পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-------- পুরাণ --WikitanvirBot (আলাপ) ২৩:২৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি) - আমাদের বিশ্বাস, পঞ্চলক্ষণ সকল পুরাণের মুখ্য উদেপ্ত হইলেও এক একখানি পুরাণে এক একটী বিধয় বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করাই প্রথমতঃ সাবেক অষ্টাদশ পুরাণের উদ্দেশু ছিল ; } কেবল তাঁহাই নহে, বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রভাবও লক্ষিত হয়। কোন কোন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন কোন পুরাণ রচিত হইয়াছে । পুরাণের নামমাত্র আলোচনা করিলেই তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি,-ধৰ্ম্মস্থত্ররচনাকালে অর্থাৎ বৈদিক যুগের অন্তে অষ্টাদশ পুরাণ সঙ্কলিত হইয়াছিল । ব্রাহ্ম, শৈব, বৈষ্ণব, ভাগবত, প্রভৃতি পুরাণ নাম গুলি পাঠ করিলে ঐ সকল পুরাণ শিবাদি সম্প্রদায়ের গ্রন্থ বলিয়া মনে হয় । এখন কথা হইতেছে, সেই প্রাচীনতন ধৰ্ম্মস্থলযুগে কি ঐ সকল নানা সম্প্রদায় প্রবল হইয়াছিল, তাহদের স্ব স্ব সম্প্রদায়ের মত ঘোষণা করিবার জন্তই কি ঐ সকল পুরাণের স্বষ্টি ? ধৰ্ম্মসূত্রগুলি ঠিক কোন সময়ে রচিত হইয়াছে, তাহ জানিবার উপায় নাই । তবে জৈন ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের উৎপত্ত্বির পূৰ্ব্বে যে ঐ সকল ধৰ্ম্মগ্রন্থ প্রচলিত হইয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। ৭৭৭ খৃঃ পূৰ্ব্বাদে জৈনধৰ্ম্ম প্রচারক পাখনাথ স্বামীর নির্বাণ হয়। ইহার জীবনীতে ব্ৰহ্ম, শিব, বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগণের উপাসকের নাম পাওয়া যায়। এইরূপে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবর্তৃক শাক্যবুদ্ধের জীবনীতেও শিব, ব্রহ্ম, নারায়ণ প্রভৃতির উপাসকের প্রসঙ্গ আছে। খৃষ্ট পূৰ্ব্ব ৩য় শতাকে রচিত ললিতবিস্তর এবং তৎপূৰ্ব্বে রচিত পালি বৌদ্ধগ্রন্থসমূহেও শিবব্রহ্মাদি হিন্দুদেবগণের নামোল্লেখ আছে। এইরূপ জৈনদিগের প্রাচীন অঙ্গের মধ্যেও পাওয়া যায় । এই সকল প্রমাণ দ্বারা বলিতে পারা যায় ; জৈন ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের উৎপত্তির পূৰ্ব্বে অন্ততঃ খৃষ্ট পূৰ্ব্ব অষ্টম শতাব্দীতে শিব, ব্ৰহ্ম প্রভৃতি দেবেt. পাসক বর্তমান ছিল । এমন কি আনাম ও কাম্বোডিয়৷ হইতে যে সকল প্রাচীন হিন্দু শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তদ্ধার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, খৃষ্ট পূর্ব প্রথম শতাবীরও বহু পূৰ্ব্বে সেই সুদূর পূর্ব উপদ্বীপের পূর্বপ্রাস্তে শিবব্ৰহ্মাদির উপাসনা প্রচলিত ছিল । মোটামুটি আমরা বলিতে পারি, যে খৃষ্ট পুৰ্ব্ব অষ্টম শতাব্দীতে ভারতে শিবব্রহ্মাদির উপাসনা প্রচলিত হইয়াছিল এবং প্রত্যেক দেবের উপাসকের এক একটী বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত