পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- o পালরাজবংশ [ ৩১৩ ] পালরাজবংশ কিন্তু বঙ্গাল হইতে আবিষ্কৃত গরুড়স্তপ্তলিপিতে লিখিত আছে, “শাণ্ডিল্যবংশীয় মন্ত্রী দর্ডপাণির নীতিকৌশলে রাজা দেবপাল রেব হইতে হিমালয় পৰ্য্যস্ত এবং অস্তগিরি হইতে উদয়গিরি বরুণালঙ্গ উভয় সমুদ্র পর্যন্ত সমুদায় রাজ্য করদ করিয়াছিলেন।”১৭ দেবপাল নিজে সৌগত হইলেও ব্রাহ্মণ সাধারণকে বিশেষ ভক্তি শ্রদ্ধা করিতেন । রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণকুলাচার্য হল্লিমিশ্র লিথিয়াছেন— ‘দৈববলে দেবপাল গৌড়রাজ্যে প্রবল রাজা হুইয়াছিলেন। ইনি প্রজ্ঞা, বাক্য, বিৰেক ও শীলবিনয়সম্পন্ন, শুদ্ধাশয় ও শ্ৰীমান ছিলেন, ইহার নিজ কুলধৰ্ম্মেও বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল ’১৮ দেবপালের সময়ে উৎকীর্ণ ঘোষরাবার শিলাফলকে লিখিত আছে,~~উত্তরাপথের নগরহার নামক স্থান হইতে সৰ্ব্বশাস্ত্রবিদ বীরদেবকে দেবপাল যথেষ্ট সম্মান করিয়াছিলেন । বীরদেব পালরাজের অনুগ্রহে বহুদিন যশোবন্মপুরবিহারে বাস করেন । ১৯ প্রত্নতত্ত্ববিদ কনিংহাম উক্ত যশোবর্ণপুর বর্তমান বিহার বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। কিন্তু যেখান হইতে ঐ শিলাফলক খানি পাওয়া গিয়াছে, সেই ঘোষরাধাগ্রামই যশোবন্মপুর বলিয়া বোধ হয়। বাকৃপতির গোঁড়বধকাৰে লিখিত আছে যে, কান্তকুজপতি যশোবর্মদেব গৌড়জয় করিয়া কোন গৌড়পতিকে বিনাশ করিয়াছিলেন। অধিক সম্ভব, সেই যশোবর্শ্বদেবই আপন নামানুসারে নগর স্থাপন করিয়া গৌড়বিজয়কী িরক্ষা করিয়া গিয়াছেন। পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি, জৈনগ্রন্থামুসারে ৮৩৪ খৃষ্টাব্দে যশোবর্মপুত্র আমরাজ ( চক্রায়ুধ ) মগধতীর্থে প্রাণত্যাগ করেন। বীরদেবের শিলালিপিতে “যশোবর্ণপুর’ পবিত্র তীর্থরূপে বর্ণিত হইয়াছে । তাহার সময়ে এখানে বজাসনবিহার নিন্মিত হইয়াছিল ২০ ইহাতে বোধ হয়, দেবপালের রাজত্বকালে আমরাজ পিতৃস্থাপিত যশোবন্ধপুরে ( বর্তমান ঘোষরাবায় ) অথবা জৈনতীর্থ পাবাপুরীতে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। (১৭) “আরেবাঞ্জনকাম্মতঙ্গজমদস্তিম্যজিলাভূৎপতে রাগৌরপিতুরীশ্বরেন্কিরণৈ: পুষাংগিতিমে গিরে । মার্তগুfন্তময়েপারাণজলাঘাবাল্লিরাশিৰয়াসীতারাজ্যভুবং চক্ষার করদ দেযপালোৰূপঃ " (১৮) “গাপালপ্রতিভূভুব; পতিরভূগৌড়ে চ রাষ্ট্রে তত: রাজাইতুং প্রবলঃ সদৈবশয়ণঃ শ্ৰীদেবপালয়তঃ । প্রজ্ঞ।