পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত [ go a l মাইকেল মধুসূদন দত্ত্ব Fo-orপ্রৰাস-বাসনা প্রকাশ করিয়াছেন,—*Depead upon it— in the course of a year or two more, I must either be in E—D or cease “to be” at all ;-one of these ; тиst be done !” পিতামাতার সঙ্কল্পিত কল্পারিবাহে তাহার বিরাগের । একটা কারণ ছিল। কোন সুন্দরী-থুষ্টান-বালিকার রূপগুপ্তের তিনি বিশেষ পক্ষপাতী হইয় পড়েন। খৃষ্ট-ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে, এই কুমারীর সঙ্গে তাহার বিবাহ ঘটিবার সম্ভাবন।। এবং তাছাতে তাহার ইংলও-গমনের বিশেষ সুবিধা হইতে পারে স্তাবিয়া তিনি রেভারেও কৃষ্ণমোঙ্কন বন্দোপাধ্যায়ের নিকট যাইয়া স্বীয় খৃষ্টধৰ্ম্ম-গ্ৰহণাকাজুক জ্ঞাপন করিলেন। এই সংবাদে উৎফুল্ল হুইয়। উক্ত রেভারেও তাহাকে বাঙ্গালার সহকারী শাসনকর্তৃ। মিঃ ৰাড়ের নিকট লুইয়া গেলেন এবং তৎসম্বীপে এই নবীন যুবকের ধৰ্ম্মাস্তরের প্রয়াস ব্যক্ত কল্পিলেম। তদনুসারে তিনি এই শিক্ষিত যুবককে দীক্ষা দিবার নিমিত্ত ধৃষ্টান-যাজকমণ্ডলীর হস্তে সমর্পণ করেন। পাছে মধুসূদনের আত্মীয়গণ তাহাকে যাজকদিগের হস্ত হইতে বলপূৰ্ব্বক উদ্ধার করিয়া লন, সেই ভয়ে তাহারা মধুসূদনকে অস্থ্য স্থানে না রাথিয় একবারে ফোটউইলিয়মের ফুৰ্গে আবদ্ধ রাখেন। বৃথা চেষ্টা করিয়াও রাজনারায়ণ পুত্র মধুসূদনকে উদ্ধার করিতে পারিলেন না। দুই চারি দিন কেল্লায় বনীর দ্যায় অবস্থানের পর ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে ৯ই ফেব্রুওয়ারী, মধুসূদন আচডিকন্‌ ডিণ্টীর নিকট ওল্ড মিসন চার্চ ধৰ্ম্ম-মন্দিরে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। সেই দ্বিন হইতে তাহার নামের সঙ্গে “মাইকেল” নাম সংযুক্ত হইল। . কুসংস্কার ও উপধৰ্ম্মের অন্ধকার হইতে খৃষ্টধৰ্ম্ম-গ্রহণ করিয়া 4.তিনি যে আলোক প্রাপ্ত হইয়াছিম্বেন, তাছ। তাছার দীক্ষণ কালে রচিত ধৰ্ম্মসঙ্গীতে পূর্ণরূপে প্রতিভাত হইয়াছিল। দীক্ষাগ্রহণের পর মধুসূদন পিতৃগৃহত্যাগ করিতে বাধ্য a তিনি বাটাতে আসিলে, স্নেহময়ী , মাত। তাহাকে .#. অtহারাদি করাছতেন, কিন্তু সমাজচ্যুতিভয়ে তাহাকে গৃহে স্থান দিতেন না। অনেক অমুনয় বিনয়সত্ত্বেও মধুসূদন শাস্ত্রাঙ্গুমোদিত-প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা । পুনৰ্ব্বার হিন্দুসমাঙ্গভুক্ত হছতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেন । এই সময়ে জীবিকার জন্ম তাহাকে খুষ্ঠান সম্প্রদায়ের অনুগ্রহাকাঙ্ক হহতে হয়। উপহার স্নেহময় পিত্তামাতা, তাহার অবাধ্যত এবং অকৃতজ্ঞতা রিস্থত হইয়া, তাছার আর্থিক অভাব দুর, করিয়া দিলেন। বিধৰ্ম্মী হইলেও, মধুসূদন বাছাতে স্বশিক্ষিত এবং যশস্বা ইয়া, পরিণামে স্বর্ণী হইতে পারেন; তজ্জন্ত তাহাদিগের

