পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सिंक्षन्त्रं রঙ্গপুরের দিকে স্বাত্রা করিল। লোকে প্রবাদ স্নটাইল যে, मश्ड जष्ठांग्र कब्रिब्र शऔनिश्शब्दक ब्रांज कब्रियाग्न अखि७धांरग्न এই যুদ্ধাত্রা করিয়াছেন। মোয়ামরীয়ার লোকের এই উদ্যোগ দেখিয়া ভূপাই বড় গোসাই, বুড়া গোঁসাই, কীৰ্ত্তিচন্দ্র বড়বড় প্রভৃতি মন্ত্রিরাও পরামর্শ করিয়া একদল সৈন্ত পাঠাইলেন। যুদ্ধে রাজসৈন্তের পরাজিত হইল। মোয়ামরীয় সৈন্তাদল নগর অধিকার করিয়া রাজা, সেনাপতি ও বড়বড়, প্রভৃতি মন্ত্রিগণকে বন্দী করিল। রাজাকে জয়সাগরের নিকট বন্দী করিয়া রাখিল এবং বড় গোসাই, বুড়া গোসাই, • প্রভৃতি প্রধান প্রধান লোককে বধ করিল। কীৰ্ত্তিচন্দ্রকে শালে চড়াইয়া দিল ও তাহার পুত্রগণকে মারিয়া ফেলিল । থোরামরাণপুত্র রমাকান্ত রাজা হইলেন। অগ্রহায়ণে এই ঘটনা ঘটিল, কিন্তু চৈত্রমাসে লক্ষ্মীসিংহের পক্ষ হইতে কুঁয়ৈ, গয়া, ঘনশ্যাম প্রভৃতি কয়েকজন লোক ষড়যন্ত্র করিয়া রমাকাস্তের দাসত্ব স্বীকার করিল, ইহাদের কৌশলে রম’কান্ত, মোয়ামরীয় সেনাপতি প্রভৃতি কয়েকজনে প্রাণ হারাইলেন। তৎপরে লক্ষ্মীসিংহ রাজা হইলেন। লক্ষ্মীসিংহ ঘনশ্বামকে বুড় গোসাইপদে প্রতিষ্ঠিত করিলেন। লক্ষ্মীসিংহের পর কোকনাথ গোসাইদেব গৌরীনাথসিংহ নামে রাজা হইলেন। ইনি রাজামধ্যস্ত সমস্ত মোয়ামরীয়ার লোককে বিনষ্ট করিতে ইচ্ছুক হইলে তাহার সকলে বড়যন্ত্র করিয়া ১৭৮২ খৃষ্টাব্দে ২রা বৈশাখ অগ্নি দিয়া শিঙ্গীঘর নামক প্রাসাদ পোড়াইয়া দিল। রুদ্রেশ্বর বড়পাত্ৰ ডাঙ্গরীয় ( প্রধান সেনাপতি) এই কার্যে বাধা দিতে না পারিয়া গৌহাটা । পলাইয়া গেলেন। বুড়া গোসাই মোয়ামরীয়াদিগকে ধরিয়া । আনিয়া দোষী নির্দোষ বিবেচনা না করিয়া সকলকেই বধ করিলেন। ইহার একে বিদ্রোহী, তাহার উপর এই অবিচার । হইল, সুতরাং তাহার একবারে ক্ষেপিয়া উঠিল। ইহার গুরুবাক্য ও গুরুকার্য্যকে সাক্ষাৎ ঈশ্বরের আদেশ ও কার্য্য বলিয়া মানিত । সুতরাং তাছারা এই বিদ্রোহকে ধৰ্ম্মবিদ্রোহ বলিয়া গণ্য করিয়া তলে তলে মোয়ামরীয়ার মহন্তের প্রত্যেক শিষ্যের নিকট সংবাদ পাঠাইল এবং সকলেই যুদ্ধ করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইল। ইতিমধ্যে ঘনষ্ঠামের মৃত্যু হইল। তাহার সুযোগ্য পুত্ৰ পূর্ণানন্দ বুড়া গোসাই হইলেন। পূর্ণানন্দ বিদ্রোহ ব্যাপার দেখিয়া ভাবিলেন, সামান্ত শাস্তি দিয়া সাবধান করিয়া দিলেই ইহার থামিতে পারে। এই ভাবিয়া কয়েকজন মোহামীয়াকে ধরিয়া মৃদ্ধ শান্তি দিয়া কঠিন আদেশ করিয়া [ tళిw ] इोफिब्रानिएजम। ऐश्रङ कल किरू ७-ो कनिज । विट्जा হীর রাজাকে দুৰ্ব্বল ভাবির পূর্ণ উৎসাহে দশহাজার সৈন্ত সংগ্ৰহ করিল। একদল নগরাভিমুখে যাত্রা করিল। বুড়া গোসাই ইহাদিগকে বাধা দিবার জন্ত সৈন্য পাঠাইলেন, কিন্তু পরাস্ত হইলেন। রাজ্যমধ্যে হুলস্থুল পড়িয়া গেল ; প্রজারা হতাশ হইয়া পড়িল। রাজা নগর পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। ডাঙ্গরীয়া নগরের চৌদিকে গড়ৰন্দী করিয়া নগর মধ্যেই রছিলেন। এই গড়কে বিবুধিগড় বলে। জয়সাগরের নিকট শেষে এক বিষম যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধেও রাজকীয় সৈন্য পরাস্ত হয়। ভরতসিংহ নামে বিপক্ষের একজন সেনাপতি রাজা হইল। রাজা গৌরীনাথের ইচ্ছা ছিল, কাছাড় ও জয়ন্তীরাজের সাহায্য লইয়৷ এই বিদ্রোহ দমন করিবেন, কিন্তু তাহারা বলিয়া পাঠাইলেন যে, স্বদেশরক্ষার্থ বত সৈন্য আবখ্যক তাহার অধিক সৈন্য আমাদের নাই । গৌরীনাথ বিদ্রোহীদলের ভয়ে গৌহাটীতে পলাইয়া গেলেন । এখানে তিনি বড়ফুকনের সহিত পরামর্শ করিয়া কতকগুলি সৈন্যসংগ্রহপূর্বক বুড়া গোসাইয়ের সাহায্যার্থ পাঠাইলেন, পথে বিদ্রোহীদল বাধা দিয়া ইহাদিগকে বিনষ্ট করিল। এই সময় গোয়ালপাড়ায় রস নামে একজন ইংরাজ লবণের ব্যবসা করিতেন। গৌরীনাথ নিরুপায় হইয়। সাহেবকে বিশেষরূপে পুরস্কার দিবার আশা দিয়া তাহ। স্বারা বুটশ গবর্ণমেণ্টের সাহায্য পাইবার আয়োজন করিতে লাগিলেন। সাহেব ৭০০ বরকন্দাজ দিলেন । এই বরকন্দাজসৈন্ত নওগায়ের বিদ্রোহিদিগকে তাড়াইয়া দিয়া উত্তরাভিমুখে যাইবার সময় ষোড়হাটের নিকট শক্রহস্তে সকলেই বিনষ্ট হইল। কিছুদিন পরে মণিপুররাজ ৫০০ অশ্বারোহী ও ৪০০০ হাজার পদাতি লইয়া গৌরী: নাথের সাহায্যার্থ উপস্থিত হইলেন। এই সৈন্যদলও যুদ্ধে পরাস্ত হইল, প্রায় ১৫০০ সেনা মৃত্যুমুখে পড়ায় মণিপুরী সৈন্ত স্বদেশে চলিয়া গেল। বিপদ একলা আসে না । ওদিকে দরঙ্গরাজ বিষ্ণুনারায়ণের ভ্রাত কৃষ্ণনারায়ণ ভ্রাতাকে তাড়াইয়া দিয়া রাজ্য অধিকার করিলেন ও গৌরীনাথের দুর্দশ দেখিয়া হিন্দুস্থানী সন্ন্যাসী ও ফকীর হইতে সৈন্যসংগ্ৰহ করিয়া কামরূপ আক্রমণ করিতে আসিলেন। আহমগণকে পুনঃ পুনঃ পরাজিত হইতে দেখিয়া কামরূপের লোকেরা বড় ঘৃণা করিতে আরম্ভ করে, এমনকি গৌহাটী মগরের মধ্যে তাহাদের বাস উঠাইয়া দিল। এই স্বত্রে তাহদের মধ্যেও কেহ কেহ কৃষ্ণনাশের পক্ষ হইল। গৌরীনাথ সিংহ চারিদিকে বিপন্ন দেখিয়া গৌহাটীয়