-বাক্যবিবেকশীলবিনয়ৈঃ শুদ্ধাশয়ঃ খুতে। ধৰ্ম্মে চাপ্ত মতিঃ সদৈব রূমতে স ষ্ট্ৰীয় বংশোদ্ভৰে ॥” T TT"T"TF=- ----------- ১ম শুরপাল । মুঙ্গের হইতে প্রাপ্ত দেবপালের তাম্রশাসনে লিখিত আছে, দেবপাল তাহার ধাৰ্ম্মিকপুত্র রাজ্যপালকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন । কিন্তু তৎপরবর্তী কোন তাম্রশাসন বা শিলালিপিতে যুবরাজ রাজ্যপালের রাজত্বপ্রসঙ্গ নাই। ইহাতে অনুমান করা যায় যে, দেবপালের রাজত্বকালেই হয়ত রাজ্যপাল কালগ্ৰাসে পতিত হন, অথবা তাহার অত্যন্ত্রকাল রাজ্যকখ। কেহ উল্লেখযোগ্য বিবেচনা করেন নাই। যাহা হউক, বদলের গরুড়স্তম্ভলিপিতে দেবপালের পরই গোঁড়াধিপ শুরপালের নাম পাওয়া যায়, কিন্তু শিলালিপিতে শুরপাল কাহার পুত্র তাহা স্পষ্ট লিখিত ছয় নাই । দেবপালের পরই ইহার প্রসঙ্গ থাকায় কেহ কেহ ইহাকে দেবপালের পুত্র অথবা ১ম বিগ্রহপালের নামান্তর বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছেন । প্রথম অনুমানটী অনেকটা সম্ভবপর, কিন্তু দ্বিতীয় অনুমানের কোন সার্থকতা নাই। আমরা শুরপালকে দেবপালের বংশধর বা উত্তরাধিকারী বলিয়া গ্রহণ করিলাম । গরুড়স্তস্তলিপিতে লিখিত আছে, পূরপাল যেন সাক্ষাৎ ইঞ্জ ও প্রজাপ্রিয় ছিলেন। র্তাহার উপদেষ্ট বা মন্ত্রী ( দর্ডপাণির পৌত্র ও সোমেশ্বরের পুত্র ) কেদারমিশ্র, এই কেদারমিশ্রের উপর নির্ভর করিয়া গৌড়রাজ উৎকল, কুণ, বিড় ও গুর্জররাজের দর্পচূৰ্ণ করিয়াছিলেন। এই ১ম শুরপাল কতদিন রাজ্য করিয়াছিলেন, তাহ ঠিক জানা যায় নাই ॥২১ ১ম বিগ্রহপল । তৎপরে আমরা জয়পালের পুত্র ১ম বিগ্রহপালকে গৌড়মগধের সিংহাসনে অভিষিক্ত দেখি । নারায়ণপালের তাম্রশাসনে লিখিত আছে, তিনি অজাতশত্রুর মত জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । তিনি হৈহয়রাজকন্ত লজ্জার পাণিগ্রহণ করেন, র্তাহার গর্ভে সুপ্রসিদ্ধ নারায়ণপালদেবের জন্ম । বিহারের ৭ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত ঘোরাবার বঞ্জ{সনবিহারের ধবংসাবশেষ হইতে উক্ত বিগ্রহপালের বহু রৌপ্যমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে ॥২২ বড়ষ্ট আশ্চর্য্যের বিষয়, তাহার মুদ্রা পারস্তের অগ্ন পাসক শাসনীয় বা শকরাজবংশের মুদ্রার অনুরূপ। ঐ মুদ্রার সন্মুখ দিকে দক্ষিণপার্শ্বে অস্পষ্ট রাজমুগু, তাহার সহিত “ঐ” এবং নিয়ে “বিগ্রহ” এই কয়ট অক্ষর আছে, এই সমস্ত অংশ যেন মুক্তার মালা দিয়া ঘেরা। পশ্চাদিকে যেন শাসনীয়দিগের অগ্নিপূজার বেদী, ইহার উভয়পাশ্বে (>) Journal of the Asiatic Society of Bengal for 1872, Part I, p. 272 and Indian Antiquary, Vol. XVII, p. 310. (Ro) Cunningham's Archeological Survey Reports, Vol. XI. p. 173-175. ΧΙ ԳծՏ (২১) কনংহাম লিথিয়াছেন, তিনি এই শুরপালের ১৩শ বর্ষাঙ্কিত শিলালিপি দেখিয়াছেন। কিন্তু তাহার অক্ষর দেখিলে ১ম শুদ্মপালের সময়কার অক্ষয় ন হইল্প ২য় শুরপালের সময়কার অক্ষয় খলির ধরা যায়। (RR) Archæological Survey Reports, Vol. XV. p. 152.