পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতাল - s ఫి రి తి | পাতাল পাতালের বিষয় দেবীভাগবতে লিখিত আছে,--অস্তরীগের অধোদেশে পৃথিবী শতযোজন, এই পৃথিবীর মধেtদিকে সপ্ত বিবর আছে, ইহাদিগকে পাতাল কহে । ইহাদের প্রত্যেকের আয়াম ও উচ্ছায় অযুত যোজন । এই সকল স্থানে সকল ঋতুতেই সকল প্রকার মুখভোগ করিতে পারা যায়। ইহাদের প্রথম অতল, দ্বিতীয় বিতল, তৃতীয় মুতল, চতুর্থ তলাতল, পঞ্চম মহাতল, ষষ্ঠ রসাতল ও সপ্তম পাতাল । এই সকল পাত{ল বিলস্বর্গ নামে অভিহিত এবং স্বর্গ অপেক্ষণ ও সমধিক মুখ প্ৰদ। ইহা কাম, ভোগ, ঐশ্বৰ্য্য ও মুখসমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ। এখানে বলশালী দৈত্য, দানব ও সৰ্পগণ পুত্ৰকলত্রাদির সহিত অবস্থান করিতেছে । ইহারা সকলেই মায়াবী এবং সকলেই অপ্রতিহত-সংকল্প ও বাসনাবিশিষ্ট । সকলেই এখানে সৰ্ব্বদা হৰ্ষভোগ সহকারে বাস এবং সকল ঋতুতেই মুগাম্ভব করিয়া থাকে। মায়ার অধীশ্বর ময়দানব এই সকল বিবরে ইচ্ছানুসারে নানাবিধ পুরী, মণিরত্নে সুশোভিত সহস্ৰ সহস্ৰ বিচিত্র বাসগৃহ, অট্রলিক এবং গোপুর সকল নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। এইস্থান বিবিধ বৃত্রিম ভূবিভাগে সমাকীর্ণ ও বিবরপতিগণের উৎকৃঃ গৃহপরম্পরায় অলঙ্কত। পাতালসমূহের জলরাশি নানা জাতীয় বিহঙ্গ বর্গে বিমণ্ডিত, হ্রদ সকল স্বচ্ছ সলিলে পরিপূর্ণ এবং পাঠনমৎস্তগণে সমলস্কৃত। সকল প্রকারেই এইস্থান পরম রমণীয়। দিন ব! রাত্রি কোন কালেই তথtয় কোন প্রকার ভয়ের সম্ভাবনা নাই। সৰ্পগণের শিরোমণির আলোক প্রভায় কোন সময়েই অন্ধকার নাই । এইখানে অধিব্যাধি নাই। অধিক কি, বলীপলিত, জার, জীর্ণত, বিবর্ণত। প্রভৃতি বয়োবস্থা এখানকার অধিবাসী দিগকে কোনরূপ ক্লেশ প্রদান করিতে সমর্থ হয় না । তেল ও সুদর্শনচক্র এই উভয় ভিন্ন অন্য কিছু হইতে তাহদের মৃত্যুভয় নাই । কারণ ভগবানের তেজ প্রবিষ্ট হইলে তয় বশতঃ তাহীদের রমণীগণের প্রায়ই গর্ভপাত হইয়া থাকে । অতল পাতালে ময়পুর বল অবস্থিত, ইনি সমুদttয় ৯৬ প্রকার মায় স্বষ্টি করিয়াছেন । ইহা দ্বার সকলপ্রকার প্রয়োজন বা অভীষ্টই সাধিত হইয় থাকে। মায়াধী সকল ইহার কোন না কোন মায় অবলম্বন করিয়া থাকে। এই পরম মায়াবী বল জুস্তাত্যাগ করিলে পর সব যেইনস্ত: পঠাতে সিদ্ধৈদেবদেবর্ধিপুজি": । যহৈম। সকল পৃথ্বী ফণামণিশিখারণ ॥ অস্তে কুকুমমলের কস্তদ্বীর্যং বদিষ্যতি | যদা বিজুস্ততেহনস্তে। মাধুণিতলোচনঃ | তদ। চলতি ভুর্যে। সত্রিতোয়ন্ধিক মন ॥" (বিষ্ণুপুরাণ ২। অঃ ) এখানে একমাত্র ভগবানের | লোক মোহজনক ত্ৰিবিধ রমণী সমুৎপন্ন হইয়াছিল । ইহার পুংশ্চলী, স্বৈরণী ও কামিনী নামে বিখ্যাত। কোন পুরুষ হইলে এই সকল কামিনী পুরুষদিগকে প্রলোভিত করিয়া সমাকুরূপ আলাপ ও বিভ্ৰমাদির সাহচর্য্যেa"তীয় মনঃপ্রীতি সমাধান করে । এইরূপে হাটক রস,উপযোগ করিলে লোকে বারংবার মনে করিয়া থাকে দে, আমি স্বয়ং ঈশ্বর হইয়াছি, সিদ্ধ হইয়াছি এবং আপনাকে ঐশ্বৰ্য্যবিশিষ্ট জ্ঞান করিয়া বারংবার ঐরূপ বলিতে থাকে। দ্বিতীয় বিবরের বিতল নাম। বিতল ভূতলের অধোদেশে প্রতিষ্ঠিত । সৰ্ব্বদেবপূজিত ভগবান্ ভব হাটকেশ্বর নাম গ্রহণ করিয়া স্বকীয় পার্ষদগণে পরিবৃত হইয়া প্রজাপতি ব্ৰহ্মার স্বষ্টির সবিশেষ সম্বৰ্দ্ধনাৰ্থ ভবানীর সহিত মিথুনীভূত হইয়া তথায় বিরাজ করিতেছেন। তঁহীদের উভয়ের বীর্য্যসস্তৃত হাটকী নদী তথায় প্রবাহিত হইতেছে। এই নদী হইতে হাটক নামক সুবর্ণ আবিষ্কৃত হয় । দৈত্যরমণীগণ এই সুবর্ণ যত্নসহকারে ধারণ করিয়া থাকে । বিতলের অধোদেশে মুতল প্রতিষ্ঠিত আছে। ইহt অন্তান্ত বিবরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। বৈরোচন বলি এই সুতলে বাস করেন। বলি সুতলের অধিপতি পদে প্রতিষ্ঠিত। এই মুতল সকল প্রকার মুখসমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ। ইহার ঐশ্বর্য্যের কথা অধিক কি বলিব, স্বয়ং ভগবান হরি এই বলির দ্বার রক্ষা করিতেছেন। কোন সময়ে রাজা রাবণ দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়৷ এই সুতলে প্রবেশ করিলে ভগবান হরি ভক্তের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়া পাদাঙ্গুষ্ঠ দ্বারা অযুত যোজন অস্তরে রাবণকে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । বলি বাসুদেবের প্রসাদে সুতল রাজ্যের রাজপদে প্রতিষ্ঠিত আছেন । এই সুতলের সাধোবৰ্ত্ত বিবরের নাম তলাতল । ত্রিপুরধিপতি দানবেন্দ্র ময় ইহার ত্যাধিপত্যে নিযুক্ত অtছেন । মহtদেব ইহার পুরত্রয় দগ্ধ করিয়া পরিশেষে ইহার ভক্তিতে বশীভূত হইয়। ইহাকে রক্ষা করেন। এই ময় মায়াবীদিগের আচাৰ্য্য এবং বিবিধ মায়াবিশারদ । ভয়ঙ্কর প্রকৃতি নিশাচরনিক র সৰ্ব্ববিধ কার্য। সমুদ্ধির নিমিত্ত ইহার উপাসনা করিয়া থাকে । এই তলাতলের পর পরম বিখ্যাত রসাতল । এখানে ক্ৰোধপরবশ কদ্রুর অপত্য সপসকল বাস করিয়া থাকে । ইহারা সকলেই বহুমস্তকবিশিষ্ট । ইহাঁদের মধ্যে কুহক, তক্ষক, সুষেণ ও কালিয় প্রধান। ইহার সততই গরুড়ের ভয়ে উদ্বিগ্ন । এই সকল নাগগণ স্ব স্ব পুত্রকলত্রাদিপরিবৃত হইয়া সুখে বিহার করিয়া থাকে । মহাতলের অধোপর্তী বিবরের নাম রসাতল। দৈত্য, দানব