পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মসমাজ [ ১৮৯ ] ব্রাহ্মসমাজ কেশৰচঞ্জ স্বীয় অভিপ্রায়ামুরূপ ভ্রাক্ষ-সমাজের স্থাপন জগু সাধারণের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন • । জাতি, বর্ণ ও সম্প্রদায় নিৰ্ব্বিশেষে যে ব্রাহ্মসমাজের পত্তন হইয়াছে, তথায় কোন জাতীয় চিহ্ন থাকা উচিত নহে, এই সংস্কার বলীয়া হইলে, ভারতের সর্বত্র হইতে কেশব চক্সের সাহায্যার্থ টাকা আসিতে লাগিল । তিনি নিঃসম্বলে न्ने धब्र-नृशम्न इट्रेब्रा श्रृंह श्शेरठ राश्र्शिङ श्हे८णन, •व्रजु मरीका সফলকাম হইয়া, * ব্ৰহ্মকৃপা ছি কেবলং ” ইত্যাদি নামাঙ্কিত ধ্বজ উড্ডীন করিয়া রাশি প্রমাণ অর্থ সঞ্চয়পুৰ্ব্বক কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলেন । তাহার ব্রাহ্মধৰ্ম্মপ্রচার বাহুল্যরূপে চলিতে লাগিল। বহুলোক তাহাদের পরিবারের সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া তাহার সমাজে প্রবিষ্ট হইলেন। ১৮৬৯ খৃষ্টাম্বের ৬ মার্চ ভারতবর্ষীয়-ব্রাহ্মসমাজের স্বতন্ত্র উপাসনা মন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত হইল * কেশবচন্দ্র হিন্দুদিগের পোষিত কুসংস্কার ও উপধৰ্ম্মের দুর্গভগ্ন করিয়া শুদ্ধমতে পারিবারিক ও সামাজিকক্রিয়া নির্বাহ করিবার প্রভিজ্ঞায় আদিম ব্রাহ্মসমাজ হইতে স্বতন্ত্র হইয়া ছিলেন । তাহার কার্য্যও এই প্রকারে নিম্পন্ন হইতে চলিল । এখনও একটা বলবৎ অস্তুরায় রহিয়া গেল। নুতন ব্রাহ্মবিবাহ-পদ্ধতি আইনসিদ্ধ করিয়া লইতে না পারিলে এই স্বতস্থ-সম্প্রদায়ের কিছুতেই রক্ষার উপায় নাই দেখিয়া, তিনি ভারতের বড়লাটের স্মরণাপন্ন হইলেন। স্বয়ং গবর্ণর জেনেরল লর্ড লরেন্স বাহাদুর কেশব বাবুর উপাসনাস্থানে আসিতেন এবং তাহার পরম সমাদর করিতেন। কেশব তাহাকে ধরিয়া একটা সংশুদ্ধ বিবাহ-আইনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করাইলেন । তাহাতে সৰ্ব্বসাধারণ লোকে আপুত্তি উথাপন করাতে, কেবল ব্রাহ্মদিগের জন্তু "ব্ৰাহ্ম’ নামে এই আইন বিধিবদ্ধ কল্পিবার চেষ্ট হইয়াছিল । আদি-সমাজের ও তদন্তুগত অপরাপর সমাজের সভ্যেরাও তাহাতে আপত্তি করাতে তাহাও খণ্ডিত • কেশবচন্দ্র ভারতবর্ধের সকল প্ৰাক্ষসমাজকে এক স্বত্রে গ্রথিত করিবার উদেশে তাহার স্থাপিত এই সমাজের নাম রাৰিলেন, ভারতীয়-ব্রাহ্মসমাজ । ১৮৮৬ খৃষ্টা নৱেম্বর মাসে তিনি ব্রাহ্মধর্গাস্বরাষ্ট্ৰ ব্যক্তিমানের নিকট প্রার্থনা জানাইলেন যে, তাহার প্রচার কার্য্যে এবং বিশুদ্ধ জাদর্শভূত এই ৰাক্ষসমাজ স্থাপনে সকলেই যেন অর্থ স্বার সাহায্য করেন। + এতদার বুৰ ৰায় যে,ব্রাহ্মসমাজ বলিলে একটা গৃহ ও অধ্যবর্তী লোক বুৰায় না। ব্রাহ্মসমাজ কেৰল গ্রহ্মোপাসক লোকদিগের সমাজ । উপাসনাপূৱে ব্ৰন্ধের উপাসন-মশির বা কেবল ৰন্ধমশিৱ লিতে হইবে। কলিকাতা ছোৰাজার ব্লটের ৮৯ নং ভবনে কেশবচন্দ্র সেলেৰ নববিধান-সমাজ প্রতিষ্ঠিত 呜k夏1 XIII Sty সাধারণ সমাজ স্থাপিত হয় + । হইয়া গেল। পরে রেঞ্জঠুরি স্বারা সিডিল-বিবাহের আইন বিধিবদ্ধ হইল। এই রেজঃরি কার্য্যের অব্যবহিত পূর্কে ব৷ পরে ব্রহ্মোপাসনা ও পিঠার পক্ষ হইতে কম্ভাদানাদি কাৰ্য্য করিবার বাধা রছিল না । কেশবচন্দ্র ইহাকেই আপনাদের আইন বলিয়া গ্রহণ করিলেন। ১৮৭২ খৃষ্টাৰে ১৯ মার্চ এই আইন পাশ হয় । এইরূপে সম্প্রদায়বন্ধনের সৰ্ব্বোপকরণ সংগ্ৰহ হইলে কেশবচন্দ্রের আকাঙ্ক পুর্ণ, অভীষ্ট সিদ্ধ ও বিপুল পরিশ্রম লাথক হইয়াছিল । তাহার আরন্ধ অপৌত্তলিক অনুষ্ঠান এবং জাতি ও বর্ণ নিৰ্ব্বিশেষে বিবাহ প্রভৃতি কুসংস্কার-বঙ্কিত ক্রিয়াসকল অবাধে চলিতে লাগিল। এতদবধি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ স্বতন্ত্র ও পরিস্কট লক্ষণে সৰ্ব্বজনের হৃদয়ঙ্গম হইয়াছিল। একদিন দেবেঙ্গনাথ “বান্ধ” লক্ষণ প্রকাশ নিমিত্ত ওঁঙ্কারযুক্ত অঙ্গুরীয়ক পরিধানের ব্যবস্থা করিয়া ছিলেন । এইরূপে ব্ৰাহ্মদিগকে স্বতন্ত্র সম্প্রদায়ের লোক বলিয়া নির্দিষ্ট হইতে হয় । ব্রাহ্মদিগের বয়োবৃদ্ধি সহকারে তাহাদের পুত্ৰকস্তার সংখ্যাও বাড়িতে লাগিল । তাহাতে জাতকৰ্ম্ম, নামকরণ ও বিবাহাদি ব্রাহ্ম-অনুষ্ঠানের বাহুল্য হইতে চলিল । বিবাহ আইন বিধিবন্ধ হইবার ৬ বৎসর পরে কেশবচক্সের স্বার কন্যার বিবাহসম্বন্ধ উপস্থিত হয়। এই বিবাহে কেশবচন্দ্রকে বড়ই বিপাকে পড়িতে হঠয়াছিল । তিনি বাধ্য হইয়। কস্তাকে বরপক্ষীয় লোকের হস্তে ছাড়িয়া দিলেন। এই বিবাহ ব্যাপারে তাহার অবলথিত আইনের কোম বিধি থাটে নাই । ইহা কোচবিহার-বিবাহ নামে প্রসিদ্ধ, tw ) Iچ.» باw۹د ) এই ঘটনায় কেশবচন্ত্রের সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক তাহার প্রতি খড়গহস্ত হহলেন । তিনি জাকাশ পাতালব্যাপী আন্দোলন করিয়া যে আইনের প্রয়োজন ও অলপ্তপালনীয়ত দেখাইয়াছিলেন, আপনার বেলা তাহার দিক্ দিয়া চলিলেন না; তিনি ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে মর্থের মমি নি দিলেন । এইরূপ এবং অন্য সহস্র প্রকার গ্লানি ও নিন্দাবাদ তাeার মস্তকে বর্ধিত হইয়াছিল । অবশেষে তস্বিরুপ্তবাদী ব্রাহ্মগণ তাঙ্গার সম্পর্কত্যাগ করিয়া নুতন এক সমাজ স্থাপন করিলেন । SBB BBBB BB BBBB DBBB BBB BBBBB BBB নাম হইল—সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ।” ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে ১৫ মে মকিৰ দুঃখের বিরত্র প্রথা প্রচলিত शग्न नाहे । + কলিকাত কর্ণওয়ালিস ট্রট ২১১ সংখ্যক ভবনে এই সমাজমন্দির নির্মিত হয় ।