হইয়াছিল, তাহাও অসম্ভব নছে। সুতরাং ঐ সকল সম্প্রদায়ের মত { سائل 6 ] পুরাণ & शूद्राc१ च्प्रषष्ठांद्रशांछ । অবতারবাদ পুরাণের একট প্রধান অঙ্গ। প্রায় সকল পুরাণেই অবতারপ্রসঙ্গ আছে। শৈবমত-পরিপোষক পুরাণে শিবের নানা অবতার ঘোষিত হইয়াছে"। এইরূপ বৈষ্ণবপুরাণ সমূহে বিষ্ণুর নানা অবতার কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। অনেকের বিশ্বাস, অবতারবাদ বেশী পুরাতন নছে । যে সময়ে বুদ্ধদেব হিন্দুসমাজে দেব বলিয়া গণ্য হন, সেই সময়ে অবতারবাদ প্রবর্তিত হইয়াছে। দশাবতারবাদ-সম্বন্ধে এ কথা অনেকটা খাটিতে পারে। কিন্তু প্রকৃত অবতারবাদের স্বচন, তাহারও বহু পূৰ্ব্বে বৈদিক গ্রন্থেই দৃষ্ট হয়। শতপথব্রাহ্মণে ( ১৮১২-১ • ) মৎস্তাবতার, তৈত্তিরীয় আরণ্যক ( ১২৩১ ) ও শতপথব্রাহ্মণে ( ৭।৪৩৫ ) কুৰ্ম্মাবতারের প্রসঙ্গ, তৈত্তিরীয়ুসংহিতা ( ৭।১৫।১ ), তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ ( ১১।৩৫ ) ও শতপথব্রাহ্মণে ( ১ ৪।১।২।১১ ) বরাহাবতারের বিষয়, ঋক্সংহিতা ( ১।২২১৭ ) ও শতপথব্রাহ্মণে (১।২।৭।১-৭) বামন অবতার, ঐতরেয়-ব্রাহ্মণে রামভাগরেয়, ছামোগ্যোপনিষদে ( ৩১৭ ) দেবকীপুত্র কৃষ্ণ ও তৈত্তিরীয় আরণাকে ( ১ •৷১৬ ) বাসুদেব শ্ৰীকৃষ্ণের বিবরণ অাছে। অধিকাংশ বৈদিক গ্রন্থের মতে কুৰ্ম্মবরাহাদি যে অবতারের কথা লিখিত আছে, তাহ ব্ৰহ্মার অবতার। কিন্তু বৈষ্ণবীয় পুরাণসমূহে তাহাই বিষ্ণুর অবতার বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। আবার ব্রহ্মাণ্ডাদি শৈবপুরাণসমূহে শিবেরও নানা অবতার স্বীকৃত হইয়াছে । এইরূপ ভবিষ্যাদি কোন কোন সেীরপুরাণে সুৰ্য্যের অবতারপ্রসঙ্গ পরিত্যক্ত হয় নাই। যেমন এক দিকে ব্রাহ্ম, বৈষ্ণব, শৈব ও সেীরগণ স্ব স্ব উপাস্য দেবতার মহিমাঘোষণার্থ তাহার নান্য অবতারের কথা কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, শাক্তগণও নিশ্চিন্ত ছিলেন না, সেইরূপ মার্কণ্ডেয়াদি শাক্ত পুরাণে দেবাবতারের প্রসঙ্গ বিবৃত হইয়াছে । পাশ্চাত্য পণ্ডি গণ ও এদেশীয় ভঅক্ষয়কুমারদত্তপ্রমুখ কোন কোন পণ্ডিতের বিশ্বাস, বৈদিক ব্রঙ্গোপাসনাই সৰ্ব্ব প্রাচীন ; বিষ্ণু, শিবাদির উপাসনা সেরূপ প্রাচীন নহে, সেইজন্ত বৈদিকগ্রন্থে বিষ্ণু ও শিবের উপাসনাবর্ণিত হয় নাই । বৈদিক গ্রন্থে ব্রহ্মাই নারায়ণ নামে অভিহিত, কিন্তু পশ্চাৎ অপ্রাচীনতর গ্রন্থে তাহাই বিষ্ণুর নামাবলী মধ্যে গৃহীত হইয়াছে ॥২ সেই সময়ে পৌরাণিক বা সম্প্রণয়িকগণ ঐ সকল বিরুদ্ধবাদীদিগের মত ggD DS DDDBB DB BBDDD BDBB BBBD DSBBSDD K BBB অংশ পুরাণে প্রক্ষেপ করিয়া থাকিবে। (২) উপাসক সম্প্রদায় ২য় ভাগ উপ’ ২১৭ পৃষ্ঠ । পরিপোষক পুরাণগুলি ঐ সময়ে প্রচলিত থাকিতে পারে ।১ (১) বিষ্ণু প্রভৃতি কোন কোন পুরাণে জৈম ও বৌদ্ধ প্রসঙ্গ আছে। অধিক সম্ভব, যথম জৈন ও বৌদ্ধমত বিশেষ প্রবল হইয়া পড়িয়াছিল,