পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাশ্বনাথ জিতের অভিপ্রায় জানিয়া পুত্র পাশ্বনাথকে বিবাহ করিবার কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। পাশ্বনাথ সংসারের অনিত্যতা বুৰিয়া বিবাহ করিতে প্রথমে অসন্মত হন ; কিন্তু পরে পিতার প্রবেtধনায় স্বীকৃত হইলেন। রাজা অশ্বসেন শুভলগ্নে পববাহ দিন স্থির করিয়া মহা সমারোহে প্রভাবতীর সহিত স্বীয় পুত্রের বিবাহ দিলেন। বিবাহ উপলক্ষে প্রভূত পরিমাণে ধন দ্বান করিয়া অভ্যাগত জনসমুহেকে পরম আপ্যায়িত করিলেন। অনন্তর কিছু দিন অতীত হইলে পার্শ্বনাথ একদিন সোধোপরি থাকিয়া বাতায়নসাহায্যে কাশীপুরীর দিকে দৃষ্টি করিলেন, দেখিলেন, পুরবাসীরা নানাবিধ পুজোপকরণ লইয়া গমন করিতেছে । পাশ্বনাথ বণিকদিগকে পুরীর আকস্মিক মহোৎসব ও লোকগমনের কারণ জিজ্ঞাসা কয়ায় তাহীদের মধ্যে একজন বলিল, প্রভো , এই পুরীতে কঠ নামক জনৈক ব্যক্তি পঞ্চায়ি-দ্বারা তপস্যা করিতেছে, তাহীকে সেবা করিবার জন্যই এই জনসমুদায় গমন করিতেছে । এই কথা শুনিয়া পাশ্বনাথ বড়ই কুতুহলী হইলেন এবং অনুচরগণের সহিত তথtয় উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, সত্য সত্যই এক ব্যক্তি পঞ্চায়িদ্বার তপস্যা করিতেছে । কিছুকাল পরে জ্ঞানী পার্শ্বনাথ বহ্নিকুণ্ড মধ্যে একটী মহাসপকে দহমান দেখিয়া দয়াকুলহৃদয়ে বলিতে লাগিলেন, “আহে। কি অজ্ঞান ! দয়াধীন ধৰ্ম্ম কথন ধৰ্ম্ম হইতে পারে না” ইত্যাদি । তিনি ধৰ্ম্ম ও দয়া সম্বন্ধীয় অনেক কথা বলিত্তে বলিতে তথা হইতে চলিয়া গেলেন । মুখ এবং ভোগবাহুল্যে পাশ্বনাথের অনেক দিন কাটিয়া গেল । পাশ্বনাথ একদিন উদ্যানবাটিক দর্শন করিতে মনন করিয়া ভৃত্যসহ তথায় উপস্থিত হইলেন। উদ্যানপালক উদ্যানের রমণীয় ফলপুষ্পাদিগত প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য সকল পাখনাথকে দেখাইতে লাগিল। পাশ্বনাথ ক্রমে উদ্যানে শোভা দেখিতে দেখিতে উদ্যানস্থ প্রাসাদ মধ্যে উপনীত হইলেন । তথায় প্রাসাদের কোন একটী ভিত্তিদেশে তীর্থঙ্কর নেমিক্স চরিত্ররাশি চিত্রিত দেখিয়া মনোমধ্যে বিবেককে আশ্রয় দিলেন এবং বলিতে লাগিলেন, আছে। এই মহাপুরুষ মেমির সংসার-বৈরাগ্য জগতে অতুলনীয়। অহো ! ইনি এই নবীন বয়সেই সংসারের অনিত্যতা বুঝিতে পারিয়া সমুদায় বিষয় বিমুখ হইয়াছিলেন এবং নিঃসঙ্গভাবে কঠোর ব্রত অবলম্বন করিয়াছিলেন । পাশ্বনাথ মনে মনে নেমির এইরূপ বৈরাগ্যকথা ভাবিতেছেন । এমন সময় ব্ৰহ্মলোক হইতে সারস্বতাদি দেবগণ অসিয়া নমস্কারপূৰ্ব্বক পার্শ্বনাথকে বলিতে লাগিলেন, প্ৰভো! এই জগতের মোহজাল ছেদন করিতে আপনি ভিন্ন আর কেহই সক্ষম নহেন, অতএব