পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মামসিংহ করে । মোগলসেনানা জেহাজ থ। এই বিদ্রোহদমনকালে প্রভূত অর্থসঞ্চয় করেন। এই কৃতোপকারের পুরস্কারস্বরূপ রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ স্বীয় ভগিনীকে রাজা মানসিংহের করে সমর্পণ করেন। উক্ত বর্ষে ঘোড়াঘাটে রাজা মানসিংহ বিশেষরূপে পীড়িত হন । আফগানগণ অবসর বুঝিয় তাহাকে আক্রমণের চেষ্টা করিলে র্তাহার অন্ততম পুত্র হিন্মৎসিংহ পাঠানদিগকে সুন্দরবন পর্য্যন্ত তাড়াইয় দেন। পরবৎসরে রাজা লক্ষ্মীনারায়ণকে বিপদগ্ৰস্ত করিবার জন্ত পুনরায় একটী ষড়যন্ত্র হয় । মানসিংহ স্বীয় শু্যালককে রক্ষা করিবার জন্য হাজিজ খ" নামক জনৈক সেনাপতিকে কোচবিহারে পাঠান । মোগলসৈন্তের সমাগমে বিদ্রোহিদল ভীত হইয়। ছত্রভঙ্গ হইয় পড়ে । ১৯০৭ হিজিয়ার সম্রাট, দাক্ষিণাত্যবিজয়ে অভিলাষী হইয়া রাজা মানসিংহকে লিখিয়া পাঠান যে, ‘বাঙ্গালায় একজন সহকারী রাখিয়া তুমি সত্বর যথাসম্ভব বঙ্গীয় সেনাদল সঙ্গে লইয়া দাক্ষিণাত্যে গমনপুৰ্ব্বক রাজাদেশ পালন করিবে ।” আদেশানুসারে মানসিংহ স্বীয় পুত্র জগৎসিংহকে বাঙ্গালার সহকারী শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত রাখিয়া আজমীঢ়ে কুমার সেলিমের সহিত মিলিত হন। তাহার বিশ্বাস ছিল, যখন ঘোড়াঘাটের শাসনকৰ্ত্ত ঈশ লোকাস্তুর গমন করিয়াছে, তখন আর আফগান-অভু্যখানের কোন আশঙ্কা নাই। কিন্তু অনতিকাল পরেই তাহার পুত্র জগৎসিংহের মৃত্যু হওয়ায়, বাঙ্গালারাজ্য নিষ্কণ্টক জানিয়া, ওসমানের অধীনস্থ পাঠানগণ বিদ্রোহবহ্নি প্রজালিত করিল। এই সময়ে মোহনসিংহ ও প্রতাপসিংহ (আইন-ই-আকবরীতে মহাসিংহ নাম পাওয়া যায়) বেহার ও বাঙ্গালার শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেছিলেন। তাহার এই সংবাদে ত্রস্ত হইয়া আপনাপন সেনাদল লষ্টয়া উড়িষ্যাভিমুখে অগ্রসর হইলেন। ভদ্রকের সন্নিকটে মোগল ও পাঠানসৈন্তে ঘোর সংঘর্ষ উপস্থিত হয়। এই যুদ্ধে মোগলসৈন্ত পরাভূত হইলে পাঠানের বাঙ্গালার অধিকাংশ স্থান অধিকার করিয়া লয় । সম্রাট, এই অভাবনীয় দুর্ঘটনায় মৰ্ম্মাহত হইয়। শীঘ্রই মানসিংহকে বাঙ্গালায় প্রত্যাবৃত্ত হইতে আদেশ দেন । রাজা মানসিংহ ঐ সময়ে আজমীঢ়ে অবস্থান করিতেছিলেন। রাজাদেশ প্রাপ্তিমাত্রেই তিনি রোহতস কুর্গে প্রত্যাবৃত্ত হন। সরকার সরিফাবাদের অন্তর্গত সেরপুর-আটাই নগর সন্নিধানে মানসিংহের সহিত যুদ্ধে আফগানদিগের পরাভব ঘটে। পাঠানসর্দার ওসমান পরাভূত সেনাদল লইয়া উড়িষ্যাভিমুখে পলায়ন করেন । মোগলগণ শত্রুদিগের পশ্চাদ্ধাৰিত হয়। शृषिमtषा ठांशं ब्रां मैौब्रदकी श्रांवझछ cब्रछांकूटक झरिष्ठश्रृंदर्छ XIV [ ৬০১ ] 2 & 3 মানসিংহ দেখিতে পায়। আবদুল রেজাকু মোগলকৰ্ম্মচারী ছিলেন। পুৰ্ব্বযুদ্ধে তিনি পাঠানহস্তে বন্দী হন । এবার মানসিংহের কৃপায় তিনি উদ্ধার লাভ করিলেন। মানসিংহ তাহাকে আলিঙ্গন দিয়া হৃদয়ের ভালভাসা জানাইয়াছিলেন। মানসিংহের আকস্মিক উপস্থিতিতে পাঠানগণ প্রথমেই হতাশ্বাস হইয়াছিল। পরে পরাজিত হইয় তাহারা একবারেই স্বাধীনতালাভের আশায় জলাঞ্জলি দিল বটে, কিন্তু কিরূপে পুনরায় মোগলদিগকে বাঙ্গালা হইতে বিতাড়িত করিবে, তাছার তখনও তাহার ছিদ্রান্বেষণে উদাসীন রহিল না । পাঠানদিগকে সমূলে নিমূল করিয়া মানসিংহ সম্রাটের অভিনন্দনার্থ দিল্লীষাত্রা করিলেন। সম্রাট, এইবার তাহাকে ৭ হাজারী সেনানায়কের পদ দান করিয়া বিশেষ মর্য্যাদাম্বিত করিলেন। তাহার পূৰ্ব্বে মোগলসরকারে এরূপ সন্মানস্বচক পদ আর কাহারও ভাগ্যে ঘটে নাই। হিন্দু হইয়া তিনি মুসলমান-সেনানীগণের অগ্রণী হইয়াছিলেন । তাহার পরে শাহরুখ, ও আজিজ কোক উক্ত পদ লাভ করিয়াছিলেন। কিছুকাল দরবারে থাকিয়া পুনরায় তিনি বাঙ্গালার প্রত্যাবৃত্ত হন। ১৬০৪ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত তিনি রাজনীতিকুশলতা ও দ্যায়পরতার সহিত বঙ্গরাজ্য শাসন করিয়াছিলেন । এই সময়ে সম্রাট আকবর পীড়িত হইলে, তিনি রাজকাৰ্য্যে অৰসর গ্রহণ করিয়া আগ্ৰায় উপনীত হন। তিনি সম্রাট কে ৯ শত হস্তী ও বহুমুল্য অলঙ্কারাদি উপঢৌকন দিয়া সম্রাটের বিশেষ সম্মানভাজন হইয়াছিলেন। রাজা মানসিংহ তাহার এত সাধের বঙ্গরাজ্য কেন স্ব-ইচ্ছায় পরিত্যাগ করিয়া সম্রাটের মৃত্যুসময়ে আগ্রায় আসিলেন ? এ কথার মীমাংসা করিয়া কোন কোন ঐতিহাসিক লিথিয় গিয়াছেন যে, সম্রাট, পীড়িতাবস্থায় রাজকাৰ্য্যে লক্ষ্য রাথিতে না পারিয়া উজার খান জাজিমের হস্তে সমস্ত রাজ্যভার অর্পণ করিয়াছিলেন। জাহাঙ্গীর পূর্ব হইতেই পিতার অপ্রিয় হইয়াছিলেন। রাজা মানসিংহের ভাগিনেয় সুলতান খুশ্র জাহাঙ্গীরের পুত্র। খুশ্র উজীরপ্রধান খান আজিমের কন্যাকে বিবাহ করেন । মাতুল মানসিংহ ও শ্বশুর আজিম ভাগিনেয় ও জামাতার সিংহাসনলাভে আকাঙ্গণ করিয়া ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন। রাজ্যের এই দুই প্রধান ব্যক্তিকে .এইরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেখিয়া যুবরাজ জাহাঙ্গীর পিতৃসদনে উপস্থিত হইয়া রাজা মানসিংহের ও খাৰু আজিমের বাৰ্ত্ত জ্ঞাপন করিলেন। মৃত্যুশয্যাশারী বৃদ্ধ সম্রাট তাহাদিগকে সম্মুখে ডাকাইয়া এই আচরণের জন্ত বিশেষ তিরস্কার করেন এবং जांशकैौब्ररकहे निज्ञेौमिश्शनप्नब्र «रूमाज फेखब्राषिकाबैौ बणिका