মৃত্বের ক্রটি ছিল না। হিন্ধু কলেজে কৃষ্ঠান বালকদিগের পাঠের নিয়ম ছিল না বলিয়া, মধুসূদনের পক্ষে সেখানে আর অধ্যয়নের সম্ভাবনা ছিল না। দেশীয় খুষ্ঠান এবং ইংরাজ বালকদিগের শিক্ষার জন্ত, শিবপুরে বিশসকলেজ নামে একটা উচ্চ শ্রেণীর ইংরাজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। মধুসূদন সেইখানে বিস্বাধ্যয়নের অভিমত প্রকাশ করিলে তাহার পিতা আনন্দের সহিত সে ব্যয়ভার বহন করিয়াছিলেন । - খৃষ্টধৰ্ম্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তাহার গার্হস্থজীবনের গুরুতর পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। তাহার মাঙ্গাজগমন, যুরোপীয় মহিলার পাণিগ্রহণ, সাংসারিক অভাব, আত্মীয় স্বজনের স্নেহবিচ্যুতি এবং অবশেষে অনাথের স্তায় দাতব্য চিকিৎসালয়ে মৃত্যু প্রভৃতি তাহার ধৰ্ম্মাস্তুর-গ্রহণের ফল। খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করায় পিতৃদত্ত সাহায্যে বঞ্চিত ও স্বদেশ হইতে নিৰ্বাসিত হইয়। তিনি সাহিত্যকেই জীবনের একমাত্র অবলম্বনীয় ঘটি বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইংরাজি-সাহিত্যে তাহার অর্থাভাব বিদূরিত অথবা যশোলিঙ্গ পরিতৃপ্ত হইল না দেখিয় তিনি মাতৃভাষার ক্রোড়ে আশ্রয়গ্রহণ করিলেন । সৌভাগ্যক্রমে এই সময়ে রাজা প্রতাপচন্দ্র, পণ্ডিতপ্রবর ঈশ্বরচন্দ্র ও মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রভূতির সাহায্য ও উৎসাহ লাভে পুরস্কৃত হহয়! তিনি বাঙ্গাল সাহিত্যের সেবায় জীবন উৎসগ করিয়াছিলেন। তাহার গ্রন্থে জাতীয়-ভাবের অভাব এবং বিজাতীয়ভাবের প্রাধান্ত, তাহার ধৰ্ম্মমতপরিবর্তনের ফলেই সাধিত হইয়াছিল । যুরোপীয় মহিলার পাণিগ্রহণ করিয়া তিনি পাশ্চাত্যসমাজের দিকে অধিকতর আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। বিশঙ্গকলেজে গ্রীকভাষা অধ্যয়ন করিয়া গ্ৰীকসাহিত্যে র্তাহার বিশেষ অনুরাগ জন্মে। তাই তিনি ঐাকসাহিত্যের অমূল্য রত্ন হোমার-প্রণীত কাব্যগুলি সযত্নে আলোচনা করিয়াছিলেন। সংস্কৃতভাষায় তাহার অধিকার না থাকায় তাহার মেঘনাদবধের রামচন্দ্র হিন্দুভাবায়ুপ্রাণিত হয় নাই। তিনি বাল্মীকিকে পরিত্যাগপূৰ্ব্বক হোমরকেই অনুসরণ করিয়াছিলেন । মধুসূদন চারি বৎসর কাল বিশল্প-কলেজে অধ্যয়ন করেন । ७इ अझ गम८बब्र भप्पा डिनि नाना खाबाब दू९थ७ि गा७ করিয়াছিলেন। ইংরাজী তাহার মাতৃভাষারই ন্যায়, হিন্দুকলেজে কবিতারচনাকালে আমরা তাহার যথেষ্ট পরিচয় পাইয়াছি। লাটিন, গ্ৰীক, ফ্রেঞ্চ, জৰ্ম্মণ ও ইতালিয়ান ভাষায় তিনি ক্লেশে কথোপকথন করিতে ও পত্রাদি লিখিতে