পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরশ্চরণ কোনরূপ উৎকট আসন অথবা ভূমিতে থাকিয়া জপ করিবে না এবং জপকালে পাঞ্জকাধারণ, যানশয্যায় গমন বা পাদ-প্রসারণ করিয়াও জপ করা নিষিদ্ধ। t জপকালে যদি মাঙ্গার, কুকুট, ক্রোধ, কুকুর, শূত্র, বানর অথবী গর্দভ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা হইলে পুনর্বীয় অচিমন করিয়া জপ করিতে হইবে এবং ইংগিকে স্পর্শ করিলেও प्रांन रुब्रिग्ना गविण श्ईएउ इहैरव । সৰ্ব্বপ্রকার জপকৰ্ম্মেই ঐক্ষপ নিয়ম পালন করিতে হয় ; কিন্তু মানসজপে উছার কোন নিয়মই পালন করার প্রয়োজন নাই । মানসজপে মন্ত্রী ব্যক্তি গুচিই থাকুন, কিংবা অশুচিই থাকুন, আর গমনশীল বা শয়ানই হউন, একমাত্র তাহার মন্ত্রকেই তিনি অবলম্বন করিয়া সৰ্ব্বদা মনে মনে অভ্যাস করিবেন। মানসক্ষপে দেশ বা কাল বিষয়েও কোনরূপ নিয়মপালনের আবশুকতা নাই। সৰ্ব্বদেশে সকল সময়েই জপ করা যাইতে পারে । তাহাতে কোনই দোষ হয় না। জপফলসম্বন্ধে শিবধৰ্ম্মে লিখিত আছে, দ্বিজ জপনিষ্ঠ হইলে সমুদয় যজ্ঞের ফললাভ করিতে পারেন। সৰ্ব্বদা জপ দ্বারা দেবতাকে স্তব করিলে দেবতা প্রসন্ন হইয়া সমুদায় অভিলাষ এবং শাশ্বতী মুক্তি প্রদান করেন।

  • জপনিষ্ঠো দ্বিজশ্রেষ্ঠোংখিলযজ্ঞফলং লভেৎ । সৰ্ব্বেষামেব যজ্ঞানাং জায়তেইসে মহাফলঃ ॥ জগেন দেবতা নিত্যং স্ত্যুমান প্ৰসীদতি। প্রসন্ন৷ বিপুলান কামান দস্তাযুক্তিঞ্চ শাশ্বতীং ” (শিবধৰ্ম্ম )

পদ্মপুরাণে লিখিত আছে,—যক্ষ, রাক্ষস, পিশাচ, গ্রহ কিংবা ভয়ঙ্কর সর্প ইহাদের কেহই জপনিরত ব্যক্তির কোন অনিষ্ট করিতে পারে না, অধিকন্তু ভীত হইয়া ইতস্ততঃ পলায়ন করিতে থাকে । “যক্ষরক্ষঃ পিশাচtশ্চ গ্রহীঃ সপাশ্চ ভীষণtঃ । জাপিনং নেপসর্পস্তি ভয়ভীতাঃ সমস্ততঃ ॥” ( পদ্মপু ) সৰ্ব্বপ্রকার কৰ্ম্ম, যজ্ঞ ও তপস্ত হইতে জপষজ্ঞই শ্রেষ্ঠ ! উক্ত মাহাত্ম্য সকল কেবল বাচিক জপযজ্ঞ সম্বন্ধেই নির্দিষ্ট হইয়াছে। উপাংশু ও মানস-জপষজ্ঞের মাহাত্মা উহ। হইতেও অধিক । “যাবত্তঃ কৰ্ম্মযজ্ঞাঃ মুঃ প্রদিষ্টানি তপাংসি চ । সৰ্ব্বে তে জপযজ্ঞস্ত কলtং নার্হস্তি ষোড়শীং ॥ মাহাত্ম্যং বাচিকসৈাতজপ যজ্ঞস্য কীৰ্ত্তিতং । তন্মাচ্ছতগুণোপাংশুঃ সহস্ৰো মানসঃ স্মৃতঃ ॥” (পদ্ম ও নার°পু’) বাচিক, উপাংশু ও মানস এই ত্ৰিবিধ জপের মধ্যে বাচিক মারণে, উপাংশু পুষ্টিকামে এবং মানসজপ সিদ্ধিকামনায় প্রশস্ত । [ 48%. 