পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~ कनिरीब नाम अजाच्। अिहे कबिई श्रृत्व आब्रीव्र चक्रप्ण আসামরাজগণের অধীনে ঐ প্রদেশ অধিকার করিতেছেন। পরীক্ষিত সমগ্র রাজ্যের অধীশ্বর হইয়া গদাধর নদীতীরস্থ গিলাঝাড় নামক স্থানে প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করেন। ( এখানে গিলাগাছের মহাবন ছিল । ) এখানে রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ আজিও দেখা যায়। এই স্থানে তিনি ১৮টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করান এবং তাহা হইতে প্রাসাদের নাম “আঠারোকোটা" হয়। ইহার সভায় নিত্য ৭০০ শত বেদপারগ ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত উপস্থিত থাকিতেন এবং ঐ নগরেই তাহাদের আবাস ছিল। ইহার সময়েই ঢাকার মুসলমানশাসনকৰ্ত্ত মোগলসম্রাটের প্রতিনিধিত্বে ইহার নিকট রাজস্ব চাহিয়া পাঠান ও আদায়ের জন্য পীড়াপীড়ি করিতে থাকেন। পরীক্ষিং কিছু ভীত হইয়া মন্ত্রিবর্গের সহিত পরামর্শ করিয়া আগ্রার সম্রাটের নিকট গমন করেন। সেখানে দরবারে সাদরে গৃহীত হন। ঢাকার নবাবের উপর আদেশ হইল যে, পরীক্ষিৎ যে পরিমাণ মুদ্র রাজস্ব দিতে সক্ষম হইবেন, নবাব তাহাই লইতে বাধ্য হইবেন, কোন দ্বিরুক্তি করিবেন না। রাজা ফিরিয়া আসিয়া সরল মনে, নবাবের নিকট একবারে ২ কোটি টাকা দিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। র্তাহার মন্ত্রী এই বিষয় অবগত হইয়া র্তাহাকে মুসলমানের অসঙ্গত অর্থ লোভের কথা জানাইলে, তিনি মহাভীত হইয়া পড়িলেন ; শেষে পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন যে, আর একবার সম্রাটুদরবারে গিয়া এই ভ্রম সংশোধন করিয়া আসিবেন। এবার মন্ত্রী সঙ্গে চলিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পথিমধ্যে পাটনায় (কাহারও মতে রাজমহলে) রাজা পরীক্ষিতের মৃত্যু হইল। এই সুযোগে ঢাকার নবাবসৈন্য প্রতিশ্রুত অর্থের অছিলায় রাজ্য অধিকার করিল। পরীক্ষিতের মন্ত্রী সম্রাটুদরবারে অনেক কষ্টে প্রবেশ করিয়া সমস্ত বিবরণ নিবেদন করায় সম্রাট তাহাকে কানুনগোপদে নিযুক্ত করিয়া পুরস্কার দিয়া বিদায় দিলেন। এই সময় এই রাজ্য চারিটি সরকারে বিভক্ত হয়—ব্রহ্মপুত্রের উত্তরে উত্তরকুল বা টেকিরি সরকার, দক্ষিণে দক্ষিণকুল সরকার, পশ্চিমে বাঙ্গালভূমি সরকার ও ওয়াহাটী লইয়া কামরূপ সরকার। পরীক্ষিতের ভ্রাতৃরাজ্য দরঙ্গ তাঁহারই রহিল এবং পরীক্ষিতের পুত্র চন্দ্রনারায়ণ একটি বিস্তৃত জমীদারী পাইলেন, এই জমীদারী আজিও তত্ত্বংশীয়গণের আছে। প্রাচীন