পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারভূত্য o ہیےs কুমারপাল সিদ্ধরাজকে দমন করিয়া পুনৰ্ব্বার রাজা লাভ করেন । এই সময়ে তাহার বয়ঃক্রম ৫০ বৎসর। তৎপরে তিনি স্বরাষ্ট্র, ব্রাহ্মণবাহক, পঞ্চনদ, সিন্ধুসোঁ বীর প্রভৃতি মান স্থান জয় করেন। দিগ্বিজয়কালে তিনি সিন্ধুর পশ্চিমপারস্থ পদ্মপুর নগরের রাজকন্যা পদ্মিনীকে বিবাহ করেন । মূলস্থানে মালবগণের সহিত র্তাহার ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল। কুমারপাল প্রথমে হিন্দু ছিলেন, তৎপরে হেমচন্দ্রের উপদেশে জৈনধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । [ হেমচন্দ্র দেথ । ] তিনি বিজিত সকলস্থানেই অহি সাধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া । ছিলেন । জৈনদিগের পুণ্যতীর্থ শত্রুঞ্জয়পৰ্ব্বতে তিনি পাশ্বনাথের এক বৃহৎ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১২১১ সম্বতে হেমচন্দ্রস্থরি দ্বারা ত্ৰিভূবনপালবিহার’ স্থাপন করেন । প্রসিদ্ধ অলঙ্কারিক বাগভট্ট ইহার মন্ত্রী ছিলেন । হেমচন্দ্রের মৃত্যুর ৬০ বৎসর পরে, তাহার ভ্রাতৃপুত্ৰ অজয়পাল বিষদানে তাহার প্রাণ সংহার করেন । তিনি ৩০ বর্ষ ৮ মাস ২৭ দিন রঞ্জিত্ব করিয়াছিলেন । তাহার পরে মহীপালের পুল অজয়পালই রাজা হন । [ অনেক জৈন-গ্রস্থে কুমারপালের কথা লিখিত আছে, তন্মধ্যে কুমারপালচরিত, কুমারপাল প্রবন্ধ, দ্বৈয়াষরায় ১৫ । ১৬ সৰ্গ, উদয়সাগরবিরচিত স্নাতৃপঞ্চাশিকা ৩১শ অঃ প্রভৃতি দ্রষ্টব্য । ] কুমারভট, কুমারিলভট্টের নামান্তর। কুমারিলভট্ট দেখ। ] কুমারভূত্যা (স্ত্রী) কুমারাণাং ভূতা। ভরণং পালনং ৬ তৎ, কুমার-ভূ-ভাবে-ক্যপ, । ( সংজ্ঞায়াং সমজনিষদলিপত্তমনৰিদমুএশী ভূঞিণঃ । পা ৩। ৩। ৯৯ ৷ ) টাপ কুমার পালন, নিৰ্ব্বিয়ে গর্ভ হইতে সস্তান বহিষ্করণপ্রভৃতি কাৰ্য্য। ২ গর্ভিণীর পরিচর্য্যা, ধাত্রীবিদ্যা । (“কুমার-ভৃত্য-কুশলৈরযুষ্টিতে, ভিধগ্ৰভিরাগুৈরথ গর্ভ ভৰ্ম্মণি ।” রঘু ৩। ১২ । ) স্বশ্ৰতমুনি কুমারভূত্যার এইরূপে নিয়মাদি লিখিয়াছেন— প্রতুক্তি কিম্বা ধাত্রী নিয়ম পালন না করিয়া অহিতাচারণ বা অশৌচাচার করিলে, অথবা মঙ্গলাচার না করিলে, আখৰা ৰালক ভাত, অতি হৃষ্ট বা তর্জিত হইলে, কিম্বা অতিশল্প য়োজন করিলে, স্কনাগ্রহ, স্কন্দাপদ্মার, শকুনী, রেবর্তী, পূতনা, অন্ধপূতনা, শীতপূতনা, মুখমণ্ডিকা, ও নৈগমেয় বা পিন্থগ্রহ, এই নয়ট গ্রহ বালকের শরীরে আশ্রয় করে । স্বালকের শরীরে গ্রহের লক্ষণ প্রকাশ পাইলে সাপ্তনাবাক্য ংগ্রয়োগ করা উচিত । IV \ p [ ९७१ ] কুমারভৃত্য নেত্রদ্বয় স্ফীত, দেহে রকের গন্ধ, স্তgপানে অনিচ্ছ, মুখ বক্র, মেত্রের একটি পক্ষ স্থিয়, অপরটি চঞ্চল, উদ্বিগ্নতা, চক্ষুদ্বয়ের চাঞ্চল্য, অল্প অল্প রোদন করা ও হস্তের অঙ্গুলি সকল বক্র করিয়া দৃঢ় মুষ্টিকরণ, এবং মলের গাঢ়তা, ছন্দগ্রন্থ-পীড়িত বালকের এই সকল লক্ষণ প্রকাশিত হয় । কথন অচেতন, কখন সচেতন, কখনও বা উৎসাহিতেয়স্থায় হস্ত পদের সঞ্চালন, মলমূত্ৰ-নিঃসরণ, শব্দ সহকারে জ্বম্ভণ ( হাই ), মুখে ফেণী হওয়া, স্কন্দাপদ্মার গ্রহ কর্তৃক পীড়িত হইলে এই সকল লক্ষণ দেখা যায় । অঙ্গের শিথিলতা, ভয়ে চমকিয়া উঠা, শরীরে পক্ষীর গন্ধ, শ্রাববিশিষ্ট-ব্ৰণ স্বারা ও দাহ-পাক বিশিষ্ট ফোটস্বারা সৰ্ব্বাঙ্গ পীড়িত হওয়া, শকুনীগ্রহপীড়িত বালকের এই সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় । মুখ রক্তবর্ণ, মল হরিৎ বর্ণ, শরীর অতিশয় পাণ্ডুবৰ্ণ বা শু্যামবর্ণ, জর, মুখে শুষ্কতা এবং সৰ্ব্বশরীরে বেদন, রেবর্তী গ্রহ কর্তৃক পীড়িত হইলে এই সকল লক্ষিত হয়। ইহাতে বালক সৰ্ব্বদা নাসিকা ও কর্ণ মর্দন করিতে থাকে । অঙ্গের শিথিলতা, দিনে কিম্বা রাত্রিতে স্বচ্ছলো নিদ্রা না হওয়া, তরল মলের নিঃসরণ, দেহে কাকের গন্ধ, বমন, লোমহর্ষণ, এবং অতিশয় তৃষ্ণা, পুতনাগ্রহপীড়িত হইলে এই সকল লক্ষণ প্রকাশিত হইয়া থাকে । অতিসার, কাম, হিঙ্কা, স্তম্ভপানে অনিচড়া, বমন, জর, শরীরে বিবর্ণতা ও রক্তের গন্ধ, অন্ধপুতনা গ্রহ কর্তৃক পীড়িত হইলে এই সব লক্ষণ প্রকাশ পায় । মধ্যে মধ্যে ভয়ে চমকিয়া উঠা, অতিশয় কম্প, অতিশয় রোদন, অবসন্নভাবে নি দ্রা, গলদেশে অবাক ( ঘয় ঘর ) শব্দ, অঙ্গের শিথিলতা ও অতীসার, শীতপূতনাগ্রহ-পীড়িত বালকের এই সব লক্ষণ দৃষ্ট হয় । শরীরের মানত, হস্ত, পদ ও মুখ রক্তবর্ণ, অধিক জাহার, উদৱ কলুষিত সিরা দ্বারা আবৃত হওয়া, দেহে মূত্রগন্ধ, শিশু মুখমণ্ডিকা-গ্ৰহ পীড়িত হইলে এই সকল লক্ষণ প্রকাশিত হয় । ফেল বমন, দেহের মধ্যভাগ বিনমিত হওয়া, উদ্বেগ, বিলাপ, উৰ্দ্ধবৃষ্টি, জর, শরীরে বসাগন্ধ, মধ্যে মধ্যে সংজ্ঞা ইন হওয়া, নৈগমেয়-গ্ৰহ পীড়িত হইলে এই সকল লক্ষণ দেখা যায় । बांगक एकलांबांशग्न, शछ*ांटम अनिष्कूक ७ भाषा भ८५ সংজ্ঞাহীন হইলে কিম্বা রোগের সম্পূৰ্ণলক্ষণ প্রকাশ পাইলে রোগ অসাধ্য। রোগের সম্পূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ ন হইতেই সাবধান হইয়া চিকিৎসা করা উচিত ।