পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TSAASAASAASAASAASAASAAAS কাশিরামদেব [ ७8 1 কাশী করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহা বোধ হস্থ না । এখানে সম্ভবতঃ লিপিকরপ্রমাদে “কৃষ্ণদাসাগ্রজ” স্থানে “কৃষ্ণদাস দ্বিজ” লিখিত হইয়াছে । কাশিরামদাসের সময় নির্ণয়—১ম, পণ্ডিত রামগতি দ্যায়রত্ন যে কয়থানি হস্তলিখিত পুথি পাইয়াছিলেন, তাহার একখানি ১১৪১ সালে, আর একখানি মামুমানিক উহারই ৩•। ৪০ বৎসর পুৰ্ব্বে লিখিত । শেষ পুথিখানি যেখানকার, কাশিরামের বাট হইতে সেই গ্রাম ২• ক্রোশ দূরে, সুতরাং যে সময়ে হাতে লিখিয়া লওয়া ব্যতীত অন্ত উপায়ে গ্রন্থ প্রচারের উপায় ছিল না, তখন এতদুরে গ্রন্থের প্রতিলিপি প্রস্তুত হইতে বোধ হয় অল্প করিয়া ৩০ বৎসর বিলম্ব হইয়া থাকিবে । পণ্ডিত রামগতি অনুমান করেন যে, ১৯৭৫ সালে কাশিরাম জীবিত ছিলেন । ২য়, কাশিরামের জন্মভূমি সিঙ্গিগ্রামের ওকড়সা স্কুলের পণ্ডিত, রামগতিকে একখানি পত্র লিখিয়া জানান যে, “কাশিরামের পুত্র | | ( নাম জানা যায় নাই ), স্বীয় পুরোহিতকে যে বাস্তবাটী প্রদান করেন, সেই দানপত্র পাওয়া গিয়াছে, তাহা সন ১০৮৫ সালের আষাঢ়মাসে লিখিত । দানপত্রখানি ২।৩ খানি ছিন্নবস্ত্রে আঁটা, তবু অনেক স্থল গলিয়া গিয়াছে, সব পড়া যায় না।” এই কথা প্রকৃত হইলে ( অর্থাৎ দানকৰ্ত্ত মহাভারতরচয়িতারই পুত্র হইলে ) নিঃসন্দেহে সপ্রমাণ হইতে পারে যে, কাশিরাম ২৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিলেন। ইনি কৃত্তিবাসের ও মুকুন্দরামের পরবর্তী । কাশিরামের মহাভারতে পয়ার, ত্রিপদী, তরল পয়ার ভিন্ন অন্য কোন ছন্দঃ নাই ; বোধ হয় কাৰ্য্য শীঘ্র সমাধা করিবার জন্যই তিনি ছন্দের দিকে দৃষ্টিপাত করেন নাই। পয়ার, ত্রিপদীতে যে সকল কাব্য রচিত হয়, তাহ। পাচালী-প্রবন্ধ বলিয়াই পরিচিত হইত এবং তাহা গীত হইত। কাশিরাম পাচালীরূপে গান করাইবার জন্তই মহাভারত রচনা করেন, তাহার ভণিত পাঠে অনুমিত হয় । কাশিরামের সময় এরূপ উপায় অবলম্বন ম৷ করিলে গ্রন্থপ্রচারের দ্বিতীয় উপায় ছিল না বলিয়া কাশিরাম লিখিয়াছেন, “পাচালী বলিয়া মনে না করিছ হেলা, অনায়াসে পাপনাশে গোবিলের লীলা” (ট )। ইহা হইতে বুঝা যায় যে তাহার সময়েও