পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 어f어 - - -- মানবগণ যদি একবার পাপ করিয়া পুনরায় পাপে প্রবৃত্ত ন হয়, তাহা হইলে সে তপস্ত যজ্ঞ ও দানদ্বারা সেই পূৰ্ব্বকৃত পাপ হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে। পাপ অমুষ্ঠিত হইলে দৃষ্টান্ত, শাস্ত্র, যুক্তি ও প্রজাপতিনির্দিষ্ট বিধি অনুসারে প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইবে । যে ব্রাহ্মণ অহিংস্র, মিতভাধী ও পরিমিতভোজী হইয়া পবিত্রস্থানে গtয়ত্ৰী জপ করেন, তাহার সকল পাপ ধবংস হয় । দ্বিজগণ দিবসে অনাবৃতস্থলে উপবেশন, রজনীযোগে তথায় নিদ্রাসেবন, দিবসে তিনবার ও রজনীতে তিনবার বস্ত্র পরিধানপুৰ্ব্বক স্নান এবং স্ত্রী, শূদ্র ও পতিত ব্যক্তির সহিত আলাপ পরিত্যাগ করিলে অজ্ঞানকৃত পাপ হইতে মুক্তিলাভ করেন। যিনি অতিরিক্ত পাপ বা পুণ্য অনুষ্ঠান করেন, তাহাকে তাহার অতিরিক্ত ফলভোগ করিতে হয় । লোকে পাপকাৰ্য্য হইতে বিরত হইয়া শুভকার্য্যের অম্বষ্ঠান ও নিত্য ধন দান করিলে নিষ্পাপ হইতে পারে। মহাপাতক ভিন্ন সকল পাপেরই প্রায়শ্চিত্ত মাছে । অস্তান্ত ভক্ষ্যাভক্ষ্য ও বাচ্যাবাচ্য বিষয়ে জ্ঞানকৃত ও অজ্ঞানকৃত এই দুই প্রকার পাপ আছে, জ্ঞানকৃত পাপ গুরু ও অজ্ঞানকৃত পাপ লঘু। আস্তিক ও শ্রদ্ধাম্বিত ব্যক্তির বিধিপূৰ্ব্বক প্রায়শ্চিত্ত করিলেই পাপ হইতে মুক্ত হইতে পারেন । [ প্রায়শ্চিত্তের বিষয় প্রায়শ্চিত্ত শব্দে দেখ। ] ( ভারত শান্তিপৰ্ব্ব রাজধৰ্ম্মানুশাসন ৩৪, ৩৫ অঃ ) তৎপরে দানধৰ্ম্ম পৰ্ব্বাধ্যায়ে লিখিত অাছে, — পাপ দশবিধ—প্রাণীহত্য, চৌর্য্য ও পরদার এই তিনপ্রকার পাপ কায়িক এবং অসৎ প্ৰলাপ, পারুষা, পৈশুন্ত এবং মিথ্যা বাক্য কথন এই চারি প্রকার বাচিক পাপ, পর ধনে চিন্তা, সৰ্ব্বজীবে দয়াশূন্তত এবং কৰ্ম্মের ফল হউক, এইরূপ চিন্তা এই ত্ৰিবিধ মানসিক পাপ । ( মহাভারত ) বরাহপুরাণের মথুরামাহীত্ম্যে লিখিত আছে, অন্যস্থলে পাপ করিলে তীর্থে তাহ প্রশমিত হয় এবং তীর্থস্থলে যে পাপ করা হয়, তাহী বজলেপ হইয়া থাকে। কিন্তু মথুরাপুরীতে পাপ করিলে যথুরাতেই তাহ নিরাকৃত হয়। মহাপুণ্যপ্রদা এই পুরীতে কাহারও পাপ থাকে না। “অন্যত্র হি কৃতং পাপং তীর্থমাসাদ্য গচ্ছতি । তীর্থে তু যৎকৃতং পাপং বঞ্জলেপো ভবিষ্যতি ॥ মথুরায়াং কৃতং পাপং তত্রৈব চ বিনগুতি। এষ। পুরী মহাপুণ্য যস্তাং পাপং ন বিস্তুতে ॥” (মথুরামাহাত্ম্য) মনুসংহিতায় লিখিত আছে—পাপ অতিপাতক, মহাপাতক ও অনুপাতক ভেদে বিভিন্ন প্রকার, ইহার মধ্যে অতি পাতকই বিশেষ গুরুতয় । [ २२t' ] 에어 -جسيrar.aة পাপের সাধারণ লক্ষণ এইরূপ নির্দেশ করা যাইতে পারে, শাস্ত্রবিহিত কৰ্ম্ম না করা এবং নিপিাত্ত কৰ্ম্মের সেবন ও ইঞ্জিয়বিষয়ে অত্যন্ত আসক্ত হওয়ার নামই পাপ । পাপের ফল অনভূদয় । এই জন্য পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয়। পাপের নিস্কৃতি ন হইলে নন্দনীয় লক্ষণযুক্ত হইয়া জন্মগ্রহণ করিতে হয়। ব্ৰহ্মহত্য, সুরাপান, ব্রাহ্মণের সুবর্ণহরণ, বিমাতৃগমন এবং এই সকল পাপকারী ব্যক্তির সহিত ক্রমিক একবৎসর সংসর্গে যে পাপ হয়, তাছা মহাপাতক নামে খ্যাত। আপনার জাত্যুৎকর্ষ জানাইবার জন্য মিথ্যাভাষণ, রাজার নিকটে মপরের মৃত্যুজনক দোষোঘাটন এবং গুরুসম্বন্ধে অলীককথন, এই সকলও ব্রহ্মহত্যার সমান পাপ, অনভ্যাস হেতু ব্রাহ্মণের বেদবিস্মরণ, বেদনিন্দ, সাক্ষ্যস্থলে মিথ্যাকথন, মিত্রবধ, লণ্ডন ও পলাণ্ডু প্রভৃতি গৰ্হিত এবং বিষ্টামুরাদি অখাদ্য দ্রব্যের ভোজন এই ভট স্বরাপানের তুল্য পাপ, গচ্ছিত বৰ্বর অপহরণ, অশ্ব, রূপা, ভূমি, হীরক ও মণির অপহরণ, এই সকল সুবর্ণ চৌর্যের সমান পাপ ; সহোদর ভগিনী, কুমারী, চণ্ডালী, সখী বা পুত্রবধূতে রেতঃসেক গুরুপত্নীগমনের তুল্য পাপ । গোঁহত্য, অযাজ্যযাজন, পরস্ত্রীগমন, আত্মবিক্রয়, পিতা মাতা ও গুরুত্যাগ, স্বাধ্যায় ও স্মাৰ্ত্তাগ্নিত্যাগ, সুতত্যাগ অর্থাৎ পুত্রের জাতকৰ্ম্মাদি সংস্কার না করা, জ্যেষ্ঠ অকৃতদার থাকিতে কনিষ্ঠের বিবাহ, অরজম্বা কন্যাদুষণ, বৃদ্ধিদ্বারা জীবিক, ব্ৰহ্মচারীর স্ত্রীসম্ভোগ, পবিত্র তড়াগ উদ্যান অথবা স্ত্রী বা পুত্র বিক্রয়, ষোড়শবর্ষ অতীত হইলেও উপনয়ন না হওয়া, পিতৃব্য প্রভৃতি বান্ধপত্যাগ, বেতন গ্রহণ করিয়া বেদাধ্যয়ন, বেতনগ্রাহী অধ্যাপকের নিকট বেদাধ্যয়ন এবং অবিক্রেয় বস্তুর বিক্রয়, রাজাজ্ঞায় সুবর্ণাদি খনিতে কাৰ্য্য এবং বৃহৎ সেতু প্রভৃতিতে কাজ, ওষধি নষ্ট করা, ভাৰ্য্যাদির জারযোগ করিয়া জীবিক, শুেনাদি অভিচারিক যোগ বা মন্ত্রাদি দ্বারা নিরপরাধীর অনিষ্টকরণ, জালানি কাষ্ঠের জন্য অশুদ্ধ বৃক্ষচ্ছেদন, দেবপিত্রাদির উদ্দেশে নয় কেবল আপনার জন্য পাক যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান, অগ্ন্যtধানের অকরণ, সুবর্ণ ব্যতীত অপর দ্রব্যের চুরি, দেব, পিতৃ ও ঋষি প্রভৃতি ঋণের অপরিশোধ, শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধ অসৎশাস্ত্রের আলোচনা, নৃত্য, গীত ও বাদিত্রোপসেবন, ধান্য, তাম্র ও লৌহাদি ধাতু এবং পশুচৌৰ্য, মস্তপানকারিণী স্ত্রীগমন, স্ত্রীহত্য, বৈশু ও শূদ্রহত্য, ও নাস্তিকত। এই সকল পাপকে উপপাতক কহে । দগুদি দ্বারা ব্রাহ্মণপীড়ন, অতিশয় দুর্গন্ধ লণ্ডন পুরীযদি এবং মদ্যের আম্রাণ, কৌটিল্য বা পুরুষমৈথুন এই সকল পাপ জাতিভ্রংশকর। গর্দভ, অশ্ব, উঃ, মৃগ, হস্তী, ছাগ, মেষ, মৎস্ত, সর্প • মহিষের