পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলিমেশিয়া হরিদ্বর্ণ তরুশাখা ও লতা সমুদায় ফলপুষ্পে বিভূষিত হইয়। সমুদ্রতরঙ্গে প্রতিফলিত হইতেছে। পুরেট বৃক্ষের প্রকাও •ाथात मिश्ड्राप्ण श्रृङ्ग क्रूज কুঠার স্বভাবের শাস্তি সম্পাদন করিতেছে। উপত্যকাভাগে শস্তরাশি মন্দ মদ বায়ুভরে সঞ্চালিত হইয়া অপুৰ্ব্ব শোভা বিকিরণ করিয়াছে। এই দ্বীপ সমুদ্রমের ভূমি যেমন উর্বর, জলবায়ুও তেমনি উৎকৃষ্ট। এখানে আশ্চর্য আশ্চৰ্য্য ফলমূল উৎপন্ন হইতে দেখা যায়। ‘ব্রড় ফুটু’ নামে কাঠালের স্থায় একপ্রকার ফল আছে, তাহা এই দ্বীপবাসীদের প্রধান ভক্ষ্য। এই বৃক্ষ দীর্ঘাকার ও অনেক স্থানব্যাপী হইয়া থাকে, পত্রগুলি ১৬১৭ ইঞ্চি লম্বা এবং বৎসরে তিন চারিবার ফল দেয়। ফল পক হইলে পীত বর্ণের দেখায়। এই বৃক্ষের তক্তায় গৃহ ও নৌকাদি নির্মাণ হয়। ইহার বন্ধলের আঁইলে তদেশবাসীর পরিধেয় বস্ত্র প্রস্তুত হইয়া থাকে। এখানে আলু, এরারুট, নারিকেল, কদলী ও ইক্ষু জন্মে। খৃষ্টান মিলনারিদিগের সাহায্যে দেশবালী ইক্ষু হইতে চিনি প্রস্তুত করিতে শিখিয়াছে। আঙ্গুর, কমলানেবু, তেঁতুল প্রভৃতি বৃক্ষ পূৰ্ব্বে এই দ্বীপে ছিল না, এখন উহা রোপিত হইয়া দ্বীপ'সমূহে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে। অধিবাসীর দীর্ঘাকৃতি, কিন্তু মাংসল নহে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন অতি সুন্দর । ইহার স্বভাবতঃ বলিষ্ঠ ও কার্যক্ষম । শরীরের গঠন গোলগাল । ললাট প্রশস্ত, নেত্র দীর্ঘ, উজ্জ্বল ও কৃষ্ণবর্ণ, নাসিকা তিলপুষ্পের স্থায়, ওষ্ঠ মাংসল, দন্ত অতি শুভ্র ও কর্ণ কিঞ্চিৎ দীর্ঘ । কেশ কোমল ও চক্রাকার। গাত্রের বর্ণ পিঙ্গল । নারীগণ পুরুষের অপেক্ষ ক্ষুদ্রাকার হইলেও আমাদের দেশবাসী রমণী অপেক্ষ সাধারণতঃ দীর্ঘ হইয়া থাকে | অবলাগণও সমধিক বলিষ্ঠ । সর্দারেরা সাধারণ লোক হইতে দীর্ঘাকৃতি ও বলশালী হয়। ইহার বলে, কৃষ্ণবর্ণ বলের লক্ষণ। কৃষ্ণবর্ণ লোক দেখিবামাত্র ইহারা বলিয় উঠে “আহি ইহার অস্থি কেমন সক্ত । ইহাতে কেমন সুন্দর বড়শী ও হাতুড়ী হইতে পারে । ইহারা ধীরপ্রকৃতি, প্রসন্নস্বভাব ও আতিথেয় । ইহার দেমন অধিক পরিশ্রম করে না, তেমনই অল্পপরিমাণে খাদ্যদ্রব্য ভোজন করিয়া থাকে। যুরোপীয়দিগের আগমনের পূৰ্ব্বে, এখানে যুদ্ধে নরহত্য, ভ্রণহত্যা এবং নরবলি প্রায়ই দেখা যাইত । খৃষ্টধৰ্ম্ম-প্রচারকদিগের যত্নে উহ! এখন কমিয়াছে। প্রত্যেক যুদ্ধেই রুধির-নদী বছিত । লাঠী, বর্ষ, তার, ধস্থ ষ্টতাদের প্রধান যুদ্ধাস্ত্র। যুদ্ধারস্তের পূৰ্ব্বে ইহারা ‘ওরো দেবের নিকট নরবলি দিত