মন্ত্রীও (নূতন কানুনগো) নিজের জন্ত অনেকটা জমীনার প্রাধ इहे [ ৫২৬ } cणन । oहे थप्नेन थाब्र २७०७ धुंडेोष्क था? ! अकजमें* भूगणमाम ८कोजनाङ्ग नियूख इहेब ब्रांशभाषॆी नामक हांप्न বাস করিতে আরম্ভ করেন। তৎপরে যখন রাজা মানসিংহ বাঙ্গাল বেহারের নবাব হন, তখন এদেশের বিশেষ উন্নতি হয়। অরঙ্গজিয়ের সময়ে, মীরজুমা যখন বৃহৎ সৈন্তদল লইয়া আসাম জয় করিতে আসিয়াছিলেন, তৎপরে কামরূপরাজ্যের এই অংশ হইতে সরকার কামরূপ ও সরকার উত্তরকুল ও দক্ষিণকুলের কিয়দংশ আসাম রাজগণের অধিকৃত হয়। এই ঘটনার ৭৩ বৎসর" পরে রাঙ্গামাটর ফৌজদারী উঠাইয়া ঘোড়াঘাটে স্থাপিত হয়। মীরজুমার আক্রমণের পর আসাম রাজগণ হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া নামে মাত্র রাঙ্গামাটর ফৌজদারের অধীনতা স্বীকার করিয়া রাজত্ব করিতে লাগিলেন । নরনারায়ণ ও শুক্লধ্বজ এই উভয়ের মধ্যে রাজ্যবিভাগের কথা যাহা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, তাহ শুক্লধ্বজের জীবিতকালে হয় নাই। শুক্লধ্বজের মৃত্যুর পর নরনারায়ণ অপুত্ৰক থাকায়, শুক্লধ্বজের পুত্র রঘুদেব নারায়ণকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করেন ; কিন্তু পোষ্যপুত্রগ্রহণের কিয়দিন পরে তাহার একটি পুত্র হয়। রঘুদেব এই ঘটনায় ভবিষ্যতে রাজ্য-প্রাপ্তির আশায় নিরাশ হইয়া তলে তলে বিদ্রোহাচরণে প্রবৃত্ত হইলেন। শেষে নরনারায়ণ সেই বিষয় জানিতে পারিলে, রঘুদেব পলাইয়া গিয়া পুৰ্ব্বাঞ্চলের শক্রগণের সহিত মিলিত হইলেন এবং তাহাদিগের সৈন্ত লইয়। জ্যেষ্ঠতাতের রাজ্য আক্রমণার্থ আসিয়া পন্থছিলেন । নরনারায়ণও স্ব-রাজ্য রক্ষার্থ সসৈন্তে অগ্রসর হইলেন। স্বর্ণকোষী নদীর পূৰ্ব্বপারে রঘুদেব ও পশ্চিমপারে নরনারায়ণের ছাউনি হইল। নরনারায়ণ স্বয়ং অশ্বারোহী সৈন্ত লইয়া অগ্রসর হইলেন। রঘুদেব ভীত হইয়া সসৈন্তে পলাইয়া গেলেন। নরনারায়ণ আক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “হায় ! আমি রাজ্য দিবার জন্তই আসিয়াছিলাম, কিন্তু তাহাতে হইল না ; অতএব এই নদীই উভয়ের রাজ্যসীমা হউক।” আধুনিক আসাম বুরীমতে এই ঘটনা ১৫-৩ শকে ঘটে। রঘুদেবের রাজ্যের সীমা পশ্চিমে স্বর্ণকোষী ও পূৰ্ব্বে দিক্রাই আর নরনারায়ণের রাজ্যের সীমা পূৰ্ব্বে স্বর্ণকোষী ও পশ্চিমে করতোয়। রঘুদেব গোয়ালপাড়া জেলার জোয়ারপরগণার মধ্যে আধুনিক গৌরীপুরনগরের ১০ মাইল দূরে গদাধর নদীর তীরে নগর স্থাপন করিলেন । শুক্লধ্বজ যখন জীবিত ছিলেন, তখন কামাখ্যার মন্দির পুনর্নির্মিত হয়। মন্দির সমাপ্ত হইতে ১০ বৎসর লাগে। 鐵。