পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- -oপারেই এখনকার সমুদায় রাজকাবাদ ও ইংরাজ রাজকৰ্ম্মচারীদিগের নিবাস-গৃহ স্থাপিত इश्ब्राप्इ । ब्रांज जिरुনাথ সিংহের মৃত্যুর পর তাহার ভ্রাত প্ৰমত্তসিংহ বা চুচেনফ সিংহাসনাধিকার করেন। শিবসাগর জিলার অন্তর্গত বিষ্ণু নদীর দক্ষিণপারে যে রংঘর (রঙ্গশালা) নামক দ্বিতল অট্টালিকা বিদ্যমান আছে, তাহা ইহার নিৰ্ম্মিত। তিনি হস্তী, ব্যাঘ্র ও মহিষ প্রভৃতি পশুদিগের যুদ্ধসন্দর্শনার্থ ঐ রংঘর নির্মাণ করান। ইহার ভ্রাতা চুরস্ফা বা রাজেশ্বর সিংহ ইহার পর সিংহাসনাধিরূঢ় হন, ও তদানীন্তন রাজপ্রাসাদের পরিবর্তে শিবসাগরের দিখু নদীর উত্তরপারে “গরগাও” নামক বৃহৎ ও ত্রিতল রাজপ্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। কিয়ৎকাল তথায় বাস করণানন্তর অসন্তুষ্ট হইয়। উক্ত নদীর অপর পারে পূৰ্ব্বোক্ত রংঘরের নিকট অতি বৃহৎ ও সপ্ততল একটি রাজবাটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া রংপুরনামে অভিহিত করেন। তন্নিকটে যে শিবসাগরের ন্যায় বৃহৎ “জয়সাগর” নামক পুষ্করিণী আছে, তাহা ইহারই প্রতিষ্ঠিত ও তীরস্থ শিবমন্দিরও ইনিই স্থাপন করেন। তৎকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অপরাপর শিবমন্দিরের মধ্যে দেবরগ্রাম নামক স্থানের বৃহৎ মন্দির অদ্যাপি বর্তমান আছে। ইহার মৃত্যুর পর ইহার ভ্রাতা চন্তেওফ বা লক্ষ্মীনাথ সিংহ অভিষিক্ত হন। ইনিও কতিপয় দেবমন্দির স্থাপিত করেন, তন্মধ্যে কামরূপের অন্তর্গত মণিপৰ্ব্বতে অশ্বক্রান্তের দেবালয় প্রধান । ইহার মরণানন্তে ইহার জ্যেষ্ঠপুত্র গৌরীনাথ সিংহ বা চুহিতপংফা সিংহাসনাধিষ্ঠিত হন। তাহার রাজত্বকালের প্রধান ঘটনা দিব্রুগড়ের নিকটস্থ হিন্দুধৰ্ম্মে দীক্ষিত মটক, মোয়ামীয়া বা মরাণ নামক এক আদিমনিবাসী জাতির বিদ্রোহিত । ইহারা দুইবার বিদ্রোহী হয়, প্রথমবার রাজা তাহাদিগকে দমন করেন ; কিন্তু দ্বিতীয়বার তাহাদিগের দমনে অসমর্থ হইয়া পলায়ন করিতে বাধা হন ও কলিকাতায় দূত প্রেরণপুৰ্ব্বক ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের সাহায্য প্রার্থনা করেন, তাহাতে লর্ড কর্ণওয়ালিসের আদেশানুসারে কাপ্তান ওয়ালস ও লেফটনেণ্ট মেগ্রেগর কতকগুলি দেশীয় সৈন্য সমভিব্যাহারে আসামে আগমন করিয়া বিদ্রোহ দমনপূৰ্ব্বক দেশে শান্তি স্থাপন করেন। রাজা পলায়ন করিলে পর মটকের অতীব নিষ্ঠুরভাবে অসংখ্য নিরাশ্রয় প্রজার প্রাণনাশ করে, তজ্জন্ত মরাণ নামে অভিহিত হয়। বিদ্রোহ-শাস্তির পর গৌরীনাথ রংপুর-নগর পরিত্যাগপূর্বক শিবসাগরের অন্তর্গত যোড়হাট নামক স্থানে নগর স্থাপন করেন ও ঐ স্থানেই কালগ্রাসে পতিত