পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষাতত্ত্ব [ ৪১৬ ] ভাষাতত্ত্ব দেখিতে পাওয়া যায়। দেবতত্ব, ভূতত্ব, জলতত্ব, জ্যোতিস্তত্ব প্রভৃতি বিষয়ে তাহারা সম্যক্ পারদর্শিতা লাভ করিয়া তত্তদ্বিষয়ের উপযোগিতানুসারে তদনুরূপ শব্দের উদ্ভাবনা করিয়াছেন । আর্য্যপ্রবাহপ্রসঙ্গে আর্য্যজাতির বৈদিক ভাষা বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত হইয় পড়ে। তাই আমরা আর্য্যভাষাগত একটা শব্দের অনুরূপ সংস্কৃত, বাঙ্গাল, গ্ৰীকৃ, জৰ্ম্মণ, ইংরাজ ফরাসী প্রভূতি ভাষায় দেখিতে পাই । [ বিস্তৃত বিবরণ শবতত্বে দেখ। ] মন্থয্যের স্বভাবসিদ্ধ সামাজিকতা, একত্র বসবাসেচ্ছা, পরম্পরের সহানুভূতি বা সাহায্য প্রভৃতি গুণ থাকায় এবং পরম্পরের আবশুক মত বৈষয়িক কথোপকথনাদির সুবিধার eন্ত মানব বাধ্য হইয়। ভাষার উস্তুবে মনোযোগী হইয়াছে । মানব জাতির আদিম অবস্থা কল্পনা করিলে জানা যায় যে, ভজন্মের প্রথম অবস্থা হইতেই মানবগণ বস্তু বা ব্যক্তি বিশেষের যাবতীয় অবস্থা পরিজ্ঞাত হইতে যত্নবান ছিলেন, অথবা তত্ত্বাবৎ অবস্থা দ্বারা তত্তযিয়াঙ্গ-সমুহে অভিজ্ঞতা লাভ করিতে চেষ্টিত হইতেন । মানব যতই অশিক্ষিত অবস্থায় পতিত থাকুক না কেন,তাহার তাৎকালিক অবস্থায়ও সে বাক্যপরম্পরা দ্বারা মনোভাব ব্যক্ত করিতে সমর্থ হইত। তৎকালে তাহার ভাষা সুললিত ও প্রাঞ্জল না হইলেও দুৰ্ব্বেtধ্য ও অসম্পূর্ণ ছিল। মানবের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিলে উহাতে দুইট বিশেষত্ব লক্ষিত হয় । ১ কিশোর শিশু-স্বম্ভাব ও ২ শিক্ষাসম্পন্ন যুবক মুষ্টি। প্রকৃতির ক্রোড়শায়ী শিশুর আধারভূত শক্তি, ইচ্ছা প্রবণতা ও ঈশ্বরদত্ত শারীরিক ও মানসিক শক্তি সমুচ্চয়ের প্রণিধান করিলে অনুমান হয় যে, উহা উপযুক্ত শিক্ষা পাইলে, অথবা তাহার হৃদয়নিহিত স্বভাবজ বৃত্তিগুলি যথানিয়মে কৰ্ষিত ও ফুরিত হইলে, কালে তাহাও পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হইতে পারে। অপর শিক্ষিত যুবক-সম্প্রদায়ের হৃদয়জাত জ্ঞান, সামাজিক আচার ও পাণ্ডিত্যানুশীলন অনুধাবনা করিলে বুঝা যায় যে, তাহার এই গুণপরম্পর পূৰ্ব্বপুরুষের মুকুতিবলে তাহাতে সমপিত্ত হইয়াছে। স্বভাবজ গুণসম্পন্ন ৰাক্তিমাত্র শিক্ষার আতিশষ্য হেতু উৎকর্ষতা প্রাপ্ত হয় । সেইরূপ মনুষ্য মাত্রকে বাল্যাৰস্থা হইতে উপभूख विक्र। श्षिान कब्रिप्ण ऊाझाएक ऊंबज्र अश्श्ाइ श्रामन्त्रम করা যায়। এভৰিষন্ধে তাছার পূর্ব পুরুষাঙ্গিত জানবৃত্তির অপেক্ষ রাখে না। ফল কথা, তাম্বার স্বাভাবিক