বিছন্মওলীতে পাঁচালীর উপর কতকটা তৃণ ছিল। - কাশিয়ামের লেখায়, বৈষ্ণবকবিগণ, কৃত্তিবাস, কবিকঙ্কণ, ক্ষেমানন্দ প্রভৃতি পুৰ্ব্ববর্তী কবিগণের স্কার ছঙ্গোদোষ, গ্রাম্যতাদোঘ, কাঠিন্য, অপ্রাঞ্জলতা প্রভৃতি নাই ; সুমধুর সহজ কথায় গ্রন্থের আগাগোড়া রচিত। তাহার কবিত্বশক্তি অতুলনীয়। বর্ণন, উপমা, অলঙ্কার প্রভৃতিতে তিনি কোন কোন অংশে সংস্কৃত কাৰ্যকার অপেক্ষ নুনি নহেন। যাহা হউক তিনি যে সংকল্প করিয়া মহাভারত রচন। করিতে বসিয়াছিলেন, তাহা প্রতি কথায় সফল হইয়াছে। কাশিষ্ণু (ত্রি) কাশ-বাহুলকাং ইকুছ। প্রকাশশীল। ( ভাগবত ৪ । ৩০ । ৬০ ) কাশী (স্ত্রী ) ভারতবর্ষের মধ্যে পৰ্ব্বপ্রধান হিন্দুতীর্থ। ইহার সংস্কৃত পর্য্যায়—বারাণসী, বরাণসী, বরণসী, তীর্থরাষ্ট্ৰী, তপস্থলী, কাশিকা, কাশি, অবিমুক্ত, আনন্দবন, আনন্দকানন, অপুনর্ভবভূমি, রুদ্রাবাস, মহাশ্মশান ও স্বৰ্গপুরী । উক্ত নাম গুলির মধ্যে কাশী, অবিমুক্ত ও বারাণসী নামই সমধিক প্রাচীন । নিরুক্তি –শিবপুরাণের মতে— “কৰ্ম্মণাং কৰ্ষণাৎ স বৈ কাশীতি পরিকথ্যতে ।” জ্ঞানসংহিতা ৪৯ ৷৷ ৪৬ ৷ এখানে জীবগণ শুভাশুভ কৰ্ম্ম সমুদায় ক্ষয় করিয়া মুক্তি লাভে সমর্থ হয়, এই হেতু ইহার নাম কাশী । স্কন্দপুরাণীয় কাশীখণ্ডের মতে— "কাশতে ইত্ৰ যতো জ্যোতিস্তদনাখোয়মীশ্বর । অতো নামাপরং চান্তু কাশীতি প্রথিতং বিভো ॥* ২৬৬৭ সেই বাক্যের অগোচর পরম জ্যোতিঃ এই ক্ষেত্রে প্রকাশমান হয় বলিয়া ইহা কাশীনামে বিখ্যাত হউক । লিঙ্গপুরাণের লিখিত আছে— “বিমুক্তং ন ময় যম্মানমোক্ষ্যতে বা কদাচন। মম ক্ষেত্রমিদং তস্মাদবিমুক্তমিতি স্মৃতম্।” ৯২। ৪৫ ৷ এই স্থান জামাকর্তৃক কদাচই বিমুক্ত নয় অর্থাৎ আমি কখনই পরিত্যাগ করি নাই বা করিব না, এই নিমিত্ত উহ অবিমুক্ত নামে বিখ্যাত । মৎস্তপুরাণের মতে— “যত্র সন্নিহিতে নিত্যমবিমুক্তে নিরস্তরম্ । তৎক্ষেত্ৰং ন ময় মুক্তমবিমুক্তং তত: স্থতম ।” ১৮১১৫ । অধিমুক্ত ক্ষেত্রে আমার নিরঙ্কর সান্নিধ্য আছে, এই ८झज्ज श्राभि कथमई श्रब्रिडाश कब्रि न, ¢३ cरुडू ईश অবিমুক্ত নামে বিখ্যাত হইয়াছে। কুৰ্ম্মপুরাণের মতে— "ভূর্লোকে নৈব সংলগ্নমস্তরীক্ষে মমালয়ম। অবিমুক্ত ন পশুপ্তি মুল পগুস্তি চেতলা । স্মশানমেতদ্বিখ্যাতমবিমুক্তমিতি স্থতম্।।” ৩• । ২৬-২৭।