পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ [ ২৩ ] পর্তুগীজ নিৰ্ম্মাণের আয়োজন করিলেম । মার্টিন্থ “অফিঞ্চে নামে প্তাহার এক পোতাধ্যক্ষ প্রতিকুলবাত্যায় নাগমলয়ে আসিয়৷ পড়েন, এখানে তিনি এক বৃহৎ পোতে উঠিয়া বাঙ্গালীয় চাকুরিয়া নামে এক পল্লীতে উপস্থিত হন। এখানে সকলেই ৰঙ্গাধিপের ক্রীতদাস হুইয়া পড়িলেন । ইহার পর লোপো মলবার-কুলবর্তী পুরকাড় আক্রমণপূর্বক তথাকার সমস্ত অধিবাসীকে অতি ঘৃণিতভাবে বিনাশ করিয়া রাণীকে বন্দী করিলেন । এই সময় চেউলের শাসনকৰ্ত্ত নিজাম উল-মুলকের সহিত কাম্বেয়াজের যুদ্ধ বাধে। পর্তুগীজের কাম্বেরাজকে সাহায্য করিলেও নিজাম উলমুলুক জয়লাভ করেন, ইহাতে পর্তুগীজদিগেরও অনেক ক্ষতি হইয়াছিল। বহু চেষ্টার পর পাওঁ,গীজের চেউল অধিকার করিল বটে, কিন্তু তাহীদের অাশার স্থল দীউ দ্বীপ অধিকার করিতে পারিল না। লোপে-বাজের দিন ফুরাইয়া আসিল । পৰ্ত্ত গালরাজ নানা-দা-কাল্হাকে পাঠাইলেন । ১৫২৯ খৃষ্টাব্দে অক্টোবর মাসে, নানা-দা-কান্‌ছ কোচিনে আসিয়া রাজপ্রতিনিধি ও শাসনকৰ্ত্ত হইলেন। পরে কল্পনুরে জাসিয়া তিনি লোপেীবাজকে বন্দী করিয়া পর্তুগালে প্রেরণ করিলেন। বর্ণী হইবার সময় লোপো-বাজ বলিয়াছিলেন, “নানা-দা-কানুহকে বলিও, জামাকে তিনি যেমন বন্দী করিলেন, আর একজন অলিয়া তাহাকেও এইরূপে বন্দী করিবেন।” তদন্তরে নানা বলিয়া পাঠাইলেন, "লোপে-বাজ বন্দী হইবার যোগা, কিন্তু আমি যোগ্য নহি ।” লোপে পর্ভ গীজ-রাজকোষ হইতে ইচ্ছামত অর্থ গ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয় তাহার শেষে ঐ দুর্দশা হইল। তাহার সময়েই গোয়ায় রীতিমত রাজস্বের বন্দোবস্ত হইয়াছিল। ত্রিশখানি গ্রাম লইয়া গোয়া-প্রদেশ গঠিত, তাই পুৰ্ব্বে এই স্থান “ত্রিশবাড়ী’ বা ‘ত্ৰিশোয়ারী’ নামে খ্যাত ছিল । প্রতিগ্রামের রাজস্ব আদায়ের জন্ত একএকজন 'গ্ৰামকার’ বা ‘গামকর’ নিযুক্ত হইয়াছিল । এই গtযকরদিগকে প্রতিবর্ষে একবার করিয়া পর্তুগীজ থানাদারের নিকট উপস্থিত হইতে হইত। থানাদার প্রতিগ্রামে কর নির্দেশ করিয়া দিতেন। গমিকরের তদনুসারে গ্রামবাসীর নিকট হইতে রাজস্ব আদায় করিত । কর আদায় করিতে না পারিলে তাহার যথাসৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া লওয়া হইত । নানো-দা-কানহায় শাসন । নানো-দা-কানহার প্রধান উদ্দেশু ছিল, দাউ দ্বীপ অধি কর আদায় দিবার জন্ত গামকর দাদী। 