পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.পুরাণ (পদ্ম) ছিলেন, যেরূপ সহস্ৰ সহস্ৰ ব্ৰাহ্মণ ইহাদের নিকট বৃত্তিলাভ করিয়াছিলেন এবং শত শত হিন্দুদেবালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, । তাহাতেই বোধ হয় যে সেই বৌদ্ধপ্রভাবের সময়েই ইহার ব্ৰহ্মণ্যধৰ্ম্মস্থাপগুন অগ্রসর হইয়াছিলেন । এই সময়ে পুড়মায়ী, উষবদাত, গৌতমীপুত্র শীতকণী প্রভৃতি বহু রাজা দ্বিজবরকটুম্ববিবৰ্দ্ধন’, ‘ব্রহ্মণ্য’ ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষিত হইয়াছেন। ঐ সকল রাজগুৰগ দেবব্রাহ্মণের উদ্দেশ্যে সহস্ৰ সহস্ৰ গোদান, শত শত গ্রাম ও মন্দির দান করিয়া অশেষ কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন, যদিও তাহারা বৌদ্ধ ভিক্ষুদিগকে সন্মানপ্রদর্শন করিতে ক্রট করেন নাই, কিন্তু দেবব্ৰাহ্মণদিগের উপর তাহীদের প্রগাঢ় অঙ্কুরাগ ও ভক্তি প্রকটিত হইয়াছে, এমন কি রাজা উষবদাত প্রভাসক্ষেত্রে আট জন ব্রাহ্মণকে আটটা কস্তাদান করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। সুতরাং এই সময় হইতে ব্রহ্মণ্যধৰ্ম্মের পুনরভু্যদয়ের স্বত্রপাত বলা যাইতে পারে । এই সময়ে ‘রামতীর্থ প্রভৃত্তি কোন কোন তীর্থ খ্যাতিলাভ করিয়াছিল, ঐ সময়ের শিলালিপি হইতে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাই । আমাদের বোধ হয়, এই সময় হইতেই ব্রহ্মণ্যধৰ্ম্মের পুনরভু্যদয়ের সহিত নানা তীর্থের উৎপত্তি ও নানা তীর্থমাহাত্ম্য রচিত হইতে থাকে । এই সাতবাহনবংশের একজন প্রধান রাষ্ট্ৰীয় নাম গৌতমী। এই বংশীয় কএকজন রাজাও গৌরবের সহিত ‘গৌতমীপুত্ৰ’ নামে পরিচিত হইয়াছেন। ইহাও আসস্তুৰ নহে, রূপকপ্রিয় পৌরাণিক ব্রাহ্মণগণ গোদাবরীমাহাত্মা সেইজন্ত ‘গৌতমীমাহাক্স্যে’ পরিচিত করিয়াছেন। ব্রহ্মপুরাণের সকল মাহাত্ম্যই যে এক সময়ে সঙ্কলিত হইয়াছিল, তাহা বোধ হয় না। তবে বুদ্ধদেব হিন্দুসমাজে অবতীর বলিয়া গণ্য হইবার পূৰ্ব্বে প্রায় খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীর মধ্যে একত্র হইয়া ব্রহ্মপুরাণে প্রবেশ লাভ করিয়াছিল। প্রথমে এই পুরাণ ব্রাহ্ম অর্থাৎ ব্রহ্মমাহাত্মাসূচক বলিয়াই গণ্য ছিল, স্কন্দপুরাণ হইতে তাছার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু এই নবকলেবর-ধারণকালে ইহা বৈষ্ণবের পুরাণ বলিয়া গণ্য হইল ;–“পুরাণং বৈষ্ণবং ত্বেতৎ সৰ্ব্বকিন্বিষনাশনম্।”(২৪৫৷২০) পরবর্তীকালে দাক্ষিণাত্য ব্ৰাহ্মণগণ ঋষিপঞ্চমীব্রত, কৰ্ম্মবিপাকসংহিতা, কালহস্তীমাহাত্মা, চম্পাষষ্ঠীব্রত, নাসিকোপাথ্যান, প্রয়াগমাহাত্ম্য, ক্ষেত্রখণ্ডে মল্লারিমাহাত্মা, মার্তওমাহাত্ম্য, মায়াপুরীমাহাত্মা,• ,ললিতাখণ্ড, বেঙ্কটগিরিমাহাত্মা, শ্রীরঙ্গমাহাত্ম্য, শ্বেতগিরিমাহাত্ম্য, হস্তিগিরিমাহাত্ম্য প্রভৃতি মহাত্ম্যগুলি ব্ৰহ্মপুরাণের অন্তর্গত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু ঐ গুলি মূল ব্রহ্মপুরাণে স্থান পায় নাই, ঐ সকল মাহাত্ম্য খৃষ্টীয় ১১শ বা ১২শ শতাব্দীর রচনা বলিয়া বোধ হয় । XI Ꮌ8Ꮼ ( &b-S J পুরাণ (পদ্ম ) ২য় পদ্মপুরাণ। r এখনকার প্রচলিত পদ্মপুরাণ সৃষ্টাদি পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত। তদন্থক্রেমে হুচী প্রদত্ত হইল ঃ ১ম স্বষ্টিখণ্ডে—১ স্বতের প্রতি ঋষিদিগের পুরাণকথনাজ্ঞ, নৈমিষারণ্যব্যাখ্যান, স্বতশৌনকসংবাদ, পুরাণগ্রসঙ্গে সুতব্যাসাদির উৎপত্তিকখন, ব্যাসের পুরাণকরণকারণ-বর্ণন, ২ সৃষ্টিখণ্ডোক্ত বিষয়ের পরিগণন, পুলস্ত্যভীষ্মসংবাদে স্বষ্টিকখন এবং অহঙ্কারাদি যাবতীয় পদার্থের উৎপত্তিবর্ণন, ৩ মম্বস্তুরাদির পরিমাণকথন, প্রলয়বর্ণন, জলে নিমজ্জমানা পৃথিবীর বিষ্ণুস্তুতি, বরাহরূপে ভগবান কর্তৃক তাহার উদ্ধার, প্রজাপতির নবধা স্বষ্টিকখন, দেবগণের দিবাভাগে ও অসুরদিগের রাত্রিকালে বলাধিক্যকারণকখন, ব্রাহ্মণাদির উৎপত্তিকথন, ব্ৰহ্মক্রোধে রুদ্রোৎপত্তিকথন, স্বায়ভুবাদির উৎপত্তি-কথন, ৪ ইন্দ্রের প্রতি বাসার অভিশাপ, সমুদ্রমন্থন, ভৃগুশপ্ত বিষ্ণুর সহিত ব্ৰহ্মার কথোপকথন, নারদের ব্ৰহ্মস্তোত্র ও বরপ্রাপ্তি, ৫ দক্ষযজ্ঞবিনাশকথন, দক্ষের শিবস্তুতি ও বরলাভ, ৬ দেবদানবগন্ধৰ্ব্বোরগরক্ষ প্রভৃতির স্বষ্টিকথনীরম্ভ, প্রচেতা-দক্ষসংবাদে পুৰ্ব্ব স্থষ্টির হেতুত্বজিজ্ঞাসা ; দেবতা, বস্ব, রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য ও হিরণ্যকশিপুপ্রমুখ দৈত্যেন্ত্রাদির উৎপত্তিকথা, বাণাস্থরচরিতাখ্যান, বিনন্ত গর্ভে গরুড়ের উৎপত্তিকীর্তন, সম্পাতি ও জটায়ুর উৎপত্তিবৃত্তান্ত ; মুনি, অন্সর, কিন্নর ও গন্ধৰ্ব্বাদির উৎপত্তিকথন, ৭ জ্যৈষ্ঠপূর্ণিমাত্ৰতকথা, দিতির গর্ভে ইঞ্জকর্তৃক ভ্রণচ্ছেদ, মরুতের উৎপত্তিবৃত্তান্ত, প্রতিসর্গকথন, মন্বস্তরবর্ণন, ৮ পৃথুপাখ্যান, আদিত্যবংশকথন, সাবর্ণিমকুর উৎপত্তিবর্ণন, ছায়ার উপাখ্যান ও রবিতেজ-হরণবৃত্তান্ত, অশ্বিনীকুমারের উৎপত্তিবর্ণন, শনির গ্ৰন্থত্বসম্পত্তিকথা, ইলোপাখ্যান ও ইলের স্ত্রীত্ব প্রাপ্তি ও বুধাশ্ৰমে বাস, ঐলের উৎপত্তিকথন, ইক্ষুকু প্রভৃতির ংশবর্ণন, ভগীরথবংশকথন, দিলীপ-বংশকথন, ৯ পিতৃবংশকথা, অগ্নিকরণবর্ণন, শ্রাদ্ধপ্রশংসা, নিষিদ্ধ বস্তুবর্ণন, শ্রাদ্ধকালনির্ণয়, বিষুবায়ন দিনে সাধারণ শ্ৰাদ্ধবিধান, ১• একেদিষ্টবিধি, সপিণ্ডবিধান, অশৌচাদি নির্ণয়, কৃতশ্রান্ধের ফলাফলকগন, ১১ শ্রাদ্ধপ্রশস্ত দেশকালকথা, নৈমিষ, গয়া, ও তীর্থক্ষেত্রাদিতে শ্ৰাদ্ধপ্রশস্ত্য, বিষ্ণুদেহ হইতে কুশতিলাদির উদ্ভব কথা, ১২ সোমোপাখ্যান, বুধের জন্মকথা, ইলার গর্ডে পুন্ধরবার জন্ম ও চরিত্যাখ্যান, তদ্বংশকথন, কীৰ্ত্তবীৰ্য্যোপাখ্যান ও তদ্বংশকীর্তন, ১৩ ক্রোই বংশকথা, স্তমন্তোপখ্যান, কুস্ত্যাখ্যান, ত্রিপুরুষ হইতে অৰ্জ্জুনের উৎপত্তি, মাত্রবতীর গর্ভে নকুল সহদেবের উৎপত্তি, রামকৃষ্ণের উপাখ্যান,