পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशंब्रांछे কিন্তু তিনি তথায় টাকশাল স্থাপিত করিয়াছিলেন কি না, তাহ জানিবার কোনও উপায় নাই। ১৭১২ খৃষ্টাব্দে মহারাষ্ট্ররাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত হয় । মহারাজ শাহু সাতারায় ও রাজারামের পুত্র সাপ্তাঞ্জা কোহলাপুরে থাকিয় শাসনদ ও পরিচালন করিতেছিলেন । এই উভয় রাজধানীতেই স্বতন্ত্র টঙ্কশালা স্থাপিত হইয়াছিল। শাহুর নামাঙ্কিত রৌপ্য ও তাম্রমুদ্রা গুলি ‘শাহু-শিক্কা’ ও সাম্ভtঞ্জীর টাকশালের মুদ্রগুলি ‘শভূ-শিকা’ নামে পরিচিত হইয়াছিল। ১৭৮৮ খৃষ্টাধ পৰ্য্যস্ত কোহলাপুরের নরপতিদিগের সিংহাসন প্রধানত: ‘পাহালা’ দুর্গেই প্রতিষ্ঠিত ছিল । কোহলাপুরে স্থায়িভাবে সেই রাজসিংহাসন আনীত হইবার পূর্ব পর্য্যস্ত ঐ দুর্গেই কোহলাপুর-পতিদিগের টাকশাল ছিল। এই কারণে ‘শস্তুশিকা পাহালী রূপেয়া’ নামেও অভিহিত হইত। শস্তু-শিক্কা কোন ও কোনও স্থানে শস্তুপীর রূপেয়া’ এই আখ্যায় অভিহিত হইয়াছে। রাজা শস্তুর (সাম্ভাঞ্জীর ) নামের সহিত মুসলমানদিগের "পীরখানা’ কি রূপে সংযুক্ত হইল, তাহ। বলিতে পারি না । যাহা হউক, মহারাজ সাস্তাজীর মৃত্যুর পর ও কোহলাপুরের টাকশালে শস্তু শিকাই মুদ্রিত হইত। পরবী কোন ও রাজা স্বনামে মুদ্র প্রস্তুত করাইয়াছিলেন, এরূপ কোনও প্রমাণ অস্থাপি আবিষ্কৃত হয় নাই । মহারাজ শাহুর শাসনকালে সাতারায় ভিকাজী নায়ক, পরশুরাম নায়ক প্রভৃতি অনেক ধনশালা ‘সা ওকার’ বা মহা জন ছিলেন। ছত্রপতি শাহু প্রায়ই র্তাহাদের নিকট ঋণ গ্রহণ করিতেন। সরকার টাকশালে টঙ্ক’ মুদ্রিত করা হয়। সময়ে সময়ে তাহাদিগের ঋণ পরিশোধিত হইত । যেমন মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যের বিস্তার হইতে লাগিল, তেমনই রাজ্যের নাম স্থানে টঙ্কশালা-প্রতিষ্ঠার আবগু কতা ও অনুভূত হইতে লাগিল, পেশব বালাজী বাজী রা ওয়ের মস্ত্রি ত্বকালে রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের মহাজন ও অপর লোকদিগকে টঙ্কশালা-স্থাপনের অনুমতি প্রদত্ত হইয়াছিল । সাধারণতঃ ১১৫২ হইতে ২৭০ টাকা পৰ্য্যন্ত ‘দর্শনী’ ( নজর ) প্রদান করিয়া অনেকে তিন বৎসরের জন্ত টাকশাল খুলিবার মনুমতি লাভ করিতেন । কেহ কেহ ১২০২ টাক দিয়! এক বৎসরের জন্য টাকশাল খুলিবার সনন্দ চাইতেন। দশনী ভিন্ন উtহাদিগকে মুদ্রিতব্য টাকার পরিমাণ অনুসারে একটা নির্দিষ্ট করও রাজসরকারে প্রদগঞ্জ করিতে হইত। মহারাষ্ট্রদেশের বহির্ভাগে মহারাষ্ট্রপতির আদেশে যে সকল টঙ্কশাল স্থাপিত হইয়াছিল, তন্মধ্যে ধারবাড়ের টাকশালই বোধ হয় প্রথম । উছা ১৭৫৩ খৃষ্টান্ধে প্রতিষ্ঠিত XIV ፲፭pû¥ (李 [ 8¢ १ ] মহারাষ্ট্র হয়। বাঘলকোটে আদিলশাহ সুলতানগণের মামল হইতে যে টাকশাল চলিতেছিল, তাহা উক্ত সুলতানগণের রাজত্বলোপের পর বন্ধ হইয়া গিয়াছিল। বালtঞ্জী বাঞ্জীয়া ও পেশব-পদ লাভ করিয়া উহ। পুনৰ্ব্বার খুলিবার ব্যবস্থা করিয়া দেন। ফলতঃ মুদ্রার অভাবে লোকের যাহাতে অসুবিধা না ঘটে, তৎপ্রতি সৰ্ব্বপ্রথম সেই পেশবারই দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছিল। মাধব রা ও পেশবার সময়ে রাজ্যের নানা স্থানে টাকশাল স্থাপিত হইয়াছিল । পরবর্তী পেশবাদিগের আমলেও এ বিষয়ে শ্ৰীবৃদ্ধির ব্যতিক্রম হয় নাই। কেবল মহাজন ও ব্যবসায়াদিগের উপর নির্ভর না করিয়৷ পেশবাগণ সরকারী সর্দার ও জায়গীরদারদিগের প্রতিও টাকশাল খুলিয়। টাকা প্রস্তুত করাইবার আদেশ দান করিতেন। থানেদশের অন্তর্গত বান্দবড়ে তুকোজী হোলকরকে টাকশাল খুলিতে বলা হইয়াছিল। বুরহাণপুর প্রভৃতি স্থানে শিনের (সিন্ধিয়ায় ) টাকশাল ছিল। উত্তর-ভারতে উজ্জয়িনী, ইন্দোর, ভূপাল, প্রতাপগড়, ভিলুস, সিরোঞ্জ, গঞ্জবসোদ প্রভৃতি স্থানে পেশবার আদেশে টঙ্কশাল স্থাপিত হইয়াছিল । ভড়োচে শিন্দে, কুলাবায় আংগ্রে, নাগপুরে ভোঁসলে প্রভৃতি সদারের টাকশাণ স্থাপিত করিয়াছিলেন । আংগ্রের টাকশালে যে টাক। প্রস্তুত ইহত, তাহ ‘ঐশিকা’ নামে প্রসিদ্ধ ছিল । হাবসীদিগের জঞ্জারায় ‘হাব,শানা বা নিশাৰ্মা’ শিক্ষা প্রস্তুত হইত । ঐ মুদ্রার উপর ‘জ’ অক্ষরটা অঙ্কিত থাকিত । বলা বাহুল্য, উহ। “জঞ্জার’ শব্দের স্তোতক বলিয়া পরিগণিত হহত । কঙ্কোণ, নাসিক ও দৌলতাবাদ অঞ্চলে পেশবাদিগের সর্দার বা মমুমতি প্রাপ্ত মহাজনের টাকা মুদ্রিত করিতেন। কর্ণাটকের অধিকাংশ জায়গীরদারই নির্দিষ্ট দর্শনী ও কর দিয়া স্ব স্ব অধিকৃত প্রদেশে টাকশাল খুলিয়ছিলেন । কিন্তু ঐ সকলের অধিকাংশে কৃত্রিম ও অপকৃষ্ট মুদ্র। প্রস্তুত হইতেছে, এইরূপ সংবাদ পাওয়ায়, ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে মাধব রা ও পেশলা ঐ অঞ্চলের টাকশালগুলি বন্ধ করিয়া দিয়া ধার বাড়ে পাণ্ডুরঙ্গ মুরার নামক জনৈক বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীর তত্ত্বাবধানে একটা সরকারী টঙ্কশাল প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । সেই সময়ে যে একুশটা টাকশাল বন্ধ করিয়৷ দেওয়া হইয়াছিল, পেশবাদিগের পুণাস্থিত দপ্তরে র্তাহাদিগের নামের তালিকা দেখিতে পাওয়া যায়। কিছু দিন পরে এই সকল টাকশালের মধ্যে কয়েকটা জাবার খুলিবার অম্বুমতি প্রদত্ত হইয়াছিল । সকল প্রদেশে এক প্রকার মুদ্র প্রস্তুত হইত বলিয়। বোধ হয় না । বাগলকোট অঞ্চলে মহলার ভিকাঙ্গী রাতে পেশখা } Y (t