পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতচন্দ্র রায় [ ৩৩৫ ] ভারতচন্দ্র রায় পুরের নিকটস্থ শারদাগ্রামবাসী জনৈক কেশরকুলী আচার্থ্যের কল্প বিবাহ করিয়া তিনিস্বীয় অগ্রজ কর্তৃক বিশেষরূপে লাঞ্চিত হইয়াছিলেন এবং তাহার সংস্কৃতশিক্ষাই এই অনিষ্টকল্প কার্য্যেয় মূলহেতু বলিয়া সকলেই তাছাকে তিরস্কার করিতে লাগিলেন।• স্বীয় ভ্রাতৃগণ কর্তৃক ভৎসিত হইয়া ভারত অভিমানবশে । গৃহত্যাগপুৰ্ব্বক হুগলী বঁাশবেড়িয়া গ্রামের পশ্চিমদিকৃস্থ দেবানন্দপুরনিবাসী কায়স্থ কুলোদ্ভব রামচন্দ্র মুন্সীর ভবনে গমন করেন। এখানে থাকিয়া তিনি স্বীয় অধ্যবসায় ও মুন্সীবাবুদিগের যত্নে পারস্তভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করেন। তিনি মুন্সী বাবুদিগের নিকট যে সিধা পাইতেন, স্বহস্তে পাক করিয়া তাহাতেই উদরপূৰ্ত্তি করিতেন। এ সময় তিনি সংস্কৃত ও বাঙ্গালী ভাষায় অল্প অল্প কবিতা রচনা করিতে পারিতেন। মুন্সী বাবুদিগের বাটতে এক দিবস সত্য- ! নারায়ণের পুজা হইবে। সত্যনারায়ণের কথা শুনাইবার জন্য ভারতকে পুথি পড়িতে আদেশ করা হয়। তদনুসারে ভারত স্বরচিত ত্রিপদীছন্দাত্মক একটা ‘সত্যনারায়ণ কথা' পাঠ করিয়া সকলকে চমৎকৃত করেন । উক্ত পুজোপলক্ষে দ্বিতীয়বার কথাপীঠে আদিষ্ট হইলে ভারত চৌপদী ছন্দে অপর একথানি গ্রন্থের পাঠ শুনাইয়াছিলেন। এই শেষোক্ত গ্রন্থের শেষে ‘সনে রুদ্র চেগুণা’ এইরূপ সন নির্দিষ্ট আছে। এই সময়ে তাহার বয়স পঞ্চদশ বর্ষ উক্টর্ণ হয় নাই । পারগু ভাষার বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া অনুমান বিংশতি বৎসর বয়ঃক্রম কালে ভারতচন্দ্র গৃহে প্রত্যাগমনপুৰ্ব্বক | পিতা মাত ও ভ্রাতৃবর্গের সহিত মিলিত হইলেন । তাহার অনুপস্থিতিকালে পিতা নরেন্দ্রনারায়ণ বদ্ধমানরাজের নিকট হইতে সামান্ত একটা সম্পূৰি ইজার লন। ভারতকে সংস্কৃত এবং পারসী ভাষায় বিশেষ কৃতবিদ্য দেখিয় তাহার অগ্রজের তাহাকে স্বকীয় সম্পত্তির মোক্তার স্বরূপ বৰ্দ্ধমান নগরে প্রেরণ করেন । এক সময়ে উাহীর সহোদরের নিদিষ্ট সমর মধ্যে রাজস্ব প্রেরণে অক্ষম হইলে বদ্ধমানরাদ ঐ ইজরাট খাল করিয়া লন । ইহাতে ভারতচন্দ্র আপত্তি উত্থাপন করিলেন, কিন্তু স্বীয় দুর্ভাগ্যবশতঃ রাজকৰ্ম্মচারিগণের চক্রাস্তে পড়িয় কারারুদ্ধ হইলেন । এই কার যন্ত্রণ র্তাহাকে অধিকদিন ভোগ করিতে হয় নাই । তিনি

  • বলিতে পারি লী, সংস্কৃতাধ্যয়নকালে ঐ কথার সহিত ভারতের BDD DBDBBBDD gDD DBBBB BBS BB BB BBB DDDD বংশমর্ধ্যাদা অনেক লাবৰ হইয়াছিল।

কারারক্ষককে বশীভূত করিয়া রাত্ৰিযোগে বদ্ধমান পরিত্যাগপূৰ্ব্বক মহারাষ্ট্র অধিকারে মাগিয়া উপস্থিত হইলেন । পলায়নকালে রঘুনাথনামক জনৈক নাপিত তৃত্য সঙ্গে गद्देब्रा ङिनि भशब्राहे ब्राण५ांनौ कछेकनभन्नैौण्ड श्रांगिब्र উপনীত হইলেন। এখানে দয়াশীল মহারাষ্ট্র সুবেদার শিবভট্টের অনুগ্রহে তিনি শ্ৰীশ্ৰীy পুরুষোত্তমধামে ৰাস করিবার আদেশ প্রাপ্ত হন। সুবেদার তাছার প্রতি অমুকুল হইয়া কৰ্ম্মচারী, মঠধারী ও পাগুদিগের উপর আদেশ ঘোষণা করিলেন যে, ‘ভারতচন্দ্র রায় ও তাছার ভূত্য বিনা করে পুরযোজমক্ষেত্রে তীর্থবাসী হইতে পারিবেন এবং যখন যে মঠে থাকিতে ইচ্ছা করিবেন, তখন সেই মঠে সসন্মানে স্থান পাইবেন । তাছাদের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্ত একটী বলরামী-আটকে ধাৰ্য্য হইয়াছিল । এখানে শঙ্কাচাৰ্য্যমঠে ৰাসপুৰ্ব্বক ভারত রাজপ্রসাদ ও দেবপ্রসাদ ভোগ করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বদা বৈষ্ণব সহবাস ও বৈষ্ণবের সহিত সালাপ, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের গ্রন্থপাঠ ও শ্ৰীভাগবতশ্রবণ হেতু তাহার চিত্তে বৈরাগ্য উপস্থিত হয়। তিনি গৈরিক বস্ত্র পরিধানপুৰ্ব্বক উদাসীনবেশ ধারণ করিয়াছিলেন । একদা বৈষ্ণব-সম্প্রণায় বৃন্দাবনধাম দশনের বাসন জানাইলে ভারত হৃষ্টচিত্তে "হীদের অতুগামী হন। ঐক্ষেত্র হইতে পদত্ৰজে বৈষ্ণব সমভিবাহারে তিনি হুগলী জেলার অন্তঃপাতী খানাকুল কৃষ্ণনগরে অসিয়া সমুপস্থিত হইলেন । তথাকার গোপীনাথ জীউর মনির দর্শনে গমন করিয়া দেখিলেন যে, কীৰ্ত্তনকারী গায়কসম্প্রদায় ‘মনোহরশাই’ কীৰ্ত্তনারস্তের অঙ্গুষ্ঠান করিতেছে। বৈষ্ণর সঙ্গে দেবমন্দিরে প্রসাদ পাইয়। তিনি কীর্ধন শুনিতে বসিলেন। কৃষ্ণলীলারপাশ্বতপানে গুণাকর কবিবর প্রেমাশ্রপাত করিয়াছিলেন । - ঐ খানাকুল গ্রামে ভারতচত্রের শ্যাণীপতি-ভ্রাতার বাটা, রঘুনাথ তাহা জ্ঞাত ছিল। যখন তিনি তন্ময় হইয়া কীৰ্ত্তন গুনিতেছিলেন, তখন রঘুনাথ অবসর বুঝিয়া গোপনে ভট্টাচার্য্যের ভবনে যাইয়া তাহার শ্যাণী ও ভtয়র-ভাইকে সকল বিষয় বিস্তারিতরূপে জ্ঞাত করান। তস্কৃতান্ত শ্রবণে ভট্টাচার্য্য পরিবারস্থ সকলে কীৰ্ত্তন স্থলে উপস্থিত হইয়া প্রৰোধবচনে তাহাকে গৃহে ফিরাইয়া আনেন এবং নাপিত ডাকাইয় তাহার দাড়ি গোপ চুল ও নখ প্রভৃতি ফেলাষ্টয়া দেন । তংপরে তাহারা ঠাহাকে স্নান করাইয়া ধেীতবস্ত্র পরিধানান্তর অনেক অনুরোধ উপরোধের পর গৃহধৰ্ম্মে আসক্ত করিলেন, কিন্তু কিছুতেই তাহার পিতা ও ভ্রাতাদিগের নিকট লইয়া যাইতে পারিলেন না। তিনি এ সময়ে স্বীয়