1, কায় । কিন্তু তিনি শীঘ্ৰ আয়োজন করিতে- পাঙ্গিলেন না। ১৫০ খৃষ্টাৰে তাহার চেষ্টায় মঙ্গলুরের নিকট ছাতিম, স্বরতিবন্দর, অগাসি নগর ও সিয়ালুবেটু-দ্বীপ প্রভৃতি স্থান আক্রান্ত, পর্তুগীজদিগের হাতে দগ্ধ ও বিলুষ্ঠিত হইয়াছিল। ১৫৩১ খৃষ্টাব্দে উtহার আদেশে বহুসংখ্যক পর্ভ গীজ সৈন্ত দীউ অধিকারে গিয়াছিল। এই সময় পর্তুগীজ নেীযোদ্ধ বর্গ মহবাদ্বীপ এবং বোগোবনার, বলেশ্বর, তারাপুর, মহিম্, কেলবী, অগাসি ও স্বরাত প্রভৃতি (গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের অস্তবৰ্ত্তা) অনেক স্থান লুণ্ঠন ও অগ্নিকাণ্ড দ্বারা উৎসন্ন করি, বার চেষ্টা করিয়াছিল। তৎপরে পর্তুগীজের চেউলের রাজার অনুমতি লইয়া তথায় এক দুর্ভেদ্য হর্গ ও কএকট গির্জ নিৰ্ম্মাণ করে। এই সময় পুনরায় পর্তুগীজের পত্তন, মঙ্গলুর প্রভৃতি কএকটী স্থান লুট ও দগ্ধ করিয়াছিল। অতঃপর ১২ খানি যুদ্ধ জাহাজ লইয়া পর্তুগীজের দমনজুর্গ ধ্বংস করিতে গিয়াছিল, কিন্তু তাঁহাতে কৃতকাৰ্য্য ন হইরা বসাই ছইতে তারাপুর পর্য্যস্ত সমুদয় নগরে অগ্নিপ্রদান করিয়া লোমহর্ষণ কাও ঘটাইয়াছিল এবং ঠান, বন্দর, মহিম ও বোম্বাই প্রভৃতি স্থান পর্তুগালরাজের অধীনতা স্বীকার করিল ও কর দিতে বাধ্য হইল । থানাদার ও দুর্গাধ্যক্ষেরা আপনাদের ইচ্ছামত কাৰ্য্য করিতেন, তাহাতে মধ্যে মধ্যে রাজকোষের অপব্যয়, রাজস্ব আদায় হ্রাস, নানা অত্যাচার ও রাজপুরুষগণের উদর পূরণ इहेछ । ७४न नांना-मां-कांन्श eहे निब्रय कब्रिष्णन, cष দুর্গাধ্যক্ষেরা পর্তুগীজরাঙ্গ-প্রতিনিধির নিকট প্রতিজ্ঞাপাশে আবদ্ধ হইয়৷ তদনুসারে কার্য্য করিবেন। অতঃপর মোগলের কাম্বে অধিকার করিবার চেষ্টা করে । কাৰেপতি ভীত হইরা পর্তুগীজদিগের আশ্রয় লইতে বাধ্য হইলেন। পর্তুগীজেরাও স্ববিধ পাইয়। কাম্বেবক্ষে গিয়া অtড করিল। ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দে ২১এ সেপ্টেম্বর, পোতাধ্যক্ষ মাটিম আফন্সে ও নানা-দা-কান্‌হার প্রধান পরিচারক সিমাও ফেরিরার যত্নে দীউ-অধিপতি পর্তুগীজদিগের সহিত সন্ধি করিলেন। পর্তুগীজের দাউ-দ্বীপে দুর্গ-নিৰ্ম্মাণের অমুমতি পাইলেন ; তাহীদের বহুদিনের আশা সফল হইল । এই সময় দিওগো বোটেলহো নামে এক পর্তুগীজ যেরূপ সাহসের পরিচয় দিয়াছিল, তাহা উল্লেখযোগ্য। আমরা মনসার ভাসানে পড়িয়াছি, বেহুলা নথিনারকে লইয়া কলার মাপালে ভাসিয়া কত মহানদী উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন, এখন আমরা দেখিতেছি, একখানি ১১ হাত লম্ব জেলেডিঙ্গি লইয়া বোটেলছে দীউ হইতে