এবং পুরোহিতেরা নানা উপচারে দেবপূজা করিলে, সকলে একাগ্রচিত্ত্বে র্তাহার [ ૧૪ ] পটুয়ালী সাহাষা প্রার্থনা করিত। অতঃপর যুদ্ধতরী-সজ্জা, যুদ্ধান্ত্র সম্মার্জন ও সৈন্ত-সংগ্রহ আরম্ভ হইত। স্ত্রীলোকেরাও স্বামীর পদার্বত্তী হইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে জীবনদান করিতে কুষ্ঠিত হইত না । ‘রাত্তি' নামক নগরবাসীরা কোটাদেশে 'তি লতা বন্ধনপূৰ্ব্বক তি পত্রাবৃত তরবারি হস্তে পৈগুদিগকে উত্তেজিত কল্পিত । যুদ্ধে ধৃত বাকিরা হয় চিরদাস, নয় দেবতার সম্মুখে বলি হইত । ১৭৬০ খৃষ্টাবো ইংরাজ-জাহাজ সৰ্ব্বপ্রথম এই দ্বীপে উপনীত হয় । ১৭৯৭ খৃষ্টাবো কাপ্তেন উইলসন জাঠার জন মিশনারীর সহিত ওটাছিটা দ্বীপে অবতীর্ণ হন। এই মহtপুরুষদিগের অনুগ্রহে দ্বীপবাসিগণ নানারূপ শিল্পকৰ্ম্ম অভ্যাস করিয়াছে। অনেকেই খৃষ্টধৰ্ম্ম-গ্রহণে আচার-ব্যবহারের পরিবর্তন করিয়া লইয়াছে। এখনও সকলেই যুরোপীয়দিগের অনুকরণে সৰ্ব্বতোতাবে যত্নবান । পলিবেল, মাঙ্গাজ প্রেসিডেন্সীর গোদাবরী জেলার অন্তর্গত একট প্রাচীন নগর । অমলাপুর হইতে ৬ ক্রোশ উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। এখানকার ঐকোপেশ্বর স্বামীর মন্দিরে ১৩ খানি শিলালিপি উৎকীর্ণ অাছে । পলিয়ার, দক্ষিণাতোর অ নিমলয় পৰ্ব্বতবাসী জাতিবিশেষ । { পলনি দেথ । ] পলিযোগ (পুং ) পরিযোগ । ( পা ৮২২২ বার্ষিক ) পলীজক ( পুং ) পলিতকারী ( দানব ) । ( অথৰ্ব্ব ৮৬২ ) পলিচকম পল্যা পলিতেন চকত ইতি পলীচকঃ, জরঠবৎ বৰ্ত্তমানঃ পলিতকারীবা। (সায়ণ ) পটু দাস, বৈষ্ণব সম্প্রদায়-বিশেষ। পণ্ট দাস কর্তৃক এই পন্থী প্রবর্ধিত হয় বলিয়, ইহার পণ্ট,দাসী নাম হইয়াছে। গোবিন্‌ সাহেব ইহাদের গুরু। কাশীধামের অন্তর্গত আহিরেল ও ভোরকুড়া গ্রামে ইহাদের আস্তান আছে। প্রবাদ আছে, নবাব শাহাদৎ আলীর রাজত্বকালে পণ্ট দাস এই ধৰ্ম্মমত প্রচলিত করেন। ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে ২৮এ জাটুয়ারী শাহাদৎআলী অযোধ্যার নবাবীপদ প্রাপ্ত হন । সম্ভবতঃ র্তাহার রাজত্বের কোন সময়ে এই মত প্রবর্তিত হইয়াছে । অযোধ্যায় পণ্ট,দাসের গদি বিদ্যমান আছে, তথায় চৈত্রমাসে রামনবমীর দিবসে সরযুস্নান উপলক্ষে একটী মেলা হইয়া থাকে। এই পন্থীরা তথায় উপস্থিত হইয়া, ঐ গদির মোহস্তকে প্রচুর অর্থদান ও নানাবিধ দ্ৰব্যজাত প্রদান করে । তাহার শিষ্য পলাটুদাল, পলাটুর শিষ্য রামকৃষ্ণ দাস, রামকৃষ্ণের শিষ্য রামসেবক দাস এখন বর্তমান আছেন । পণ্ট,ালী উদাসীনের গলদেশে তুলসী কাঠের হীরা ও গুঞ্জ রাখে। শ্বেতবর্ণ মৃত্তিকার দ্বারা নাসিকায় অগ্রভাগ হইতে -