পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

에써 প্রব্রজন। এই সকল গতিদ্বারা ইচ্ছামুরূপ বন্ধন করিয়া নিকটে আনা যায় । ইহা ভিন্ন আরও একাদশ প্রকার ক্রিয় আছে, যথা,—পরাবৃত্ত, অপবৃত্ত, গৃহীত, লঘুসংজ্ঞিত, উৰ্দ্ধক্ষিপ্ত, অধঃক্ষিপ্ত, সন্ধারিত, বিধারিত, গুেনপাত, গজপতি ও গ্রাহগ্রাহ এই ১১ প্রকার পাশের প্রক্ষেপ বিহিত হইয়াছে । • বৈশম্পায়নের মতে— "প্রসারণং বেষ্টনঞ্চ কৰ্ত্তমঞ্চেতি তে ত্ৰয়ঃ। যোগাঃ পাশাভ্রিতাঃ লোকে পাশাঃ ক্ষুদ্রসমাশ্রিতীঃ ॥” (বৈশম্পায়নোক্ত ধমুৰ্ব্বেদ ) অগ্রে প্রসারণ, তৎপরে শুদ্বারা শক্রকে বেষ্টন, অনন্তর অস্ত্রী স্তর দ্বারা কর্তন, পাশের এই তিন প্রকার ক্রিয়া বিহিত { ৩২৯ ] ছইয়াছে। কিন্তু ইহা ক্ষুদ্র যোদ্ধাদিগের আশ্রিত । আর অন্য প্রকার যে পাশ আছে, যুদ্ধশাস্ত্রবিশারদগণ তাঁহার পাচপ্রকার কার্য্য নিশ্চয় করিয়াছেন। পাচপ্রকার যথা— ঋজু, আয়ত, বিশাল, তির্যক্ ও ভ্রামিত। হেমাদ্রির পরিশিষ্ট্রে ঔশনসশাস্ত্রোক্ত পাশের বিশেষ বিবরণ লিখিত আছে । ২ মৃগবিহুগাদি বন্ধনরঞ্জভেদ, চলিত ফাঁদ। ৩ রজুমাত্র। ৪ শব্দের পর পাশ শব্দ থাকিলে তাহার সমূহীর্থ হয়, যথা— কেশপাশ কেশসমূহ । "শ্লথশিরসিজপাশপাতভারাদিব নিতরাং নতিমঞ্জুিরংসভাগৈঃ ” ( মাঘ ৭।৬২ ) কৰ্ণ শব্দের পর পাশ শব্দ থাকিলে শোভনার্থ হয়, যথা— কৰ্ণপাশ শোভন কর্ণ অর্থাৎ উত্তমকর্ণ। নিন্দ অর্থে ছাত্রাদি শব্দের উত্তর পাশপ প্রত্যয় হয়। যথা–ছাত্রপাশ অপকৃষ্ট ছাত্র । । ৫ যোগবিশেষ। গ্রহপঞ্চকে রাশি সকল অবস্থান করিলে | পাশাগ্য যোগ হয়। “যদা রাশিপঞ্চকে সর্বগ্রহী ভবন্তি তদা পাশাখাযোগে ভবতি ।” ( জ্যোতিষ ) স্বপ্নে পাশ দেখিলে আপদ, রোগ ও ধনক্ষয় হয় এবং রোগীর পাশস্বপ্নে মৃত্যু পৰ্য্যস্ত ঘটে। . (১) “কৰ্ত্তব্যং শিক্ষঞ্চৈস্তস্য স্থানং কক্ষাকু বৈ সদ । বামহস্তেন সংগৃহ দক্ষিণেনোদ্ধয়েৎ ততঃ। কুণ্ডলস্যাকৃতিং কৃত্ব ভ্রাম্যৈকং মস্তকোপরি । বরিতে চ প্ৰতে চৈব তথা অব্রজিতেষু চ | সমযোগবিধিং জ্ঞাত্ব প্রযুঞ্জীত স্বশিক্ষিতঃ। বিজিত্ব তু যথাস্তায়ং ততো বন্ধং সমাচরেং ॥ কটtং বন্ধ ততঃ খড়গং বামপার্থবিলম্বিনম্। দৃঢ়ং বিগৃহ বামেন নিষ্কর্ষেদক্ষিণেন চ " (বৈশম্পায়নোক্ত ধনুৰ্ব্বেন) ΧΙ পাশকেরলী "কাপাসভক্ষান্থিকপালশূলং চক্রঞ্চ পাশম্বখবা এপণ্ডেং । তস্তাপং রোগধনক্ষয়ং বা রোগী মূতিং বা তসুতেখতিকটুম্ ॥” (हाम्रैौङ दिउँौग्न झ” २ अः ) কুলার্ণর তন্ত্রে পশিশব্দের পরিণ্ডাধিক অর্থ এইরূপ লিখিত अftश्-सूक्ष, श्रृंक, उग्र, जञ्ज, জুগুপ্ত, ফুল, শীল ও জাতি এই আট প্রকার পাশ । "ণ শঙ্কা ভয়ং লজ্জ জুগুপ্ত৷ চেতি পঞ্চী । কুলং শীলং তথা জাতিয়ষ্টে পাশা প্রকীৰ্ত্তিতঃ।" (কুলীৰ্ণধ) পাশক (পুং) পাশয়তি পীড়য়ভীতি পশ-ণিচূ-খুল। ১ ঘৃতবিশেষ, পাশা। পর্যায়-অক্ষ, দেবন, সারি, শারি, সার, শার, পাশ । ( শব্দর” ) পাশকথা (দেশজ ) কথা কহিতে কহিতে অল্প কথা তোলা । অসংলগ্ন বাক্য । পাশকেরলী, ফলিত জ্যোতিধোক্ত একপ্রকার গণনাভেদ। ইহার সংস্কৃত নাম পাধি গণন। ইহাতে পাশদ্বারা শুভাশুত গণনা করা হষ্টয়া থাকে, এইজষ্ঠ ইছার নাম পাধিগণনা। রমল ইহার বিধান নির্ণয় করিয়াছিলেন বলিয়া ইহুtয় নাম রমলপাধিঃগণন । রমল যবনাচাৰ্য্যগণের নিকট হইতে ইহ সংগ্রহ করেন। এই গণনায় পাশাই প্রধান, এইজন্য প্রথমে পাশক নিৰ্ম্মাণের বিধান বলা যাইতেছে। অষ্টধাতুদ্বারা পাশা প্রস্তুত করিতে হইবে। প্রত্যেক পাশা তিন আঙ্গুল পরিমাণে দীর্ঘ, সমচতুষ্কোণ ও চতুষ্পাশ্ব বিশিষ্ট হইবে । এইরূপে পাশক প্রস্তুত হইলে তদুপরি বিন্ধিপাত করিতে ছয় । বিন্ধিপাতের ক্রম-পাশার উপরিপৃষ্ঠে ৪ শুষ্ঠ, নিমে ২ শূন্ত এবং দুই পার্থে তিন তিন শূন্ত অঙ্কিত করিবে । এইরূপ ৮ খানি পাশা প্রস্তুত করিতে হইবে । পরে চারি চারি খান পাশ লম্বালম্বি উপযুপরি সজ্জিত করিয়া তাছাদের মধ্যে একটা লেীহশলাক। প্রোথিত করিয়া বন্ধ করিয়া রাথিবে । এই লৌহ কীলক এরূপ প্রোথিত করিতে হইবে যেন, পাশা সকল যথেচ্ছন্ধপে ঘুরিতে পারে। পাশাক্ষেপণ করিলে সকল পাশা একভাবে না ছাড়িয়া সকল পাশাই পাশ্বপরিবর্তনরূপে পতিত হয় । এক এক লৌহকীলকে চারি চারি খানি পাশ জীবদ্ধ থাকিবে, মুতরাং ৮ খানি পাশতে ছুইটী সমষ্টি হইবে । এই পাশা স্বারাই সকল প্রকার প্রশ্নগণনা হইবে । ঐ পাশক চতুষ্টয়কে তত্ত্বচতুষ্টররূপ ভাবনা করিয়া পাশক প্রয়োগ করবে। চৈত্রমাসে যে দিন দিবা ও রাত্রি সমান ৮ম এবং তিথি নক্ষত্র উত্তম থাকে, সেইদিনে এই পাশক প্রস্তুত প্রশস্ত। (ياسيb