পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতঞ্জলদর্শন [ ১৮৯ ] পাতঞ্জলদর্শন থাকায় সম্প্রজ্ঞাত সমাধি আবার চারি ভাগে বিভক্ত | হইয়াছে । ভাব্যপদার্থের বল্পষ্ট জ্ঞান থাকে বলিয়া প্রথমোক্ত সমাধির নামু সম্প্রজ্ঞাত। আর কোন প্রকার বৃত্তি বা জ্ঞান | থাকে না বলিয়া শেষোক্ত সমাধির নাম অসম্প্রজ্ঞাত । { সমাধি দেখ । ] | অসম্প্রজ্ঞাত সমাধিই নিৰীজ সমাধি, সম্প্রজ্ঞাত তাদৃশ নহে । সম্প্রজ্ঞাত সমাধিও দুই প্রকার, বিদেহ-লয় ও প্রকৃতি-লয় । | | যাহার। মুমুক্ষু, তাহার। ইহার কোনরূপই ইচ্ছা করেন না । র্যাহারা বিদেহলয় ও প্রকৃতি লয় নহেন, অর্থাৎ যাহারা কৈবল্যাভিলাষী, তাছাদের ক্রমে শ্রদ্ধা, বীৰ্য্য, স্মৃতি, প্রজ্ঞা ও সমাধি জন্মে। প্রথমতঃ তাহীদের যোগের প্রতি আত্মতত্ত্ব সাক্ষাৎকারের প্রতি শ্রদ্ধা, পরে বীর্য্য, তৎপরে স্মৃতি, অনন্তর একাওতে, পশ্চাৎ তদ্বিষয়ক প্রজ্ঞ এবং প্রজ্ঞtলাভের পরেই তাহাদের উৎকৃষ্টতম সমাধি জন্মে, তাহ হইতেই তাছার প্রকৃতিনিমুক্তিতা বা কৈবল্য লাভ করেন । কাৰ্য্যপ্রবৃত্তির মূলীভূত সংস্কার বিশেষের নাম সম্বেগ। সেই সম্বেগ যাহাদের তীব্র, তাহাধের শীঘ্রই সমাধি লাভ হয় । মহর্ধি পতঞ্জলি সমাধিলাভের একটা সুগম উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন । তাহা একমাত্র ঈশ্বরোপাসনা । t ঈশ্বর ও ঈশ্বরোপীসম । ঈশ্বরোপাসনা করিতে হইলে কায়িক, বাচিক ও মানসিক সকল ব্যাপারই ঈশ্বরের অধীন জ্ঞান করিবে। যখন যে কাৰ্য্য করিবে, ফলের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া সুখের অনুসন্ধান না করিয়া সমস্ত কাৰ্য্যই সেই পরম গুরু পরমেশ্বরে অর্পণ করিবে। সকল সময়েই কেবল র্তাহাকে ধ্যান করিবে । অকপট ও পুলকিত হইয়া অনবরত ঐক্রপ করিলে ঈশ্বরোপাসনা সিদ্ধ হইবে। তখন জানিবে যে অভিলষিত সিদ্ধির আর অধিক বিলম্ব নাই। ঈশ্বর কি ? তাহা কথঞ্চিৎ বোধগম্য না হইলে তৎপ্রতি বিশিষ্ট ভক্তি জন্মিবীর সস্তাবনা নাই । সেইজন্তু ভগবান পতঞ্জলি ঈশ্বরের লক্ষণ এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেল,—ক্লেশ, কৰ্ম্ম, বিপাক ও আশয় যাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না, নিখিল সংসারী আত্মা ও মুক্তাত্ম হইতে যিনি পৃথকৃ বা স্বতন্ত্র, তিনিই ঈশ্বর । [ ঈশ্বর দেখ। ] এই পরমেশ্বর নিত্য, নিরতিশয়, অনাদি ও অনন্ত । তাহাতে নিরতিশয় জ্ঞান থাকায় তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ, অর্থাৎ তাহাতে সৰ্ব্বজ্ঞতার অনুমাপক পরিপূর্ণ জ্ঞানশক্তি বিদ্যমান আছে, অন্ত আত্মার তাহা নাই। যেমন অল্পতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত পরমাণু, আর বৃহত্বের শেষ সীমা আকাশ, সেইরূপ জ্ঞানশক্তির অল্পতার পরাকাষ্ঠী ক্ষুদ্রজীব, আর তাহার আতিশয্যের পরাকাষ্ঠ ঈশ্বর। তিনি XI 8b" পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব স্বষ্টিকৰ্ত্তাদিগেরও গুরু অর্থাৎ উপদেষ্ট । কোন কালের দ্বারা তিনি পরিচ্ছিন্ন নহেন, সকল কালেই তাহার বিদ্যমানত আছে । তাহার বাচক শব্দ প্রণব, সেই প্রণব মন্ত্রের জপ ও তাহার অর্থ ধ্যান করাই তাছার উপাসনা। সৰ্ব্বদ এণবজপ ও প্রণবার্থ ধ্যান করিতে করিতে চিত্ত যখন নিৰ্ম্মল হইয়া আসে, তখন তাহার প্রত্যক্ চৈতষ্ঠের জ্ঞান অর্থাৎ শরীরাস্তর্গত আত্মসম্বন্ধীয় যথার্থ জ্ঞান জন্মে। তখন আর কোন ৰিমুই থাকে না। নিধিয়ে সমাধি লাভ হয় । সমাধির বিশ্ন । অযোগী অবস্থায় ( বিষয়তোগাবস্থায় ) যথার্থ আত্মজ্ঞান ও সমাধি লাভ ন হইবার যে কারণ আছে, তাহার নাম বিম । বিম্ব অনেক, কিন্তু এই কয়ট বিস্নই প্রধান । যথা—ব্যাধি, স্ত্যাম, ংশয়, প্রমাদ, আtলস্ত, অবিরতি, ভ্রাস্তিদর্শন, জলন্ধ-ভূমিকত্ব ও অনবস্থিতত্ব । ধাতুবৈষম্য নিমিত্ত জরাদিকে ব্যাধি, অকপণ্যতাকে স্ত্যান, যোগ করা যায় কিম ইত্যাদি সমোহকে সংশয়, অনবধানতাকে প্রমাণ, যোগসাধনে ঔদাসীন্তকে জালস্ত, যোগে প্রবৃত্তির অভাবের হেতুভূত চিত্তের গুরুত্বকে অবিরতি, যোগােঙ্গ ভ্রাস্তিতে ভ্রাস্তিদর্শন, সমাধি ভূমির অপ্রাপ্তিকে অলব্ধভূমি তি, এবং সমাধিতে চিত্তের অস্থ্যৈকে অনবস্থিতিত্ব কহে । রজোভাস্ক অস্থিরতা বা চলচ্চিত্তত যোগ বা সমাধির প্রবল বিঘ্ন । চিত্ব স্থির না হইবার আরও কারণ আছে। দুঃখ, দেীর্ণনস্ত, মঙ্গকম্পন, শ্বাস, প্রশ্বাস এগুলিও বিক্ষেপের জনক এবং সমাধির প্রবল বিঘ্ন । (5 | ঐ সকল বিঘ্ন নিবারণের জন্তু একতর অভ্যাস করিবে । ধ্যানের সময় মম যেন অদ্যদিকে না যায়, সেই বস্তুতেই যেন স্থির থাকে। ইহা ভিন্ন আরও এক উপায় আছে, যথা—সুখ, দুঃখ, পুণ্য ও পাপ বিষয়ে যথাক্রমে মৈত্রী, করুণ, মুদিত ও উপেক্ষ ভাবনা করিবে। কেননা ইহা দ্বারাই চিত্তের প্রসন্নত। জন্মে। একাগ্রতা শিক্ষার পুৰ্ব্বে প্রথমে চিত্ত পরিষ্কার করিতে হয় । অপরিস্কৃত বা মলিন চিত্ত সূক্ষ্ম বস্ত গ্রহণে অসমর্থ হইয়া ইতস্ততঃ পিগি গু হয়, স্থির বা সমাহিত হয় না। এইঞ্জস্য পরের সুখ, দুঃখ, পুণ্য ও পাপের প্রতি মৈত্রী করুণ, মুদিত ও উপেক্ষা করাই শ্রেয়ঃ । পরের মুখ দেখিলে মুখী হইও, ঈৰ্ষা করিও না, পরের মুখে মুণী হষ্টতে অত্যাস করিলে ঈর্ষামল বিদূরিত হয়। পরের দুঃখে দুঃখী ষ্টতে শিখিলে বিদ্বেষমল বা পরাপকায়চিকীর্ষ থাকে না । গরের পুণ্যে হৃষ্ট হইলে অসুয়াল তিরোহিত হয়। এইজন্ত মুণিতের