বৃত্তিসমূহ স্বতই ফুৰি পাইয়া ভাষাজ্ঞানের উপৰোগী হয়। পক্ষান্তরে একটী শিক্ষিত ব্যক্তির শিশু-সন্তানকে প্রকৃতি নির্জনধক্ষে রাখিয়া দিলে, তাহার কখনও পূৰ্ব্বপুরুষের ন্যায় বাকফুষ্টি হইবে না ; এমন কি, সে শিক্ষিত সভোর গৃহবাসাদিনিৰ্ম্মাণে অথবা তাহাদের মত শিল্পবিস্কায় পারদর্শী হইবে না। প্রকৃত পক্ষে সে ভাষাহীন মুকের স্তায় হইয়া যায়, কিন্তু তাহার হৃদয়নিহিত সচেষ্টত একবারে বিদূরিত হয় না । তাহার সহজাত প্রকৃতি তাহার হৃদয়-ক্ষেত্রকে শিক্ষাবীজ বপনের উপযোগী করিয়া রাখে। • মমুষ্যের আদিম অশিক্ষিত অবস্থা কল্পনা করিলে বুঝ৷ যায় যে, তাহারা বর্তমান উন্নতমানবজাতি ও বানরকুলের মধ্যৰৰ্ত্তী ছিলেন। তৎকালে তাহার। পশ্বাদির স্থায় শ্রমসহিষ্ণু, কৰ্ম্মঠ ও পক্ষ্যাদির নীড়নিৰ্ম্মাণপটুতার ন্যায় শিল্পনিপুণ ছিলেন। এ সকল সহজাত কৌশল তা হাতে বিদ্যমান থাকিলেও স্বীকার করিতে হইবে যে, তাহার। সেই সময়ে প্রকৃত ভাষায় বঞ্চিত ছিলেন,কিন্তু জীব জগতের অফুট অব্যক্ত স্বরের স্তায় তাহাদেরও জিহাগ্র হইতে স্বরলহরীর অভু্যখান হইত। সেই বাক্যাবলী মার্জিত ও সুশ্রাব্য ন হইলেও মানবের মৌলিককথিতভাষ বলিয়া অহমিত হয়। উহাতে ভাষাগত কোন নিয়ম সংযোজিত না থাকিলেও তাহাই তাহাদের মনোভাবজ্ঞাপক ছিল। প্রথমে তাহারা নিত্য-ব্যবহার্য্য কতকগুলি বিষয়ের ভাবপ্রকাশের জন্ত কতকগুলি শব্দ উদ্ভাবন করিয়া লয়। পরে নিরস্তর অভাব-জ্ঞাপনে পারদর্শিতাহেতু মানসিক ক্রিয়ানিচয়ের বিকাশ, জলবায়ু-প্রকৃষ্টতাহেতু দৈহিক বল ও বৃত্তিশক্তির দুৰ্ত্তি এবং অভিনব বস্তুসমূহে চিত্ত আকৃষ্ট হওয়ায় তাছাদের নুতন স্বরসংযোজনার আবহুক হইয় পড়ে। এইরূপে স্বভাবজাত মনুষ্য নানাবিষয়ে শিক্ষ-প্রয়াণী হইয়। ভাষার উন্নতিকল্পে শিক্ষিত ও উন্নত-মনুষ্যরূপে গণ্য হইতে • সমর্থ হয়। তাহার এই স্বভাবসাধ্য গুণলব্ধ শিক্ষা কিছুতেই অপনোদিত হইবার নহে, বরং উন্নত শিক্ষাপ্রভাবে তাহার মনুষ্যত্ব দেবত্ত্বে পরিণত হুইতে পারে। মানব-জন্মপরিগ্রহ করিয়া মনুষ্যত্ব লাভের পর, কতদিন পৰ্য্যন্ত মনুষ্য পরম্পরাশ্রুত-কথা ও বিষয়বিশেষের উপযোগী শব্দাদুকরণ দ্বারা মনোভাব জ্ঞাপন কৰিছিল, তাহা স্থির করা মুকঠিন। সেই অবস্থা হইতে বর্তমান উন্নত অবস্থার অন্তর অম্বুধাবন কস্কিলে চমৎকৃত্ত হইতে হয়। প্রয়োজনীয়তামুসারে অমুকারী শৰ লইয়া প্রথমে মানৰজাতির ব্যক্ত ভাষার সংগঠন হয় । তৎপরে পরম্পরাশ্রুতকথা ও পুনরন্থকারী শৰণমুচ্চয় ভাষার সোঁইৰ বৃদ্ধি করে। পরে ক্রমশঃ সেই পরম্পর-প্রতকখাই ভাষায় রূপান্তরিক্ত হইয়াছে।