পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—* তাহারা যখন এক ঈশ্বর হইতে কৃষ্ট-সন্তান, এ কারণ তাহারে একত্র ভোজন ও শয়ন অবৈধ নহে। g, ১১০৭ খৃষ্টাব্যে রাজা চোড়গঙ্গদেৰ উড়িষ্যার সিংহাসনে আসীন ছিলেন । তিনি গঙ্গানদী হইতে গোদাবরীতট পর্য্যস্ত বিস্তীর্ণ ভূভাগে রাজত্ব করিতেন । তত্ত্বংশীয় অনঙ্গতীম ১•ট সেতু ও ১৫২ট স্নানসোপান নিৰ্ম্মাণ, কুপ তড়াগাদি খনন, পান্থশালা প্রভৃতি সাধারণ আশ্রয়স্থান ইত্যাদি কীর্তিগুলি রাখিয়া যান। ৰক্তমান জগন্নাথের মনির চোড়গঙ্গের অলৌকিক কীৰ্ত্তি। ১১৯৮ খৃঃ অবে এই মন্দিরবাটিকা সংস্কৃত হইয়৷ বর্তমান আকার ধারণ করে । খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতে নবযুগ উপস্থিত হয়। বৈষ্ণব-চুড়ামণি রামানন্দ ও কবীরের বিমোহিনী বক্ততায় বিমুগ্ধ হইয়া ভারতবাসী বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া আপনাদিগকে পুণ্যবান মনে করিয়াছিলেন। কবীরের পর মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্ত নয়নাশ্রতে জগৎবাসীকে ভুলাইয়। বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচার করেন । জাতি বা কুলের বিচার নাই। যিনি কায়মনে তাহার সেবায় রত থাকিবেন, তিনি কখনও বিমুখ হইবেন না । চৈতন্তের প্রভাবে পুরীবাসী বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হয়। তথাকার প্রধান প্রধান পণ্ডিতগণ মহাপ্রভুর তর্কে পরাভূত হইয় তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শ্ৰীক্ষেত্রেই চৈতন্তের জীবলীলা হয় । তাহার মৃত্যুর পর বৈষ্ণবগণ র্তাহাকে নারায়ণের অংশ জানিয়া জগন্নাথের মন্দিরের পার্থে তাহারও মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । সমগ্র উৎকল প্রদেশে আজিও প্রায় ৮ শত চৈতন্ত মুঠি বিরাজিত আছে। মহাপ্রভুর জীবদ্দশাতেই (১৫২ খৃঃ অঃ) উত্তর-ভারতে বল্লভস্বামী বৈষ্ণব মত প্রচার করেন । তাছার মত উক্ত মহাপুরষদিগের মত হইতে স্বতন্ত্র । [ রামানুজ, রামানন্দ, কবীর, চৈতন্ত ও বল্লভস্বামী প্রভৃতি শব্দ দেখ । ] ধীরে ধীরে এইরূপ ধাৰ্ম্মিকগণের অভু্যদয় ও পুণ্যক্ষেত্র জগন্নাথতীর্থে সমাগম জন্য এথানে বহুতর মঠের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে । জগন্নাথদেবের বাৎসরিক তায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা । এতদ্ভিন্ন যাত্রীদিগের প্রদত্ত অলঙ্কারাদিও নিতান্ত অল্প মূল্যের নহে। এরূপও প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, প্রসিদ্ধ কোহিনুর হীরক যাহা এখন খণ্ডাকারে মহারাণী ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়ার মুকুটে শোভা পাইতেছে, তাহাই পঞ্জাবকেশরী রণজিৎ সিংহ জগন্নাগদেবকে দান করিয়া যান * । জগন্নাথক্ষেত্রে বৈষ্ণব পুরী t ૧૨ 1 উক্ত মহাপুরুষের মতে জগদীশ্বরের নিকট | পুরী --- ------------ ধৰ্ম্মের পূর্ণপ্রভাব বিদ্যমান থাকিলেও বিমল দেবীর মন্দিরে শক্তিউপাসনায় কতক নিদর্শন পাওয়া যায়। e জগন্নাথের সেবকমণ্ডলীর মধ্যে প্রায় ৩৬টী থাক ও ৯৭টা শ্ৰেণী আছে। খোর্দারাজ সকলের শ্রেষ্ঠ। রাষ্ট্র স্বয়ং সন্মাঙ্গনী লইয়া দেবমন্দির পরিষ্কারে নিযুক্ত। পাওীগণের মধ্যে কেহ দেবমূৰ্ত্তি আভরণাদি ভূষিত করিতেছেন, কেহ পুজার আয়োজনে ব্যাপৃত রহিয়াছেন । কেহ বা পরিচ্ছদাদি রক্ষায় এবং কেহ বা রন্ধনাদির ভার লইয়াছেন। এতদ্ভিন্ন সেবায়ুরত ভৃত্যগণ, নর্তকীগণ, বাদ্যকরগণ, মালাকারগণ ও নানা কারিকর দেবসেবায় কাল কটাইতেছে। খ্ৰীমন্দিরের এক এক স্থানে প্রাচীন পুথি সকল রক্ষিত আছে ; এখানে কতিপয় বিজ্ঞব্যক্তি সৰ্ব্বদা শাস্ত্রায়ুশীলনে অতিবাহিত করিতেছেন। দেবমন্দির চারিভাগে বিভক্ত। ১ম ভোগমন্দির, ২য় নাটমন্দির, ৩য় দর্শনমন্দির বা জগমোহন ও ৪র্থ পীঠভূমি বা পবিত্র গর্ভগৃহ । এখানে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূৰ্ত্তি স্থাপিত । সিংহদ্বারের বহির্দেশে একটা অতি প্রাচীন স্তম্ভ আছে, এখানে দর্শকমণ্ডলী আসিয়া জমায়েত হয়। পুরী উপকূলের ১• ক্রোশ উত্তরে যেস্থানে স্বৰ্য্যউপাসকদিগের পবিত্র মন্দিরাদির ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে, ঐ স্তম্ভ সেই কোণার্ক হইতে আনীত হয় । কতকাল পূৰ্ব্বে এখানে ঝুৰ্য্যোপাসনা প্রচলিত ছিল, তাহার প্রকৃত সময় নিরূপণ করিবার উপায় নাই । { মন্দিরের বিস্তৃত বিবরণ জগন্নাথশবে দেখ। ] জগন্নাথদেবের রথযাত্রাই এখানকার প্রধান উৎসব। উহ! আষাঢ়ী শুক্ল দ্বিতীয়াতে আরম্ভ হইয়। অষ্টাছকাল থাকে । জগন্নাথদেবের রথখানি ৪৫ ফিটু উচ্চ, ৩৫ ফিটু চতুরস্র ও ৭ ফিট ব্যাসের ১৬ খানি চক্রযুক্ত । সুভদ্র ও বলরামের রথ ঠুই খানি উহাপেক্ষ কিঞ্চিৎ ছোট। ঐ দিনে মূৰ্ত্তি তিনট রখাধিষ্ঠিত করিয়া মহাসমারোহে উদ্যানবাটিকায় লইয়া যাওয়া হয়। উদ্যানবাটীকা হইতে শ্ৰীমন্দির পর্য্যস্ত রথযাত্রার উপযোগী একটা মাত্র প্রশস্ত রাস্ত আছে । অপর সকল গুলিই সর গলি। শ্ৰীমন্দির হইতে উদ্যানবাটিকা অৰ্দ্ধ ক্রোশেরও কম । এই পথ দিয়া রথ লইবার কালে বালুকায় চক্র বসিয়া যায়, ৪২ • ০ শত চালী ও তীর্থযাত্রীগণ একত্র হইয়া রথ টানে । তথাপিও এই অৰ্দ্ধ ক্রোশ পথ যাইতে কএক দিন লাগে । সুৰ্য্যের নিদারুণ উত্তাপে এবং দশ বিশ হাজার জনতার মধ্যে

  • अवांम ॐ भनि जगन्नcशब्रहे क्ष्टिा । श्न्गूिष#tछ्शी धनिक कॉज|KDD BBDBD D DBB B BB DDD BBD BBB DDDD

দেহ পুড়াইয়। চিকাহ্রদে নিক্ষেপ করিয়া যান। পাওীগণ দেবমূৰ্ত্তির পুনঃBDDS DDDDD S BBB BB BBBB BBBBD BBD BBBBB গাযে রং দেওয়া হয় । রণজিৎ মুসলমান সাহুর নিকট হইতে কোহিনূর লইয়া পুনরায় জগন্নাথকে দেন। এই প্রবাদের মুলে কিছুমাত্র সত্য সাই !