পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাণ ( দেৰীভাগবত ) নারদের উপদেশে হরিকথামৃতরূপ ভাগবত রচনা করিয়া পরম তৃপ্তিলাভ করিয়াছিলেন।’ ( ১ম স্ক ৪র্থ—৬ষ্ঠ অঃ ) ভাগতের উক্ত প্রাণ অহসারেই জানা যাইতেছে, পুরাণ-ইতিহাসদি রচিত হইবার পর, এই শ্ৰীমদ্ভাগবত রচিত হইয়াছে; কিন্তু প্রথমেই বলিয়াছি, বিষ্ণু প্রভৃতি পুরাণের মতে ভাগবত পঞ্চমপুরাণ বলিয়া গণ্য, এরূপস্থলে সৰ্ব্বশেষে রচিত বিষ্ণুভাগবত পঞ্চমেতর পুরাণ হইতেছে। এই বিষ্ণুভাগবতে পুরাণ-লক্ষণকথনে লিখিত আছে— “সর্গেহস্তীৰ্থ বিসর্গশ্চ বৃত্তিরক্ষান্তরাণি চ | ংশে বংশামুচরিতং সংস্থা হেতুরপাশ্রয়ঃ ॥ দশভিলক্ষণৈযুক্তং পুরাণং তদ্বিদে বিস্তুঃ। কেচিৎ পঞ্চবিধং ব্রহ্ম মহদল্পব্যবস্থয়া ॥ অব্যাকৃত গুণক্ষোভাষ্মহতস্ত্রিবৃতোহহমঃ । ভূতস্বন্মেস্ক্রিয়ার্থানাং সম্ভবঃ সৰ্গ উচ্যতে । পুরুষাতুগৃহীতানামেতেষাং বাসনাময়ঃ । বিসর্গোহয়ং সমাহারো বীজান্ধীজং চরাচরম্ ॥ বৃত্তিভূতানি ভূতানাং চরাচরমচরাণি চ । কৃতী স্বেন মৃণাং তত্ৰ কামাচ্চোদনয়াপি বা ॥ রক্ষাইচু্যতাবতারেন্থ বিশ্বস্তানুযুগে যুগে। তির্যাঞ্জুমার্ষিদেবেষু হন্তন্তে যৈন্ত্রীদ্বিষ: | মন্বন্তরং মসুদেব মধুপুত্রাঃ সুরেশ্বরীঃ । ঋষয়েছিংশবতারাশ্চ হরেঃ ষড় বিধমুচ্যতে ॥ রাজ্ঞাং ব্রহ্মপ্রস্তানাং বংশস্ত্রৈকালিকোহম্বয়ঃ বংশামুচরিতং তেষাং বৃত্তং বংশধরাশ্চ যে ॥ " নৈমিত্তিক; প্রাকৃতিকে নিত্য আতাস্তিকো লয়ঃ । ংস্থেতি কবিভিঃ প্রোক্তশ্চতুৰ্দ্ধান্ত স্বভাবতঃ ॥ হেতুর্জাবোহন্ত সৰ্গাদেরবিদ্যাকৰ্ম্মকারকঃ । যঞ্চামুশায়িনং প্রাচর বাকতমুতাপরে ॥ ব্যতিরেকম্বিয়ে যস্ত জাগ্রৎস্বপ্নমুযুপ্তিযু । মায়াময়েষ্ণু তত্ত্ব হ্ম জীববৃত্তিদ্বপাশ্রয়ঃ ॥ পদার্থেষু যথা দ্রব্যং সন্মাত্রং রূপনাৰ্মসু । বীজাদিপঞ্চতাস্তীস্থ হবস্থাসু যুতীযুতম্ ॥ বিরমেত যদা চিত্তং হিতা বৃত্তিত্ৰয়ং স্বয়ম্। যোগেন বা তদাত্মানং বেড়োয় নিবৰ্ত্ততে ॥ এবং লক্ষণলক্ষ্যাণি পুরাণানি পুরাবিদঃ । মুনয়োহষ্টাদশ প্রাছঃ ফুল্লকাণি মহান্তি চ।” (ভা’১২৭৯—২২) সর্গ, বিসর্গ, সংস্থা, রক্ষা, মম্বস্তর, বংশকথন, বংশামুচরিত, প্রলয়, হেতু ও অপাশ্রয় পণ্ডিতের পুরাণের এই দশটা লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন। কেহ কেহ পঞ্চলক্ষণযুক্ত গ্রন্থকেও পুরাণ বলেন। উহাদের ব্যবস্থ৷ এই [ ৬২৩ ] পুরাণ ( দেবীভাগবত ) যে, দশলক্ষণ মহাপুরাণ ও পঞ্চলক্ষণ অল্প বা উপপুরাণ। প্রকৃতির ७१जग्न नभर्शिन श्छ भशन्, डांश श्रेष्ठ जि७१ञ्चक जरकांत्र, कूड ७ স্বপ্রেক্রিয় এবং তজ্জন্য যে স্থল স্বষ্টি, তাছার নাম সর্গ। ঈশ্বরামুগৃহীত মহদাদির পুর্ব পূৰ্ব্ব বাসনাময় বীজ হইতে বীজোৎপত্তির স্কার সমাছার রূপ চরাচর উৎপত্তিকে বিসর্গ বা অবাস্তুর স্বট বলা যায়। छब्रट्रप्ठग्न কাম-বিষয় চরাচরক্কপ ও মনুষ্যদিগের স্বভাবতঃ ও কামকৃত বা বিধিযোধিত যে জীবনোপায়, তাহার নাম সংস্থ। ব৷ স্থিতি। পিথমধ্যে যুগে যুগে বোৰেৰী দৈত্য কর্তৃক দেব, তিৰ্য্যক্ৰ, মনুষ্য ও ঋষিদিগের কার্ধ্যনাশোপত্রমে নারায়ণের যে বিশেষ বিশেষ অবতার, তাহার নাম রক্ষ। মনু, দেবগণ, মমুপুত্ৰগণ, সুরেশ্বরগণ ও ঋষিগণ ইহার হরির অংশ।বঙার, ইহাদের স্ব প্ৰ DBBBSBBD DDDDS BB BBBB BBBBB BBBBB ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান এই ত্রৈকালিক পুরুষ-পরম্পরার বর্ণমের নাম বংশকথন, এবং তাহাদিগের বংশে উৎপন্ন বংশধরগণের চরিত্র-বর্ণনের মাম বংশামুকথন । নৈমিত্তিক, প্রাকৃতিক, নিত্য ও অত্যন্তিক, স্বভাবতঃই হউক আর ঈশ্বর-মায়tফ্রমেই হউক, এই চারি প্রকার লয়ের নাম প্রলয় । অজ্ঞানবশে কৰ্ম্মকৰ্ত্ত জীব এই বিশ্বের জন্ম স্থিতি ও নাশের কারণ, ইহারই নাম হেতু। মায়াময় বিশ্ব তৈজস প্রত্যাদি জীবমিষ্ঠ জাগ্ৰং স্বল্প ও স্বযুপ্তি অবস্থায় সাক্ষিরপে র্যাহার অস্বয় ও সমাধিকালে সেই সকল অবস্থায় র্যাহার ব্যতিরেক, সেই অধিষ্ঠানের নাম অপাশ্রয়। যেমন ঘটাদি পদার্থে মৃত্তিকাদি দ্রব্য ও রূপন মাদিতে সত্তামাত্র, তাহার ছায় বীজ অবধি পঞ্চতৃ পর্য্যন্ত জীবের সমুদয় অবস্থাতে যিমি যুক্ত ও অযুক্ত আছেন, তিনিই অপাশ্রয়। পুরাণবেত্ত পণ্ডিতেরা এই সকল লক্ষণযুক্ত অষ্টাদশ মহাপুরাণ ও অষ্টদশ উপপুরাণ নির্ণয় করিয়াছেন । পূর্বেই বলিয়াছি, সকল প্রধান পুরাণমতে মহাপুরাণ পঞ্চলক্ষণাক্রান্ত। অমরসিংহাদিপ্রমুখ অভিধানকারগণও পুরাণের পঞ্চলক্ষণ স্বীকার করিয়াছেন, শ্ৰীভাগবত ও ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত ব্যতীত আর কেহই পুরাণের দশ লক্ষণ গ্রহণ করেন নাই। ভাগবতের উক্ত লক্ষণ-নির্দেশ হইতেও উহার অমরকোষের পরবর্তৃিত্ব প্রতিপাদন করিতেছে। উক্ত লক্ষণদ্বারাও ভাগবতকে প্রাচীন পুরাণশ্রেণীতে গণ্য করিতে সন্দেহ উপস্থিত হয় । ভাগবতে ‘বংশ’ লক্ষণের যেরূপ নিরুক্তি দেওয়া হইয়াছে, তাহাও প্রাচীন শাস্ত্রসন্মত নহে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, কুমারিল-ভট্টের সময়েও বংশানুক্রম ও ভাবী কথন এই দুইটী স্বতন্ত্র বিষয় ছিল ২ কিন্তু যে সময়ে ভবিষ্যরাজবংশবর্ণন পুরাণের বিষয়ীভূত হইয়া পড়িয়াছিল, ভাগবত তাহার পরে রচিত হইয়াছে, উক্ত নিরক্তিত্বার প্রতিপন্ন হইতেছে। ভবিষ্যরাজবংশ প্রসঙ্গে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীরও কথা পাওয়া যায়। উক্ত বিভিন্ন প্রমাণদ্বারা ভাগবতকে খৃষ্টীয় ৭ম হইতে ৯ম শতাব্দীর দর্শনপরিপোষক পৌরাণিক গ্রন্থ বলিয়। মনে করা (১) ৫৫৬ পৃষ্ঠ দ্রষ্টব্য। (२) ४७४ श्रृंठे। अट्टेषा ।