হন। তংপরে কামরূপী বংশের কমলেশ্বর সিংহ রাজ্য প্রাপ্ত হন। లి• } זיאהחלל बणा कर्डदा cव श्कूिवर { मैौभिड श्रेब्रा अवधेि श्रांशश्রাজগণ, অপরাপর জাহমদিগের দ্যায় আপন সম্ভানদিগকে হিঙ্গু নাম প্রদান করিতেন ; পরে ঐ সস্তানদিগের মধ্যে ৰিনি ब्रांज शहेरउन, डिनि अडिएषट्कद्र जयद्र श्रांश्-श्रांज्ञाश्वान्नैौ কোন এক কাৰ্য্য করিয়া আহম নাম গ্রহণ করিতেন ; কিন্তু উক্ত কাৰ্য্য অতীব ব্যয়সাধ্য হেতু কমলেশ্বর সিংহ তাহ করিতে পারিলেন না, ও তজ্জন্য তিনি কোন আহম নাম ७थांशुं इहेष्लन न । ईशब्र श्रृंद्र ¢कान ब्रांज डेङ कार्शी করেন নাই ও আহম নাম প্রাপ্ত হন নাই। ইনি পশ্চিমাঞ্চল হইতে অনেকগুলি লোক আনাইয়া সৈনিক কার্য্যে নিযুক্ত ও পাথরী বন্দুক প্রচলিত করেন। র্তাহার পরলোক প্রাপ্তির পর তাহার ভ্রাতা চক্সকান্ত সিংহ রাজ হন । ইহার রাজত্বকালে মন্ত্রিগণের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হওয়ায়, গৌহাটীস্থ রাজ-প্রতিনিধি বড়ফুকন ব্ৰহ্মরাজ্যে গিয়া কতক সৈন্যসমভিৰ্যাহারে প্রত্যাবর্তন করেন ও রাজধানীতে উপস্থিত হইয়া বিপক্ষদিগকে দমনপূৰ্ব্বক রাঞ্জাকে স্বায়ত্ত্ব করিয়া নিজে রাজ্যশাসন করিতে আরম্ভ করেন ও ব্রহ্ম-দেশীয় সৈন্যদিগকে বিদায় দেন। তাহাদিগের স্বদেশ যাত্রার পর বড়ফুকনের কোন কোন বিপক্ষ কর্তৃক প্রণোদিত হইয় রাজ-মাতা গোপনে তাহার শিরশ্চেদ করান। তাহার মৃত্যুর পর তাহার বিপক্ষ প্রধান রাজমন্ত্রী রুচিনাথ বুঢ়া গোসাই অপরাপর প্রধান রাজপুরুষদিগের সহিত সম্মিলিত হইয়া চন্দ্রকান্ত সিংহকে রাজ্যচু্যত করিয়া পুরন্দর সিংহকে অভিষেক করেন। ইহার পর ব্ৰহ্মদেশীয় সৈন্ত আসাম আক্রমণ করে, তাহাতে যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া পুরনার সিংহ পলায়ন করিলে পর, ব্ৰহ্মদেশীয়ের চন্দ্রকান্ত সিংহকে রাজ্যপ্রদানপূর্বক প্রস্তান করে। অনন্তর ব্ৰহ্মদেশীয় রাজা, রাজা চন্দ্রকাস্ত সিংহের নিকট বন্ধুভাবে কতকগুলি সৈন্তসমভিব্যাহারে একজন দূত প্রেরণ করেন ; কিন্তু মন্ত্রিগণ তাহাদিগের অভিপ্রায় বুঝিতে না পারিয়া পথরোধ করায়, তাহারা অপমানিত ও অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়। যুদ্ধ ঘোষণা করে। আসামীদিগের সৈন্তগণ যুদ্ধে পরাস্ত হইলে রাজা পলায়ন করিলেন। তৎপর ব্রহ্মদেশ হইতে অধিক সৈন্স আসিয়া আসামবাসীদিগকে যৎপরোনাস্তি উৎপীড়ন ও তাহাদিগের ধন-প্রাণ ছয়ণ করে। বঙ্ক কষ্টের পর আসামের সৌভাগ্যোদয় হওয়ায়, ইংরাজ গবর্ণমেন্ট দুৰ্দ্ধান্ত ও নিদারুণ ব্রহ্মবাসীদিগকে মূীকৃত করিয়া আসাম অধিকার করিলেন। তাছাতে আসামে পুনরায় শান্তি স্থাপিত হইল। ১৮২৫ খৃষ্টাব্দের ২রা ফেব্রুয়ারিতে জালামের