ত্রিলোকীর উপকারের নিমিত্ত আপনি তীর্থের প্রব XI ԳՆ, [ ৩০১ ] পাশ্বনাথ প্তন করুন। এই কথা কহিয়া দেবগণ স্বৰ্গে চলিয়া গেলেন । পাখনাথও নিশাগমনে সকল প্রিয়জন পরিত্যাগ করিলেন এবং ংলায়ে আসিয়া দেহিগণ জন্মমরণাদি নানাবিধ কষ্টভোগ कब्रिप्ख्प्श्, कि ७°ाप्य हेशभिन्न अक्षानर्भरु मूङ्ग श्हेब्र যায়, এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে নিশা অতিবাহিত করিলেন । অনন্তর স্বর্য্যোদয়ে প্রভাতকৃত্য সমাধা করিয়া মাত্তাপিতীয় নিকট গমন করিলেন । তিনি মাতাপিতার নিকট স্বীয় দীক্ষার বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়া দরিদ্রদিগকে প্রভুত পরিমাণে ধন বিতরণ করিতে লাগিলেন । র্তাহার ধনবর্ষণে জগতের দারিদ্র্যময় দাবাগ্নি সকল প্রশমিত হইল। এমন কি নবোদ্ভিন্ন তরুলতাচ্ছলে পৃথিবীও যেন পুলকিত হইয় তাহার দানের অভিনন্দন করিতে লাগিলেন। পাশ্বনাথের দীক্ষামহোৎসবে নানাদেশীয় নরপতিগণ মাসিয়া যোগদান করিলেন । নানাবিধ নৃত্য, গীত, বাদ্য ও জয় শব্দে কাশীনগরী পূর্ণ হইয়া উঠিল । তখন পাশ্বস্বামী একটী শিবিকার অtরোহণ করিয়া সংযম করিবার জন্ত প্রতিসহকারে একটী রমণীয় আশ্রমে উপস্থিত হইলেন এবং বিশাখানক্ষত্রযুক্ত পৌষযাসীয় কৃষ্ণ একাদশী তিথিতে মুণ্ডিত হইয়া দীক্ষিত হইলেন । অনস্তর দ্বিতীয় দিবসে কোপকট নামক স্থানে ধন্তের গৃহে উপস্থিত হইলেন । ধন্থ পাশ্বনাথকে গৃহাগত দেখিয়া হর্ষভরে হঠাৎ বিবেকী হইয় উঠিল এবং অtনন্দের সহিত তাহার পায়ণকাৰ্য্য সম্পাদন করিল। পাশ্বনাথ যেখানে বসিয়া পারণ করিলেন, ধষ্ঠ আনন্দিত হইয়। সেই স্থানে পাশ্বনাথের একটী পাদপীঠ সংস্থাপন করিল । পরে পাশ্বনাথ বিবিধ গ্রাম এবং নগরে বিচরণ করিতে লাগিলেন । তিনি ক্রমে ধরিত্রীর স্থায় সৰ্ব্বংসস্থ হইয়া উঠিলেন, শরৎকালীন সলিলের ন্যায় নিৰ্ম্মলতা ধারণ করিলেন, বহ্নির স্থায় তেজস্বী হইলেন, বায়ুর ন্যায় অপ্রতিহতগতি হইলেন এবং আকাশের স্থায় নিরালম্ব হইয়া উঠিলেন । পাশ্বনাথ চরণবিদ্যাসে এই ধরিত্রীকে পবিত্র করিতে লাগিলেন । তিনি কুও নামক সরসীতীরে প্রতিমারূপে অবস্থান করিলেন । পাশ্বনাথ সেইরূপ কিলিকুগুতীর্থ, শিবায়ুরী, কৌশাম্ব ও রাজপুর প্রভৃতি অনেক দেশে ভ্রমণ করিয়া কোথাও পতিতের উদ্ধার করিতে লাগিলেন, কোথাও বা প্রতিমারূপে অবস্থান করিলেন। তিনি রাজপুরে একজন মুনিশপ্ত ব্রাহ্মণকে উদ্ধার করিলেন, স্তত্রত্য চৈত্য কুকুটেশ্বর নামে প্রসিদ্ধ হইল। পরে পাশ্বনাথ সেই পূৰ্ব্বোক্ত কঠের সহিত কৰ্ম্ম-ঋণ হইতে মুক্ত হইলেন, পরে কাশীধামে কোন একটী আশ্রমে উপস্থিত হইল্পী তপস্তার রত হইলেন, তখার ধাতকীবৃক্ষতলে তাহার চতুরশীতি مي