1 পুরশ্চরণ - "মানসঃ সিদ্ধিকামীনাং পুষ্টিকামৈরুপাংগুকঃ । पांछिएक मांब्रt१ ६5व ध*एरड छ* छेब्रिउt ॥” (७इ) অক্ষয়াবৃত্তির নাম জপ । ঐ জপ মানস, উপাংশু ও বাচিক ভেদে তিন প্রকার, এই ত্ৰিবিধ জপের মধ্যে বুদ্ধিপূর্বক বর্ণস্বর ও পদসম্বলিত অক্ষয়শ্রেণীর অর্থচিন্তু করিয়া যে উচ্চারণ कद्रां इग्न, ठांशंएरु मांनग छ*ों कtरु । ७ई भांनन्छ** সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলিয়া কথিত হইয়াছে। “জপঃ স্যদক্ষরাবৃত্তির্মানসোপাংশুবাচিকৈঃ। উচ্চত্নেদৰ্থমুদ্ধিশু মানসঃ স জপঃ স্বতঃ ” ( গৌতমীয় ) মন্ত্রনির্ণয়ে লিখিত অাছে,—মনে মনে মন্ত্রবর্ণের চিন্তা করার নামই মানস জপ । দেবতার প্রতি চিত্তসমর্পণপূর্বক জিহা ও ওষ্ঠ হয়ের কিঞ্চিৎ পরিচালন এবং জপকালে মন্ত্রবর্ণ সকলের কিছু কর্ণগোচরত হইলে তাহাকে উপাংগু জপ কহে, এতদ্ভিন্ন বাক্য দ্বারা যে মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়, তাহাকে বাচিক জপ কহে । “মানসং মন্ত্রবর্ণস্য চিত্ত্বনং মানসঃ শ্বতঃ। জিহেবীষ্ঠে চালয়েৎ কিঞ্চিৎ দেবতাগতমানসঃ। কিঞ্চিৎ শ্রবণযোগ্যঃ স্যাৎ উপাংশুঃ স জপঃ স্বতঃ। মন্ত্ৰমুচ্চারয়েম্বাচ বাচিকঃ স জপঃ স্থতঃ ” ( মন্ত্রনির্ণয় ) অন্যত্র লিখিত অাছে, যে জপ স্বীয় কর্ণের অগোচর, তাহার নাম মানস, নিজকর্ণের গোচরীভূত জপের নাম উপাংশু এবং যে উচ্চারিত বাক্য অস্ত লোকেও শুনিতে পারে, তাহার নাম বাচিক । "নিজকর্ণগোচরো যে মানসঃ স জপষ্কৃতঃ । উপাংশুনিজকর্ণস্য গোচরঃ স প্রকীৰ্ত্তিতঃ ॥ নিগদন্তু জনৈবেদ্যন্ত্রিবিধোইয়ং জপঃ স্মৃতঃ ॥” ( তন্ত্রাস্তর ) এই ত্ৰিবিধ জপের মধ্যে বাচিক অধম, উপাংশু মধ্যম এবং মানস জপ উত্তম বলিয়া উক্ত হইয়াছে। "উচ্চৈর্জপোহধমঃ প্রোক্ত উপাংশুমধ্যমঃ স্কৃতঃ । উত্তমে মানলে দেবি ! ত্ৰিবিধং কথিতো জপঃ ” (তন্ত্রান্তর) মনকে যাবতীয় বিষয় হইতে নিবৃত্ত করিয়া মস্ত্রের অর্থ ভাবনাপূৰ্ব্বক নীতিত্ত্বস্ব ও নাতিদীর্ঘভাবে জপ করা কর্তব্য । অতিহ্রস্ব বা অতিদীর্ঘভাবে কখনই জপ করিবে না। কারণ অতিহ্রস্ব জপে ব্যাধি এবং অতিদীর্ঘ জপে ধনক্ষয় হইয়া থাকে। এজষ্ঠ জপ কর্তা মৌক্তিকহারের স্তায় মস্ত্রের অক্ষরে অক্ষরে সংযোগ করিয়া জপ করিবেন। জপ করিবার সময় যিনি মুখে মন্ত্রেীচারণ করিয়া মনে মনে স্তোত্র স্মরণ করেন, তাহার মন্ত্র বা স্তব দুইই ভিন্নভাগুনিহিত জলের স্তায় ব্যর্থ হইয়া থাকে ॥১ (১) “অতিক্রুম্বে ব্যাধিহেতুয়তিীর্ধে বন্ধক্ষয়: । অক্ষরাক্ষরসংযুক্তং জপেক্ষৌক্তিকহায়বৎ ॥