পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-To পাৰাপুরী [ ৩২৮ ] 어베 ১৪ ফিট। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে এই স্তুপ খনন করিয়া ইষ্টক লওয়া হইয়াছিল। বুদ্ধের মৃত্যুর পর পাবার লোকের তাহার দেহের ঐ অংশ প্রাপ্ত হয় এবং তাহ মৃত্তিকাগর্ভে প্রোথিত করিয়া তাঁহার উপরিভাগে এই গুণ নিৰ্ম্মাণ করে। ইহার অল্পদুরে উত্তর ভাগে ছাদশূন্ত হাতিভবানীর একটা মন্দির আছে। এই মন্দিরে অনেক গুলি প্রাচীন প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। এই মূৰ্ত্তি সকল নগ্ন, তজ্জন্ত জৈন বা বৌদ্ধ প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া বোধ হয়। মধ্যভাগে যেন একটী মন্দির ছিল। পাবার আধুনিক নাম পাদরবন । পাবাগড়, বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত পঞ্চমহলের একটা পাৰ্ব্বত্য দুর্গ। অক্ষা” ২২° ৩১ উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৩° ৩৬' পূঃ, বরোদ হইতে ২৮ মাইল পূৰ্ব্বে অবস্থিত। পৰ্ব্বতগাত্র বৃক্ষণদিতে আবৃত ও সমভাবে উচ্চ হওয়ায় এই দুর্গ অত্যন্ত দুরারোহ। পৰ্ব্বতের উপরিভাগে কএকটা হিন্দু মন্দির ও দুইট প্রস্তরপ্রাচীরে বেষ্টিত মুসলমান মন্দির আছে। প্রাচীন থোদিত লিপিতে এই পাৰ্ব্বত্য দুর্গের নাম ‘পাবকগড়’ বলিয়া উল্লিখিত আছে। রাজপুতানার চাদ কবির সময়ে 'তুয়ার-বংশীয় রামগোড় পাবকগড়ের রাজা ছিলেন। ১৩• • খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে চৌহান রাজপুতের এই দুর্গ অধিকার করেন। আহ্মদাবাদের মুসলমান রাজার এই দুর্গ অধিকার করিবার জন্য বহুবার চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। অবশেষে ১৪৮৫ খৃঃ অব্দে সুলতান মাহ্মদ প্রায় ২ বৎসর অবরোধের পর পাবাগড় অধিকার করেন। ১৫৭৩ খৃঃ অব্দে এই দুর্গ আকবরের হস্তগত হয়। ১৭২৭ খৃঃ অব্দে কৃষ্ণজী এই স্থান সহসা অধিকার করেন । তৎপরে এই দুর্গ সিন্ধিয়ার অধিকারে আইসে। সিন্ধিয়ার নিকট হইতে ইংরাজের ১৮০৩ খৃঃ অধ্যে এই দুর্গ গ্রহণ করেন। পরে ১৮০৪ খৃঃ অব্দে ইহা পুনরায় সিন্ধিয়াকে প্রত্যৰ্পণ করা হয়। অবশেষে ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে পঞ্চমহলের শাসনভার গ্রহণ সময়ে পুনরায় ইহা ইংরাজদিগের হস্তগত হইয়াছে। গ্রীষ্মকালে এইস্থানের জলবায়ু শীতল বলিয়া বরোদার ইংরাজ কৰ্ম্মচারীরা এইস্থানে আসিয়া বাস করেন । পাবাপুরী, পাটনা জেলার মধ্যে একখানি ক্ষুদ্র গ্রাম। পাব: পুরী জৈনদিগের অতি পবিত্র তীর্থস্থান, জৈনশাস্ত্রে এই স্থান ‘অপীপপুরী’ নামে বর্ণিত হইয়াছে। জৈনদিগের শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামী এই স্থানে নিৰ্ব্বাণলাভ করেন । [মহাবীর দেখ ] তৰ্জ্জন্তু এই স্থানে বহু জৈন তীর্থযাত্রীর সমাগম হইয়া থাকে। এখানে দুইটী জৈনমন্দির আছে, তন্মধ্যে একটী পুষ্করণী মধ্যে অবস্থিত, তথায় যাইবার জন্ত সেতু আছে। মন্দির দুইট I-or -- - -- আধুনিক হইলেও ইহাদের মধ্যে কতকগুলি অতি প্রাচীন প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। পাবরিয়া, এক শ্রেণীর মুসলমান নর্তক ও গায়ক। উত্তর পশ্চিম প্রদেশে ইহাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায়। পবিত্র ( ক্লী ) ছন্দোভেদ। পবিত্ৰায়ণ (পুং স্ত্রী ) পবিত্রস্য ঋযেগোত্রাপত্যং অশ্বাদিত্বাৎ ফএ, । পবিত্রঋষির গোত্রাপত্য। পাবীরবী (স্ত্রী) ১ শোধয়িত্রী । ( ঋক্ ৬৪৯৭) ২ দিব্য বাক্। “ইন্দ্ৰঃ পাবীরবা তদেবতাক পাবারী দিব্য বাক্।” ( নিরুক্ত ১২৩• ) পাব্য (ত্রি ) পবিত্রার্থ। পাশ (পুং ) পশুতে বধ্যতেহনেনেতি পশ-ঘঞ, । ১ শস্ত্রভেদ । (শব্দর” ) আৰ্যজাতিদিগের একপ্রকার যুদ্ধাস্ত্র। বৈশম্পায়নীয় ধমুৰ্ব্বেদে লিখিত আছে— “পাশ: মুহুঙ্গাবয়বো লৌহধাতুস্ত্রিকোণবান। প্রাদেশপরিধিঃ সীস-গুলিকাভরণাম্বিতঃ ॥* ইহার অবয়ব অতি সুহ্ম সুহ্ম লৌহদ্বারা নিৰ্ম্মিত, ত্রিকোণযুক্ত, প্রাদেশপরিমিত পরিধিযুক্ত ও সীসকগুলিকাদ্বারা সুশোভিত। আগ্নেয় ধনুৰ্ব্বেদে পাশের যে লক্ষণ আছে, তাহ দেখিলে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, এই পাশাস্ত্র দ্বিবিধ । মহাভারতাদি গ্রন্থেও বারুণপাশ ও পাশ এই দুই পৃথক্ পাশাস্ত্রের উল্লেখ আছে, অতএব বৈশম্পায়নোক্ত পাশাস্ত্র ও অাগ্নেয় ধমুৰ্ব্বেদোক্ত পাশাস্ত্র ভিন্ন, তাহাতে আর সন্দেহ নাই । আগ্নেয় ধমুৰ্ব্বেদোক্ত লক্ষণ“দশহস্তে ভবেৎ পাশে বৃত্তঃ করমুখস্তথা। গুণকার্পাসমুঞ্জনোমৰ্কমায়বচৰ্ম্মণাম ॥ অন্তেষাং মুদৃঢ়ানাঞ্চ মুকৃতং পরিবেষ্টিতম্। তথা ত্রিংশৎসমং পাশং বুধঃ কুৰ্য্যাৎ মুবর্তিতম্ ॥” (অগ্নিপুঃ ) পাশ দশছন্ত পরিমাণ করিতে হইবে, ইহা বৃত্ত অর্থাৎ গোল, ইহার গুণরজ্জ্ব কার্পাসরঞ্জু, মুঞ্জনামক তৃণরজ্জ্ব, পশুবিশেষের স্বায়ু, আকনাত্বকের স্বত্র বা চৰ্ম্মবিশেষ দ্বারা প্রস্তুত হইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন অন্তান্ত দৃঢ় স্বত্রে ইহা প্রস্তুত হয় । সুন্ম ৩০ গাছি তন্তু উত্তমরূপে একত্র পাক দিয়া প্রস্তুত করিতে হয় । পাশাস্ত্রের ক্রিয় এইরূপ—যুদ্ধকালে এই পাশ কক্ষ প্রদেশে রাখিতে হয়। প্রয়োগের সময় কুন্তলাকৃতি করিয়া মস্তকের উপর একবার ঘুরাইয়া নিক্ষেপ করিতে হয়। এই পাশ প্রয়োগের তিন প্রকার গতি আছে,—বলগণ, প্লবন ও