ্দীনের কবর বা অস্তিানা পাওয়া যায় । এখানেও কোন লিপি নাই । খৃষ্টাব্দে একবার লালকুমারসিংহ এই আস্তান মেয়ামত করাইয়া দেন, তাহার লিপি আছে। এই আস্তান ও বাইশদরজা-মসজিদ দুইজন মাতওয়ালীর হস্তে আছে। মসজিদে বখরীদের সময়ে মহা ধুমধামে উপাসন হয়। এই সময়ে এবং অন্যান্য সময়ে এখানে মেলা বসে । মুসলমানের। এখানে হাজাত বা মানসিক করিতে আসিয়া থাকে। এই অস্তিানার দক্ষিণে "রোজ পুকুর” নামে এক বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। পাণ্ডুয়ার একটু উত্তরে “পীর পুকুর” নামে আর একট পুষ্করিণী আছে, তাহাতে এক কৃষ্ণকায় বৃহৎ কুম্ভীর আছে, ইহার নাম “কালে থ বা কাফের খা”, নাম ধরিয়া ডাকিলে সে নিকটে আসে । মানসিককারীরা ইহাকে মুরগী, পায়রা ইত্যাদি দেয়। এখানে হিন্দুরাও মানসিক করিয়া থাকে । কৌড়ী-মসজিদ-পূৰ্ব্বে ষে ভগ্ন মসজিদের কথা বলা হুইয়াছে, উহার নাম বোড়ী-মসজিদ । ইহার অভ্যস্তর ভাগ চতুরক্স, ২৫ ফুট করিয়া এক একদিক্‌ দীর্ঘ। প্রাচীর কিন্তু ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি মোট । ইহায় সম্মুখভাগে তিনটী খিলান আছে । পশ্চাতের দেওয়ালে তিন খিলানে তিনটা কুলঙ্গী। চক্ষুস্কো৭ে চরিট মিনার আছে। মিনারগুলিও চতুরস্ৰ, XI 88 ১৭৬৩ s१७ ] পাণ্ডুয়। এক একদিক্‌ ৪৫ ফুট । এক মসজিদের খিলান তিনটী ছুইলেও ছাদের গম্বুজ একট। মিনারগুলির চুড়াসকল বস্তবৃক্ষে নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে। অভ্যস্তর ভাগের কোণগুলি বাঙ্গ निम्न भो९ान्न अधूएछन्न छक्क अप्टएकोमै कब्रिम्न व्७ग्न झ्हेब्रttझ এবং উপরে অষ্টকোণ হইতে প্রস্তুত করিয়া গম্বুজের গোলাকায় ভিত্তি করা হইয়াছে। এই মসজিদের বাহিয়ে বাসাপ্ট প্রস্তরফলকে তুগর অক্ষরে খোদিত তিন খানি লিপি আছে, অভ্যস্তরেও একখানি আছে । বাহিরের তিন খানিতে ফোরাণের শ্লোক খোদিত হইয়াছে । অভ্যগুরের লিপি খালি হইতে জানা যায়, ইহা ৮৮২ হিজরায় যুমুম্ব শার রাজত্ব কালে ( ১৪৭২-১৪৮২ খৃষ্টাব্দে ) নির্ণিত হয় । কথিত আছে, কোন বণিক নিরদিষ্ট বাণিজ্যতরীর নিরাপদে প্রত্যাবর্তন কামনা করিয়া এখানে মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করাইবার মানসিক করেন। মনস্কামনা সিদ্ধ হইলে তিনি কেবল কড়ি পোড়াইয়া তাহtয়ই চুণ দিয়৷ এই মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করান এবং নিয়ম করেন, যে दाद्धि भउ**ङ्ग कफ़ि cश्रृंtफ़ाहेब्र ठू१ कब्रिग्नt uहे मन्जएनब्र জীর্ণ সংস্কার করিতে পরিবে, সেই যেন সংস্কারে হস্তক্ষেপ করে। কাজেই এপর্য্যস্ত কেহ সংস্কারে হস্তক্ষেপ করিজে, পারে নাই। মসজিদটী দিন দিন ধ্বংসমুখে পতিত হইতেছে। কুতুব শাহী মসজিদ –এখানে আর একট আধুনিক মসূজিদও আছে। উছার নাম কুতুব-শাহী-মসজিদ । ১১৪• হিজিরায় ( ১৭২৭-২৮ খৃষ্টাবো ) উহা সুরবংশীয় মুঞ্জ। খার পুত্র ফতে খং কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হয়। এইবার বড় পেড়ে। বা হজরত পাণ্ডুয়ার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা যাইতেছে । হজরত পাণ্ডুয়া মালদহ জেলায় ; প্রাচীন বাঙ্গালী রাজধানী গোড়নগরীর ধ্বংসাবশিষ্ট জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত । ইহ গৌড়নগরের ধ্বংসাবশেষ হইতে ১০ ক্রোশ ও মালদহ নগর হইতে ৩ ক্রোশ দূরে উত্তরপূর্বদিকে অবস্থিত। অবশু গৌড়ের শুtয় ইহা ততটা বিখ্যাত নছে ; কিন্তু এক সময়ে মুসলমানশাসকদিগের অধীনে রাজধানী কখন গৌড়ে, কখন পাণ্ডুয়ায়, কখন তাড়ায় স্থাপিত হইত বলিয়া এখানে অনেক ঐতিহাসিক ব্যাপার ঘটিয়াছে, অনেক দুর্গপ্রাসাদদির ভগ্নাবশেষ আছে । মালদহ জেলার এই অংশ ও ইহার পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ভূভাগ মহাস্থানগড় প্রভৃতি স্থান ঐতিহাসিক অমুসন্ধিৎসুর নিকট বড় প্রয়োজনীয়। দুঃখের বিষয় ইংরাজী মানচিত্রে গৌড় জঙ্গলের স্থান নির্দিষ্ট আছে ; কিন্তু পাণ্ডুয়ার স্থান নির্দিষ্ট নাই। পূৰ্ব্বোজ হুগলীঞ্জেলায় পেড়ে। গ্রামের সহিত বাঙ্গালার এক সময়ের রাজধানী এই পাণ্ডুয়। নগরীর গোলমাল